যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখবে। যাতে তারা ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করতে বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাতে পারে।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ২০ নভেম্বর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট কোনো দলের পক্ষে অবস্থান নেই না। আমরা তাই চাই যা বাংলাদেশের জনগণ চায়, আর তা হলো- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবারও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন এবং পুনরায় বলেন- তিনি তা থেকে বিরত থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বারবার আমাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টার প্রশংসা করি, তবে আমি তা করা থেকে বিরত থাকব এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে বলছি- বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য আমাদের লক্ষ্য সর্বদা যা ছিল তাই থাকবে, আর তা হলো: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ আয়োজন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
মিলার আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার রক্ষা ও প্রচারের জন্য বিশ্বজুড়ে সরকার, শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে কীভাবে জড়িত তার রূপরেখা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে এটি চালিয়ে যাব।’
মিলার বলেন, ‘ন্যূনতম মজুরির প্রতিবাদে বাংলাদেশে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সহিংসতার পাশাপাশি বৈধ শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমকে অপরাধীকরণের নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: মুখপাত্র
তিনি বলেন, শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ওপর চলমান দমন-পীড়ন নিয়েও তারা 'উদ্বিগ্ন'।
মিলার বলেন, ‘আমাদের নীতি, যেমনটি আমরা আগেই বলেছি, সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে শ্রমিকরা সহিংসতা, প্রতিশোধ বা ভীতি প্রদর্শনের ভয় ছাড়াই সংগঠন এবং সম্মিলিত দরকষাকষির স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম।’
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে তাদের কাজের মাধ্যমে তারা মৌলিক মানবাধিকারগুলো কে এগিয়ে নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।