উপজাতি
চট্টগ্রামে ২ উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল মহাদেবপুর পাহাড়ি আদিবাসী পল্লীতে দুই ত্রিপুরা তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় আবুল হোসেন নামে এক আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আলীমুল্লাহ এই রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলায় বেখসুর খালাস পেয়েছে মো. মানিক নামে আরেক আসামি।
বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পোশাল পিপি অ্যাডভোকেট অশোক কুমার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, দুই উপজাতির তরুণীর পরিবার আশঙ্কা করেছিল তারা যেহেতু উপজাতি হয়তো সঠিক বিচার পাবে না। তাদের সে ভুল ভেঙ্গেছে রায়ের মধ্য দিয়ে। মামলার বাদী এবং দুই তরুণীর পরিবার বলেছে তারা ন্যায় বিচার পেয়েছে।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৮ মে রাতে সীতাকুণ্ড উপজেলায় জঙ্গল মহাদেবপুর পাহাড়ি আদিবাসী পল্লী থেকে দুই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তারা হল- ত্রিপুরা আদিবাসী পল্লির বাসিন্দা ফলিন ত্রিপুরার কন্যা সুখলতি ত্রিপুরা (১৫) এবং সুমন ত্রিপুরার কন্যা ছবি রাণী ত্রিপুরার (১২)। একই ঘরের একটি কক্ষে একজনের লাশ ঝুলন্ত এবং অপরজনের লাশ অর্ধ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার উপজাতি শিক্ষার্থী
এ ঘটনায় পরদিন সীতাকুণ্ড থানায় নিহত কিশোরী ছবি রানী ত্রিপুরার বাবা সুমন ত্রিপুরা বাদি হয়ে মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, দুই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
অভিযোগ ছিল, বেশ কিছু দিন ধরে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আবুল হোসেন দুই কিশোরীকে উত্যক্ত করে আসছিল। এই ঘটনায় তাকে প্রধান আসামি সহ তিনজনকে আসামি করা হয়।
তারা হলেন মো. রাজিব ও মো. মানিক।
অ্যাডভোকেট অশোক কুমার জানায়, মামলা চলাকালে আসামি রাজিব দুর্বৃত্তদের হাতে মারা যায়।
প্রধান আসামি আবুল হোসেন ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলায় আবুল হোসেন ও মো. মানিক আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আরও পড়ুন: বাসাইলের সাবেক ইউএনও মঞ্জুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নাটোরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় বৃদ্ধের ১০ বছরের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
বিশ্বের নিঃসঙ্গতম ‘গর্তের মানুষ’ এর মৃত্যু
ব্রাজিলের একটি বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীর শেষ সদস্য মারা গেছেন। বিশ্বের এই নিঃসঙ্গতম ব্যক্তি ‘গর্তের মানুষ’ নামে পরিচিত ছিলেন।
গভীর গর্ত খনন করার জন্য তিনি ‘ম্যান অব হোল’ বা ‘গর্তের মানুষ’ নামে পরিচিত। গর্ত খুড়ে তিনি প্রাণীদের ফাঁদে ফেলতেন যেটিকে প্রাণীগুলো লুকানোর জায়গা মনে করতো।
লোকটির নাম জানা যায়নি, বিগত ২৬ বছর ধরে তিনি একা বসবাস করে আসছিলেন।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, গত ২৩ আগস্ট কুঁড়েঘরের ঘরের বাইরে একটি হ্যামক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে কোনো আক্রমণ বা আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
১৯৯৫ সালে এই আদিবাসীর ছয় সদস্য মারা যাওয়ার পর তিনিই একমাত্র বেঁচে ছিলেন। বলিভিয়া সীমান্ত এলাকার রন্ডোনিয়া রাজ্যের তানুরুতে এই আদিবাসীরা বসবাস করে আসছিলেন।
মনে করা হয়, ১৯৭০ দশকের শুরুতে রেঞ্জাররা তাদের ভূমি সম্প্রসারণের জন্য এই উপজাতির অধিকাংশ মানুষকে হত্যা করে।
ধারণা করা হচ্ছে ‘ম্যান অব দ্যা হোল’ ৬০ বছর বয়সে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন।
কর্মকর্তার বলছে, ওই এলাকায় কারও অনুপ্রবেশের কিংবা তার ঘরে বিরক্ত করার চিহ্ন নেই। তবে পুলিশ তদন্তের জন্য তার লাশটি নিয়ে গেছে।
ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, আদিবাসীদের ঐতিহ্যগত ভূমির অধিকার আছে, সুতরাং যারা সেই ভূমি কেড়ে নিতে চায় তারা তাদের হত্যা করে।
পড়ুন:বাংলাদেশ-ব্রাজিলের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষর
ব্রাজিলের আদিবাসী বিষয়ক সংস্থা ফুনাই’র প্রতিনিধি ১৯৯৬ সাল থেকে তার নিরাপত্তার বিষয়টি তদারকি করতো।
ফুনাই’র সদস্য ২০০৮ সালে জঙ্গলে তার মুখোমুখি হলে একটি ছবি সংগ্রহ করেছিল। ফুটেজে দেখা
যায় সে কুড়াল সদৃশ্য কিছু একটা নিয়ে গাছে উঠছিল।
এরপর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। কিন্তু ফুনাই প্রতিনিধিরা গভীর গর্ত খুড়ে তৈরি করা তার কুঁড়েঘরে গিয়েছিল।
এর মূলে কিছু সূচারু জিনিস আছে যেগুলোকে প্রাণী শিকারের ফাঁদ মনে করা হয়। যখন
বহিরাগতরা তার দিকে আসত তখন এটি সে লুকানোর জন্য ব্যবহার করতো।
তার কুঁড়েঘরের আশপাশে এমন প্রমাণ মেলে যে সেখানে তিনি ভূট্টা, পেঁপে ও কলার মতো ফলমূল চাষ করতেন।
ব্রাজিলে ২৪০ টি আদিবাসী গোষ্ঠী আছে। যাদের অনেকে হুমকির মধ্যে রয়েছে। কারণ অবৈধ খনি শ্রমিক, কাঠুরে এবং কৃষকরা তাদের ভূখন্ড দখল করে নিয়েছে। সার্ভাইভাল ইন্টারন্যাশনাল সতর্ক করছে, আদিবাসীদের অধিকারের জন্য একটি গোষ্ঠী লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ
ব্রাজিলে ভূমিধসে কমপক্ষে ৯৪ জনের মৃত্যু
২ বছর আগে
ব্লু নীল প্রদেশে উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত: সুদানীয় কর্তৃপক্ষ
সুদানের দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্লু নীল প্রদেশে উপজাতি দুই গোষ্ঠীর মধ্যকার সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩১জন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার স্থানীয় সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে একজন কৃষককে হত্যার পর ব্লু নীল প্রদেশে হাউসা ও বির্তা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই বেড়েছে।
সংঘর্ষে অন্তত ৩৯ জন আহত হয়েছে এবং রোজাইরেস শহরে ১৬টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকার এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনতে সামরিক ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) মোতায়েন করেছে।
যে এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে সেখানে কর্তৃপক্ষ রাতের বেলা কারফিউ জারি করেছে এবং জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে।
এর আগে এপ্রিলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দারফুরে উপজাতীয় সংঘর্ষে ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় ১০ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানায় ধূলিঝড়ে গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ৬
২ বছর আগে
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার উপজাতি শিক্ষার্থী
কক্সবাজারের চকরিয়ার বমু বিলছড়িতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে গিয়ে এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
৪ বছর আগে