বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের এনাটমি মিউজিয়ামে প্রথমবারের মতো গয়াল ও আফ্রিকান কমন ইল্যান্ডের কঙ্কাল প্রস্তুত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার সহযোগিতায় ২০১৯ সাল থেকে এনাটমি মিউজিয়ামের উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে উদ্যোগ গ্রহণ করেন এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি, গৃহপালিত ও বন্য প্রাণির ১৪টি কঙ্কাল প্রস্তুত করেছেন। তিনি দেশে প্রথমবারের মতো গয়াল, আফ্রিকান কমন ইল্যান্ডের কঙ্কাল ও দ্বিতীয় হিসেবে জিরাফের কঙ্কাল তৈরি করেছেন।

মিউজিয়ামটিতে হাতি, জিরাফ, শুশুক, হরিণ, অ্যারাবিয়ান হর্স, বানর, খরগোশ, বিড়াল, কুকুর, টার্কি, হাঁস ও মুরগির কঙ্কাল প্রস্তুত সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া জলঢোঁড়া সাপ ও লেঙ্গুরের কঙ্কাল বানানোর কাজ চলমান রয়েছে।

আরও পড়ুন: বাকৃবির মরণ সাগর: সূর্য সন্তানদের অমলিন স্মৃতি

অধ্যাপক রফিকুল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে থেকেই এনাটমি মিউজিয়াম রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা, গবেষণা ও প্রদর্শনীর লক্ষে মিউজিয়ামটিতে মোট ১৪টি প্রাণির কঙ্কাল নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে। ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের  প্রাণির বিভিন্ন অঙ্গ, অস্থি ও মাংসপেশির অবস্থান সম্পর্কে ধারনা দিতে ভূমিকা রাখবে সংগ্রহশালাটি।’

তিনি আরও বলেন, পশু চিকিৎসকদের সকল ধরনের গৃহপালিত ও বন্য প্রাণির চিকিৎসা করতে হয়। তাই  পশু চিকিৎসকদের পশুর এনাটমি সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখতে হয়। তা না হলে সার্জারি, মেডিসিন, ফিজিওলজির বিষয়গুলোতে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব না। এছাড়া, বিলপ্তুপ্রায় প্রাণিদের নিয়ে গবেষণা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতেও মিউজিয়ামটির উন্নয়ন করা হচ্ছে।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগামীতে বড় ধরনের অর্থায়ন পেলে মিউজিয়ামটি আরো সমৃদ্ধ করা হবে এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ গবেষক