ভেটেরিনারি অনুষদ
বৃত্তি পেল বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ৩৬ শিক্ষার্থী
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের ৩৬ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। প্রতি শিক্ষার্থী ছয় মাসের জন্য সাড়ে সাত হাজার টাকা বৃত্তি হিসেবে পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষদীয় মেডিসিন কনফারেন্স হলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান।
আরও পড়ুন: ৫ শতাধিক গবেষকের অংশগ্রহণে বাকৃবিতে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. নাজিম আহমাদ ও ইন্টার অ্যাগ্রো বিডি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. একেএম খসরুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘অনুষদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগটি সত্যি প্রশংসনীয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন ভালো কাজে কখনও কার্পন্য করবে না। ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনে সব অনুষদ থেকেই এমন আয়োজন করা হবে বলে আশা করি।’
আরও পড়ুন: নানা অভিযোগে ডিন অফিসে তালা দিলেন বাকৃবির ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা
৫১ দিন আগে
বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদের নতুন শিক্ষাবর্ষের যাত্রা শুরু
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের ভর্তি হওয়া প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থীদের বরণের মাধ্যমে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যাত্রা শুরু হয়েছে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘তোমাদের শিক্ষকরা অন্য দেশে (যাওয়ার বা থাকার) সুযোগ না নিয়ে তোমাদের জন্য, দেশের জন্য আবার (দেশে) ফিরে এসেছেন। তোমরাও ভবিষ্যতে দেশের জন্য অবদান রাখবে, দেশকে ভালবাসবে। একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।’
সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোমেনা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আজকে থেকে তোমরা বন্ধু হয়ে গেলে। আমরণ এই বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন কেউ কাউকে হেয় করবে না, কাউকে সরিয়ে দেব না, একজন আরেকজনকে সাহায্য করবে। প্রথম থেকেই প্রায়োরিটি সেট করতে হবে। পড়ালেখার পরিকল্পনা করতে হবে, কীভাবে পড়ব, কোন কোর্সে কোন রেজাল্ট চাই ইত্যাদি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতিমাত্রায় মোবাইল ফোননির্ভর না হয়ে খাতায় লেখার অভ্যাস করতে হবে। ভালো একাডেমিক অভ্যাসে নিজেকে উন্নীত করতে হবে।’
পড়ালেখার পাশাপাশি এক্সট্রা-কারিকুলার কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং আনন্দের সঙ্গে পড়ালেখা করতে হবে বলেও শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন এই অধ্যাপক।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পর্ব শেষে ভেটেরিনারি অনুষদের ভবন, পাঠদান ও সব বিভাগ নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তোফাজ্জল হোসেন।
আরও পড়ুন: নিজ কার্যালয়ে বাকৃবি কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৮১ দিন আগে
দেশের প্রথম গয়াল-ইল্যান্ডের কঙ্কাল তৈরি করলেন বাকৃবি অধ্যাপক
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের এনাটমি মিউজিয়ামে প্রথমবারের মতো গয়াল ও আফ্রিকান কমন ইল্যান্ডের কঙ্কাল প্রস্তুত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার সহযোগিতায় ২০১৯ সাল থেকে এনাটমি মিউজিয়ামের উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে উদ্যোগ গ্রহণ করেন এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি, গৃহপালিত ও বন্য প্রাণির ১৪টি কঙ্কাল প্রস্তুত করেছেন। তিনি দেশে প্রথমবারের মতো গয়াল, আফ্রিকান কমন ইল্যান্ডের কঙ্কাল ও দ্বিতীয় হিসেবে জিরাফের কঙ্কাল তৈরি করেছেন।
মিউজিয়ামটিতে হাতি, জিরাফ, শুশুক, হরিণ, অ্যারাবিয়ান হর্স, বানর, খরগোশ, বিড়াল, কুকুর, টার্কি, হাঁস ও মুরগির কঙ্কাল প্রস্তুত সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া জলঢোঁড়া সাপ ও লেঙ্গুরের কঙ্কাল বানানোর কাজ চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাকৃবির মরণ সাগর: সূর্য সন্তানদের অমলিন স্মৃতি
৪৭৬ দিন আগে