খাজা টাওয়ার
মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুন: ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
রাজধানীর মহাখালীর ১৪ তলা ভবন খাজা টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ জনে।
বৃহস্পতিবারের অগ্নিকাণ্ডে সর্বশেষ নিহত আকলিমা রহমান কুমিল্লার দেবিদ্বারের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আকলিমাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ভবনের ১৩ তলায় আগুন লাগার ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) শাহজাহান শিকদার ইউএনবিকে বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা হয়।’
আরও পড়ুন: মহাখালীর খাজা টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি
এর আগে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে ১৪ তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রফিকুল হককে (৬৩) ঢামেক হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে আগুন থেকে বাঁচতে গিয়ে পড়ে মারা যান হাসনা হেনা (২৭)।
অগ্নিকাণ্ডে ভবনটিতে অবস্থিত একটি ডাটা সেন্টার এবং ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইআইজি) ক্ষতি হয়েছে, যার ফলে সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত হয়েছে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমদাদুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাতে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এবং যদি ডিভাইসগুলো পুড়ে যায় তবে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে।’
আরও পড়ুন: খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে আইআইজি, ইন্টারনেটের গতি ব্যাহত
১ বছর আগে