বঙ্গবন্ধু পরিষদ
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেমিনার
বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে ‘৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসের অঙ্গীকার: রুখতে হবে বিএনপি-জামায়াত-রাজাকার’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
পারভেজ জামান, এবিএম ফারুক, লিয়াকত হোসেন খান, ফুয়াদ হোসেন চৌধুরী, আফরোজা জামিল কঙ্কাসহ বঙ্গবন্ধু পরিষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় রাশিয়ায় অধ্যয়নের সুযোগ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
পারভেজ জামান বলেন, ‘জয় বাংলা একটি জাতীয় স্লোগান। এটি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্লোগান নয়। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা এই স্লোগান নিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। যারা জয় বাংলা স্লোগান গ্রহণ করে না, তারা দেশদ্রোহী। আসন্ন নির্বাচন আমাদের টিকে থাকার লড়াই। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য যা ভালো তা করতে হবে।’
সাবেক আইজিপি লিয়াকত হোসেন খান ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা ফুয়াদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। জনগণের সচেতনতা ছাড়া এ দেশ এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (মরণোত্তর) জামিল উদ্দিন আহমেদের দ্বিতীয় কন্যা আফরোজা জামিল কঙ্কা বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে আমাদের এতিম বলা যেতে পারে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ও পরে যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাদের হত্যা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের সময়ে যে প্রজন্ম বেড়ে উঠেছিল, তা বাংলাদেশের সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এখন বাংলাদেশের উন্নয়নে সব দলের মানুষ উপকৃত হলেও দেশের বিরোধী দলগুলো এ নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।’
ডুয়েটের উপাচার্য মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর দেশ যে আদর্শে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেনি।
ড. রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর সুস্থ রাজনীতি বন্ধ হয়ে যায়।’
রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র রাতারাতি নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই করা হয়েছে।
খন্দকার মোশতাকের যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে জাতিসংঘে পাঠানো মুজিবনগর সরকারের পর্যবেক্ষক দলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে ধরে রাখা হয়নি।
তার বদলে আবদুস সামাদ আজাদকে পাঠানো হয়েছে। কারণ তাজউদ্দীন আহমেদকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছিল যে খন্দকার মুশতাক যদি জাতিসংঘে যান, তাহলে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও কনফেডারেশনের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন এবং তাজউদ্দীনের কাজ ছিল যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করা। কারণ তখন যুদ্ধের কোনো বিকল্প ছিল না। তাই খন্দকার মোশতাককে পাঠানো হয়নি।
অধ্যাপক সিদ্দিক বলেন, ‘কয়েকজন মিলে বঙ্গবন্ধুকে ও জেলহত্যা করেছে। কিন্তু ক্যান্টনমেন্ট থেকে তাদের প্রতিহত করা হলে তা সম্ভব হতো না। তখন তারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নিরাপদে দেশ ছাড়তে পারতেন না। সবাই যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করত, তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে সেমিনার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
১১ মাস আগে