এ ঘটনায় স্থানীয় জনতার সহায়তায় ধর্ষক শিমু বড়ুয়াকে (৩০) আটকের পর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শিমু লামা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়ার বাদল বড়ুয়া প্রকাশ আইয়ুব খানের ছেলে এবং চকরিয়ার মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রহরী।
ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এনজিও পরিচালিত ‘হেব্রোন ছাত্রী হোস্টেলে’ থাকতেন। ধর্ষণের ঘটনায় হোস্টেলের ব্যবস্থাপক সুভাষ ত্রিপুরা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে চকরিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত কমিটির অভিষেক, মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল শুক্রবার ‘হেব্রোন ছাত্রী হোস্টেলের’ মাঠে। রাতে চলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগের জন্য হোস্টেলের শিক্ষার্থীদেরও অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাত ৮টার দিকে এক শিক্ষার্থী হোস্টেলের পূর্ব পাশে খালি জায়গায় টিউবওয়েল থেকে পানি পান করতে যায়। এ সময় শিমু বড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীকে মুখ চেপে জোরপূর্বক নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ সময় শিক্ষার্থীর চিৎকারে আশপাশ থেকে মানুষ জড়ো হয়ে শিমুকে আটক করে লামা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
লামা থানার ওসি অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, ধর্ষণের ঘটনাস্থলটি চকরিয়া উপজেলাতে পড়ায় রাতেই ধর্ষক শিমুকে চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ছাত্রী হোস্টেলের ব্যবস্থাপক বাদী হয়ে এজাহার দিলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়া হয়। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শিমু বড়ুয়াকে উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।