২ প্রার্থী
ময়মনসিংহের ১১ আসনে আ. লীগের ২ প্রার্থীসহ ১৯ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার
ময়মনসিংহ জেলার ১১টি সংসদীয় আসনে ১৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
রবিবার কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া ময়মনসিংহ-৫ ও ময়মনসিংহ-৮ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
এছাড়া জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে জাকের পার্টির সাতজন, জাসদের ছয়জন, তরিকত ফেডারেশনের একজন ও তিজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফলে নির্বাচনে ১১টি আসনে ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী আইনজীবী এস.এম শিব্বির আহমেদ লিটন, জাকের পার্টির সঞ্জিত সাহা।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ডা. মতিউর রহমান ও তরিকত ফেডারেশনের বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী।
ময়নসসিংহ-৪ (সদর) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী আইনজীবী নজরুল ইসলাম চুন্নু ও জাকের পার্টির কামাল উদ্দিন।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবদুল হাই আকন্দ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মো. শামছুল আলম খান।
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু ও জাকের পার্টির এসএম দেলোয়ার হোসেন।
ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী রতন কুমার সরকার, জাকের পার্টির মো. জুয়েল রানা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মো. আবদুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে জাকের পার্টির মো. শফিকুল আলম।
ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে জাকের পার্টির মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান। ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মো. সাদিক হোসেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
ময়মনসিংহের ১১টি সংসদীয় আসনে ১০৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাই বাছাইয়ে ২৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে আরও পাঁচজনের মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে।
বৈধ প্রার্থী নান্দাইলের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপিলে প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
ফলে ৮৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত ছিল। এর মধ্যে ১৯ জন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় নির্বাচনে ১১টি আসনে ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় ২ জন নিহত
ময়মনসিংহে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাইভেটকার পুকুরে পড়ে নিহত ২, আহত ৪
১ বছর আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নওগাঁয় ২ প্রার্থীকে শোকজ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার এবং একই আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আইনজীবী তোফাজ্জল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে এই দুই প্রার্থীকে আলাদা চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে মেয়র ও ৫ কাউন্সিলর পদপ্রার্থীকে শোকজ
নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সহকারী জজ মো. আহসান হাবিব বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
সিনিয়র সহকারী জজ মো. আহসান হাবিব জানান, ৩০ নভেম্বর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকারের উপস্থিতিতেই দলীয় নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল শোডাউন করে।
আর ৩ ডিসেম্বর থেকে কয়েকদিন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আইনজীবী তোফাজ্জাল হোসেনের লোকজন রঙ্গিন ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে।
যা নির্বাচনী আচরণবিধিমালার ২০০৮ এর ৬ (ঘ) ও ১২ নং বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তাই আগামী ১০ ডিসেম্বর দুপুরে অস্থায়ী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আইনজীবী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।
এছাড়া, আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: ফেনীতে নৌকার প্রার্থীকে শোকজ
সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগে এমপি মোস্তাফিজুরকে শোকজ
১ বছর আগে