ব্র্যান্ড
‘ধর্ষণ অভিযোগের’ তদন্তের মধ্যে এমবাপেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না কিলিয়ান এমবাপের। আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একের পর এক সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে চলেছেন এই ফরাসি তারকা।
লা লিগার চলতি মৌসুমের শুরুতে পেনাল্টি ছাড়া ওপেন প্লে থেকে গোল পেতে একরকম ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচক ও প্রতিপক্ষ দলগুলোর সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়েন ২৫ বছর বয়সী এই ফরাসি তারকা। এরপর চোটের ‘অজুহাত’ দেখিয়ে নেশন্স লিগে ফ্রান্সের হয়ে না খেলে রিয়ালের জার্সিতে মাঠে নেমে এবং পরে সুইডেনে নৈশক্লাবে সময় কাটিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। এবার ধর্ষণ অভিযোগের তদন্ত চলায় তাকে পড়তে হলো খোদ রিয়াল মাদ্রিদের খাঁড়ার নিচে।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। আন্তর্জাতিক বিরতিতে ছুটি পেয়ে সেদিন সুইডেন গিয়েছিলেন এমবাপে। সেখানে তিনি যে হোটেলে ওঠেন, সেখানে নাকি তার অবস্থানকালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের অনুপস্থিতিতে চুয়ামেনির নেতৃত্বে মাঠে নামবে ফ্রান্স
সুইডেনের সংবাদপত্র আফ্টনব্লাডেট সর্বপ্রথম ওই ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আনে। তবে, অভিযুক্তের নাম খোলাসা করেনি তারা। এরপর আফ্টনব্লাডেটের বরাত দিয়ে রবিবার ফ্রান্সে খবরটি প্রচার করে ফরাসি ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্ট।
এমবাপে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা উল্লেখ না করে ঘটনাটি নিয়ে সুইডিশ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি। এমবাপে পুলিশি তদন্তের আওতায় রয়েছে কি না, খবরে তাও স্পষ্ট করা হয়নি।
তবে, এ নিয়ে আরএমসির স্পোর্টের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। সোমবার এক্স পোস্টে তিনি ‘খবরটি ভূয়া’ বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি রিয়াল মাদ্রিদ।
২ মাস আগে
ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
পোশাক বিপণনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ঈদের মৌসুম। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরকে উদ্দেশ্য করে রোজা শুরু হতে না হতেই সরব হতে শুরু করে পোশাকের বাজার। নতুন কাপড়ের উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে নিজেদের প্রিয় ব্র্যান্ডের শরণাপন্ন হন ফ্যাশন সচেতন ক্রেতারা। এই শৌখিন শ্রেণিটিকে উদ্দেশ্য করে নিজেদের নতুন শৈলী নিয়ে হাজির হয় দেশ সেরা ব্র্যান্ডগুলো। এই উপলক্ষে চলুন, দেশের জনসমাদৃত ১০টি পোশাক ব্র্যান্ডের ঈদ সংগ্রহ দেখে নেওয়া যাক।
ঈদের বাজারে লোকপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
আড়ং
বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের সামাজিক উদ্যোগ হিসেবে আড়ংয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর। প্রতিষ্ঠাতা আয়েশা আবেদ এবং আমেরিকান শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী মার্থা চ্যান।
প্রতিবারের মতো এবারও দেশীয় সিল্ক ও মসলিনের মতো দামি ফেব্রিকের সংমিশ্রণ ঘটাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। স্বভাবতই এক্সক্লুসিভ কালেকশনের অন্যতম আকর্ষণ হ্যান্ড এম্ব্রয়ডারি। কাট, প্যাটার্ন ও নকশার সমন্বয়ে করা প্রতিটি পোশাকেই ফ্যাব্রিক নির্বাচনে গুরুত্ব পেয়েছে উৎসবমুখরতা ও স্বস্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
মেয়েদের সালোয়ার কামিজে প্রাধান্য পেয়েছে লেয়ারিং ডিজাইন। পরিচিত রঙের সঙ্গে রয়েছে সাগর নীল, ল্যাভেন্ডার, টিল, প্লাম, মিন্ট গ্রিন, আইভরি, ময়ুর নীল, ও প্যাস্টালের মতো ভিন্নধর্মী রঙের ব্যবহার।
পুরুষদের পাঞ্জাবিতে থাকছে বয়সভিত্তিক বিচিত্র ডিজাইন। গরমকে কেন্দ্র করে তরুণদের পাঞ্জাবিগুলো প্রায় সবই খুব হালকা নকশার।
কে-ক্র্যাফট
১৯৯৩ সালে দেশের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও শৈলীকে উপজীব্য করে খালিদ মাহমুদ খান এবং শাহনাজ খান প্রতিষ্ঠা করেন কে-ক্র্যাফট।
প্রতি উৎসবের মতো এবারও পুরুষদের জন্য নিজস্ব স্টাইলের রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবির সংগ্রহ রেখেছে কে-ক্র্যাফট। পাশাপাশি রয়েছে কাট নির্ভর একরঙা পাঞ্জাবিও।
আরও পড়ুন: এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
নারীদের জন্য নির্ধারিত পোশাক সারিতে দেখা গেছে ঐতিহ্য, ক্ল্যাসিক, রেট্রো, ফিউশন, ও লং প্যাটার্ন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ডাবল লেয়ার্ড সালোয়ার কামিজ, ডাবল লেয়ার্ড কুর্তি, টিউনিক, কাফতান, এবং টপ্স-পালাজো সেট। এ ছাড়া শাড়ির ক্যাটাগরিকে সমৃদ্ধ করেছে কটন, মসলিন, সিল্ক, খাদি মসলিনের বৈচিত্র্যগুলো।
প্যাটার্ন, ফ্যাব্রিক এবং রঙের দিক দিয়ে বড়দের মতো বাচ্চাদের পোশাকেও মিলছে একই বৈশিষ্ট্যের দেখা।
রঙ বাংলাদেশ
বিপ্লব সাহা, সৌমিক দাস, মামুন আল কবির এবং জাকিরুল হায়দার। ১৯৯৪ সালে সদ্য স্নাতক পাশ করা এই চার বন্ধু মিলিত প্রচেষ্টায় জন্ম নেয় রঙ। কবির এবং হায়দার কয়েক বছরের মধ্যে তাদের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেন। কিন্তু বিপ্লব এবং সৌমিক টানা ২১ বছর ধরে চালিয়ে যান কাপড়ের ব্যবসা। অতঃপর ২০১৬ সালে, রঙ ‘বিশ্ব রঙ’ এবং ‘রঙ বাংলাদেশ’- এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এখানে ‘বিশ্ব রঙ’-এর কর্ণধার বিপ্লব সাহা, আর ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর একমাত্র মালিক সৌমিক দাস। প্যারেন্ট কোম্পানি ‘রঙ’-এর দৌলতে বর্তমানে দুটোই বেশ স্বনামধন্য ব্র্যান্ড।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
ঈদুল ফিতর ২০২৪ কে উপলক্ষ করে ‘রঙ বাংলাদেশ’ নিয়ে এসেছে ৪ উপাদান বিশিষ্ট ক্লাসিক্যাল থিম।
এগুলো হচ্ছে বাতাস, আগুন, পানি ও মাটি। এই থিমের সঙ্গে সব ধরনের পোশাকের নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেশীয় সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় আবহকে।
গ্রীষ্মের উষ্ণতার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন হালকা ওজনের ফেব্রিক। এগুলোর মধ্যে আছে স্লাব কটন, লিনেন, জ্যাকার্ড কটন, হাফসিল্ক, বারফি, জর্জেট ও ভিসকস। আর রঙের ভিত্তিতে প্রাধান্য পেয়েছে মেরুন, ফিরোজা, নীল, আকাশী, লাল, খয়েরি, হালকা কমলা, গাঢ় সবুজ ও কফি রঙগুলো।
অঞ্জন্স
১৯৯৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহীন আহমেদের হাত ধরে শুরু হয় অঞ্জন্সের পথ চলা। এবারের ঈদে অঞ্জন্সের নকশা শৈলী, রঙ ও ফেব্রিকে থাকছে বসন্ত থেকে গ্রীষ্মে রূপান্তরের আবহ।
সালোয়ার কামিজ ও ওড়নার মুল উপাদান লিনেন, জ্যাকার্ড কটন, রেয়ন, ডুপিয়ান, ও হাল্কা সিল্ক।
আরও পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
শাড়ি বিভাগে ঠায় পেয়েছে মসলিন, রাজশাহী বলাকা সিল্ক, টাঙ্গাইল কটন, লিনেন কটন, ও ভয়েল কাপড়। কামিজের পাশাপাশি শাড়ির নকশারও বিশেষ বিষয় ব্লকপ্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, কারচুপি ও ডিজিটাল প্রিন্ট।
কাপড় ও নকশার একই রকম হাল্কা কাজ দেখা যাচ্ছে পুরুষদের সেরা পোশাক পাঞ্জাবিতেও। স্লিম ফিট, কলিদার কাট, ও রেগুলার ফিট সব ধরনের আকারই মিলবে এবারের ঈদ আয়োজনে।
এক্স্ট্যাসি
১৯৯৭ সাল থেকে শুরু হওয়া দেশের স্বনামধন্য রেডিমেড পোশাক ব্র্যান্ড এক্স্ট্যাসির প্রতিষ্ঠাতা তানজিম আশরাফুল হক। এক্স্ট্যাসির অধীনে পুরুষদের জন্য স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড ‘তানজিম’ এবং নারীদের জন্য ‘জারজাইন’। শুধুমাত্র তরুণদেরকে উদ্দেশ্য করে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন মনোনিবেশ থাকে হাল ফ্যাশনের প্রতি।
সাধারণত পার্টি পরিধান, বোতাম-সমেত লম্বা হাতা, পিনস্ট্রিপ্ড শার্ট, ক্যাজুয়াল টি-শার্ট, ডেনিম জিন্স, এবং স্পোর্টস জ্যাকেট পুরুষদের মুল আকর্ষণ। এর সঙ্গে উৎসবগুলোতে যুক্ত হয় তানজিম স্কোয়াডের টি-শার্ট ও তানজিম পাঞ্জাবিগুলো। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে জারজাইনের কাফতান, শ্রাগ, টপস, শার্ট, এবং টপ-বটম সেট সর্বাধিক বিক্রয়ের তালিকায়। বিশেষ করে যারা এক রঙের পোশাক পরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই এক্স্ট্যাসি সেরা।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
৮ মাস আগে
বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা ঢাকার যেখানে পাবেন: বধূ সাজের সেরা গন্তব্য
বিয়ে মানেই একজন নারীর অনন্যা হয়ে ওঠার সাতকাহন। অলঙ্কার ও বস্ত্রের আভরণ অন্দরমহলের দেবীকে যেন উজাড় করে তুলে ধরে সুন্দরের পূজারিদের সামনে। পরিচ্ছেদের আড়ম্বরে যেখানে সম্ভ্রম ও মর্যাদার চিরমুক্তি, সেখানে প্রত্যাশিত দিনটির মধ্যমণি হয়ে থাকে সেই পোশাকটি।
সেই সূত্রে, বাংলা ভূ-খন্ডের কারিগররা যুগ যুগ ধরে ঐশ্বর্যমন্ডিত করেছেন ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়িকে। সময় বিবর্তনে বিশ্বায়নের প্রভাবে এখন বউ সাজে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। বিগত তিন দশকে শুধুমাত্র এই বিয়ের সজ্জাকে ঘিরেই অনেকটা সমৃদ্ধ হয়েছে পোশাক শিল্প। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাল ফ্যাশনে ভর করে ব্র্যান্ডে রূপ নিয়েছে বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে, চলুন, দেখে নেয়া যাক- বিয়ের শাড়ি ও লেহেঙ্গার জন্য ঢাকার সেরা কয়েকটি মার্কেট ও ব্র্যান্ড।
বিয়ের শাড়ি ও লেহেঙ্গার জন্য ঢাকার সেরা ১০টি মার্কেট ও ব্র্যান্ড
মিরপুর বেনারসি পল্লী
শাড়ি শব্দটির সঙ্গে সবচেয়ে পরিচিত বিশেষণটি হলো বেনারসি। আর ঢাকার মিরপুরস্থ বেনারসি পল্লীর ঠিকানা আলাদা করে মনে রাখা দরকার হয় না। বহু বছর ধরে অনেকটা পরিপূরক শব্দের মতই যেন লেগে আছে ঢাকাবাসীর মুখে।
মিরপুর ১০-এ অবস্থিত এই মার্কেটের প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৫ সাল। বেনারসির পাশাপাশি এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় কাতান ও সিল্ক। এখানে সব মিলিয়ে শাড়ির দোকানের সংখ্যা প্রায় ২০০ টি।
অন্যান্য শাড়ির মধ্যে আছে ঢাকাই মসলিন, জামদানি, টাঙ্গাইল তাঁত, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইল হাফ সিল্ক, কাটা শাড়ি, ও জর্জেট। প্রতিটি শাড়িতেই রয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। পরিণত রং, হাল্কা ওজন, আর ন্যায্য দামের কারণে উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত সবারই ভীড় হয় এখানে। বধূ সাজসজ্জায় শাড়ির জন্য প্রথম পছন্দ মিরপুরের এই বেনারসি পল্লী।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট
মধ্যবিত্ত রাজধানীবাসীর সাধ্যের মধ্যে উপযুক্ত গন্তব্য হচ্ছে ধানমণ্ডির হকার্স মার্কেট। গাউছিয়া মার্কেটের উল্টো পাশে অবস্থিত এই মার্কেটে প্রচুর দোকান থাকায় একসঙ্গে অনেক সংগ্রহ থেকে পছন্দ করা যায়।
ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল ও জামদানি শাড়ির প্রসিদ্ধ দোকান তো আছেই। সেই সঙ্গে মসলিন, নেটশাড়ি, পার্টি শাড়ি, অলগেঞ্জ, পার্টি লেহেঙ্গা, ফ্লোরাল প্রিন্ট, ও টিশ্যুসহ বাহারি রকমের শাড়ি আকৃষ্ট করে ক্রেতাদের। কাতানের মধ্যে রয়েছে মন্থানের কাতান, বেনারসি কাতান, ভেলোর কাতান, ও বেলগা কাতান।
আরও পড়ুন: শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন
নিউ মার্কেট
কেনাকাটা যখন বিয়ের জন্য তখন নিউ মার্কেটে অবশ্যই একবার ঘুরে আসা উচিত। আজিমপুরের উত্তরাংশের এই বিশাল মার্কেটটি স্থাপিত হয়েছিলো ১৯৫৪ সালে।
সেই শুরু থেকেই সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের সংগ্রহ থাকার কারণে সবার কাছে এক নামে পরিচিত এই পুরনো মার্কেটটি। আর তাই শুধু শাড়ির জন্যই নয়, বিয়েতে দরকারি যাবতীয় জিনিসপত্রের জন্যও আসতে হবে এখানে।
এখানে কেনাকাটায় সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্য এবং স্বাধীনভাবে দর কষাকষির সুযোগ। বড় বড় শপিং মলের হাজার টাকার পণ্যও মাত্র কয়েকশো টাকাতেই কেনা সম্ভব এখান থেকে। এছাড়া এখানকার বেশ কিছু ব্যবসায়ী অনেক বছর ধরে কাপড় বিক্রি করে আসছেন। ফলশ্রুতিতে, এখানে দীর্ঘ মেয়াদী ক্রেতা-বিক্রেতা সুসম্পর্ক দেখা যায়।
বেইলি রোড
দীর্ঘ ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে গড়ে ওঠা শতাধিক শাড়ির দোকান বেইলি রোডকে শাড়ির বিশাল বাজারে পরিণত করেছে। এখানে পরিধেয় যেমন বাহারি, দামটাও তেমন মেলানো মেশানো।
বেইলি রোডের আশপাশ সহ দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ক্রেতারা আসেন প্রধানত টাঙ্গাইলের তাঁত ও ঢাকাই জামদানির টানে। তবে মিরপুর, কুমিল্লা, ডেমরা, সিরাজগঞ্জ, ও পাবনাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তাঁতের শাড়িও এখানে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
এছাড়া দোকানগুলোতে মসলিন, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইলের সিল্ক, মিরপুরের কাতান, পাবনার কাতানের চাহিদাও আছে। জামদানি, বালুচুরি, সুতি, জুট কটন, জুট কাতান এবং হাফ সিল্কও কোন অংশে পিছিয়ে নেই।
বিদেশি শাড়ির মধ্যে দেখা যায় কাঞ্জিভরম, পঞ্চমকলি, শিফন, ক্র্যাফট, জর্জেট, অপেরা কাতান, কাঁঠাল কাতান, আলাপ কাতান, খাদি কাতান, ভোমকা কাতান। হাতের কাজ করা এবং ভেজিটেবল ডাই করা শাড়িও পাওয়া যায় এখানে।
জ্যোতি
১৯৯০ সাল থেকে শুরু হওয়া জ্যোতি মূলত রেডিমেড পরিধান বিক্রি করে থাকে। প্রথমে ভারতীয় শাড়ি, কামিজ এবং বধূ সজ্জার সরঞ্জাম নিয়ে নূর ম্যানশন শোরুমের মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে তারা তাদের বিয়ের সাজসজ্জায় দোপাট্টা যুক্ত করে।
তাদের বিশেষ পণ্যগুলো হলো বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা, এবং প্রসাধনী। ঢাকা শহর জুড়ে জ্যোতির মোট ১১টি শাখা রয়েছে।
আনজারা
২০১৪ সালে একটি অনলাইন শপ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় আনজারার। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নওরীন ইমান ইরা এবং আবিরুল ইসলাম চৌধুরী। খুব ছোট থেকে ইরার ডিজাইনার হতে চাওয়ার স্বপ্নের ফসল এই আনজারা। আবির সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠানটির অর্থায়ন এবং বিপণনের কাজটি দেখাশোনা করেছেন।
তাদের দক্ষতার জায়গা হচ্ছে লেহেঙ্গা, গাউন, শাররা, এবং ঘাররাসহ বিভিন্ন ধরনের বধূর পোশাকে।
আরও পড়ুন: লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে টুর্যাগ অ্যাক্টিভের অংশীদারিত্ব
আনজারা এখন কেবল ইন্টারনেটেই সীমাবদ্ধ নেই। তাদের এখন ঢাকায় তিনটি শাখা, যার প্রত্যেকটিরই রয়েছে ভিন্ন শৈলীর পোশাক। প্রধান শাখাটি থেকেই মূলত বিয়ের পোশাক বিক্রি করা হয়। আর অন্য দুটিতে তোলা হয়েছে বিভিন্ন পার্টিতে পরিধানের পোশাক।
১ বছর আগে
পুরুষদের ফরমাল পোশাক ও স্যুট বানানোর জনপ্রিয় কিছু দেশি ব্র্যান্ড
শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয়, নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের ধরন ভেদেও প্রয়োজন পড়ে ফরমাল পোশাকের। কার্যক্ষেত্রের ভাব-গাম্ভীর্যের অনেকাংশই নিজেদের পরিধানে বজায় রাখার চেষ্টা করেন পুরুষেরা। কেউ কেউ এমন পরিপাটি পরিধেয় নিজেদের স্টাইলের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে বেধে নেন।
ফলশ্রুতিতে নৈমিত্তিক জমায়েতেও তাদের প্রায় সময়ই দেখা যায় স্যুট বা অন্যান্য ফরমাল বেশভূষায় হাজির হতে। রেডিমেড বা টেইলারিং যেমনি হোক না কেন, এমন পোশাক শিল্পের গ্রাহক শ্রেণি মোটেই সংকীর্ণ নয়। তাই এদেরকে উদ্দেশ্য করে দেশ জুড়ে গড়ে উঠেছে নানা প্রকার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। চলুন, এগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় দেশি ব্র্যান্ডগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পুরুষদের ফরমাল পোশাক বানানোর সেরা ১০টি দেশি ব্র্যান্ড
ক্যাট্স আই
বর্তমানের এই স্বনামধন্য ব্র্যান্ডটি নেপথ্যে রয়েছে ১৯৮০ সালে গ্রীন সুপার মার্কেটে ছোট্ট একটি দোকান। সেখানে ক্যান্ডি থেকে শুরু করে অলঙ্কার পর্যন্ত প্রায় সবকিছুই বিক্রি করা হতো।
দোকানের একটি ছোট অংশ শার্টের জন্য রেখেছিলেন প্রতিষ্ঠাতা দম্পতি সাঈদ সিদ্দিকী রুমি এবং আশরাফুন সিদ্দিকী ডোরা, যেগুলোর নকশা তারা নিজেরাই করতেন।
আরও পড়ুন: সাদমুআ: বাংলাদেশের প্রথম পুরুষ বিউটি ব্লগার
১৯৮৩ সালে তারা এলিফ্যান্ট রোডের মনসুর ভবনে একটি ফ্লোর স্পেস ভাড়া নিয়ে আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটান ক্যাট্স আইয়ের। সে সময় বিশেষ করে পুরুষদের ফ্যাশন মার্কেটে কর্মজীবীদের জন্য ফরমাল বলতে তেমন ভালো কিছুই ছিল না। তখন সিদ্দিকী দম্পতির এই প্রতিষ্ঠানটিই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা। এরপর থেকে কয়েক দশক ধরে দাপটে ব্যবসা করেছেন সিদ্দিকী দম্পতি।
পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে অবশ্য তারা পুরুষদের ক্যাজুয়াল পণ্যগুলোর সংগ্রহ নিয়ে চালু করে মনসুন রেইন। ১৯৯৮ সালে এই গ্রাহক শ্রেণিটিকে আরও সংকীর্ণ করে আবির্ভাব হয় ক্যাট্স আই আনলিমিটেডের।
সাধারণ ক্যাট্স আই সংগ্রহ বলতে ফরমাল সাদা ও নীল রঙের শার্ট এবং ফরমাল প্যান্টগুলোকেই বোঝানো হয়। এছাড়া তাদের শেরওয়ানি, পাঞ্জাবি এবং ম্যান্ডারিন ভেস্টগুলো তাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট ধারণ করে।
আরও পড়ুন: গহনায় ব্যবহৃত মূল্যবান কিছু রত্নপাথর
রিচম্যান
দেশের সমসাময়িক ফ্যাশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রিচম্যানের শুরুটা হয়েছিল ২০০৩ সালে ৩ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের হাত ধরে। তারা হলেন- মোহাম্মদ জুনায়েদ, নাজমুল হক খান এবং নাইমুল হক খান। রিচম্যানের উদ্ভূত হয়েছিল লুবনান ট্রেড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড কোম্পানি থেকে।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে শুরু হওয়া প্রথম রিচম্যানে পুরুষের ফরমাল ও ক্যাজুয়াল দুটো পরিধেয়ই তোলা হয়েছিল। কিন্তু নকশা অনবদ্য হওয়ায় শিগগিরই সেগুলোর আলাদা অবস্থান তৈরি হয়ে যায় বাজারের অন্যান্য পোশাকগুলো থেকে।
তরুণদের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক ইতিবাচক সাড়াগুলোর ওপর ভিত্তি করে একের পর এক চালু হতে থাকে তাদের আউটলেটগুলো। বর্তমানে তাদের শাখা ঢাকার বাইরে চট্টগাম ও সিলেটে বিস্তৃতি লাভ করেছে।
তাদের সংগ্রহে রয়েছে নৌবাহিনীর জ্যাকেট, নেভি স্ট্রাইপ করা সুতির ফুল হাতা সোয়েটার, ধূসর প্রিন্টের হাফ হাতা হাওয়াই শার্ট, এবং হাই নেক মেরুন রঙের সোয়েটার। সাধারণ ফরমাল শার্ট ও প্যান্টের সঙ্গে রয়েছে শ্যু এবং পুরুষের ব্যবহৃত প্রসাধনী।
আরও পড়ুন: শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন
বেলমন্ট ফেব্রিক্স
ফরমাল পরিধেয়ের ক্রমবর্ধান চাহিদার বিপরীতে বেলমন্ট ফেব্রিক্স লিমিটেডের আগমন ছিল বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে এক অনন্য সংযোজন। দেশে স্যুট ও ব্লেজারসহ ফরমাল প্যান্ট ও শার্টের টেইলারিং সেবা নিয়ে এর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর।
বেলমন্ট ফেব্রিকস লিমিটেডের উদ্যোক্তা মোহাম্মদ বাদশা শরীয়তপুরে জন্ম নেওয়া একজন প্রতিভাবান ব্যবসায়ী। বেশ ছোট পরিসরে শুরু করা কোম্পানিটির এখন তার জন্মস্থান ছাড়িয়ে গোটা বাংলাদেশ ব্যাপী বিস্তৃত। শরীয়তপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর মিলে বেলমন্টের মোট ১৯টি আউটলেট রয়েছে।
গাজীপুরে ৮ হাজার বর্গফুটের ওপর এই কাস্টমাইজড সেলাই প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব একটি টেইলারিং ফ্যাক্টরি রয়েছে, যা সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিতে পরিপূর্ণ।
আরও পড়ুন: এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
ফিট এলিগেন্স
বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ফিট এলিগেন্স-এর জন্ম ২০০১ সালের ২৬শে মার্চ। স্যুট, ব্লেজার এবং ট্রাউজারের চাহিদা পূরনে নিবেদিত এই প্রতিষ্ঠান মুলত ইস্ট-ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেডের একটি সহযোগী উদ্যোগ। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত এক্সেকিউটিভ পরিচ্ছদ খাতের অন্যতম পথপ্রদর্শক ইস্ট-ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ১৯৮৫ সাল থেকে স্যুট তৈরি করে আসছে।
ফিট এলিগেন্ডের বর্তমানে ঢাকায় ৯টি এবং চট্টগ্রামে একটি এক্সক্লুসিভ স্টোর রয়েছে। তাদের বিশেষ সংগ্রহ তালিকায় রয়েছে প্রিন্স কোট, ওয়েইস্ট কোট, ব্লেজার, মুজিব কোট, ট্রাউজার, ওভারকোট, শেরওয়ানি এবং সাফারি।
১ বছর আগে
পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘বর্ণন’ এর যাত্রা শুরু
বর্ণন একটি পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। বর্ণনের পথচলা শুরু হয়েছে দেশীয় উপকরণ দিয়ে আরামদায়ক পরিবেশ উপযোগী ভিন্ন ধরনের পোশাক ও পণ্য নিয়ে।
সমসাময়িক আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিবেশবান্ধব পণ্যের কাঁচামাল ব্যবহারে বর্ণনের মনোযোগ থাকবে সবসময়।
আরও পড়ুন: চিপসের পরিবর্তে কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাবার
বর্ণন লাইফস্টাইল লিমিটেডের ডিরেক্টর ও ডিজাইনার ফারজানা মঈন মিহান ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য নতুনত্ব, পণ্যের স্থায়ীত্ব, শিল্পী ও শ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন, উন্নত ও সৃজনশীল দিকনির্দেশনা ও ক্রেতাদের অনুপ্রেরনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্ণনের উদ্বোধনী মাসজুড়ে বিভিন্ন পণ্যে আকর্ষনীয় মূল্যছাড় রয়েছে সরাসরি আউটলেটের পাশাপাশি ই-কমার্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে।’
পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড বর্ণন-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে ১৪ এপ্রিল (শুক্রবার) বনানীতে নিজস্ব অফিসে।
আরও পড়ুন: 'এসো হে বৈশাখ': বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ স্বাগত জানাচ্ছে বাংলাদেশ
পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈসাবি উৎসবের ২য় দিন, বাড়িতে বাড়িতে পাঁজনের সুঘ্রাণ
১ বছর আগে
লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে টুর্যাগ অ্যাক্টিভের অংশীদারিত্ব
ফিটনেস, ফ্যাশন ও ফ্যাব্রিকেশনের জগতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সমন্বয় ঘটিয়েছে ওয়েভ রাইডার্স লিমিটেডের ব্র্যান্ড টুর্যাগ অ্যাক্টিভ।
সম্প্রতি, ব্র্যান্ডটি ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
ওয়েভ রাইডার্সের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, এখন থেকে ক্যাটস আইয়ের সবগুলো আউটলেটে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে টুর্যাগ অ্যাক্টিভওয়্যারের বিস্তৃত পণ্যের সমাহার।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ঊর্মি গ্রুপের নতুন পণ্য ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দু’পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: টুর্যাগ অ্যাক্টিভ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফাইয়াজ রহমান এবং ক্যাটস আইয়ের পরিচালক সাদিক কুদ্দুস।
চুক্তি অনুযায়ী, এলিফ্যান্ট রোড, বসুন্ধরা সিটি, গোল্ডেন এইজ (গুলশান), আরএকে টাওয়ার (উত্তরা), আফমি প্লাজা (চট্টগ্রাম), যমুনা ফিউচার পার্ক, মিরপুর ১০ এবং বাণিজ্য ভবন শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত ক্যাটস আইয়ের আউটগুলোতে টুর্যাগ অ্যাক্টিভ মেন’স কালেকশন-গো ইজি, পারফর্মার ও ইনটেন্স এবং উইমেন’স কালেকশন ভাইটালিটি, অপ্টিমাম, ফ্রিমুভ ও ফ্লেক্স৩৬০ পাওয়া যাচ্ছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাটস আইয়ের পরিচালক সাদিক কুদ্দুস বলেন, ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বের ব্যাপারে জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। টুর্যাগের সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের অ্যাথলেটিক পোশাকের বিস্তৃত পরিসরের পণ্য রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা যে ক্যাটস আই ও টুর্যাগের এই যাত্রা সফলতা অর্জন করবে।’
এ বিষয়ে টুর্যাগ অ্যাক্টিভ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফাইয়াজ রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ক্লথিং ব্র্যান্ড ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে চুক্তি করা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। সাম্প্রতিক সময়ে মানুষ পোশাকের মাধ্যমে এমন স্টাইল করতে চাচ্ছে, যা একইসঙ্গে তাদের অ্যাক্টিভ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে, স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হবে, পাশাপাশি ফ্যাশনেবলও হবে। অ্যাক্টিভওয়্যার এখন শুধুমাত্র লাইফস্টাইল চয়েজই নয়, এটি বৈশ্বিক ফ্যাশনে প্রভাব বিস্তারকারী ভূমিকা রাখছে। আমাদের প্রত্যাশা, টুর্যাগ অ্যাক্টিভ ও ক্যাটস আইয়ের এ অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হবে এবং দেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষদের কাছে পৌঁছে যাবে আমাদের পোশাক।’
পারফরমেন্স বৃদ্ধি করবে, স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরির মাধ্যমে অ্যাথলেইজার ও লাইফস্টাইল খাতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রত্যাশী টুর্যাগ অ্যাক্টিভ।
এর ধারাবাহিকতায়, দেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষের কাছে বিস্তৃত পণ্যের সমাহার পৌঁছে দেয়ার নিরলস চেষ্টার অংশ হিসেবে ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করলো ব্র্যান্ডটি।
আরও পড়ুন: প্যাকেটজাত আলুর চিপস কেন শরীরের জন্য ক্ষতিকর?
আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন ২০২২: ‘হেলথ ও ওয়েলনেস’ সেশনে গুরুত্ব পেয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য
২ বছর আগে
১৫ থেকে ২০ হাজার প্রাইস রেঞ্জে অপোর নতুন স্মার্টফোন এ৫৭
সম্প্রতি, দেশের বাজারে অপো এর নতুন স্মার্টফোন অপো এ৫৭ উন্মোচন করেছে। এ সিরিজের নতুন এই ডিভাইসটি ব্র্যান্ডটির স্মার্টফোন লাইন-আপের সর্বাধুনিক ফোন। নতুন এই ফোনটিতে রয়েছে ৩৩ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিং, ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার ও ৮জিবি পর্যন্ত র্যাম এক্সপেনশন প্রযুক্তি সহ উপভোগ্য উপায়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফিচার। অত্যাধুনিক ফিচার ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ অপো এ৫৭ স্মার্টডিভাইসটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯০ টাকা। ব্যবহারকারীদের ফোন ব্যবহারের অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে নতুন এ ডিভাইসটিতে উন্নতমানের ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে।
অপো এ৫৭ ডিভাইসে রয়েছে আল্ট্রা-লিনিয়ার ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার এবং ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং, যা ব্যবহারকারীকে ফোন ব্যবহারের সেরা বিনোদন অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। এ ডিভাইসটি ব্যবহারকারীকে হোম-থিয়েটারের মতো অভিজ্ঞতা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এটি বেইজ রেসপন্সকে উন্নত করে এবং মুভি ও গেম খেলার সময় বাড়তি মাত্রা যোগ করতে সর্বোচ্চ ভলিউমের বিষয়টি নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, স্টেরিও সাউন্ড ফিল্ড ইমার্সন বৃদ্ধি করে। আল্ট্রা ভলিউম মোড টপ ভলিউমকে ৪৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়, যা শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য বেশ সহায়ক। এ ফিচারগুলো সমন্বিতভাবে ব্যবহারকারীদের দীর্ঘস্থায়ী ও অনন্য বিনোদন অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সক্ষম করে তুলবে! ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং প্রযুক্তির সহায়তায় পাঁচ মিনিট চার্জ দিয়ে ব্যবহারকারীরা তাদের প্রিয়জনদের সাথে ৩ ঘন্টা ১৭ মিনিট কথা বলতে পারবেন।
অন্যদিকে, ১৫ মিনিট চার্জ দিয়ে ব্যবহারকারীরা ৪ ঘন্টা ভিডিও স্ট্রিমিং ও ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপভোগ করতে পারবেন। এ ফোনটি মাত্র ৩০ মিনিটে শূন্য থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ প্রাপ্ত হয়। ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তির সহায়তায় এ ডিভাইসটি মাত্র ৭২ মিনিটে পূর্ণ চার্জ প্রাপ্ত হয়!
অপো এ৫৭ ডিভাইসে রয়েছে পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার শক্তিশালী ব্যাটারি, যা ৩০ মিনিটের মধ্যে ফোনকে ৫১ শতাংশেরও বেশি চার্জ প্রাপ্ত করে। সম্পূর্ণ চার্জের মাধ্যমে ফোনটি দিয়ে ১৫ ঘণ্টা ইউটিউব স্ট্রিমিং অথবা স্ট্যান্ডবাইতে ১২.৭ দিন পর্যন্ত চার্জ থাকে।
আরও পড়ুন: অপো এফ২১ প্রো: ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য সানসেট অরেঞ্জ রঙের ফ্যান্টাস্টিক ফোন
২ বছর আগে
দেশে প্রথম কিচেন অ্যান্ড বাথ এক্সপো শুরু ২ জুন
আগামী ২ জুন থেকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হচ্ছে প্রথম কিচেন অ্যান্ড বাথ এক্সপো বাংলাদেশ ২০২২। যুক্তরাজ্য , জার্মানি , ইটালি ,তুরস্ক ,জাপান, আরব আমিরাত , থাইল্যান্ড, চীন ও স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৯ টি দেশের ৬০ টি ব্র্যান্ড একই ছাদের নিচে অংশ নিচ্ছে তিনদিনব্যাপী এ মেলায়। দেশের অন্যতম ইভেন্ট প্রতিষ্ঠান ওয়েম বাংলাদেশের আয়োজনে মেলার স্ট্রাটেজিক পার্টনার রিহ্যাব ও সহযোগিতায় রয়েছে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওয়েম বাংলাদেশের পরিচালক মার্কেটিং নাসিমুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোঃ আরিফ ও মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষকতাকারি প্রতিষ্ঠান মাই কিচেনের হেড অব অপারেশন শওকত ইমরান খান।
আরও পড়ুন: দুবাই এক্সপো ২০২০ শেষে জেফারসনের কোরআন যুক্তরাষ্ট্রের পথে
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২ জুন আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ , এমপি মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে ।
ওয়েম বাংলাদেশের পরিচালক মার্কেটিং নাসিমুর রহমান বলেন , প্রস্তুতকারক, রফতানিকারক এবং সরবরাহকারীরা তাদের নতুন পণ্য, আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিজেদের দক্ষতা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন এ এক্সপোতে। সেই সঙ্গে থাকবে স্পট অর্ডারের সুযোগ।
তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী দর্শনার্থী ও ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকছে মাই কিচেন , প্লাটিনাম স্পন্সর ভেলোরি অ্যান্ড বোর্চ, ব্যাগনো ডিজাইন ও সুইস প্লাস এবং গোল্ড স্পন্সর আর এ কে সিরামিকস, নল্টে, নাদিয়া ফার্নিচার ও গানি মার্বেল টাইলস।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ,পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি তিনদিন ব্যাপী এই এক্সপোতে স্টুডেন্ট ডিজাইন কম্পিটিশন , ওয়ার্কশপ , বায়ার সেলার মিটিং , ইনোভেশন এক্সচেঞ্জ ও জব সার্চ।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়েম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শেখ লুৎফুল করিম বলেন , ওয়েম বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকে দেশি -বিদেশি ইভেন্ট আয়োজন করে আসছে। সবসময় ওয়েম নতুন কিছু দেয়ার চেষ্টা করে। বাংলাদেশে প্রথম হেলথ অ্যান্ড বিউটি , সিরামিক , ফুড অ্যান্ড হসপিটালিটিস মেলার সফল আয়োজন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার প্রথম কিচেন অ্যান্ড বাথ এক্সপো বাংলাদেশ ২০২২ আয়োজন করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
কিচেন অ্যান্ড বাথ এক্সপো বাংলাদেশ ২০২২ এ মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে চ্যানেল আই, দৈনিক যুগান্তর ও বাংলানিউজ ২৪, ম্যাগাজিন পার্টনার শোকেজ ও ইভেন্ট ম্যানেজার কান্ট্রি কমিউনিকেশন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে চায় এক্সপো ফোম
২ বছর আগে
এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে রিয়েলমি সি২১
আরও একধাপ এগিয়ে গেল তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। সম্প্রতি বাংলাদেশে অবস্থিত কারখানায় স্থানীয়ভাবে সম্পূর্ণ ‘মেড ইন বাংলাদেশ’স্মার্টফোন প্রস্তুত করছে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি।
বাংলাদেশে রিয়েলমি’র অফিশিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে। তাদের পণ্যগুলো দেশে সেমি নকড-ডাউন (এসকেডি) পদ্ধতিতে অ্যাসেম্বল করা হয়। কিন্তু রিয়েলমি সি২১ তাদের প্রথম স্মার্টফোন যেটি কমপ্লিটলি নকড-ডাউন (সিকেডি) প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সম্পূর্ণভাবে দেশে তৈরি করা হয়েছে। দেশের বাজারে সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানের কোয়ালিটি সনদপ্রাপ্ত রিয়েলমি সি২১-এর উৎপাদন দুর্দান্ত একটি মাইলফলক। ক্রেতাদের কাছে সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন স্মার্টফোন পৌঁছে দিতে কঠোর মান নিরীক্ষার মাধ্যমে রিয়েলমি সি২১ স্মার্টফোনটি তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিভো কিনলেই লাখ টাকা পুরস্কার!
আট মাস ধরে গবেষণা এবং পরীক্ষার পরে টিইউভি রাইনল্যান্ড ও রিয়েলমি যৌথভাবে টিইউভি রাইনল্যান্ড স্মার্টফোন হাই-রিলায়েবিলিটি সার্টিফিকেশন তৈরি করে। টিইউভি রাইনল্যান্ড স্মার্টফোন হাই-রিলায়েবিলিটি সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া ড্রপ, ওয়ার ও টিয়ারের মতো দশটি দৈনিক ব্যবহৃত নিরীক্ষা, চরম তাপমাত্রা, চরম আর্দ্রতা, ভোল্টেজের ওঠানামা, বাটন লাইফ, স্ট্যাটিক বিদ্যুৎ, বায়ুচাপ সহ সাতটি চরম পরিবেশ নিরীক্ষা এবং ছয়টি উপাদান নির্ভরযোগ্যতা নিরীক্ষা সহ মোট ২৩ টি পরীক্ষার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: রিয়েলমির ‘৫জি একাডেমি’ চালু
অন্যদিকে, রিয়েলমি সি২১ হলো সর্বপ্রথম রিয়েলমি-এর এন্ট্রি-লেভেল অলরাউন্ডার ফোন যা টিইউভি রাইনল্যান্ড হাই রিলায়েবিলিটি কোয়ালিটি সনদপ্রাপ্ত। এতে আছে ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি যা রিভার্স চার্জিংকে সমর্থন করে। হেলিও জি৩৫ ১২ ন্যানোমিটার অক্টা-কোর ৬৪বিটস প্রসেসর সমৃদ্ধ রিয়েলমি সি২১-এ আছে ১৩ মেগাপিক্সেলের এআই ট্রিপল ক্যামেরা এবং তাৎক্ষণিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এর ১৩ মেগাপিক্সেলের ইমেজ সেন্সর সম্বলিত প্রাইমারি ক্যামেরার সাথে আছে এফ/২.২ এর বড় অ্যাপারচার যা অল্প আলোতেও পরিষ্কার, উজ্জ্বল ছবি তুলতে সক্ষম। এছাড়া, এটি পিডিএএফ সমর্থন করে, যা ফোকাসকে আরও দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট করে তোলে। এই ফোনের ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরার সাহায্যে নিখুঁত সেলফি তোলা যায়।
রিয়েলমি সি২১ দুটি ভ্যারিয়েন্টে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এর ৩+৩২ জিবি ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া যাচ্ছে ১০,৯৯০ টাকায় এবং ৪+৬৪ জিবি ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১১,৯৯০ টাকায়। সম্পূর্ণ বাংলাদেশে তৈরি এ আকর্ষণীয় স্মার্টফোনটি কিনতে আগ্রহীরা ভিজিট করুন-https://cutt.ly/realme_BrandShop ।
আরও পড়ুন: বাজারে এলো সাশ্রয়ী ৫জি স্মার্টফোন রিয়েলমি ৮ ৫জি
স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন তৈরি ছাড়াও, আগামী ৩ বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ৫জি স্মার্টফোন সরবরাহের লক্ষ্যে, তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। রিয়েলমি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি আরও অনেক এআইওটি পণ্য তরুণ ক্রেতাদের জন্য বাজারে নিয়ে আসবে। ৫জি প্রযুক্তির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং সবার জন্য ৫জি নিশ্চিত করতে রিয়েলমি আগামী দিনে আরও বেশি বেশি স্মার্ট ডিভাইস বাজারে নিয়ে আসবে।
৩ বছর আগে
রিয়েলমির ‘৫জি একাডেমি’ চালু
তরুণ প্রজন্মের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি সবার মাঝে ৫জি বিষয়ক জ্ঞান এবং এই প্রযুক্তির সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করতে ‘৫জি একাডেমি’র কার্যক্রম শুরু করেছে।
৫জি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে রিয়েলমি ৫জি একাডেমির প্রথম পর্ব প্রচার করেছে। প্রথম পর্বে ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন টেক উদ্যোক্তা রিসালাত সিদ্দিক এ প্রযুক্তি সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিকোণ তুলে ধরেন। সেখানে তিনি ৫জি প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক এবং ৫জি কীভাবে আমাদের প্রতিদিনের জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে তা নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ঈদে স্যামসাংয়ের ‘বিগ অফার ঈদ জমবে এবার’
রিসালাত সিদ্দিক বলেন, ‘পাঁচটি মৌলিক চাহিদা ছাড়াও এখন আমাদের আরও একটি চাহিদা তৈরি হয়েছে, সেটি হলো ইন্টারনেট। দুর্দান্ত গতির ৫জি নেটওয়ার্ক আমাদেরকে এই পাঁচটি মৌলিক চাহিদা অর্জনেও সহায়তা করবে। এটি বি২বি (বিজনেস টু বিজনেস) ও বি২সি (বিজনেস টু কনজিউমার) কার্যক্রম বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, এখন কোনো জটিল রোগ বা অসুস্থতার জন্য মানুষকে রাজধানীতে আসতে হয়, তবে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হলে গ্রামে থেকেই চিকিৎসা নেয়া যাবে। ৫জি’র সুপার লো-ল্যাটেন্সি ইন্টারনেটের সাহায্যে চিকিত্সকরা রাজধানী থেকেই প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের অপারেশন করতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: বাজারে এলো সাশ্রয়ী ৫জি স্মার্টফোন রিয়েলমি ৮ ৫জি
তরুণ প্রজন্ম কেন্দ্রিক ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমি সবসময়ই তরুণদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করছে। এখন যেহেতু ৫জি-তে ট্রান্সফরমেশনের সময় এসেছে, তাই রিয়েলমি তরুণদের জন্য সেরা ৫জি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে সবার জন্য ৫জি নিশ্চিত করতে দেশের বাজারে সবচেয়ে সাশ্রয়ী ৫জি স্মার্টফোন নিয়ে আসতে থাকবে রিয়েলমি।
প্রত্যেকের জন্য ৫জি প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে সম্প্রতি রিয়েলমি স্থানীয় বাজারে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি স্মার্টফোন ‘রিয়েলমি ৮ ৫জি’ নিয়ে এসেছে। শুধু তাই নয়, একটি ওয়েবিনারেরও আয়োজন করা হয়েছে যেখানে রিয়েলমি, ই-কমার্স, রিসার্চ ফার্মের বক্তারা এবং টেক রিভিউয়ার ৫জি প্রযুক্তি সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ও এর সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের পাঁচটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন
আগামী ৩ বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ৫জি স্মার্টফোন সরবরাহের লক্ষ্যে তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। রিয়েলমি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫ জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি আরও অনেক এআইওটি পণ্য তরুণ ক্রেতাদের জন্য বাজারে নিয়ে আসবে। ৫জি প্রযুক্তির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং সবার জন্য ৫জি নিশ্চিত করতে রিয়েলমি আগামী দিনে আরও বেশি স্মার্ট ডিভাইস বাজারে নিয়ে আসবে।
৩ বছর আগে