মুখপাত্র মিলার
যুক্তরাষ্ট্র চায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে: মুখপাত্র মিলার
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় দেশটিতে 'অবাধ ও শান্তিপূর্ণ' নির্বাচন দেখতে চাওয়ার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ২১ নভেম্বর ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে আমরা এটাই দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, এটাই যুক্তরাষ্ট্রের নীতি, যেমনটা তিনি বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
মানবাধিকারের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র 'বিএনপি কর্তৃক পরিকল্পিত' রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি মনে করি আমি আমার আগের উত্তরেই এর জবাব দিয়েছি।’
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোর সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা তাদের ব্যাপার: মুখপাত্র
অধিকারকর্মী ও শ্রমিক সংগঠনে হামলাকারী-হুমকিদাতাদের জবাবদিহি করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
১১ মাস আগে
শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখবে। যাতে তারা ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করতে বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাতে পারে।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ২০ নভেম্বর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট কোনো দলের পক্ষে অবস্থান নেই না। আমরা তাই চাই যা বাংলাদেশের জনগণ চায়, আর তা হলো- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবারও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন এবং পুনরায় বলেন- তিনি তা থেকে বিরত থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বারবার আমাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টার প্রশংসা করি, তবে আমি তা করা থেকে বিরত থাকব এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে বলছি- বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য আমাদের লক্ষ্য সর্বদা যা ছিল তাই থাকবে, আর তা হলো: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ আয়োজন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
মিলার আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার রক্ষা ও প্রচারের জন্য বিশ্বজুড়ে সরকার, শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে কীভাবে জড়িত তার রূপরেখা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে এটি চালিয়ে যাব।’
মিলার বলেন, ‘ন্যূনতম মজুরির প্রতিবাদে বাংলাদেশে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সহিংসতার পাশাপাশি বৈধ শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমকে অপরাধীকরণের নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: মুখপাত্র
তিনি বলেন, শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ওপর চলমান দমন-পীড়ন নিয়েও তারা 'উদ্বিগ্ন'।
মিলার বলেন, ‘আমাদের নীতি, যেমনটি আমরা আগেই বলেছি, সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে শ্রমিকরা সহিংসতা, প্রতিশোধ বা ভীতি প্রদর্শনের ভয় ছাড়াই সংগঠন এবং সম্মিলিত দরকষাকষির স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম।’
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে তাদের কাজের মাধ্যমে তারা মৌলিক মানবাধিকারগুলো কে এগিয়ে নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সহিংসতা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র প্যাটেল
১ বছর আগে
বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র মিলার
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশকে ‘নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে এবং তারা সহিংসতার ঘটনাগুলোকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে’ নিয়েছে।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে এবং তা অব্যাহত রাখবে; এবং বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার্থে ও শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য তাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতা পরিহার করতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি- এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ।’
মিলার বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম- সকলের দায়িত্ব।
মুখপাত্র বলেন, ‘এবং আমরা যা চাই, বাংলাদেশের মানুষও তাই চায়, আর তা হলো- শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন।’
আরও পড়ুন: পূর্বশর্ত ছাড়াই সব পক্ষ সংলাপে অংশ নেবে: সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত হাসের প্রত্যাশা
সহিংসতা ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
১ বছর আগে