মৌন মিছিল
জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও মৌন মিছিল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মিছিল করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ ও মৌন মিছিল করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: জাবিতে পুলিশের হাতে সাংবাদিক ‘লাঞ্ছিত’
এসময় জাবির শহীদ মিনারের সামনে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের বিচার না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিদিন নির্মম উপহাসের প্রতিবাদ করেন তারা। এরপর তারা শহীদ মিনার থেকে মৌন মিছিল বের করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরাও এই মিছিলে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ব্র্যাকের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব ও জাবি শিক্ষার্থীর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
জাবি শিক্ষকের পদত্যাগ: শাস্তি এড়ানো, না কি বিবেকের ডাকে সাড়া?
৩ মাস আগে
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মৌন মিছিল
চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ ও কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিতকরণের ৩ দফা দাবিতে মৌন মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিমেবি কর্মচারী পরিষদ’ এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে নগরীর চৌহাট্টা প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে গিয়ে মৌন মিছিলটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাপ্ত হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রায় এক বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দু’দফায় জনবল নিয়োগের জন্য সার্কুলার আবেদন করলেও নানা জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি।
আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মানবপ্রাচীর
তারা জানান, দীর্ঘদিন যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন।
সিমেবি কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত জানান, ৩ দফার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচির ডাকা দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে গোলাপগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ
সিলেটে ছাদে ফুটবল খেলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
তিনিও শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দাবিগুলো হলো- নিঃশর্তে সকল পর্যায়ের কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। প্রায় এক বছর যাবত বেতন বন্ধ থাকায় কর্মচারিরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই অনতিবিলম্বে সকল বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধসহ বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ করতে হবে। কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবিলম্বে নিজস্ব স্থায়ী জায়গায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১ বছর আগে