২৬ বছর
হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ২৬ আসামির যাবজ্জীবন
নওগাঁর মান্দা উপজেলার আজিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ২৬ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা ও অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. মোখলেছুর রহমান এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী শামসুর রহমান ও আসামি পক্ষে আইনজীবী রফিকুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
এদিকে এই মামলার ৩৪ জন আসামির মধ্যে ৮ জন মারা গেছেন। শুনানির সময় ২২ জন আদালতে উপস্থিত এবং ৪ জন পলাতক ছিলেন।
২৬ জন আসামিরা হলেন- মনছুর আলী, আলতাব হোসেন মন্ডল, এনামুল হক, দেলোয়ার হোসেন, ফজের আলী, ফজলুর রহমান, কাদের আলী, জবেদ আলী, কাজেমুদ্দিন, ওহিদুল ইসলাম (রহিদুল), আছিব উদ্দিন, আনিছার রহমান, মোখলেছুর রহমান, কাশেম আলী মন্ডল, লিয়াকত আলী প্রামানিক, মোখলেছুর রহমান, জালাল উদ্দীন, মোজাহার আলী ওরফে মোজাফ্ফর আলী, শাহাজাহান, ছাইদুর রহমান, পৈক্যা (বুলু), আজাদ আলী মৃধা, আশরাফুল মৃধা, কলিমুদ্দিন মন্ডল, পটল ওরফে পরশ উল্যা প্রামানিক ও মাসুদ ওরফে কালু।
এদের মধ্যে মোখলেছুর রহমান, এনামুল হক, আনিছুর রহমান ও মোজাহার আলী পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুর রহমান বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ১৯৯৮ সালে মান্দা উপজেলার ভরট্ট শিবনগর গ্রামে আজিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর সকালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন আজিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ওই দিন বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে নিহত আজিম উদ্দিনের ছেলে মো. আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলা তদন্ত শেষে ৩৪ আসামির নাম উল্লেখ করে বিচারের জন্য আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরমধ্যে ৮ আসামির মৃত্যু হয়েছে।
দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২ ও ৩৪ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
২ মাস আগে
২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
১৯৯৮ সালে কুমিল্লা বরুড়ায় ফার্নিচার ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এই ঘটনায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গোসলের ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায়ে দেন।
মো. শহিদুল্লাহ বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের মৃত মাওলানা আব্দুল মজিদের ছেলে।
তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী ছিলেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ২৫ মে দুপুরে শহিদুল্লাহ তার জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যায়। তখন শহিদুল্লাহর সঙ্গে আসামিদের বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে রাতের বেলায় শহিদুল্লাহকে তার দোকান থেকে ডেকে নিয়ে আসামিরা কুপিয়ে জখম করে। এইসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
এই ঘটনায় ২২ মে নিহত আসামির ভাই আমানুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ১৫ জনের নামে অভিযোগ পত্র দেন। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ ২৬ বছর পর মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
১১ মাস আগে