মুক্তিযোদ্ধা
ঢাকায় পৌঁছেছে ফারুকের মরদেহ
চিত্রনায়ক, মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মরদেহ এখন ঢাকায়।
মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর ফটক দিয়ে ফারুকের মরদেহ বের করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিমানবন্দর থেকে ফারুকের মরদেহ সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর উত্তরায় তার নিজের বাস ভবনে। সেখান থেকে সব শ্রেণি পেশার মানুষের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, সকাল ১১ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত সেখানে রাখা হবে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে মারা গেলেন নায়ক ফারুক
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে। বাদ জোহর প্রয়াত তারকার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিএফডিসিতে নিয়ে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এফডিসির শ্রদ্ধা নিবেদন হবে আনুমানিক সাড়ে ৩টায়।
এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে চ্যানেল আই। সেখান থেকে বিকাল ৫ টায় গুলশান আজাদ মসজিদে বাদ আছর জানাজা নামাজ শেষে কালীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে এবং পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৪ মে (সোমবার) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন চিত্রনায়ক ফারুক।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে তারকাদের শোক
চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়াভাই খ্যাত চিত্রনায়ক, মুক্তিযোদ্ধা, ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা, চিত্রনায়ক ফারুক আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে মাতৃভূমির জন্য অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। বাংলা চলচ্চিত্রে তার অবদান বিশেষ করে তার অভিনয় শৈলী দেশের মানুষ অনেক দিন মনে রাখবে। সংসদ সদস্য হিসেবেও তিনি জনসাধারণের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শোকবার্তায় মরহুম আকবর হোসেন পাঠানের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে মারা গেলেন নায়ক ফারুক
অভিনেতা ফারুকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
সিঙ্গাপুরে মারা গেলেন নায়ক ফারুক
চলে গেলেন নায়ক, মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফারুক।
মঙ্গলবার ভোরের ফ্লাইটে অভিনেতা ফারুকের লাশ ঢাকায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় আসেন নায়ক ফারুক।
অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আজহার মাহমুদ মারা গেছেন
ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক পরিচালক নাসিরুদ্দিন মারা গেছেন
মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন হত্যার ২০ বছর পর খুনি গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্মচারী ও জাতীয়তাবাদী রেল শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন আহমদ হত্যা মামলার ২০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাজহারুল ইসলাম ফরহাদকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (৮ মে) দুপুরে র্যাব-৭ এ তথ্য জানায়।
এর আগে রবিবার (৭ মে) দুপুরে মহানগরীর খুলশী থানাধীন আমবাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
গ্রেপ্তার মাজহারুল নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের মো. মফিজ মিয়ার ছেলে।
তিনি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী-১ কার্যালয়ে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবসার জানান, গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্তে শফিউদ্দিন হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাজহারুল ইসলাম ফরহাদকে শনাক্ত করা হয়। পরে রবিবার অভিযান চালিয়ে খুলশীর আমবাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দীর্ঘ ২০ বছর চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন।
জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার উত্তর আমবাগান এলাকায় রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে ঢুকে সন্ত্রাসী মাজহারুল ইসলাম ফরহাদের নেতৃত্বে দুবৃর্ত্তরা শ্রমিক নেতা শফিউদ্দিনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় শফিউদ্দিনের স্ত্রী বাদী হয়ে মাজহারুলসহ আরও সাত-আটজনকে আসামি করে খুলশী থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকে মাজহারুল আত্মগোপন থাকেন। পরে ওই মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
হত্যাকাণ্ডের পর আমবাগান এলাকা ছেড়ে যাওয়া ফরহাদ সম্প্রতি আবার এলাকায় ফেরেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারের পর তিনি শফিউদ্দিন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি বলে স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় বাবাকে হত্যার পর মাটিচাপা, ছেলে গ্রেপ্তার
কুয়াকাটায় পর্যটকদের মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
কালিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর দখল মুক্ত করেছে পুলিশ
নড়াইলের কালিয়ার সেই মুক্তিযোদ্ধা এস এম মতিয়ার রহমানের বসতঘর দখল মুক্ত করেছে কালিয়া থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তালা খুলে দখল মুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মতিয়ার রহমান উপজেলার বিলধুড়িয়া গ্রামের মৃত মমিন উদ্দিন শেখের ছেলে।
এর আগে ৩০ মার্চ বিরোধীরা তার বসত ঘরের তালা ভেঙে দখল করে নিলে মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান গত ১০ এপ্রিল ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মতিয়ার রহমান দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ্য থাকার সুযোগে প্রতিবেশি মো. শাহাজান শেখ এক খণ্ড জমি নিয়ে তার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে। একজন অসুস্থ্য ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে একটি বীর নিবাস উপহার দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বীর নিবাস হস্তান্তর করলে মতিয়ার তার বসতঘরটি তালাবদ্ধ করে স্বপ্নের বীর নিবাসে চলে যান।
৩০ মার্চ বিকাল ৫ টার দিকে শাহাজানের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে সাতজন দুর্বৃত্ত মতিয়ারের তালাবদ্ধ বসত ঘরের তালা ভেঙে দখল করে ঘরে থাকা মালামাল লুটে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়।
ওই দিনই সন্ধ্যায় তিনি বড়নাল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসির (ক্যাম্প ইনচার্জ) কাছে দখলদার উচ্ছেদসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করে। পরে তিনি অভিযোগটি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কালিয়া থানায় পাঠন।
এরপর ১৫ দিন পর শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) হস্তক্ষেপে দখলকৃত বসতঘরটি দখল মুক্ত করে মতিয়ার রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন।
মতিয়ার রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, তার বসতঘরটি অবৈধ দখল মুক্ত হওয়ায় তিনি আনন্দিত। ন্যায় বিচার পেয়ে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি ।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার শেখ নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর দখলের অভিযোগটি জানতে পেরে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে বসতঘরটি দখল মুক্ত করা হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সমস্যার সমাধান করতে পেরে তিনি আনন্দিত বলে জানান।
কালিয়ার ইউএনও ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি রুনু সাহা বলেছেন, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আইনি সহায়তা দিয়ে তার অধিকার সংরক্ষণ করাই প্রশাসনের মূললক্ষ্য।
অতি অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ তার সমস্যার সমাধান করায় তিনি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৮ বসতঘর পুড়ে ছাই
বসতঘরে আগুন লেগে বৃদ্ধার মৃত্যু
ডা. জাফরুল্লাহকে শুক্রবার সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে: পরিবার
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে শুক্রবার সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাবার নামাজে জানাজার আগে আলাপকালে ড. জাফরুল্লাহর ছেলে ও পরিবেশবিদ বারিক চৌধুরী এসব কথা বলেন।
বারিক চৌধুরী বলেন, আমার বাবা চেয়েছিলেন তার মরদেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য দান করা হোক। এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু তার প্রতি শ্রদ্ধার কারণে কোনো হাসপাতালই তার দেহ কাটতে রাজি হয়নি। তাই তার লাশ সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল সকাল ১০টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আরেক নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে তাকে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার রাখা হবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
মঙ্গলবার ডা. জাফরুল্লাহ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান।
এর আগে সোমবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রবীণ এই চিকিৎসককে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মুস্তাফিকে প্রধান করে রবিবার একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী মেডিসিনে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে ছিলেন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি ক্যাপ্টেন আখতার আহমেদের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের জন্য ৪৮০ শয্যার বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
হাসপাতালটি তখন বাংলাদেশি চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক এবং স্বাস্থ্যসেবায় পূর্বে কোনো প্রশিক্ষণ নেই এমন নারীদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। তবে, তাদেরকে রোগীদের সহায়তা করার জন্য কয়েক দিনের মধ্যেই প্রশিক্ষিত করা হয়েছিল। এই ঘটনাটি অনন্য। স্বাধীনতার পর যখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্ম হয়, তখন এই বৈপ্লবিক প্রস্তাবের পেছনের ধারণাটি জনস্বাস্থ্য সরবরাহের দর্শনে বিকশিত হয়।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ লাইফ সাপোর্টে
তিনি ১৯৮২ সালে গৃহীত দেশের প্রথম জাতীয় ওষুধ নীতির স্থপতিও ছিলেন। যা এখনও জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দেশের সাফল্যের একটি কেন্দ্রীয় হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জনসংখ্যার আকারের বিচারে এটি অবিস্মরণীয় কঠিন কাজ।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কেটেছে কলকাতায় এবং পরে তার পরিবার বাংলাদেশে বসতি স্থাপন করে। তিনি ১৯৭২ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। 'বেসিক হেলথ কেয়ার ইন রুরাল বাংলাদেশ' (গ্রামীণ বাংলাদেশে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা) শীর্ষক একটি ধারণাপত্রে এই প্রস্তাব প্রথম উপস্থাপন করা হয়।
জাফরুল্লাহ ছিলেন তার মা-বাবার ১০ম সন্তান। বকশীবাজারের নবকুমার স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কমিউনিস্ট রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে পরিচিত হন।
তিনি ১৯৬৪ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং জেনারেল অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারিতে স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য যুক্তরাজ্যে যান। তবে যুদ্ধে ফিরে এসে তার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।।
১৯৮৫ সালে তিনি ওষুধ নীতি ১৯৮২ এর ওপর তার কাজের জন্য কমিউনিটি লিডারশিপ বিভাগে র্যামন ম্যাগসেসে পুরষ্কার জিতেছিলেন।
স্বাস্থ্য ও মানব উন্নয়নে তার ব্যতিক্রমী কাজের জন্য তিনি ১৯৯২ সালে রাইট লাইভলিহুড পুরস্কার লাভ করেন।
আরও পড়ুন: রাফসান হত্যার নেপথ্যে কিছু আছে কিনা তদন্ত করতে হবে: কাজী জাফরুল্লাহ
সুযোগ সীমাবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কম ব্যয়বহুল জেনেরিক ওষুধের বিকাশে অগ্রদূত ছিল। জাফরুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশে পল্লী স্বাস্থ্যসেবা বীমা ব্যবস্থা চালু করে।
২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইউসি বার্কলে তাকে আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য হিরো হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী অত্যন্ত সরল জীবনযাপনের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে নিজেকে আকৃষ্ট করেছেন, তবে জনস্বার্থে নিজের বিবেকের কথা বলতে কখনও পিছপা হননি।
যদিও তিনি কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন না, তবুও তিনি অনিবার্যভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত হয়েছিলেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং শেষ দিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
কিন্তু তার সামগ্রিক জীবনের কাজকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে গণ্য করা যায় না এবং এমন অনেক সময় ছিল যখন তার মতামত বিএনপির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক ছিল।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
ডা. জাফরুল্লাহ লাইফ সাপোর্টে
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সোমবার সকালে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতায় মন্দিরে ভাঙচুর : ডা. জাফরুল্লাহ
এদিকে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রবিবার অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মুস্তাফির নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মুস্তাফি বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
সরকারের দায়িত্ব শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া: ডা. জাফরুল্লাহ
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা স্বরূপ রাজধানীর মোহাম্মদপুর গজনবী রোডস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ফল ও মিষ্টান্ন প্রেরণ করেন।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের প্রতিটি রাষ্ট্রীয় দিবস ও উৎসবে, যেমন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পবিত্র ঈদ ও বাংলা নববর্ষের দিনে তাদের স্মরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তারা জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের নিকট তুলে ধরার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে দেশের প্রন্তিক মানুষের কল্যাণ হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার ভালো থাকেন।
তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ধিত হারে ভাতা প্রদান, চিকিৎসা এবং আবাসনের সুব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মুক্তিযোদ্ধাগণ মনে করেন যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ একদিন জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ এবং আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য ও উপস্থিত সকলেই প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু তাহের -এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, আবু তাহেরের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন ত্যাগী নেতাকে হারাল।
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে অসংখ্য মানুষ হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক