বিবৃতি
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন ও লুটপাটের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে যার বহির্প্রকাশ ঘটেছে।
গত ছয় মাসে ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ, ধংসযজ্ঞ হয়নি জানিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্যের দুটি অংশ ঘিরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে তার একটি হচ্ছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন শেখ হাসিনা তাদের অপমান, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে পলাতক শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধা করেছেন।
দ্বিতীয়টি, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালে যে সুরে কথা বলতেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরও তিনি একই হুমকি-ধামকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি-৩২’র ঘটনায় একটি মহলের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে: হাফিজউদ্দিন
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে, সে ক্ষততে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’
‘অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বাত্মকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার যথাযথ চেষ্টা করছে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব বলে মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সরকার আশা করে, ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে—এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার কার্যক্রম নিয়ে নয়া দিল্লিকে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা সরকার খতিয়ে দেখবে।
৮৭ দিন আগে
হেফাজতে যেকোনো ধরনের নির্যাতন-হত্যার নিন্দা জানায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: বিবৃতি
তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো ধরনের হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যার নিন্দা জানায়।
অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে তৌহিদুলকে বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার গভীর রাতে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকার রক্ষা করা এই সরকারের একটি প্রধান লক্ষ্য। এর মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু অধিকার কর্মীও সম্পৃক্ত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
সরকার দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে।
এসব কমিশনের অধিকাংশই তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
আজাদ আরও বলেন, ‘পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ, অপরাধ ব্যবস্থাপনা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি সুযোগ নির্মূল করার প্রয়াসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই প্রতিবেদনগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ করবে।’
এসব সংস্কার বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এনজিওর মতো নয়, শাসকের ভূমিকায় দেশ চালাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে চরমোনাই পীর
৯২ দিন আগে
ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে যা প্রকাশিত হয়েছে- তা কোনো বিবৃতি নয় বরং একটি বিজ্ঞাপন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট এটিকে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করেছে। এটি কেবল একটি বিজ্ঞাপন, খবর নয়।’‘স্পষ্টতই, এটি একটি লবিস্ট ফার্ম দ্বারা করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: তারেকের বিরুদ্ধে রায় বাস্তবায়নে যা কিছু করা সম্ভব্ সবই করবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লবিস্ট প্রতিষ্ঠানটি অতীতেও একই কাজ করেছে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বচ্ছ এবং ইউনূসের মামলায় সরকার কোনো পক্ষ নয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউনূসের সংগঠনের সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা মামলাটি দায়ের করেছেন এবং অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে বিচার চলছে।
এদিকে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস রবিবার(২৮ জানুয়ারি) দাবি করেছেন, তার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা নয়, সরকারই তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করেছে।
এ দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সোমবার(২৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনি যা বলেছেন তা সঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
মন্ত্রী বলেন, ইউনূসের কোম্পানিতে সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এ মামলা করেন।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অব্যাহতভাবে বিচারিক হয়রানি এবং সম্ভাব্য কারাগারে আটকের’ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ১২৫ জনেরও বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ২৪১ জন বিশ্ব নেতা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তৃতীয় খোলা চিঠি লিখেছেন।
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি প্রফেসর ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের তিন সহকর্মীকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং আপিল বিবেচনা চলাকালীন তাদের জামিন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলন: ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার ডাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৪৬০ দিন আগে
জাতিসংঘের বিবৃতি বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্ভয়ে ভোটদানে জাতিসংঘের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাই এবং এটি বিএনপি-জামায়াত, যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে গেছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির (ডিআরইউ) নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক বিবৃতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি ভালো স্টেটমেন্ট। আমরা স্বাগত জানাই। কারা ভোট দানে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে, ভোট প্রতিহত করার চেষ্টা করছে, আপনারা জানেন। বিএনপি-জামায়াত ঘোষণা দিয়েছে তারা ভোট প্রতিহত করবে। ভোটকেন্দ্রে যাতে মানুষ না যায়, এজন্য তারা ভীতিসঞ্চার করছে, গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে, রেললাইন খুলে ফেলছে। আমি মনে করি এই বিবৃতি তাদের বিরুদ্ধে গেছে। কারণ এই বিবৃতি যারা ভোট প্রতিহত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী জ্বালাও-পোড়াও চালিয়েই যাচ্ছে, এটি প্রশাসনের ব্যার্থতা কি না- প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ওরা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছিল, সেটি এখন পারছে না। এটিকে শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে সরকার ও প্রশাসন কাজ করছে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আলোচনার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আলোচনা চলছে। যে কারো সঙ্গেই স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায়েন্স হতে পারে।
এর আগে ডিআরইউর নবনির্বাচিতদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেন, ডিআরইউ সংগঠনটি চমৎকারভাবে কাজ করছে। আমি অনেক আগে থেকে তাদের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত, ভবিষ্যতেও থাকব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গঠিত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আজ সাংবাদিকদের জন্য একটি ভরসাস্থল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী সংগঠনগুলোর সাংবাদিকদের গ্রুপ ইনস্যুরেন্স করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, এতে করে কেউ অসুস্থ হলে এবং মৃত্যুবরণ করলে টাকা পাবে। এ সুবিধা দেশে কম।
ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভর নেতৃত্বে নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদ সদস্যরা এ সময় মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারীবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা ডলি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা), ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কল্যাণ সম্পাদক মো. তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, মুহিববুল্লাহ মুহিব ও মো. শরীফুল ইসলাম এ সাক্ষাতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
৫০৬ দিন আগে
ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিশেষ কারো বিষয়ে বিবৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, 'ভিসা দেওয়া হবে কি না, তা সম্পূর্ণভাবে সে দেশের ওপর নির্ভর করছে। মার্কিন সরকার বিশেষভাবে কারো সম্পর্কে কোনো বিবৃতি জারি করেনি।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে ইনডোর প্লে-গ্রাউন্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে আসন্ন নির্বাচনে যারা বাধা দেবে এবং নির্বাচন পণ্ড করার চেষ্টা করবে তাদের জন্য এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে। আমরা মনে করি এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।
বিএনপির চলমান রোডমার্চ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো আন্দোলন সংগ্রামে সরকার ভীত নয়।
বিএনপির আন্দোলন সরকার যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করে যথাসময়ে বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন করাই আমাদের লক্ষ্য: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা জনগণের ‘উহ’ শব্দটিও শুনতে চাই না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৮৯ দিন আগে
ড. ইউনূসের মামলা স্থগিত চেয়ে ১৬০ বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি: ইআরডিএফবি
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে ১৬০ জন বিশ্বনেতার সাম্প্রতিক বিবৃতিকে সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি উল্লেখ করে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সংস্থাটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সই করা একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, বিচার স্থগিত চাওয়া একটি স্বাধীন দেশের বিচার বিভাগের ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপের চেষ্টা। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে দেওয়া বিশ্বনেতাদের বিবৃতি আমাদের সকলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস অন্যায়ের সম্মুখীন কি-না মূল্যায়নে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ মনে করে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সবকিছু আইনানুসারে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বিচার বিভাগ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং এক্ষেত্রে কারও কোনও হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাধীন। দেশে আইনের শাসন বিদ্যমান এবং কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে সরকার হয়রানি করছে না, বিবৃতিদাতাদের প্রকৃত ঘটনা জানতে হবে: অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশের আইন ও বিচার বিভাগকে না জেনে, যথাযথ পর্যালোচনা না করে অযাচিতভাবে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে বিবৃতি বা চিঠি দেওয়া বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং বিচার বিভাগের ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ ও ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, বিবৃতি বা চিঠি দেওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের বিভ্রান্তিমূলক ও অজ্ঞতাপ্রসূত মতামত প্রত্যাহার করে বাংলাদেশের মতো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন বলে আশা করে সংস্থাটি।
ইআরডিএফবি মনে করে বিভাজিত মানবাধিকার ও বাছাইকৃত ন্যায়বিচারের দাবি বিশ্বে নিরবিচ্ছিন্ন শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় অন্তরায়।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: এইউবি ও ডিইউটিএ
৬১১ দিন আগে
গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জনে টিআইবির বিবৃতি সহায়ক নয়, বরং অন্তরায়: তথ্যমন্ত্রী
নিজেদের কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে সব বিষয়ে বিবৃতিদান টিআইবির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংসদীয় কমিটিতে অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জন-পরিবর্ধন হবে। এটা টিআইবি’র কোনো বিষয় না। তা সত্ত্বেও বিবৃতি দিয়ে তারা বিষয়টিকে রাজনৈতিক করার চেষ্টা করছে, যা এ প্রক্রিয়ায় সহায়ক তো নয়ই,বরং অন্তরায়।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে টিআইবি’র বিবৃতি কেন’ -এ প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য। এটা দুর্নীতির কোনো বিষয় নয়। আর আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গেছে, সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এটি পরিবর্ধন-পরিমার্জন করা হবে। তাদের সঙ্গে এ নিয়ে আমার আলোচনাও হয়েছে। টিআইবি আগ বাড়িয়ে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক করার চেষ্টা করছে -এর মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে।
মন্ত্রী বলেন, নিজেদের কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে সব বিষয়ে কথা বলা টিআইবির একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি তাদের এ বিবৃতি গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জন-পরিবর্ধনের ক্ষেত্রে সহায়ক তো নয়ই বরং অন্তরায় হবে।
আরও পড়ুন: অপশক্তি নির্মূল করে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নেয়ার শপথ আজ: তথ্যমন্ত্রী
এসময় সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ ডাকাতের সরকারে পরিণত হয়েছে, টিসিবি কার্ডও দলীয়করণ করেছে’-বিষয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে ন্যায্য প্রাপ্যতার ভিত্তিতেই এক কোটি পরিবারকে টিসিবি'র ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে, যাতে পাঁচ কোটি মানুষ উপকারভোগী। এখানে আমাদের দলীয় কোনো নেতাকর্মীদের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। জনপ্রতিনিধি, যারা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বিভিন্ন দল থেকেই রয়েছেন তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আসলে সব কিছুর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ খোঁজাই বিএনপির সমস্যা।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ড দেয়ায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসায় ও জনগণ সাধুবাদ দেয়াতে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তারা উদভ্রান্তের মতো কথা বলছেন’।
‘মির্জা ফখরুল সাহেব ইদানিং যে ভাষায় কথা বলছেন তা সিনিয়র রাজনীতিকের ভাষা নয় এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত' মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগকে ডাকাত বলেছেন, আসলে তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিশ্বডাকাতে পরিণত হয়েছিলেন এবং সেজন্য তাদের হাতে দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য কমায় জনগণ স্বস্তিতে, বিএনপি অস্বস্তিতে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক: তথ্যমন্ত্রী
১১২৯ দিন আগে
ফসল কাটার প্রতিবাদে শেরপুরে বাগাছাসর বিবৃতি
শেরপুরে শ্রীবরদীর বালিজুড়ি খ্রীস্টানপাড়া এলাকায় পাঁচ গারো আদিবাসীর ফসল কেটে ধ্বংস করার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে শনিবার বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস)।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বসবাসরত গারো আদিবাসীরা যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাস করে আসছে। গারো আদিবাসী যে অঞ্চলে বসবাস করে আসছে সে অঞ্চলকে তারা তাদের ভিটে মাটিসহ আশেপাশের বনাঞ্চলকে সংরক্ষণ করে আসছে। গারো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা বন ধ্বংস করে না, তারা বন সংরক্ষণ করে। এক কথায় বলা চলে তাদের বসবাসরত অঞ্চলের মাটিকে মা আর বনকে সন্তানের মত লালন-পালন করে আসছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, কতিপয় অসৎ বন কর্মকর্তা কর্মচারীর পাল্লায় পরে গারোদের বিভিন্ন সময় শত বছরের ভিটে মাটি ছাঁড়তে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ আগস্ট শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি অঞ্চলের পাঁচ জন গারোর বাগান বনবিভাগের কতিপয় অসৎ বন কর্মকর্তা-কর্মচারী অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কেটে দিয়েছে। হাজার হাজার টাকা খরচ করে, শ্রম দিয়ে পরম যত্নে যে বাগান তৈরি করা হয়েছিলো, তা কেটে তছনছ করে ধ্বংস করা হয়ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের কাছে সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দিল সেনাবাহিনী
বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ না দেয়া কিংবা জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় না আনা হলে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিভিন্ন সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও জানানো হয়েছে।
গত ১২ আগস্ট শ্রীবরদী উপজেলায় বন বিভাগের বালিজুরি রেঞ্জ (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বালিজুড়ি খ্রীস্টানপাড়া এলাকায় ভারতী মৃ, সভানী সিমসাং, সবিতা মৃ, কমলা রেমা, পয়মনি চিরানের কষ্টের আবাদকৃত সবজীর আবাদ ও সুপারি বাগানের গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুম ফসল কেটে ফেলায় রেঞ্জ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি
বনবিভাগের তথ্যমতে, শেরপুরে সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার প্রায় ২০ হাজার একর বনভূমির মধ্যে অন্তত আড়াই হাজার একর বনের জমি অবৈধ দখলদারের কবলে রয়েছে। বনাঞ্চলের এসব জমি উদ্ধারে সম্প্রতি দখলদারদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছে বনবিভাগ। ওই তালিকায় প্রায় ৬ শতাধিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ দুই হাজার ব্যক্তির নাম রয়েছে।
১৩৫৯ দিন আগে
মরিয়া হয়ে চালানো ‘নোংরা প্রাচারণা’ প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ
লন্ডন এবং অন্য কোথাও থেকে চরমপন্থী ও তাদের মিত্রদের চালানো মরিয়া ‘নোংরা প্রাচারণা’ প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার।
১৫৫২ দিন আগে
নির্বাচন ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন চান ইসি মাহবুব
ভোটকেন্দ্রে বিরোধীদের অনুপস্থিতি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন অপরিহার্য।
১৯১৬ দিন আগে