আলু আমদানি
হিলি বন্দর দিয়ে ভারতীয় নতুন আলু আমদানি শুরু
দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় নতুন আলু আমদানি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকালে মেসার্স সুমাইয়া ইন্টারপ্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে একটি ট্রাকে ২২ মেট্রিক টন নতুন আলু আমদানি করেছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে আলু আবাদের এখনও মৌসুম শুরু হয়নি। কিন্তু ভারতের বাজারে নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে। ফলে দেশের বাজারে এই নতুন আলুর চাহিদা রয়েছে। তাই আমদানি করা হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ৭০ টাকা কেজি হিসেবে দাম পাবো বলে আশা করছি। এই প্রথম ভারত থেকে একটি ট্রাকে ২২ মেট্রিক টন নতুন আলু আমদানি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমদানি করা ভারতীয় আলুর চালান রাতের মধ্যে কাস্টমস থেকে খালাস হলে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) থেকে হিলিসহ ঢাকার বাজারে পাওয়া যাবে।
১ মাস আগে
ভারত থেকে ৪ চালানে ১০০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
রমজানে আলুর চাহিদা বাড়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আবারও ভারত থেকে আলু আমদানি করা হয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৩ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ৩২টি ট্রাকে ১ হাজার মেট্রিক টন আলু এসেছে।
আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস। আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু, দাম নেমেছে ৩০ টাকায়
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ১৩ মার্চ ২০০, ১৪ মার্চ ২০০, ১৯ মার্চ ৩০০ ও ২৪ মার্চ রাতে আরও ৩০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়।
ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ বলেন, চারটি চালানে ভারতীয় ৩২টি ট্রাকে ১ হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। যার প্রতি মেট্রিক টন আলুর আমদানি খরচ পড়ছে ১৯৪ মার্কিন ডলার। শেষ চালানের আলু আজ বুধবার খালাস হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, আমদানি করা আলুর তিনটি চালানের ৭০০ মেট্রিক টন ইতোমধ্যে বন্দর থেকে ছাড়া হয়েছে। শেষ চালানের ৩০০ মেট্রিক টন বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমদানিকারক খালাসের অনুমতি চাইলে দ্রুত ছাড়ার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে দুই দিনে ৪০০ টন আলু আমদানি ইউএনবি নিউজ বেনাপোল
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
৭ মাস আগে
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু, দাম নেমেছে ৩০ টাকায়
ভরা মৌসুমেও দেশের বাজারে বেশি দামে আলু বিক্রি হাওয়ায় এবং বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে দিনাজপুরের হিলি দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে আলু নিয়ে একটি ট্রাক প্রবেশের মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। এতে দাম অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, এখন আলুর ভরা মৌসুম। তারপরেও দাম বেড়ে খুচরা পর্যায়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এই অবস্থায় সরকার সামনে রোজায় বাজার স্বাভাবিক রাখতে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, শনিবার ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আলু আমদানি শুরু হওয়ায় আলুর দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে বুধবার আলু আমদানির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। ওই দিন থেকেই অনুমতির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আইপি দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হিলির ৪৯ আমদানিকারক ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
তাই শনিবার ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আলুর কেজি ৮০ টাকা
৯ মাস আগে
আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে আলুর দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এতে দাম কমবে, মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্তদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। দেশে আলুর উৎপাদন বেড়েছে প্রচুর। আমরা বলি, আলু উদ্বৃত্ত থাকে। আধুনিক কৃষি-প্রযুক্তি ও উন্নত জাত প্রবর্তনের কারণে উৎপাদন বেড়েছে।
তিনি বলেন, আবহাওয়া আলু উৎপাদনের অনুকূল। আন্তর্জাতিক বাজারে আলু রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ বছর আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এ দাম বেড়ে যাওয়া কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য না। এতে নিম্নআয়ের মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। গত দুদিনে আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: 'বিএনপি বুঝুক বা না বুঝুক, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ': বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোল্ড স্টোরেজে আলু থাকার পরও দাম এত বাড়বে কেন- সেই প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, আমরা আলুর যে দাম স্থির করে দিয়েছিলাম, তাতেও তাদের লাভ হওয়ার কথা। কিন্তু সেই দামের ধারেকাছেও তারা থাকছে না।
তিনি বলেন, কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা একটি সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা আলু বের করেন না, তারা আলু লুকিয়ে রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে আলু আমদানি করতে চায় তারা। আমরাও সার্বিক দিক বিবেচনা করে দেখেছি, এত দাম দিয়ে মানুষ আলু কিনতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে আলুর দাম কম। তারা আলু আনতে চাচ্ছে। আমরা সম্মতি দিয়েছি। আজকে থেকেই আইপিও ইস্যু করা শুরু হবে। এতে দাম কমবে, মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তারা নিজেদের তৎপরতা আরও বাড়াবে, যেন বাজারে কোল্ড স্টোরেজ সিন্ডিকেট যেভাবে আলুর দাম বাড়াচ্ছে, তা কমিয়ে আনা। আড়ৎ ও কোল্ড স্টোরেজ মিলেই দাম বাড়াচ্ছে। এটা কমিয়ে আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও তৎপরতা শুরু করবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত বছরও আমরা আলু রপ্তানির চেষ্টা করেছি। কিছু রপ্তানি হয়েছে। এ বছরও রপ্তানি হয়েছে। কিন্তু যতটুকু রপ্তানি হয়েছে, তাতে দাম এত অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কথা না।
তিনি বলেন, গত বছর আলুর দাম অনেক কম ছিল, তখন চাষিরাও দাম পাননি, কোল্ডস্টোরেজ মালিকরদেরও লোকসান হয়েছে। কিন্তু এবার কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা তাদের সেই লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তারা এবার সর্বাত্মক আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে দাম বাড়িয়ে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, গত বছর কৃষকরা সরিষা চাষ করেছে, অথবা আলু উৎপাদন করেনি, যেটা আমাদের মূল্যায়নে আমরা সঠিকভাবে জরিপ করতে পারিনি। তাহলে আমরা একেবারেই রপ্তানি করতাম না। কিন্তু আমরা তো আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে চাই। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আলু রপ্তানি করেছি।
আগামী দুই বছরের মধ্যে আলু ও পেঁয়াজের সমস্যা সমাধান হবে। আলু ও পেঁয়াজ উদ্বৃত্ত থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বারবার সিন্ডিকেটের কথা বলছেন, কিন্তু মানুষতো অসহায়- এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা সিন্ডিকেটের কথা বলছি না, আপনারা বলছেন। কিন্তু একটি বিষয় খুবই স্পষ্ট যে কোনোক্রমেই আলুর কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না আ. লীগ: কৃষিমন্ত্রী
চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাজার স্থিতিশীল করতে আলু আমদানি করবে সরকার
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় সরবরাহ বাড়াতে ও দাম স্থিতিশীল রাখতে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার (৩০ অক্টোবর ) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগ্রহী আমদানিকারকদের অনুমতির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আলুর দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন: আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর আলুর সর্বোচ্চ খুচরা দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দেয় মন্ত্রণালয়।
তবে আলুর জন্য সরকার নির্ধারিত দাম দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও কার্যকর হয়নি।
আরও পড়ুন: সরকার নির্ধারিত দামে এখনো বিক্রি হয় না পেঁয়াজ-আলু ও ডিম
১ বছর আগে