ঘূর্ণিঝড় মিধিলি
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বিদ্যুৎহীন ঝালকাঠি, গাছপালা-ফসলের ক্ষতি
ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় পাঁচ শতাধিক গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে বিভিন্ন স্থানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
এ ছাড়া ঝড়ে আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। এদিকে ঝড়ো হাওয়ায় হেলে পড়েছে ধান খেত। বেড়িবাঁধ না থাকায় কাঁঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিষখালী নদীর পানি উঠে তলিয়ে আছে শীতকালীন সবজির খেত।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার চরভাটারাকান্দার কৃষক আল আমিন হাওলাদার বলেন, আমার এক একর জমিতে আমন ধান লাগানো আছে। ঝড়ো হাওয়ায় বেশিরভাগ গাছই হেলে পড়েছে। নদীর পানি উঠে তলিয়ে আছে ধানখেত। এতে ধান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ধান নষ্ট হয়ে গেলে আমার সর্বনাশ।
নলছিটি উপজেলার সরই গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, নিলারভিটা এলাকায় বেশিরভাগ কৃষকের ধান চিটা হয়ে যেতে পারে। ধানখেত হেলে পড়েছে। টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের ফলে ক্ষেতে পানি জমে আছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পারলে এ বছর সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বরিশালে লঞ্চ চলাচল ফের শুরু
ঝালকাঠি শহরের কলাবাগ এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকালে বিদ্যুৎ চলে গেছে শনিবার বিকাল পর্যন্ত আসেনি। বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কাঁঠালিয়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নাসির উদ্দিন বলেন, ঝড়ে কাঁঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুতের তারেও গাছ পড়েছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
ঝালকাঠি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়। খুলনা ও বরিশাল থেকে টেকনিশিয়ান এনে ত্রুটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে, তা বলা যাচ্ছে না।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে জেলার অনেক স্থানে আমন ধানের খেত হেলে পড়ার খবর পেয়েছি। কয়েক জায়গায় শীতকালীন শাক সবজির ক্ষতি হতে পারে। আমাদের মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তারা কাজ করছে। ধানের বেশি ক্ষতি হবে না বলে ধারণা করছি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
পটুয়াখালীতে ঘুর্নিঝড় মিধিলির প্রভাবে টানা দুই দিন বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় নিম্নাঞ্চলে পানি জমে রোপা আমন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া মাঠে থাকা সবজিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, উপকুলীয় ৫টি উপজেলার আমন ধান খেত হাটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে এ মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ কাজ চলমান। তাই প্রকৃত তথ্য জানানো সম্ভব হয়নি। এদিকে ৩৩টি মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনজুর আলম জানান, কয়েকটি গ্রামে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি কাচা ঘর ধ্বসে পড়েছে।
এছাড়া মোটা চালের ধান খেতের আংশিক ক্ষয়ক্ষতির কথাও জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি কেটে গেলেও ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন পটুয়াখালীর উপকূলের আমন চাষিরা। মিধিলির তাণ্ডবে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পাকা ধান ঘরে তোলার আগেই খেতের মধ্যে তছনছ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় দিশেহারা চাষিরা।
কৃষকরা জানান, একের পর ধাক্কায় দিশেহারা আমন চাষিরা। মৌসুমে শুরুতে বৈরী আবহাওয়া আর টানা বৃষ্টির কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ার পর এবার আবার পাকা ধানে ঘূর্ণিঝড়ের হানা। অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।
এদিকে বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার আমন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা করা হচ্ছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২৮ হাজার জমির পাকা ধান আক্রান্ত হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমন খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রমের সময় এর তাণ্ডবে কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপরে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ২ বসতবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৬টি বসত ঘর। এছাড়া ৩ হাজার ৭০০ হাজার হেক্টর রোপা আমন খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঝড়ে তরমুজ ও সবজি খেতের ৯৯৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নুর কুতুবুল আলম জানান, সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরই ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ে মাঠে কাজ করছে। মৎস্য বিভাগের তেমন কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
তবে প্রাথমিকভাবে জেলা কৃষি বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির একটি চিত্র জেলা প্রশাসনকে দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, ৪৪ হাজার ৯০০ জন কৃষক এবং ৩ হাজার ৯০০ হেক্টর জমির ধান, বিভিন্ন জাতের সবজি খেতের ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বরিশালে লঞ্চ চলাচল ফের শুরু
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র কবলে পড়ে দুবলার চরের দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার(১৮ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ওই জেলেদের সন্ধান মেলেনি।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির আরেকটি ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া ১৪ জেলেকে ভাসতে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করেছে দুবলার চরের জেলেরা।
আজ সকালে উদ্ধার করা ওই জেলেদের বাগেরহাটের সুন্দরবনের আলোরকোলে আনা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ১৪ জেলের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় বলে জানা গেছে। নিখোঁজ দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলের বাড়ি চট্টগ্রামে।
দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন আহম্মেদ জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে ১৪ জন জেলেসহ একটি ট্রলার ডুবে যায়।
দুবলার চরের জেলে বহরদ্দারদের একটি ট্রলার শুক্রবার বিকালে ফেরার পথে ভাসমান অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে।
শনিবার সকালে ওই জেলেদের সুন্দরবনের আলোরকোলে আনা হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং খাবার দেওয়া হয়। জেলেদেরকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
কামাল উদ্দীন আহম্মেদ আরও জানান, দুবলার চরে জেলে বহরদ্দারদের দু’টি ট্রলারসহ ২৫ জেলে শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ওই জেলেদের সন্ধান মেলেনি। তারা বিভিন্ন এলাকায় নিখোঁজ ট্রলারসহ জেলেদের সন্ধান করছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার খলিলুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হওয়া ১৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই জেলেদেরকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য জেলে সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এছাড়া জেলে বহরদ্দারদের দু‘টি ট্রলারসহ নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বরিশালে লঞ্চ চলাচল ফের শুরু
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বৃষ্টিপাতের কারণে বাগেরহাটের সুন্দরবনের দুবলার চরে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। পচে যাওয়া ওই সব শুঁটকি মাছ থেকে এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
নষ্ট হয়ে যাওয়া মাছের পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার কুইন্টাল। এসব মাছ সাগরে ফেলে দিতে হবে বলে জানান দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন আহম্মেদ।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি শুক্রবার দুপুরে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। এর প্রভাবে বুধবার সন্ধ্যা থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় সুন্দরবনের বিভিন্ন চড়ে বৃষ্টি ঝরতে থাকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব এলাকায় ভারী বর্ষণ হয়। ঝড়ো বাতাস এবং বৃষ্টিপাতের কারণে সুন্দরবনের শেলার চর, নারিকেলবাড়িয়া, মাঝেরকেল্লা ও আলোরকোলে শুঁটকির জন্য শুকানো এবং কাচা অবস্থায় প্রায় ৬০ হাজার কুইন্টাল মাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ওইসব মাছ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
বাগেরহাটের মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। এ সময়ে সুন্দরবন উপকূল এবং সাগর মোহনায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেইসঙ্গে দমকা বাতাস বয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: শুঁটকির মৌসুম শুরু হওয়ায় দুবলার চরে জড়ো হতে পারেন ১০ হাজার জেলে
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে শিশুসহ নিহত ২
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে দমকা হাওয়াতে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও মীরসরাই উপজেলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের হানিফ মাস্টার বাড়ি এলাকার বাসিন্দা ৬৫ বছর বয়সী আব্দুল ওহাব এবং মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের ৩ বছর বয়সী মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে ঝড়ো হওয়ার সময় আব্দুল ওহাব বাড়ির পাশে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফেরার পথে গাছের ডাল ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ফের চালু
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খিসা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা সন্দ্বীপে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে। গাছের ডাল ভেঙে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনো অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানা যায়নি।’
এদিকে একই সময়ে মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড়ের কাটাবিল এলাকায় হাসমত আলী ভূঁইয়া বাড়িতে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে সিদরাতুল মুনতাহা নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
মুনতাহার চাচা মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, সবার অগোচরে শুক্রবার বিকালে বাড়ির সামনে গেলে একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আমার ভাতিজি গুরুতর আহত হয়। তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের কাটাবিল এলাকায় হাসমত আলী ভূঁইয়া বাড়িতে আনোয়ার হোসেনের মেয়ে গাছের ডাল পড়ে মারা গেছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: উপকূলবর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ফের চালু
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাব কেটে যাওয়ার পর শুক্রবার রাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ফের চালু হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নাময়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলায় কর্মচাঞ্চল্য ফেরে বন্দরে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মধ্যরাত পর্যন্ত বন্দর জেটিতে ৫টি জাহাজ ভিড়েছে এবং এসব জাহাজ থেকে মালামাল আনলোড চলছিল।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) হাবিবুর রহমান জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্তকতা জারির পর বন্দরে শিপ ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং, ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে তা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া কনটেইনার জাহাজগুলো শনিবার (১৮ নভেম্বর) প্রথম জোয়ারে আবার জেটিতে নিয়ে আসা হবে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির’ সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচাতে চট্টগ্রাম বন্দরে দ্বিতীয় সবোর্চ্চ সতর্কবস্থা অ্যালার্ট ৩ জারি করা হয়। একইসঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব ধরনের পণ্য উঠা-নামা।
বন্দরে অবস্থানরত সব বিদেশি জাহাজের শ্রমিক-কর্মচারীদেরও নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। সম্ভব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত ২২টি জাহাজকে গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
১ বছর আগে
নভেম্বরের বৃষ্টিতে ভিজছে ঢাকা
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এদিকে, আজ (শুক্রবার) সকাল থেকেই ঢাকায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ধরছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৬ ঘণ্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ঢাকা ও এর আশেপাশের অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'
শহরের সড়কগুলো তুলনামূলক ফাঁকা দেখা গেছে। কয়েক ঘণ্টা ধরে বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা কমেছে। পাশাপাশি শীত ঘনিয়ে আসারও ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যারা বের হয়েছেন তাদের ছাতা মাথায় জলাবদ্ধ সড়কে হাটতে দেখা গেছে।
ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' আজ সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে বলে আগামী ৬ ঘণ্টায় ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে অধিদপ্তর।
এ সময় দিনের তাপমাত্রা ১-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত জরুরি প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মহানগরে ১১৬টি এবং জেলায় ৪৯৩টি। এছাড়া ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জেলার ত্রাণসামগ্রী মজুদ পরিস্থিতি সভায় উপস্থাপন করেন।
সভায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে জেলা প্রশাসনের কাছে ত্রাণ হিসেবে নগদ ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, চাল ২৪৪ মেট্রিক টন, গোখাদ্যের জন্য ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, শিশুখাদ্য বাবদ ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, শুকনো খাবার ৪৭২ ব্যাগ, কম্বল ১ হাজারটি এবং ৪৭ হাজার ওরস্যালাইন মজুত আছে।
সম্ভাব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাক্রমে প্রয়োজনের নিরিখে এসব সামগ্রী দ্রুত বরাদ্দ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসকের বাস ভবন থেকে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়ালি ওই সভায় চট্টগ্রামের জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এনজিও, গণমাধ্যমকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে
জেলা প্রশাসক জরুরি সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও সিটি করপোরেশনে কন্ট্রোল রুম খোলা, উপজেলা পর্যায়ে দ্রুত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আয়োজন, স্ব স্ব এসওপি অনুযায়ী সব দপ্তরের কার্যক্রম গ্রহণ, বিভিন্ন এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যমকে দুর্যোগ মোকাবিলায় অংশগ্রহণ, উপকূলবর্তী ও পাহাড়ি এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং কার্যক্রম চলমান রাখা, যেকোনও জরুরি প্রয়োজনে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার সঙ্গে এবং জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের নম্বরে যোগাযোগ করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমাদের বিভিন্ন টিম মাইকিং করেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা আছে। পাশাপাশি শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেকোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সব পর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে: প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২০ দশমিক ৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) অধিদপ্তর আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এতে আরও বলা হয়, যা আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রপ্রাপ্ত আজ দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অভিভারি (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে: প্রতিমন্ত্রী
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এদিকে, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অন্যদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামানোর নির্দেশ
১ বছর আগে