হৃত্বিক রোশন
‘কৃশ ৪’-এর বিশাল বাজেটে অনিশ্চিত বিনিয়োগ, কেন সরে দাঁড়ালেন রাকেশ রোশান
‘কৃশ’ ফ্র্যাঞ্চাইজির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালের সায়েন্স-ফিকশন সিনেমা ‘কোই... মিল গয়া’ দিয়ে। এরপর ২০০৬ সালে ‘কৃশ’ এবং ২০১৩ সালে ‘কৃশ ৩’ মুক্তি পায়। হৃত্বিক রোশন প্রতিটি কিস্তিতেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যেখানে শেষ দুটি সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
যদিও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে ‘বলিউড হাঙ্গামার’ প্রতিবেদন অনুসারে ‘কৃশ ৪’-এর চিত্রনাট্য চূড়ান্ত করা হয়েছে।
রাকেশ রোশন ‘কৃশ ৪’-এর পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন, নতুন পরিচালকের ইঙ্গিত
বলিউডের প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা রাকেশ রোশন অদ্যাবধি ‘কৃশ’ ফ্র্যাঞ্চাইজির পরিচালনা করেছেন । সম্প্রতি এই প্রতিভাবান নির্মাতা নিশ্চিত করেছেন যে আসন্ন চতুর্থ কিস্তির পরিচালনা তিনি করছেন না।
রাকেশ রোশন পুত্র জনপ্রিয় নায়ক হৃত্বিক রোশন অভিনীত এই ফ্র্যাঞ্চাইজি বক্স অফিসে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করেছে। তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে—কে হতে চলেছেন নতুন পরিচালক?
আরো পড়ুন: গৌরী স্প্রাট কে? আমির খানের বান্ধবী, বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক উদ্যোক্তা
এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে রাকেশ রোশন পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি ‘বলিউড হাঙ্গামা’ কে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "এটি ভালো যে আমি এখনই দায়িত্ব হস্তান্তর করি, যখন আমার বুদ্ধি-বিবেক পুরোপুরি সচল। এতে আমি পুরো প্রক্রিয়াটি তদারকি করতে পারব এবং নিশ্চিত করতে পারব যে এটি সঠিকভাবে হচ্ছে। যদি আমি দেরি করি এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি, তাহলে আমি জানতেও পারব না তারা কী তৈরি করছে।"
তবে ‘কৃশ ৪’-এর পরিচালক না হওয়া নিয়ে কোনো হতাশা নেই বলে জানিয়েছেন রাকেশ রোশন। তিনি বলেন, "এটি একটি ঝুঁকি, যা আমাদের নিতেই হবে। কোনো নিশ্চয়তা নেই যে আমি যদি ‘কৃশ ৪’ পরিচালনা করি, সেটি সুপারহিট হবে। এটি উল্টো দিকেও যেতে পারে।"
তিনি আসন্ন ‘কৃশ ৪’ সিনেমার নতুন পরিচালকের নাম প্রকাশ করেননি, তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি ছবির প্রযোজনায় জড়িত থাকবেন।
আরো পড়ুন: অস্কার ২০২৫: ৯৭তম অ্যাকাডেমি পুরষ্কারের আসর মাতালেন যারা
‘কৃশ ৪’-এর বাজেট ৭০০ কোটি রুপি? স্টুডিওগুলো বিনিয়োগে অনিশ্চিত
বলিউড হাঙ্গামার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ‘কৃশ ৪’-এর বাজেট ৭০০ কোটি রুপি। এই বিশাল অঙ্কের বাজেট স্টুডিওগুলোর জন্য বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। ফলে স্টুডিওগুলো প্রতিশ্রুতি দিতে দ্বিধা করছে।
প্রথমদিকে, হৃত্বিক রোশন তার বন্ধু সিদ্ধার্থ আনন্দকে—যিনি এই প্রকল্পের একজন প্রযোজক ছিলেন—উপযুক্ত স্টুডিও খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেন। তবে পোস্ট-মার্ভেল যুগে ছবিটির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে সংশয় থাকায় স্টুডিওগুলো বিনিয়োগে আগ্রহী হয়নি। ফলে সিদ্ধার্থ আনন্দ ও তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মারফ্লিক্স প্রকল্পটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, "পোস্ট-মার্ভেল যুগে এই বাজেটে ‘কৃশ’-এর সম্ভাবনা নিয়ে স্টুডিওগুলো আত্মবিশ্বাসী ছিল না, কারণ ‘কৃশ ৩’ মুক্তির পর থেকে এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।"
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালের রূপালি পর্দায় সুপারহিরোদের রোমাঞ্চকর অভিযান
তবে ইন্ডিয়া টুডে ডিজিটাল-এর কাছে এক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ‘কৃশ ৪’-এর বাজেট ৭০০ কোটি রুপি নয়। তিনি বলেন, "এই বিপুল বাজেট নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।"
১০ ঘণ্টা আগে
বলিউড স্টাইল আইকন হৃত্বিক রোশনের যে সিনেমাগুলো ২০২৪ সালে মুক্তির অপেক্ষায়
২০০০ সালে বাবা রাকেশ রোশনের মুভি ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ দিয়ে শুরু। এই অভিষেকেই নিজের জাত চিনিয়েছেন অভিনয় ও নাচে সমান পারদর্শী হৃত্বিক রোশন।
ক্রিশ মুভি সিরিজের পাশাপাশি ২০০৬-এর ধুম ২-এর মাধ্যমে সিনেমাপ্রেমীদের পাশাপাশি মন জয় করেছিলেন সমালোচকদেরও। ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের মধ্যে তিনি একজন। তার সর্বশেষ ব্লকবাস্টার ২০১৯-এর ‘ওয়ার’ তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ আয়কারী মুভি।
১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া এই হার্টথ্রব হিরো এবার তার জীবনের অর্ধশতক বসন্তে পদার্পণ করতে চলেছেন। এই উপলক্ষে চলুন, ২০২৪ সালে হৃত্বিক রোশনের নতুন মুভিগুলোর ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
৪৩৩ দিন আগে
সালমান-ক্যাটরিনার 'টাইগার থ্রি' নিয়ে কেন এত বিতর্ক
সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফের জুটি মানেই ছবি সুপার হিট হওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা। এরসঙ্গে আবার যখন যুক্ত হলো শাহরুখ খান, হৃত্বিক রোশন ও ইমরান হাশমির মতো তারকা; তখন প্রত্যাশা দ্বিগুণ হওয়ার কথা বলাই বাহুল্য। সিনেমাপ্রেমীরা ঠিক এই সহজাত অভিজ্ঞতারই সম্মুখীন হলেন ১২ নভেম্বর ‘টাইগার থ্রি’ মুক্তির মাধ্যমে। 'এক থা টাইগার' (২০১২), 'টাইগার জিন্দা হ্যায়' (২০১৭), 'ওয়ার' (২০১৯) ও 'পাঠান' (২০২৩) নিয়ে যশ রাজ ফিল্মসের সৃষ্টি করা স্পাই ইউনিভার্সের পঞ্চম ছবি এটি।
মনীশ শর্মা পরিচালিত ভারতের সর্বাধিক প্রত্যাশিত চলচ্চিত্রটির এই মুক্তিলগ্নে ছবিটিকে ঘিরে জন্ম নিয়েছে কিছু বিতর্ক। কী সেই বিতর্ক! আর তা কতটুকুই বা প্রভাব ফেলছে ফিল্মের জনপ্রিয়তায়, চলুন- জেনে নেওয়া যাক।
যে কারণে 'টাইগার থ্রি' নিয়ে এত বিতর্ক
৩টি দেশে ‘টাইগার থ্রি’ মুক্তির নিষেধাজ্ঞা
৩০০ কোটি রুপি বা প্রায় ৩৯৭ কোটি বাংলাদেশি টাকার (১ ভারতীয় রুপি = ১.৩২ বাংলাদেশি টাকা) সমান বাজেটে তৈরি করা মুভিটি কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ হওয়ার শোরগোল উঠেছে। দেশগুলো হলো: ওমান, কুয়েত ও কাতার।
চলচ্চিত্রের খলনায়ক ইমরান হাশমি একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এই সংগঠনগুলো সরাসরি মুসলিম ধর্ম-প্রধান দেশগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করায়, একটি নেতিবাচক পটভূমির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, চিত্রায়নটির মাধ্যমে দেশগুলোর ধর্মীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে মুক্তির অপেক্ষায় বাংলাদেশি যেসব চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ
তবে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধকরণের বিষয়টি এখনও রটনার মাঝেই সীমাবদ্ধ। অপরপক্ষে, দেশগুলোতে এখনও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে ছবির কাহিনি নিয়ে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হবে দেশগুলোর প্রেক্ষাগৃহে।
তবে বিনা কর্তনে ভারতে মুক্তির ছাড়পত্র পাওয়া ছবিটির মধ্যপ্রাচ্যে নিষিদ্ধ হওয়ার পেছনে আরেকটি স্পর্শকাতর বিষয়কে দায়ী করা হচ্ছে।
আর সেটি হচ্ছে, জোয়া চরিত্রে অভিনীত ক্যাটরিনা কাইফের তোয়ালে পরিহিত একটি অ্যাকশন সিকুয়েন্স।
তোয়ালে পরিহিত অবস্থায় ক্যাটরিনা কাইফের অ্যাকশন দৃশ্য
যশ রাজ ফিল্মসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই প্রকল্পের সিংহভাগই খরচ হয়েছে অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য। ধুন্ধুমার দৃশ্যগুলোর একটি ছিল ক্যাটরিনা ও জনপ্রিয় হলিউড মুভি ব্ল্যাক উইডো বা বুলেট ট্রেনখ্যাত মিশেল লি’র তোয়ালে পরা অবস্থায় মার্শাল আর্ট।
চলচ্চিত্রের অ্যাকশনকে আলাদাভাবে প্রতিনিধিত্ব করা সিকুয়েন্সটি স্থান পেয়েছিল মুভির ট্রেইলারেও। তারপর থেকেই দুই নারীর এমন মুষ্ঠিযুদ্ধ নিয়ে শুরু হয়ে যায় হৈচৈ।
আরও পড়ুন: নতুন চমক নিয়ে ‘দ্য মার্ভেলস’ আসছে বাংলাদেশে
৪৯১ দিন আগে