মহানায়ক
আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম শেখ মুজিবুর রহমান: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা ও বিজয়ের শক্তি এবং সাহসের নাম। বঙ্গবন্ধু ছাড়া আমরা স্বাধীনতা ও বিজয় পেতাম না।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনে মহান বিজয় দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুখ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দারিদ্র্যপীড়িত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয়কে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিয়েছিল। জেনারেলদের শাসন চলছিল। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। স্বাধীনতা ও বিজয়কে মূল্যহীন করে রেখেছিল।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন অহংকার করে বলতে পারি, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতা ও বিজয়ের স্বাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা মুক্তি পাইনি। শেখ হাসিনা আমাদের মুক্ত করেছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এভাবে থাকতে পারি, তাহলে আমরা পথ হারাব না। শিক্ষার আলো দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে একটি মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। সেই মান-মর্যাদা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আরও এগিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘৭১ সালে সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়েছিল। এখন উন্নয়নের বিরুদ্ধেও তারা বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছে। আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা কারো মুখাপেক্ষী থাকতে পারি না। যখন আমরা মুখাপেক্ষী ছিলাম, তখন আমরা এগোতে পারিনি। ইউএসএ, জাতিসংঘ, পশ্চিমারা আমাদের বাংলাদেশকে নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে- এটা ভালো লাগে, গর্ব করার বিষয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্য সচিব কবি ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ কে এম মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপ্রতিমন্ত্রী
১১ মাস আগে
রূপান্তরিত বাংলাদেশের মহানায়কের নাম শেখ হাসিনা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আদি বুড়িগঙ্গা নদীর উন্নয়নে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে পুরনো ঢাকার মানুষ আরেকটি হাতিরঝিল পাবে।
তিনি বলেন, সেটি আরও আধুনিক হবে। এলাকার পরিবর্তন হবে। ঢাকার ইতিহাস সংরক্ষণ করা, ঢাকার ইতিহাস চর্চা এবং ঢাকার ডাক শব্দ চর্চার জায়গা তৈরি হলো বুড়িগঙ্গা মঞ্চ।
এছাড়া ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদরা বুড়িগঙ্গা দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু করেছিলেন। ঢাকার ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে বুড়িগঙ্গা মঞ্চ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: নদী রক্ষায় ডিসিদের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন: নৌ প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রতিমন্ত্রী পুরান ঢাকার বিআইডব্লিউটিএ’র সোয়ারীঘাট ল্যান্ডিং স্টেশন সংলগ্ন ‘বুড়িগঙ্গা মঞ্চ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করতে হবে। বিআইডব্লিউটিএ রক্ষক হিসেবে কাজ করবে। মানুষের মনের অজান্তেই বুড়িগঙ্গাকে দূষিত করা হয়েছে। এটিকে রক্ষার জন্য আগে কেউ বলেনি। মানুষকে সম্পৃক্ত করেনি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকাকে রক্ষা করতে হবে। বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ২০০১ সালে নির্বাচনের পর সেসব সুন্দর চিন্তা ভাবনা প্রতিফলিত হয়নি। আবার অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাল বিল ও হাওড় রক্ষার জন্য হাওড় কর্তৃপক্ষ গঠন করেছেন। নদী রক্ষার জন্য নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছেন। ঢাকার চারপাশের নদী এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী রক্ষার জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছেন। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য বিআইডব্লিউটিএ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গাকে আদি অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সার্থক হবো। এ কাজটির সুফল পাচ্ছি। আরও অনেক কিছু পাওয়ার অপেক্ষা করছে। বুড়িগঙ্গায় নৌকা বাইচ হচ্ছে, বিআইডব্লিউটি ‘র কল্যাণে মানুষ মাছ ধরছে, গোসল করছে। যা বিগত সময় দেখিনি। আদি বুড়িগঙ্গার রুপ ফিরে আসবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঢাকা শহর বদলে গেছে। ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস, মেট্রোরেল, ১৪ লেনের রাস্তা, মাটির নিচ দিয়ে ট্রন চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরও বদলে যাবে।
তিনি বলেন, রূপান্তরিত বাংলাদেশের মহানায়কের নাম শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অনেক স্মৃতি পুরনো ঢাকার মানুষের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে অনেক মায়া ও ভালোবাসা আছে। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এর প্রতিফলন ঘটাবেন। শেখ হাসিনা যদি থাকে, নৌকা মার্কা যদি থাকে বুড়িগঙ্গা মঞ্চ আরও আলোকিত হবে।
বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- মূল আলোচক অধ্যাপক ডক্টর রতন সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, বুড়িগঙ্গা মঞ্চ এর আহ্বায়ক বিশিষ্ট সাংবাদিক রাশেদ আলী।
উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ও বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এ কে এম ফেরদৌস আলম।
আরও পড়ুন: গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর চেষ্টা থাকবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে:নৌ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে