প্রাণিসম্পদ খাত
বন্যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
সাম্প্রতিক বন্যায় বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ২ হাজার কোটিরও বেশি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এছাড়াও সরবরাহে সাময়িক সংকটের কারণে কেউ যেন দুধ ও ডিমের দাম না বাড়ায় এ বিষয়ে সতর্ক করেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় এনজিওগুলোর দক্ষতা কাজে লাগানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
রবিবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও করণীয় নিয়ে আলাপকালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে ১২টি জেলায় ডিম ও দুধসহ প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৪১১ কোটি টাকা। আর মৎস্য খাতে ১ হাজার ৫৯০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বন্যার কারণে সরবরাহ লাইনে সংকট তৈরি হয়েছে। তাই সাময়িক সমস্যা হতে পারে। তবে সাময়িক এ সংকটের কারণে কেউ দুধ ও ডিমের দাম না বাড়ায় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় সচেতন আছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলকে কেপিআই হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার: সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা
কেউ সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য খামারি ও উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
ঋণের কিস্তির টাকা আদায় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বন্যায় কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণ করে পুনর্বাসনের আহ্বান কৃষি উপদেষ্টার
৩ মাস আগে
মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের উপর সরাসরি নির্ভরশীল: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের উপর সরাসরি নির্ভরশীল বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে উন্নয়ন ছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শনিবার (৮ জুন) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লাইভস্টক ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের (এফএও) আয়োজনে ভ্যালিডেশন ওয়ার্কশপ অন ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড পিপিআর ইরাডিকেশন স্ট্রাটেজিস, অ্যানিমেল ব্রিডিং অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্সেমিনেশন পলিসি, পোল্ট্রি হ্যাচারি অ্যাক্ট, লাইভস্টক এক্সটেনশন পলিসি অ্যান্ড ম্যানুয়াল বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা খুবই ভাগ্যবান যে শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশেই শুধু নয়, দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন এবং তার নেতৃত্বের গুণাবলী আজ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতাদের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই লাইভস্টকের উন্নয়নের জন্য ও এর গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক নীতি প্রণয়ন খুবই জরুরি এবং এর একটি আইনগত ভিত্তিও থাকা দরকার। লাইভস্টক সেক্টর আমাদের দেহের শুধু পুষ্টিই যোগায় না বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বড় ভূমিকা রাখছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও লাইভস্টক একটা বড় উপাদান। দারিদ্র্যতা দূর করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন লাইভস্টক ও মৎস্য সেক্টরকে বাদ দিয়ে তা অর্জন করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, তবে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সঠিক পলিসি নির্ধারণের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে পলিসি নির্ধারণে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।
গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন এফএও রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাড ইন্টেরিম অব বাংলাদেশ মিস্টার দিয়া সানো।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
চোরাই পথে গরু প্রবেশ ঠেকাতে মনিটরিং করা হচ্ছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৬ মাস আগে
খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি। এলক্ষ্যে সরকার দেশে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনসাধারণের প্রয়োজনীয় প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ এবং এ খাতকে রপ্তানিমুখী করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (এলডিপিপি) উল্লেখযোগ্য যা ডেইরি সেক্টরের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নবান্ধব বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল ও মেধাসম্পন্ন জাতি গঠন।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ সব জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শনিবার (১ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৪’ ও ‘ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন’ উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত খামারিদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে যেমন দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছেন তেমনি আপনারা নিজেদেরও সমৃদ্ধ করেছেন। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি এসময় খামারিদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দুধ শুধু একটি আদর্শ খাবারই কেবল নয় বরং মেধাবী জাতি গঠনে দুধ পান অপরিহার্য। তাই নিয়মিত দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, পরবর্তীতে এ ধরনের অনুষ্ঠান পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় করা হবে এবং সে অনুষ্ঠানে খামারিরা প্রধান স্টেকহোল্ডার হবেন। তিনি গুড়াদুধ আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য অধিকহারে শুল্ক আরোপের বিষয়ে খামারিদের দাবিকে সাধুবাদ জানান এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খামারিদের আশ্বস্ত করেন।
উল্লেখ্য, দেশে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এ বছর ডেইরি খামার ক্যাটাগরিতে ২৬টি, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ৯টি, দুধ/মাংস প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ১১টি এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে ৫টিসহ মোট ৫১ টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিটি পুরষ্কারের মূল্যমান এক লাখ টাকা।
অনুষ্ঠানে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশের দুগ্ধ খাতের ৫১ জন সফল খামারি ও উদ্যোক্তার হাতে এসময় মন্ত্রী ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষ্যে খামারিদের এ ধরনের সম্মাননা প্রদান তাদের দুগ্ধ উৎপাদনে আরও উৎসাহিত করবে এবং ফলে এ সেক্টরের উন্নতি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে মন্ত্রী এসময় মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৬ মাস আগে
দেশের খাদ্য সংকট দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত: মন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের খাদ্য সংকট দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত।
তিনি বলেন, খাদ্য ও প্রাণিজ আমিষের যোগান আসে এ খাত থেকে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও ভূমিকা রাখছে এ খাত।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরাম (এফএলজেএফ) প্রকাশিত ‘এফএলজেএফ ভয়েসের’প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
এসময় মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ৫২টি দেশে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি হয়। বাংলাদেশ থেকে মাংস রপ্তানিরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ বিদেশে বাংলাদেশের মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এজন্য রোগ মুক্ত গবাদিপশুর অঞ্চল তৈরি করে আমরা মাংস রপ্তানির প্রক্রিয়ায় রয়েছি।
তিনি বলেন, এভাবেই সাম্প্রতিককালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। এ উন্নয়ন দৃশ্যমান উন্নয়ন, এ উন্নয়ন কথার ফুলঝুড়ি নয়, এ উন্নয়ন বাস্তবসম্মত উন্নয়ন। এ উন্নয়নের একটি বড় অংশীদার গণমাধ্যমকর্মীরা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বিকশিত হওয়ার অনেক পথ ও পন্থা দেখিয়েছে গণমাধ্যম।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৮২ শতাংশ, এটি বিস্ময়কর। এক সময় বলা হতো মাছের আকাল, মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ যেগুলো একসময় বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল, সেগুলো এখন সবখানে পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমরা অর্জন করেছি। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাছের মোট উৎপাদন হয়েছে ৪৯ দশমিক ১৫ লাখ টন লাখ মেট্রিক টন, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট উৎপাদনের চেয়ে প্রায় ৮২ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, মাছ উৎপাদনে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও এসেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, চাষের মাছ উৎপাদনে পঞ্চম এবং ইলিশ আহরণে প্রথম স্থানে রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, জনসাধারণের জন্য নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ মন্ত্রণালয়ের আওতায় আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাবরেটরি করা হয়েছে। ফলে দেশের মানুষের খাবারের জন্য মাছ সুস্বাদু ও নিরাপদ হবে এবং বিদেশে রপ্তানির মাছও নিরাপদ হবে। ফলে মাছ রপ্তানিতে মানসম্পন্ন জায়গায় আমরা পৌঁছুতে পেরেছি। নিরাপদ মাছ উৎপাদনের জন্য মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০ ও মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ আইন, ২০২০ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের টেকসই আহরণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সমুদ্রসীমায় মৎস্য নৌযান মনিটরিং, কন্ট্রোল ও সার্ভিল্যান্স জোরদারকরণে ভেসেল মনিটরিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জয়েন্ট মনিটরিং সেন্টার। এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৫০০টি আর্টিসনাল মৎস্য নৌযান ও ৫টি বাণিজ্যিক মৎস্য নৌযান প্রযুক্তিভিত্তিক ভেসেল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে। সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ‘গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ খাতের অর্জন তুলে ধরে এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দুধ উৎপাদনের পরিমাণও পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ১৫ বছরে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন যথাক্রমে প্রায় ৫ গুণ, ৭ গুণ এবং ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান, উপকরণ সহায়তা প্রদান ও সহজ শর্তে সরকার ঋণ দিচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। প্রাণিচিকিৎসা খামারির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের ৬১টি জেলার ৩৬০টি উপজেলায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ফলে অসুস্থ প্রাণিকে এখন হাসপাতালে নিতে হয় না, হাসপাতাল প্রাণির কাছে চলে যাচ্ছে। প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের ফলে কোরবানির সময় এখন পাশ্ববর্তী দেশের ওপর নির্ভর থাকতে হয় না বরং উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে কোরবানির হাটে গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকছে।
শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, দেশে চিড়িয়িাখানা পরিচালনার জন্য কোনো আইন ছিলনা। সম্প্রতি চিড়িয়াখানা আইন সংসদে পাশ হওয়ায় দেশের চিড়িয়াখানার আইনগত ভিত্তি তৈরি হয়েছে। দেশে ডেইরি খাতের জন্য ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড ছিল না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সম্প্রতি ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড গঠনের উদ্দেশ্যে সরকার আইন প্রণয়ন করেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. আব্দুল কাইয়ূম, যুগ্মসচিব ও মন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুমনসহ ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে