ভোটকেন্দ্র
রাজনৈতিক কারণে গঠিত ভোটকেন্দ্র বাতিলের আহ্বান বিএনপির
আওয়ামী লীগের শাসনের সময়ে রাজনৈতিক স্বার্থে গঠিত ভোটকেন্দ্রগুলো বাতিল করতে হবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রিজভী বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যে ভোটকেন্দ্রগুলো গঠিত হয়েছে, সেগুলো বাতিল করা আবশ্যক। নির্বাচন কমিশন জনগণসংখ্যার বাস্তব বণ্টন অনুযায়ী নতুন ভোটকেন্দ্র ঘোষণা করুক। এটিই আমাদের প্রত্যাশা ও দাবি।’
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার ‘ফ্যাসিবাদী শাসনকাল’ চলাকালীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক স্বার্থে বহু ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল।
রিজভী বলেন, ‘এ পর্যন্ত তিনটি বড় নির্বাচন হয়েছে – একটিতে ভোটারই ছিল না, আরেকটি রাতের বেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং শেষটি কাগজের ভোট হিসেবে সঞ্চালিত হয়েছিল। মানুষ এই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ভুলে যায়নি।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মানুষ কেবল তখনই এই নির্বাচনের স্মৃতি ভুলতে পারবে, যখন নির্বাচন কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি জনগণ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর দাবিতে কাজ করে, ভোটাররা প্রায় ১৬–১৭ বছর পর নিরাপদভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে আত্মবিশ্বাসী বোধ করবে।’
নির্বাচন কমিশনকে রিজভী অনুরোধ করেন এমন পরিবেশ তৈরি করতে, যেখানে ভোটাররা বিনা ভয় ও প্রভাব ছাড়াই ভোট দিতে পারবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের মনোনয়ন ফর্ম কেনার পথে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলকে বাধা দেওয়ার জন্য জনসমাবেশ বা মব সৃষ্টি করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূসের সরকার থাকাকালীন কেন প্রতিটি এলাকায় জনসমাবেশ হচ্ছে? গ্রামে-গঞ্জে কেন মব কালচার বিকাশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? আইনশৃঙ্খলা নেই, অনিয়ন্ত্রিত কিছু মানুষ নিজের হাতে আইন প্রয়োগ করছে।’
রিজভী আরও জানান, রংপুরের তারাগঞ্জে সাম্প্রতিক দুটি ঘটনা প্রমাণ করছে যে মব কালচার মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এমন পরিস্থিতি মেনে নেব না,’ তিনি বলেন।
রিজভী দাবি করেন, ব্যাংক থেকে টাকা লুট করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, ‘মহিউদ্দিন খান আলমগীর ফার্মার্স ব্যাংকের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুট করেছেন, এবং নাফিজ সারাফাত পদ্মা ব্যাংকের মাধ্যমে একই কাজ করেছেন। এই দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে।’
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, লুট হওয়া জনসম্পদ ফেরত আনতে শক্তিশালী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১০৭ দিন আগে
ভোটারদের আস্থা ফেরানো ও নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: সিইসি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং তাদের ভোটকেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। বিশেষ করে নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাকেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করার চ্যালেঞ্জ তো বহুবিধ। নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে দেখা দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, মানুষের আস্থা ফেরানো। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে, নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি।’
‘দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করা। ভোট দিতে না পেরে মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তাই নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা চাই, সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে আসুক। বিশেষ করে নারী ভোটারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে উল্লেখ করে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের আগে যথাসম্ভব সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে প্রযুক্তির অপব্যবহার। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রিস্টাইলে যাচাই-বাছাই না করে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।’
‘এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) পদ্ধতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে হুবহু নকল করা হচ্ছে একজনের বক্তব্য। এজন্য দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। আধুনিক যুগে এটি অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় সমস্যা।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস দমন এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে। আমরা চাই স্বচ্ছ নির্বাচন। রাতের আঁধারে কোনো কার্যক্রম নয়, দিনের আলোতেই সব কিছু করতে চাই যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়। আমরা জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’
সব অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য মিডিয়াকর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে সিইসি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। একটি নির্বাচনে বহুবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ভোটারদের ফিরিয়ে আনার জন্যই আমরা কাজ করছি।’
মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৩১ দিন আগে
ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে টাকা বিতরণ, ভিডিও ভাইরাল
কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে মোটরসাইকেল মার্কার এক প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে টাকা বিতরণ করতে দেখা গেছে এক এজেন্টকে। এছাড়া মোটরসাইকেলের অন্যান্য এজেন্টরাও ভোটারদের প্রভাবিত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (৮ মে) দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলা চৌপল্ডী দক্ষিণ রাখাইন পাড়া সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
তবে প্রকাশ্যে টাকা বিতরণের একটি ভিডিও প্রকাশ হলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। প্রকাশ্যে নিজ প্রার্থীর (মোটরসাইকেল) পক্ষে টাকা বিতরণকারী ওই এজেন্টের নাম মাসুদ পারভেজ বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলের প্রণোদনার টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
সরজমিনে দেখা যায়, মোটরসাইকেল প্রতীকের এজেন্ট মাসুদ পারভেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ভোটারদের টাকা বিতরণ করছেন। সাংবাদিকদের দেখে দ্রুত কেন্দ্রের ভিতরে পালিয়ে যায়। প্রকাশ্য টাকা বিতরণের ভিডিও ধরা পড়ে সাংবাদিকদের ক্যামরায়।
ভোট দিতে আসা আরমান বলেন, যারা মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিচ্ছেন, তাদের এক হাজার করে টাকা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কেন্দ্রে দায়িত্ব থাকা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজনকে জানালেও তিনি কোন প্রদক্ষেপ নেন নাই।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যাক্তি গলায় মোটরসাইকেল মার্কার আইডি কার্ড গলায় দিয়ে কেন্দ্রে আসা ভোটারদের প্রকাশ্য টাকা বিতরণ করছেন।
নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সজিব তালুকদার বলেন, ভিডিওটা আমি দেখেছি। ঐ এজেন্টকে আটক করা হবে।
এই বিষয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আবছার বিভিন্ন কেন্দ্র টাকা বিতরণ করছেন। আমরা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ জানিয়েছি।
মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আবছার বলেন, এজেন্ট টাকা বিতরণ করছে, এটা আমি জানি না। দায়িত্বশীলদের জিজ্ঞাসা করেন। এছাড়া এই বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না।
ঐ কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা মাহমুদুল হাসান বলেন, ভিডিওটা দেখেছি। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: ভোটারদের টাকা বিতরণকালে জাপার ২ নেতা-কর্মী আটক
স্কুল-কলেজে উপবৃত্তির ৭৫১ কোটি টাকা বিতরণ শুরু
৫৭৫ দিন আগে
সিলেট-২ আসন: পুনঃনির্বাচনের দাবি চার প্রার্থীর
ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সিলেট-২ আসনের ফলাফল বাতিল করে পুণরায় নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চার প্রার্থী।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের অভিযোগগুলো বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এর আগে রবিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে নিজেদের এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: সিলেট-২ আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস
তারা হলেন, গণফোরামের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য), জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান (ট্রাক) এবং তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ আবদুর রব (সোনালী আঁশ)।
সংবাদ সম্মেলনে এই চার প্রার্থী ভোট বাতিল করে আবারও ভোট গ্রহণের দাবি জানান। না হলে তারা আইনি লড়াইসহ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনের দিন রবিবার যেটি হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ একটি প্রহসনের নির্বাচন। আমরা প্রধানমন্ত্রী ও ইলেকশন কমিশনের কথায় বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়েছি। রবিবারের এটি কোনো নির্বাচনই ছিল না। তাই আমরা বর্জন করতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের এজেন্টদের মারধর, জোর করে বের করে দেওয়া, কেন্দ্র দখল করে টেবিল কাস্টসহ ব্যাপক অনিয়মের কারণে আমরা নির্বাচনের দিন দুপুর ১২টার আগেই ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেই। পরে বেলা ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেই আমরা চারজন। আমরা সবাই রবিবারের সিলেট-২ আসনের সব কেন্দ্রের ভোট ও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং আবারও নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। আমরা আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে দু-এক দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবো। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পাশাপাশি আমরা আন্দোলনও চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: সিলেট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন
গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান বলেন, নির্বাচনের দিন আমরা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হয়েছি। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় ও ইলেকশন কমিশন থেকে আমাদের বার বার বলা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। কিন্তু তাদের কথায়-কাজে মিল পাওয়া যায়নি, প্রহসনের নির্বাচন উপহার দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী বলেন, আমাকে একটি সেন্টারে অবরুদ্ধ করে রেখে নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা টেবিল কাস্ট করেছেন। আমি বার বার ফোন করেও নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমি প্রায় দুই ঘণ্টা তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিলাম। এরপরই আমরা ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেই। আমাদের এজেন্টদের নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা অনেক কেন্দ্রে ঢুকতেই দেয়নি, অনেক কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন বর্জন করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার ছিলো না। তা ছাড়া প্রহসনের নির্বাচন দেখে আমি নিজেও ভোট দিইনি।
তৃণমূল বিএনপির আব্দুর রব মল্লিক বলেন, আমি একটি সূত্রে জানতে পেরেছি, আগের রাতেই ৩৮টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল মারা হয়ে গিয়েছিল। আমরা এই চার প্রার্থী দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়েছি। সেখানকার সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা এখানেও করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। একটি প্রহসনের নির্বাচন আমাদেরকে উপহার দেওয়া হয়েছে। আমরা এ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃভোটের আবেদন করছি। পাশাপাশি আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন
উল্লেখ্য, ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সিলেট-২ আসনে নৌকা প্রাতীকে ৭৮ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান ট্রাক প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৬৬১টি।
জাতীয় পার্টির ইয়হইয়া চৌধুরী লাঙল প্রতীকে ৬ হাজার ৮৭৪, গণফোরাম প্রার্থী মোকাব্বির খান উদীয়মান সূর্য প্রতীকে ১ হাজার ৯২২টি এবং তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রব মল্লিক সোনালী আঁশ প্রতীকে ৯৪৪টি ভোট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা-গুলির অভিযোগ
৬৯৬ দিন আগে
আড়াইহাজারের ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ, ভোট গ্রহণ স্থগিত
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ৫৬ নম্বর রামচন্দ্রদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার ভোটকেন্দ্রে নৌকা ও লাঙল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর সেখানে ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগের সংঘর্ষে ৭ জন আহত
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শাহীন আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ও লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটন নির্বাচন করছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ
জানা যায়, দুপুরে লোটন কেন্দ্রে গেলে সেখানে নৌকার সমর্থকরা কেন্দ্রে জড়ো হয়ে স্লোগান দেয়। এসময় লাঙল সমর্থকরাও স্লোগান শুরু করলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
লোটন জানান, কেন্দ্র দখল করে নৌকার লোকজন সিল মারার সময় আমরা বাধা দিলে তারা হামলা করে। পরে কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভোটদানে বাধা, পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষ
৬৯৭ দিন আগে
সিলেটে ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন
সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় দুটি ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি সড়কে টায়ার ফেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে একদল লোক। এ সময় কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালায় শতাধিক ব্যক্তি। পরে পুলিশ এসে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাশাপাশি অবস্থিত পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় ও পাঠানটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা ১১টার দিকে শতাধিক ব্যক্তি হঠাৎ লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় তারা সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি টায়ারে আগুন জ্বালান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে ককটেলের বিস্ফোরণ, যুবক আটক
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এসে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিক্ষোভকারীরা ‘অবৈধ সরকারের অবৈধ ভোট, মানি না মানব না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তবে তাদের বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক ও মাথায় হেলমেট ছিল।
আরও পড়ুন: হাজারীবাগে ককটেল বিস্ফোরণ, শিশুসহ আহত ৪
এবিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ জানান, কেন্দ্র দখল করে ভোট ভণ্ডুল করার চেষ্টা চালিয়েছিল একদল বিক্ষোভকারী। যদিও পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। প্রাথমিকভাবে তারা বিএনপির কর্মী-সমর্থক বলে জানা গেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে ককটেল উদ্ধার
৬৯৭ দিন আগে
চট্টগ্রামে ভোটকেন্দ্র থেকে ফিরেই মারা গেলেন বৃদ্ধ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেই করিম উল্লাহ (৮৭) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ বাড়িতেই তিনি মারা যান। করিম উল্লাহ উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের আলিনেওয়াজ সওদাগর বাড়ির বাসিন্দা।
স্বজনরা জানান, করিম উল্লাহ সকালে ঝুলনপোল বিএম হাই স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জামাল উদ্দীন বলেন, তিনি নৌকার সমর্থক ছিলেন। ৮৭ বছর বয়সেও নৌকার নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতেন তিনি।
চট্টগ্রাম-১ আসনে ১০৬টি কেন্দ্র রয়েছে। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫২৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪১ জন ও নারী ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮২ জন ভোটার রয়েছেন।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মেজ ছেলে ও মিরসরাই আসনের নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান রুহেল নৌকার সক্রিয় সমর্থক করিম উল্লাহ মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
৬৯৭ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে ককটেলের বিস্ফোরণ, যুবক আটক
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর পর পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেছে দুবৃত্তরা। এ সময় শাহিন নামের এক যুবককে আটকের দাবি করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফতুল্লার ১৬৯নং কেন্দ্র উত্তর নরসিংপুর এলাকার এশায়াতুস সুন্নাহ কওমি মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে স্থানীয়রা হামলাকারী শাহীন নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে উদ্ধার ও আটক করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে মাঠে ছিলেন প্রার্থীদের স্ত্রীরা
নারায়ণগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে অগ্নিকাণ্ড
৬৯৮ দিন আগে
যশোরে ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে আনসার কর্মকর্তা আহত
যশোরের শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া ককটেলের বিস্ফোরণে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ আনসারের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) মারুফ হোসেন আহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
রবিবার (সকাল) সকাল সোয়া ৭টার দিকে তিনি যশোর শহরের শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা বিদ্যালয়ের পূর্ব দিক থেকে এসে ১টি ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। ককটেলটি দ্বিতীয় তলার রেলিংয়ে বিস্ফোরিত হয়। এতে এপিসি মারুফ হোসেনের ডান পায়ে লেগে তিনি সামান্য আহত হন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা পুলিশের মোবাইল স্ট্রাইকিং টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ককটেলের বিস্ফোরিত অংশের নমুনা সংগ্রহ করেন। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হননি।
এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে দুর্বৃত্তের ছোঁড়া পেট্রোলবোমায় আহত ২
ফরিদপুরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টসহ আহত ৪
৬৯৮ দিন আগে
ভোটকেন্দ্রে পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশকে শ্বাসরোধে হত্যা
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র রাতে পাহারার দায়িত্বে থাকা রনজিৎ কুমার দে নামে এক গ্রাম পুলিশ সদস্যর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় পুলিশ বালিয়াকান্দি উপজেলার চর আরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের পাশের মেহগনি বাগান থেকে রনজিতের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: এনজিওর ঋণের চাপে রাবি কর্মচারীর আত্মহত্যার অভিযোগ
রনজিৎ উপজেলার চরআড়কান্দি গ্রামের মৃত শিবেন্দ্রনাথ দের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র। রঞ্জিত ওই কেন্দ্রের পাহারাদার ছিলেন। রাতে তিনি পাহারা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে আসেন। রঞ্জিতের সঙ্গে রাতে পাহারাদার হিসেবে ছিলেন বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ইউসুফ হোসেন। দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে রঞ্জিত প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের বাইরে যান। কিন্তু এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। আধা ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর ইউসুফ তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বিষয়টি তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ফোন করে জানান। এর মধ্যে ভোর পাঁচটার দিকে বিদ্যালয়ের টয়লেটের পাশে বাগানের ঝোপের মধ্যে রঞ্জিতের লাশ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে কামরাঙ্গীরচর হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা গ্রাম পুলিশ রনজিৎ কুমার দেকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গরু চুরির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
৬৯৮ দিন আগে