রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও কার্যালয়) মহিদ উদ্দিন ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নাশকতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপির
তিনি জানান, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি সেই দিনের সহিংসতার মাস্টারমাইন্ড এবং শামীমের নেতৃত্বে বিএনপি কর্মীরা বিএনপি কার্যালয় ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের কাছে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায়।
ব্রিফিংয়ে মাহিদ আরও বলেন, শামীম গত ২৬ অক্টোবর পরিকল্পনা তৈরি করে ২৮ অক্টোবর তা বাস্তবায়ন করেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ওই দিন ভিডিও ফুটেজে সহিংসতার সঙ্গে শামীমের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশে শামীম নয়াপল্টনে বিশাল সমাবেশের আগের দিন দনিয়া ফুটওভার ব্রিজ থেকে মারুফ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ব্যাগ সংগ্রহ করেন। ২৮ অক্টোবর বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে তারা তাদের পরিকল্পনা সফল করেছে।
এছাড়া গত ৫ অক্টোবর সবুজবাগের গ্রিন মডেল টাউনে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় শামীমের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
বুধবার ভোরে রাজধানীর পল্লবী-১১ নম্বর এলাকায় বাসমতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার সময় মারুফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মাহিদ বলেন, বিএনপির কাউন্সিলর সাজ্জাদ ও জসিমের নির্দেশে মারুফ তিন হাজার টাকা খরচ করে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ইসি ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে: ডিএমপি
বিএনপি নিজেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার