ভিটিআরটি
বাগেরহাটে লোকালয়ে বাঘের পায়ের ছাপে আতঙ্ক
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাওয়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় বাঘের উপস্থিতির ঘটনা বিরল হলেও মাঝে মাঝে খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে পড়ে।
তারা উপজেলার আধা কিলোমিটার এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে স্থানীয় ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমকে (ভিটিআরটি) খবর দেয়।
বন কর্মকর্তাদের অনুসারে, রবিবার সুন্দরবন থেকে ভোলা নদী পার হয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
সোমবার সকালে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: তিস্তায় ধরা পড়ল ৭২ কেজি ওজনের বাঘাইড়, ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি
ভিটিআরটি টিম, বন বিভাগের কর্মকর্তা এবং কমিউনিটি টহল দল সোমবার সকাল থেকে স্থানীয়দের নিয়ে বাঘটিকে খুঁজছে, তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঘটিকে দেখা যায়নি।
স্থানীয় বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলেছেন।
গত ১৬ বছরে প্রায় ৫০টি বাঘ খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।
সম্প্রতি সোনাতলা গ্রামে গিয়ে ইউএনবির এই প্রতিবেদক দেখতে পান, ওই গ্রামে বাঘের বেশ কিছু পায়ের ছাপ দেখা গেছে।
শরণখোলা ওয়াইল্ড টিমের ফ্যাসিলিটেটর আলম হাওলাদার জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারণা- বাঘটি ওই এলাকায় প্রবেশ করে সুন্দরবনে ফিরে এসেছে।
এরই মধ্যে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনা শুরু করেছেন বন কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে গত ৫ নভেম্বর সুন্দরবন পূর্ব জোনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের বিভিন্ন অংশে বেশ কিছু ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
বাঘ গণনার প্রতিবেদন জানা যাবে আগামী বছরের ২৯ জুলাইয়ের পর।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের বাঘ শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা ১০৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৪।
শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মাহামুদ হাসান জানান, ভিটিআরটির একটি দল এবং বন বিভাগের কর্মীরা এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।
সুন্দরবন পূর্ব জোনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, ভিটিআরটি টিম ও বন কর্মকর্তারা গ্রামে অবস্থান করবেন।
চোরাশিকার তৎপরতা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান লবণাক্ততার কারণে এখানে এখন বাঘ হুমকির মুখে রয়েছে।
বন বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সুন্দরবন পূর্ব জোনে বিভিন্নভাবে ২৮টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুর্বৃত্তদের হাতে ১৪টি, গণপিটুনিতে ৫টি, স্বাভাবিকভাবে ৮টি এবং সাইক্লোন সিডরে ১টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ধরা পড়েছে ৭৯ কেজির বাঘাইড়
১ বছর আগে