ইউরেনিয়াম
ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান গ্রহণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের ক্লাবে বাংলাদেশ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) জন্য বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে আয়োজিত হস্তান্তর অনুষ্ঠানে (গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি) স্বপ্নের প্রকল্পটির রুশ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটম আরএনপিপি কর্তৃপক্ষের কাছে তেজস্ক্রিয় জ্বালানি হস্তান্তর করে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ জ্বালানি হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়াম
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসিও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়।
রাশিয়া থেকে একটি বিশেষ এয়ার কার্গোর মাধ্যমে ইউরেনিয়ামের চালানটি ঢাকায় এসে পৌঁছায়। পরদিন কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সড়কপথে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাশিয়ার একটি কারখানা থেকে সরাসরি একটি বিশেষ বিমানে করে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পারমাণবিক জ্বালানি পাঠানো হয়।
রাশিয়ার নভোসিবির্সক কেমিক্যাল কনসেনট্রেট প্ল্যান্টে (এনসিসিপি) এই জ্বালানি উৎপাদিত হয়, যা রোসাটমের জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তেভেলের সহায়ক প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের 'গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি'তে রাশিয়ার রোসাটম থেকে ইউরেনিয়ামের নতুন ব্যাচ গ্রহণ
রুশ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটম ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে দু’টি ইউনিটে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি ২০২১ সালের অক্টোবরে এবং দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য চুল্লি ২০২২ সালের অক্টোবরে বসানো হয়।
সরকার ২০০৯ সালে আরএনপিপি প্রকল্প স্থাপনের ধারণাটি হাতে নেয় এবং ২০০৯ সালের ১৩ মে রাশিয়ার সঙ্গে ‘পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে নির্মাণকাজ সম্পাদনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১৫ সালে মস্কোর সঙ্গে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাধারণ চুক্তি (জিসি) সই করে সরকার।
বাংলাদেশ ২০১৬ সালের জুলাই মাসে আরএনপিপির জন্য ১১ দশমিক ৩৮৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে রাশিয়ার সঙ্গে একটি আর্থিক চুক্তি সই করে। প্রকল্প ব্যয়ের ৯০ শতাংশ এই অর্থ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিট এবং ২০২৫ সালের জুলাইয়ে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে।
আরও পড়ুন: রূপপুরের জন্য ইউরেনিয়াম সংগ্রহে রুশ কোম্পানির সাথে প্রাথমিক চুক্তি
১ বছর আগে
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের 'গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি'তে রাশিয়ার রোসাটম থেকে ইউরেনিয়ামের নতুন ব্যাচ গ্রহণ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) আগামী বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটমের কাছ থেকে ইউরেনিয়ামের নতুন ব্যাচ গ্রহণ করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে সরকারি সূত্র।
সূত্র জানায়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ আনুষ্ঠানিকভাবে রূপপুর প্রকল্পে কর্তৃপক্ষের কাছে জ্বালানি হস্তান্তর করবেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেবেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন বলেন, গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে
তিনি ইউএনবিকে বলেন, 'ঐতিহাসিক এই মুহূর্ত উপলক্ষে আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়ামের প্রথম ব্যাচ বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়।
রাশিয়া থেকে একটি বিশেষ এয়ার কার্গোর মাধ্যমে ইউরেনিয়ামের চালানটি ঢাকায় এসে পৌঁছায় এবং পরদিন কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সড়কপথে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাশিয়ার একটি কারখানা থেকে একটি বিশেষ বিমানে করে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পারমাণবিক জ্বালানি আনা হয়।
রাশিয়ার নভোসিবির্স্ক কেমিক্যাল কনসেনট্রেটস প্ল্যান্টে (এনসিসিপি) এই জ্বালানি উৎপাদিত হয়। এটি রোসাটমের জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তেভেলের সহায়ক প্রতিষ্ঠান।
দুই ইউনিট বিশিষ্ট ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটম।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লিটি ২০২১ সালের অক্টোবরে স্থাপন করা হয়েছিল এবং দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য রিয়্যাক্টরটি ২০২২ সালের অক্টোবরে স্থাপন করা হয়েছিল।
সরকার ২০০৯ সালে আরএনপিপি প্রকল্প স্থাপনের পরিকল্পনা করে এবং ২০০৯ সালের ১৩ মে রাশিয়ার সঙ্গে "পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার" বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে নির্মাণকাজ সম্পাদনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণসংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়।
রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১৫ সালে রাশিয়ার সঙ্গে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের সাধারণ চুক্তি (জিসি) করে সরকার।
বাংলাদেশ ২০১৬ সালের জুলাই মাসে আরএনপিপির জন্য ১১ দশমিক ৩৮৫ বিলিয়ন ডলারের রাশিয়ান ঋণ পাওয়ার জন্য দেশটির সঙ্গে একটি ক্রেডিট চুক্তি সই করে। প্রকল্পের ব্যয়ের ৯০ শতাংশ এই ঋণ থেকে আসা।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়াম
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিট এবং ২০২৫ সালের জুলাইয়ে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. এম শওকত আকবর বলেন, আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে আরএনপিপির প্রথম ইউনিট এবং ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে বলে আশা করছে সরকার।
রূপপুরে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন আগামী বছর থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিদ্যুৎ বিভাগ ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এখনো বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্ভাব্য শুল্ক নিয়ে অন্ধকারে রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্ভাব্য বিদ্যুতের দাম নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের (বিএইসি) সঙ্গে বিপিডিপির কর্মকর্তারা বেশ কয়েকবার বৈঠক করলেও তারা এ বিষয়ে স্পষ্ট চিত্র পাননি।
বিএইসি আরএনপিপি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এবং বিপিডিবি একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় রাশিয়ার সহায়তায় প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ কিনবে।
তবে বিপিডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিএইসি'র সঙ্গে আলোচনা ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তারা প্রাথমিক হিসাব করেছেন এবং আরএনপিপির প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১০ টাকার কম হবে না।
কিছু স্থানীয় বিশেষজ্ঞের গণনা অনুসারে আরএনপিপি প্রকল্পের বিদ্যুতের শুল্ক শূন্য দশমিক শূন্য ৮ থেকে শূন্য দশমিক ১০ ডলার (৮-১০ সেন্ট) অতিক্রম করবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সাবেক সদস্য ও দেশের অন্যতম বিদ্যুৎ শুল্ক বিশেষজ্ঞ মিজানুর রহমান বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুতের দাম হবে ০.০৮৫ ডলারের (৮.৫ সেন্ট) বেশি।
আরও পড়ুন: বিশেষ নিরাপত্তায় রূপপুর যাচ্ছে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান
১ বছর আগে
সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়াম
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান পৌঁছেছে পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে।
এর আগে সড়ক পথে আনার জন্য ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে শিথিল করা হয়। বন্ধ রাখা হয়েছে বাস চলাচল।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
আরও পড়ুন: বিশেষ নিরাপত্তায় রূপপুর যাচ্ছে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান
পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে সড়কপথে রওনা হয় ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর। পথে গাজীপুরে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে কিছুক্ষণ থেমে থাকে। পরে সেখান থেকে ৭টার দিকে গাড়িবহর পাবনার দিকে রওনা দেয়।
এদিকে ইউরেনিয়াম নিয়ে আসার জন্য সড়কপথে ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা। ঢাকা থেকে রূপপুর পর্যন্ত সড়কে ফাঁকে ফাঁকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশি তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী জানান, যেহেতু পাবনা-ঢাকা রুটে অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। এজন্য যানজট নিয়ন্ত্রণে ও নিরাপত্তার স্বার্থে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়। তবে আরিচা-কাজিরহাট হয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় যানচলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাশিয়া থেকে ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে ইউরেনিয়ামের প্রথম এই চালান। শুক্রবার রূপপুরে ইউরেনিয়াম এসে পৌছালেও রূপপুর প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের কাছে আগামী ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইউরেনিয়াম জ্বালানি হস্তান্তর করবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের মহাপরিচালক রোসাটম আলেক্সি লিখাচেভ।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা পেয়েছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুর। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে। দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে
১ বছর আগে
বিশেষ নিরাপত্তায় রূপপুর যাচ্ছে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান
বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান পাবনার রূপপুরে যাচ্ছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে চালানটি বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা অতিক্রম করে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে
টাঙ্গাইল হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এসপি কায়সার বলেন, যান চলাচল বন্ধের কারণে নিয়মিত যাত্রীদের অসুবিধা সত্ত্বেও, তারা দীর্ঘ অসুবিধায় পড়েননি, কারণ বহরটি অতিক্রম করার পরে দ্রুত ট্র্যাফিক ব্যবস্থা পুনরায় স্বাভাবিক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি আমদানিতে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ গ্যারান্টি: কর্মকর্তা
১ বছর আগে
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের পারমাণবিক জ্বালানি তাজা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ইউরেনিয়ামের এই চালান বৃহস্পতিবার বিকেলে রাশিয়া থেকে একটি বিশেষ এয়ার কার্গোর মাধ্যমে ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হতে লাগতে পারে আরও এক বছর
পারমাণবিক জ্বালানি আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. এম শওকত আকবর। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে পারমাণবিক জ্বালানির বিমান চালানের বিস্তারিত জানাননি।
সূত্র জানায়, আগামী ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে রূপপুর প্রকল্পে কর্তৃপক্ষের কাছে জ্বালানি হস্তান্তর করবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের মহাপরিচালক রোসাটম আলেক্সি লিখাচেভ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার একটি কারখানা থেকে একটি বিশেষ বিমানে করে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পারমাণবিক জ্বালানি আনা হয়।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত
এরপর সড়কপথে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে প্রকল্প স্থলে নিয়ে যাওয়া হবে। এই ইউরেনিয়াম পরিবহনে বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
রাশিয়ার নভোসিবির্স্ক কেমিক্যাল কনসেনট্রেটস প্ল্যান্টে (এনসিসিপি) এই জ্বালানি উৎপাদিত হয়, যা রোসাটমের জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তেভেলের সহায়ক প্রতিষ্ঠান।
রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটম ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) নির্মাণে নিয়োজিত রয়েছে।
শওকত আকবর বলেন, সরকার আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে আরএনপিপির প্রথম ইউনিট এবং ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয় ইউনিট চালু করার আশা করছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১১৩৭ টন মালামাল মোংলায় পৌঁছেছে
১ বছর আগে