বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব
ইউনূস সরকার নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে: রিজভী
জাতীয় নির্বাচন হওয়ার আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি দূরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ইউনূস সরকার নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে।’
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়ে ওঁৎ পেতে আছে। দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিয়ে সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে।
জাতি এখন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। এ সময়ে ইউনূস সরকার নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাসিনা পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন: রিজভী
রিজভী বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য এতো জীবন গেলো, সেই গণতন্ত্র ফেরাতে ভোটের জন্য চূড়ান্ত ডেডলাইন দিতে হবে এই সরকারকে।
তার আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সেরে নেওয়ার কথা বলেন রিজভী আহমেদ।
২৯৩ দিন আগে
আ. লীগ নেতারা দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে একতরফাভাবে আগামী নির্বাচন করতে পারবে না ভেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, 'পুলিশকে ব্যবহার করে দেশে আর নির্বাচন হবে না। দেশের মানুষ তা হতে দেবে না। আমরা শুনেছি তাদের (আওয়ামী লীগের) অনেক নেতা-কর্মী দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন। ’
তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের আরও অনেক নেতা যেকোনো সময় দেশ ছাড়ার জন্য পাসপোর্টে ভিসা সংগ্রহ করেছেন।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা খুব ভালো করেই জানেন যে, জনগণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দেবে না। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে শুধু পুলিশই ভোট দিতে পারে, কিন্তু ভোটাররা তা করবে না।
আওয়ামী লীগের প্ররোচনায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করা হচ্ছে: রিজভী
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পুলিশের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) আগামী দিনগুলোতে এ ধরনের নির্বাচন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এবার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে না। জোর করে আগামী নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে যে কোনো সময় দেশ ছাড়তে পারে বলে তাদের ভিসা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, একতরফা নির্বাচন করে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য ও বৈশিষ্ট্য।
তিনি বলেন, দেশের মালিকানা ফিরে পেতে এবং আওয়ামী লীগের ছিনিয়ে নেওয়া ভোটাধিকার ফিরে পেতে জনগণ জেগে উঠেছে।
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
রিজভী বলেন, সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এতটাই ভীত হয়ে পড়েছে যে বুধবার রাজধানীতে দলের জনসভাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, সরকার আমাদের নেতা-কর্মীদের সমাবেশে যোগ দিতে বাধা দেওয়ার অপকৌশল নিয়েছে। কিন্তু তারা কী অর্জন করেছে? গতকাল (বুধবার) নয়াপল্টনে সরকারের সব বাজে কৌশল ব্যর্থ করে গণজোয়ার সৃষ্টি করা হয়েছে।
তিনি বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।
৭৭৮ দিন আগে