২৮ অক্টোবর
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল নিহতের মামলাসহ দুই মামলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরু একদিনের রিমান্ডে
এদিকে বুধবার রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক আট মামলায় তার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জেল হোসেনের আদালতে গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ জন্য শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
গত রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
তারও আগে আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গ্রেপ্তার ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দু’টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ আট মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গত ৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু জামিনে মুক্ত
১০ মাস আগে
২৮ অক্টোবর কনস্টেবল হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীর পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে (২৮ অক্টোবর) পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে চট্টগ্রামে যুবদল নেতা মুরাদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত (২৮ নভেম্বর) রাত পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার মুরাদ চৌধুরী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার পূর্ব সরফভাটা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি ২৮ অক্টোবর পুলিশ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে আরও এক নারী দালাল গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব- ৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আফছার বলেন, ‘২৮ অক্টোবর ঢাকায় সহিংসতার ঘটনায় একটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী। তিনি কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার ১৬৩ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।’
পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তারে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরী চান্দগাঁও এলাকা থেকে র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশে সোপর্দ করেন।
র্যাব আরও জানায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী তার অনুসারীদের নিয়ে মহাসমাবেশ স্থলে অবস্থান নেয়।
আরও পড়ুন: সাভারে আটোরিকশাচালক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
১১ মাস আগে
নাশকতার অভিযোগ: ২৮ অক্টোবর থেকে ৭৩৯ জন গ্রেপ্তার
দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিএনপির দুই নেতা-কর্মীসহ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তালিকা ধরে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করবে ইসি: বিএনপি
বিএনপির গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীরা হলেন— ৭১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরমান আলী এবং ময়মনসিংহ জেলা যুবদলের সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান।
র্যাব সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান বলেছেন, ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত এলিট ফোর্স সহিংসতা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত মোট ৭৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মহানগরীতে ১৪৫টিসহ সারাদেশে র্যাবের মোট ৪৩০টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলাকালে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে নিরাপত্তা দিচ্ছে এলিট ফোর্স।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকায় চীনা নাগরিকসহ গ্রেপ্তার ১৫
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা বিএনপির: রিজভী
১১ মাস আগে
২৮ অক্টোবরে মহাসমাবেশ থেকে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার, কারাগারে মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে।
মারা যাওয়া গোলামুর রহমান চট্টগ্রাম নগরীর মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাই সিকিউরিটি ইউনিটের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার(২৫ নভেম্বর) দুপুরে কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন গোলাপুর রহমান। তাকে দ্রুত কারাগারের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান সুব্রত কুমার।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইদ্রিস আলী জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে টেলিফোনে তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা বিএনপির: রিজভী
ইদ্রিস বলেন, তার লাশ নিতে পরিবারের সদস্যদের কাশিমপুর কারাগারে যেতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় যান গোলাপুর রহমান। সমাবেশের সময় নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মোহরা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম ও গোলাপসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে তারা কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তালিকা ধরে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করবে ইসি: বিএনপি
১১ মাস আগে
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে ও রাজারবাগে নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছাত্রদলনেতা গ্রেপ্তার: ডিএমপি
রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও কার্যালয়) মহিদ উদ্দিন ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নাশকতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপির
তিনি জানান, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি সেই দিনের সহিংসতার মাস্টারমাইন্ড এবং শামীমের নেতৃত্বে বিএনপি কর্মীরা বিএনপি কার্যালয় ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের কাছে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায়।
ব্রিফিংয়ে মাহিদ আরও বলেন, শামীম গত ২৬ অক্টোবর পরিকল্পনা তৈরি করে ২৮ অক্টোবর তা বাস্তবায়ন করেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ওই দিন ভিডিও ফুটেজে সহিংসতার সঙ্গে শামীমের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশে শামীম নয়াপল্টনে বিশাল সমাবেশের আগের দিন দনিয়া ফুটওভার ব্রিজ থেকে মারুফ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ব্যাগ সংগ্রহ করেন। ২৮ অক্টোবর বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে তারা তাদের পরিকল্পনা সফল করেছে।
এছাড়া গত ৫ অক্টোবর সবুজবাগের গ্রিন মডেল টাউনে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় শামীমের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
বুধবার ভোরে রাজধানীর পল্লবী-১১ নম্বর এলাকায় বাসমতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার সময় মারুফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মাহিদ বলেন, বিএনপির কাউন্সিলর সাজ্জাদ ও জসিমের নির্দেশে মারুফ তিন হাজার টাকা খরচ করে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ইসি ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে: ডিএমপি
বিএনপি নিজেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
১১ মাস আগে
২৮ অক্টোবর থেকে সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ঢাকার মিরপুরে: ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৮টির বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ঢাকার মিরপুরে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে মোট ১৯৭টি অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: মিরপুরে বাস পোড়ানোর ঘটনায় ‘বিরোধী দলের’ ৪ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
তিনি আরও জানান, ‘মোট অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে ঢাকা শহরে ৯৫টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।’
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, সারাদেশে ১৯৭টি অগ্নিসংযোগের মধ্যে ঢাকা মহানগরীসহ ঢাকা বিভাগে ১৩২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪টি, বরিশাল বিভাগে ৭টি, রংপুর বিভাগে ৭টি, খুলনা বিভাগে ২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২টি ও সিলেট বিভাগে একটি অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে- মোট ১১৮টি বাস, ২৬টি ট্রাক, ১৩টি কাভার্ডভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল, ২টি প্রাইভেটকার, ৩টি মাইক্রোবাস, ৩টি পিকআপ ভ্যান, ৩টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২টি ট্রেনের কিছু ক্যারেজ, একটি হিউম্যান হলার, ৩টি লেগুনা, একটি ফায়ার সার্ভিস ওয়াটার ট্রাক, একটি পুলিশ ভ্যান, একটি বিএনপি অফিস, একটি আওয়ামী লীগ অফিস, একটি পুলিশ বক্স, একটি কাউন্সিলর অফিস, ২টি বিদ্যুৎ অফিস। এ সময় একটি বাস কাউন্টার ও ২টি দোকান পুড়ে যায় বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার (২৮ অক্টোবর) সর্বোচ্চ ২৯টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের বেশিরভাগ ঘটনা ঘটলেও ফায়ার সার্ভিস বলছে, তারা ৩০টি জেলায় এ ধরনের কোনো প্রতিবেদন পায়নি।
এ সময় সারাদেশে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৪১টি ইউনিটের ১ হাজার ৮৮৮ জন সদস্য কাজ করেন।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দেয়।
বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং একজন পুলিশ কনস্টেবলসহ দু্ইজন মারা যান।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৭
খাগড়াছড়িতে ৭ বাসে ভাঙচুর
১ বছর আগে
২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর: সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৯টির বেশি অগ্নিসংযোগ
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৯টির বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ফায়ার সার্ভিস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম জানান, ‘গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে সারাদেশে ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ সময় পাঁচ জন আহত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে সিদ্ধিরগঞ্জে বাস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
তিনি জানান, ‘গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে শুধু ঢাকা শহরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৮২টি।’
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী সারাদেশে ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের মধ্যে-
ঢাকা বিভাগে ১১৬টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬টি, রংপুর বিভাগে ৬টি, খুলনা বিভাগে ২টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মোট ৯৪টি বাস, ৩টি মাইক্রোবাস, ২টি প্রাইভেটকার, ৮টি মোটরসাইকেল, ১৩টি ট্রাক, ৮টি কাভার্ডভ্যান, একটি অ্যাম্বুলেন্স, ২টি পিকআপ ট্রাক, ২টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি হিউম্যান হলার, একটি লেগুনা, একটি ফায়ার সার্ভিস ওয়াটার ট্রাক, একটি পুলিশ ভ্যান, ৫টি বিএনপি অফিস, একটি আওয়ামী লীগ অফিস, একটি পুলিশ বক্স, একটি কাউন্সিলর অফিস, ২টি বিদ্যুৎ অফিস ও একটি বাস কাউন্টার।
ফায়ার সার্ভিস আরও জানিয়েছে, এ সময় ২টি শোরুম পুড়ে গেছে।
এছাড়া, এই সময়ের মধ্যে সিলেট বিভাগে কোনও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিস।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবর সবচেয়ে বেশি ২৯টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ঘটনা বিশ্লেষণ করে ফায়ার সার্ভিস দেখেছে- দিনের তুলনায় রাতে (সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা) বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে দিনে ৬১টি এবং রাতে ৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: ১৪টি অগ্নিসংযোগ
নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেড এলাকায় আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগ
১ বছর আগে
২৮ অক্টোবর নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রী: বিএনপি
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছিল তা ধামাচাপা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সংবাদ সম্মেলনে অনর্গল মিথ্যাচার চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী (২৮ অক্টোবরের সহিংসতা নিয়ে) যা বলেছেন তা ছিল মিথ্যার অপ্রতিরোধ্য স্রোত। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, ২৮ অক্টোবর যা ঘটেছে তার সব ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।’
ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির এই যুগে কোনো ঘটনাই এখন রেকর্ডের বাইরে নেই, অনথিভুক্ত বা মানুষের দৃষ্টির বাইরেও থাকে না।
তিনি বলেন, 'আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পুলিশি সুরক্ষায় বিভিন্ন মিথ্যা বলতে পারেন, কিন্তু আপনি সত্য ঢাকতে পারবেন না।’
মিথ্যাচার, নাটক ও ভিডিও তৈরি করে সরকার সত্যকে ধামাচাপা দিতে পারবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমি সরকারকেও বলতে চাই, সব তথ্য এখন পাওয়া যাচ্ছে।’
শনিবার বিএনপির বিশাল সমাবেশ পূর্ব দিকে নটরডেম কলেজের কাছে এবং পশ্চিম পাশে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত শাহবাগের কাছে পৌঁছায়।
রিজভী বলেন, ‘এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বহনকারী বাস ও ট্রাক গুলো সেখানে (কাকরাইল) গেল কীভাবে? সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পূর্বপরিকল্পিত পরিকল্পনা অনুযায়ী অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং বিএনপির মহাসমাবেশ বানচাল করার জন্য এটা করেছে।’
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার ৩
তিনি বলেন, ‘যে সব ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কিছু লোক পুলিশি পাহারায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনের প্রধান ফটক ও অন্যান্য স্থাপনা ভাংচুর করছে। প্রধানমন্ত্রী কি এটা জানতেন না? এর ভিডিও এবং অন্যান্য প্রমাণ রয়েছে। আপনি জোর করে অনবরত মিথ্যা বলতে পারেন, কিন্তু আপনি সত্য লুকাতে পারবেন না। সমস্ত ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে এবং সত্য উন্মোচিত হচ্ছে। সুতরাং, আপনার সত্য অস্বীকার করার কোনও সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, সরকার হয়তো হুমকি দিয়ে জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ছেড়ে দিতে পারে, কিন্তু সবাইকে ভয় দেখাতে বা চুপ করিয়ে দিতে পারবে না।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানো হয়েছে
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সামনে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন কীভাবে বাস চালককে ব্যবহার করে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় তার একটি ভিডিওও পাওয়া গেছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ২৮ অক্টোবর সহিংসতার মাধ্যমে বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে যে তারা একটি সন্ত্রাসী দল।
সম্প্রতি বেলজিয়াম সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চক্র সন্ত্রাসী। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, যা তারা আবারও প্রমাণ করেছে।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানো হয়েছে
১ বছর আগে
২৮ অক্টোবর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না আ. লীগ: কৃষিমন্ত্রী
২৮ অক্টোবর আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি সন্ত্রাসের পথে যায় ও আক্রমণাত্মক হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বিএনপি হুমকি দিচ্ছে ২৮ অক্টোবর দেশ অচল করে দেবে, সারা দেশ থেকে ঢাকা বিচ্ছিন্ন করে দেবে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। বিএনপি যতোই হুমকি দিক, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপিকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, আর বিএনপি যদি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের পথে যায়, আক্রমণাত্মক হয়, গাড়িতে আগুন দেয়, বিদ্যুতের লাইন কাটে, রেললাইন তুলে- তাহলে আওয়ামী লীগ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপিকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে ধানের ও তেল ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাতের সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং তা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। নির্বাচনে কারা এল, কারা এল না, সেটি কোনো বিষয় নয়।
উচ্চ ফলনশীল স্বল্প জীবনকালীন ধানের ও সরিষার জাতগুলোকে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য কর্মশালায় উপস্থিত কৃষির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা স্বল্পজীবী উন্নত জাতের ধানের ও অন্যান্য অনেক ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে, যা চাষের মাধ্যমে বছরে একটি অতিরিক্ত ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে। একইসঙ্গে, ফলনও অনেক বেশি। এই জাতগুলোকে কৃষকের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল আলম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ-আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা আমাদের দুর্বলতা: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে, তাই আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে ঘোষিত বিএনপির মহাসমাবেশ কেউ আটকাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, কোনো কিছুই আমাদের থামাতে পারবে না। আওয়ামী লীগের ভয়ভীতি, পাল্টা সমাবেশ, গ্রেপ্তার, মামলা ও রাতভর বিচারিক কার্যক্রম জনগণকে তাদের দাবি আদায় থেকে বিরত রাখতে পারবে না।’
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ যখন তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আওয়ামী লীগ 'শান্তি সমাবেশের' নামে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী দলের প্রতিটি পদক্ষেপ ঝুঁকিপূর্ণ, যারা সচেতনভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ রাজপথে আন্দোলনের কোনো ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়, কারণ তারা তাদের দাবি আদায়ে অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিত হতে পারেন যে, আমাদের আন্দোলন এবার একটি চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং জনগণের বিজয় অনিবার্য।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সমাবেশ করার পরিকল্পনার বিষয়ে তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়ার কিছু নেই। আমরা তাদের (সমাবেশের বিষয়ে) অবহিত করেছি। এটা এখন তাদের দায়িত্ব... তারাই সিদ্ধান্ত নেবে এখানে কী করা উচিত বা কী করবে না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ অন্যান্য দলও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ হিসেবে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, সরকার সংবিধান অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু তারা যা বলছে, তাদের কর্মকাণ্ড সেগুলোর বিপরীত। বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে এবং ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে সেজন্য তারা নির্বাচনের পরিবেশ ধ্বংস করে সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
একতরফা ও নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে হামলার ঘটনায় বিএনপির গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি সংবাদ সম্মেলনে তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে।
তদন্ত কমিটির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু গত ১৭ অক্টোবর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের 'ক্যাডাররা' এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
তদন্ত প্রতিবেদনকে সমর্থন করে দিয়ে ফখরুল এ হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন। এতে প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা কুমিল্লায় হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মূলত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটছে কারণ এটি একটি সন্ত্রাসী দল।
তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে টিকে আছে এবং তারা আবারও একইভাবে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। এটাই তাদের চরিত্র।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার-তল্লাশির ক্ষমতা আনসারদের দেওয়ার সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাখান বিএনপির
১ বছর আগে