মঙ্গলবার বিকালে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
দুই সিটি নির্বাচনে ‘অস্বাভাবিক’ কম ভোট পড়াকে গণতন্ত্রের জন্য ‘অশনিসংকেত’ হিসেবে বর্ণনা করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অস্বাভাবিক কম ভোট পড়া আমার কাছে স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। এটা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত হতে পারে, কিন্তু এটাই বাস্তবচিত্র।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং দক্ষিণে ২৯ দশমিক ০০২ শতাংশ ভোট পড়ে।
জনগণ নির্বাচন বা ভোটের প্রতি নিরাসক্ত হলে নানা প্রকার ব্যাখ্যা বা অপব্যাখ্যা দিয়ে এ বাস্তব অবস্থার চিত্র খণ্ডন করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার।
‘গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রয়োজন, কোনো কোনো বিজ্ঞজন এমন বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু গণতন্ত্র আপন মহিমায় বিকশিত ও উদ্ভাসিত হতে পারে, যদি অবাঞ্ছিত উপায়ে তাকে বন্দী করা না হয়,’ বলেন তিনি।
মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে ক্ষমতা হস্তান্তরের স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ হয়ে যায়, সেই অবস্থা কোনোভাবে কাম্য নয়।
‘দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে সব রাজনৈতিক দল আলোচনার টেবিলেই নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারে। তা না হলে অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে পা বাড়াবে বাংলাদেশ,’ যোগ করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের সময় যেভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে তাতে এগুলো রাখা বা না রাখা সমান। ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো যাচাইয়ে কোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়নি। আচরণবিধি না মানা এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়া ফ্রি-স্টাইল নির্বাচনের মূল উপাদান।’