মোহাম্মদ রফিকুল আলম
৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আগামী ৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে দেশে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে থাকা বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনা হবে। কাজ চলছে, পর্যায়ক্রমে তা করা হবে। ডিটেনশন সেন্টারে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তার উপর নির্ভর করছে। সে অনুযায়ী রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে।’
বাংলাদেশ দূতাবাস ত্রিপোলির প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৩ জন বাংলাদেশিকে ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
এরপর ৩০ নভেম্বর আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ১১০ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৩জন বাংলাদেশি
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে স্বাগত জানান প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের।
আইওএম তাদের প্রত্যেককে ৫৮৯৬ টাকা পকেট মানি ও কিছু খাবার দিয়েছে।
বিকল্প মুখপাত্র বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় এবং আইওএমের আর্থিক সহায়তায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লিবিয়ায় অভিবাসী বিরোধী অভিযানে আটক ৪০০০
১ বছর আগে
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসন শুরু করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ চলছে।
মিয়ানমারে পরিস্থিতির উন্নতি হলে শিগগিরই রাখাইনে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে তিনি সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করতে রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পর তারা কী কী সুবিধা ভোগ করবে সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
এই বছরের আগস্টে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছিলেন, সরকার এই বছর প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার শরণার্থী নিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও বিলম্ব ও মানবিক সহায়তার ঘাটতি সমগ্র অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।
কোনো সমাধান ছাড়াই সপ্তম বছরে পা দিয়েছে রোহিঙ্গা সংকট।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
১ বছর আগে