জিএম কাদের
সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন: জিএম কাদের
দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন বিস্তার করে চলমান অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের চিন্তা অবাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সমাজের সবক্ষেত্রে জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকা উচিত। 'তবেই দেশে সুশাসন আসবে।’
শনিবার (২৯ জুন ) সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে অবাধ দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
সরকার অফশোর ব্যাংকিং চালু করে অবৈধভাবে পাচার হওয়া অর্থ বৈধ করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
জিএম কাদের আরও বলেন, সরকার শুধু ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করার মাধ্যমে দুর্নীতি থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।
দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি ও গোষ্ঠী, ব্যাংক খেলাপি, অর্থ পাচারকারীদের সমন্বয়ে একটি অভিজাত ও অতি ধনী শ্রেণি তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের অর্থনীতির মূলধারায় আনতে প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
জিএম কাদের বলেন, কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশে বড় সমস্যা তৈরি করেনি। বরং আসল সমস্যা জবাবদিহির অভাব, যার ফলে সুশাসনের অভাব তৈরি হয়েছে।
জাতীয় পার্টি প্রধান বলেন,‘এর ফলে সমাজের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সংশ্লিষ্ট নীতি ব্যক্তি স্বার্থ ও গোষ্ঠী স্বার্থ দ্বারা প্রভাবিত হয়।’আরও পড়ুন: সিন্দবাদের দৈত্যের মতো দেশ শাসন করছে আ.লীগ সরকার: জিএম কাদের
তিনি আরও বলেন, এক কথায় বলা যায়, অর্থনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধে সুশাসনের অভাব কাটিয়ে ওঠা ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা যাবে না।
জিএম কাদের বলেন, বাজেটে মূল সমস্যার কোনো স্বীকৃতি নেই, এ সমস্যা সমাধানে কোনো দিকনির্দেশনাও নেই। ‘বরং সমস্যার কারণগুলোকে উৎসাহিত করার চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। তাই বিদ্যমান অর্থনৈতিক সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধান শিগগিরই আশা করা যায় না।’
ব্যাংকিং খাতের অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, ব্যাংকিং খাত নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে, আর এর কারণ খারাপ ঋণ।
কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, অনেকে বলেছেন এটা সংবিধানসম্মত নয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংক সংকট সমাধানে সরকার ব্যর্থ : জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, 'এই সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫০-৬০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।’
বিদ্যুৎ খাতের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক সমস্যা তৈরি করেছে।
উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে এটা সত্য, কিন্তু অর্ধেক কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এর অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট অব্যবহৃত উৎপাদন, বেসরকারি মালিকদের ভাড়া বা ক্যাপাসিটি চার্জের একটি বড় অংশ দিতে হয় বৈদেশিক মুদ্রায়।
অফশোর ব্যাংকিং আইনের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, অফশোর ব্যাংকিং আইনের মাধ্যমে বড় ধরনের ছাড় বা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
দেশের রিজার্ভের সঠিক পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে যা শোনে মানুষ তা বিশ্বাস করে, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য জনগণ বিশ্বাস করে না।আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় হরিজন উচ্ছেদ বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন চুন্নু
আগে আওয়ামী লীগ গাছের মতো ছিল কিন্তু এখন পরগাছা হয়ে গেছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। কিন্তু এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা নানা কারণে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ তার বৈশিষ্ট্য হারিয়েছে। এছাড়া কিছু সরকারি কর্মচারী আর পেশাজীবীদের নিয়ে একটা সংঘবদ্ধ দল হয়েছে আওয়ামী লীগ।
রবিবার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সফরে গিয়ে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগকে কটাক্ষ করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমালোচনায় জিএম কাদের
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। তিনি অনেক কথাই বলেন। তারা এখন শক্তিশালী দল হয়েছে বলে শুনি। কিন্তু এটা দানবীয় শক্তি নাকি শুভশক্তি। যদি দানবীয় শক্তি হয় তাহলে সে শক্তিতো আমরা পছন্দ করতে পারি না। কারণ এটা জনগণের কাছে অত্যাচার করার শক্তি।
দেশে রিজার্ভ কমে গেছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দেশ চলছে। সামনের দিকে আরও বিপদজনক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা জানি, স্বাভাবিকভাবে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। আমদানি ব্যয় আগের তুলনায় অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৭-৮ বিলিয়নের জায়গায় এখন ৪-৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে। তারপরও ১৫ বিলিয়ন ডলার এখন আমাদের নেই। আমাদের এখন ১১ বিলিয়ন ডলার আছে কি না সন্দেহ।
তিনি আরও বলেন, সত্যিকার অর্থে এগুলো আমাদের জন্য অশনি সংকেত। টাকা নড়বড়ে হয়ে গেছে ডলারের কাছে। ডলারের কাছে টাকার মান প্রতিদিনেই কমছে।
জিএম কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষ অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। কিন্তু আমরা সামনে কোনো মুক্তি দেখতে পারছি না। আইএমএফ যে লোন দিচ্ছে সেটি সামান্য। বিদেশি বিনিয়োগ কমে গেছে। সামনে না খেয়ে থাকার মতো অবস্থা হতে পারে। সরকারকে এসবের জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু সরকার এসব গোপন করছে। তারা গ্যাস, বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করেছে। প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে, যেকোনো বৈদেশিক চুক্তি করা হলে তা রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। তারা সংবিধান মানছে না।
নিজ দল প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, আমরা জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করি। জনগণের মনের কথা বলতে চাই। এটা জনগণের দল, জনগণের কল্যাণে সবসময় নিয়োজিত রেখেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: সিন্দবাদের দৈত্যের মতো দেশ শাসন করছে আ.লীগ সরকার: জিএম কাদের
ব্যাংক সংকট সমাধানে সরকার ব্যর্থ : জিএম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতাকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের ও উপনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের-১৪৩১ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার জাতীয় সংসদের অফিস কক্ষে জি এম কাদেরের একান্ত সচিব শামসুল ইসলামের কাছে এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদের একান্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা সম্বলিত কার্ড পৌঁছে দেন প্রধানমন্ত্রীর প্রোটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ মন্ত্রিসভা কমিটির
এ ছাড়া সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদকেও পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের-১৪৩১ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রওশন এরশাদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার কাছে শুভেচ্ছা সম্বলিত কার্ড পৌঁছে দেন প্রধানমন্ত্রীর প্রোটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটা ও ভ্রমণে কার্ড পেমেন্টে মোটা অঙ্কের ছাড় দিচ্ছে ব্যাংকগুলো
ঈদ অবকাশ: ভিসা-মুক্ত এশিয়ায় সেরা ভ্রমণ গন্তব্য
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হলেন জিএম কাদের, উপনেতা আনিসুল ইসলাম
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরকে সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা করা হয়েছে।
রবিবার সংসদ সচিবালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে জিএম কাদের এবং উপনেতা হিসেবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে স্বীকৃতি দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ
এর আগে রবিবার জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়ে দলের বর্তমান সভাপতি ও মহাসচিবকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেন।
তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
তবে এক সংবাদ সম্মেলনে চুন্নু বলেন, রওশনের এই ভিত্তিহীন পদক্ষেপ নিয়ে তারা অন্তত বিরক্ত, কারণ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার তার নেই।
আরও পড়ুন: জাপা চেয়ারম্যানের পদ থেকে জিএম কাদেরকে বরখাস্ত করলেন রওশন
জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্রের শিকার: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্রের শিকার: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ধরে নানা ষড়যন্ত্রের শিকার।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুরে নিজ বাসভবন সেনপাড়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, '১৯৯১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে জাতীয় পার্টি।’
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা নানাভাবে তার জনপ্রিয়তা খর্ব করার চেষ্টা করেছে।
এখন যে বিভাজনের কথা বলা হচ্ছে, সেই বিভাজনের সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশা পূরণে শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেব: জিএম কাদের
বিরোধী দল প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, সংসদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি বড় দুটি দল। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা (জাতীয় পার্টি) একমাত্র দল যার ১১ জন সদস্য রয়েছে, আমরা আশা করি জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল হবে।
তিনি বলেন, সরকার যদি সেরকম অবস্থান না দেয়, তবু আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের বিরুদ্ধে একমাত্র দল হিসেবে সমালোচনা করা, সরকারের খারাপ জিনিস তুলে ধরা এবং সুপারিশ দিয়ে সরকারকে সহায়তা করে সঠিক পথে পরিচালনা করব।
তিনি বলেন, ‘গত সংসদে আমরা বিরোধী দল ছিলাম। আমরা সব সময় দেশের কল্যাণে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছি, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি, সুপারিশসহ অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছি। আমরা আগের মতোই কাজ করব।’
এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, তিনি বিরোধী দলে আছেন এবং থাকতে চান।
তিনি বলেন, ‘সংসদে আসার অনুভূতি সবসময়ই ভালো। সেই অর্থে আবার সংসদে আসতে পারাটা আনন্দের বিষয়।’
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
বুধবার (১০ জানুয়ারি) এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই জিএম কাদের নবনির্বাচিত সংসদে বিরোধী দল নিয়ে এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না নিয়মটা । কিন্তু আমরা বিরোধী দলে ছিলাম এবং বিরোধী দলে থাকতে চাই। আমরা জনকল্যাণমুখী এবং আমরা জনগণের জন্য যা ভালো তাই করতে চাই।’
নেতৃত্বের ব্যর্থতার অভিযোগে দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো পূর্বপরিকল্পিত বিষয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যা করা হয়েছে তা সবার সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে।’
এবার দল কম আসন পাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব সময় পরিস্থিতি একই থাকে না।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন সঠিক নির্বাচন ছিল না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা ভালো ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে এবং ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের আরও বলেন, এই নির্বাচন আসলে তার দলের জনপ্রিয়তা বা জনগণের কাছে তার ভিত্তির প্রতিফলন ঘটায়নি।
জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন, যেখানে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ২৩টি আসন।
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেব: জিএম কাদের
শপথ গ্রহণ ও সংসদে যোগদান করে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুরের সেনপাড়ায় নিজ বাসভবনে তিনি এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এমপি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে জিএম কাদের বলেন, 'যেহেতু আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, তাই এই মুহূর্তে আমরা শপথ নিতে পিছপা হব না। আমরা সংসদে গিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলব এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
চলতি নির্বাচনে সরকারের সততা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'যেখানে সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়েছিল, সেখানে তারা সফল হয়েছে। তবে যেসব জায়গায় তারা জনগণের মন জয় করতে চেয়েছিল, সেখানে তারা বলপ্রয়োগ করেছে এবং আমাদের জনগণকে পরাজিত করেছে।’
বৈঠকের এজেন্ডা সম্পর্কে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির অনেক প্রার্থী নির্বাচনের ফলাফলে হতাশ হয়েছেন। অতএব, আমি সবার সঙ্গে বসেছি, তাদের উদ্বেগ শুনেছি এবং লিখিত বক্তব্য সংগ্রহ করেছি। এই তথ্যগুলো ভবিষ্যতে অনুসরণের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এ সময় জাপার কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাপা মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জাপা জেলা সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, সরকার যেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চেয়েছে সেখানেই নিরপেক্ষ হয়েছে; যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর সেনপাড়ায় স্কাইভিউ বাসভবনে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন সার্বিকভাবে ভালো হয়নি। যে রকম আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই হয়েছে। সরকার যেখানে নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে সেখানে নিরপেক্ষ হয়েছে। সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সেটাই হয়েছে।
সরকারের নিয়ন্ত্রণে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, আমার বিশ্বাস এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
জিএম কাদের বলেন, একটি পক্ষ আমাদের রাজনীতিটা নষ্টের চেষ্টা করছে। এখানে সরকারও মদদ দিচ্ছে বলে আমার ধারণা।
জিএম কাদের বলেন, রবিবার যে নির্বাচন হয়েছে তাতে আমরা আশানুরূপ ফলাফল পাইনি। আমরা একটা পরিবেশ চেয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম যেন প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে এবং আমাদের প্রার্থীরা অর্থ ও অস্ত্রের প্রভাবমুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
তিনি বলেন, তারা আমাদের কথা দিয়েছিলেন, নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু ভোটারদের হুমকি, এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সম্পূর্ণ তাদের পক্ষে কাজ করেছে। কিন্তু তারা কথা দেওয়ার পরেও কথা রাখেনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান যেখানে ছিল সেখানেই আছে।
এসময় ঢাকা, চাঁদপুর, জামালপুর, কুমিল্লা, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার চিত্র ধরে জিএম কাদের বলেন, এসব জায়গায় আমাদের প্রার্থীদের যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল বেরিয়ে আসার। কিন্তু সেটা করতে দেওয়া হয়নি।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া ভুল ছিল কি না- সে বিষয়ে এখনই মূল্যায়ন করা যাবে না। সামনের দিনগুলো দেখতে হবে।
ফলাফল প্রত্যাখ্যান এবং সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এসময় দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশে জাপা প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে: জিএম কাদের
নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের বলি দিয়ে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেন, এজন্য তার দলকে ‘বলির পাঁঠা’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
রংপুর-৩ আসনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন,'যেহেতু আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, তাই এখনই নির্বাচন বর্জনের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনের ফলাফল পাওয়ার পর আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: দিনাজপুর-২ আসন: সরে দাঁড়ালেন জাপা প্রার্থী মাহবুবুল আলম
তিনি বলেন, ‘জামালপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে আমি তথ্য পেয়েছি। অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের আশ্বাস দিলেও রংপুর এলাকা ছাড়া অধিকাংশ জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হচ্ছে না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান বলেন,‘আমি আগে থেকে কিছু বলতে চাই না। আমরা দলের নেতাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জাপা প্রার্থী
জাপা কোনো ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচন করছে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা থাকতে হয়, তা না হলে ভালো নির্বাচন হয় না। তবে এটার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আমাদের হাতে ছিল না।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এখন কোনো দোটানার মধ্যে নেই। আশা ও আগ্রহ নিয়ে নির্বাচনে এসেছি। আমরা আশাবাদী হতে চাই। আমাদের একটা ধারণা, আর যাই হোক আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানোর কোনো ঝুঁকি নেই।
কাজেই আমাদের, জনগণকে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবেন। এখন জনগণ অংশগ্রহণ করবে কি না সেটা তাদের বিষয়।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত নির্বাচনী কর্মী সভায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য তিনি দুই দিনের সফরে রংপুরে এসেছেন।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি রাজনীতি টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বাচনে এসেছে। ভবিষ্যতে আমরা যদি মনে করি সেটা কার্যকর হচ্ছে না, আওয়ামী লীগ এবং নির্বাচন কমিশন তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে না, তখন আমরা আমাদের পার্টির ফোরামে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানো ঝুঁকি এই মুহূর্তে নেই। কাজেই আমরা মনে করছি নির্বাচনটা ভালো করার জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। নির্বাচনে যাওয়ার শর্ত এবং সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী ও দলের অনৈক্য দূর করার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় থাকা জাতীয় পার্টির জন্য লাভজনক। তবে আমাদের অপশনও আছে, যদি দেখি আমাদের শর্ত মতে কার্যক্রম হচ্ছে না, তাহলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করব।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার জিএম কাদেরের
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় পার্টির প্রত্যাশা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমাদের ডিমান্ড হলো প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। পেশীশক্তি এবং অর্থের ব্যবহার ও প্রভাব থেকে নির্বাচনকে মুক্ত রাখতে হবে। নির্বাচন বিধিমালা মেনে চলতে হবে। এটা যদি তারা মেনে না চলেন তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
জিএম কাদের বলেন, আমরা পার্লামেন্টে থাকার জন্য নির্বাচন করছি। আমরা কোনো ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচন করছি না। এটা কোনো মহাজোট হচ্ছে না। বিভিন্ন দলের ধারণা তৈরি হয়েছে আমরা জোট করেছি। আমাদের ক্যান্ডিডেটরাও অনেকেই ভুল করছেন। এটা ইলেকশন কমিশনের দেখা উচিত ছিল। আমরা আগে মহাজোটে ছিলাম কিন্তু এখন আর নেই। এই নির্বাচন মহাজোটের নির্বাচন হচ্ছে না। আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সেই ধরনের কোনো চুক্তিও করিনি।
পার্টির মহাসচিবের নির্বাচনী পোস্টারে ‘জাতীয় পার্টি মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ লেখা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি এটা চুন্নু করেনি। তার একজন ভক্ত ওই পোস্টার ছাপিয়েছে। যিনি ছাপিয়েছেন তিনি চুন্নুর ভক্ত এবং আওয়ামী লীগ করে। চুন্নু সাহেব ওই পোস্টার সরিয়ে নেওয়ার জন্য তার ভক্তকে অনুরোধও করেছেন। আমাদের অনেক প্রার্থী এমন ভুল করেছেন।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে ‘হত্যার হুমকি’, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার নির্দেশ!