অনুপ্রবেশ
পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে ২ বাংলাদেশি আটক
অবৈধভাবে পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে দুই যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে ওই দুই যুবক বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা গেছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) ফেনী বিজিবির ব্যাটালিয়ন ৪ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আটকরা হলেন- নোয়াখালী জেলার সেনবাগের শ্রীপদী এলাকার মো. আব্দুল হালিম ও একই এলাকার মো. আরমান হোসেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেড় বছর আগে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে রাজমিস্ত্রি ও গ্রিলের কাজ করছিলেন আব্দুল হালিম ও আরমান। এরপর মঙ্গলবার রাতে পরশুরামের দক্ষিণ মালিপাথর সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার সময় তাদের আটক করা হয়।
ফেনী বিজিবির ব্যাটালিয়ন ৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘সীমান্তে নিরাপত্তা, চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির নানা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’
আটক ২ জনকে পরশুরাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশারফ হোসেন।
১ সপ্তাহ আগে
অবৈধভাবে সিলেটের সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকালে ৪ নারী আটক
অবৈধভাবে সিলেটের সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকালে চার নারীকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) সংগ্রাম বিওপির কাছে স্থানান্তর করা হয়।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে গোয়াইনঘাট জাফলংয়ের মায়াবী ঝর্ণা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ভোমরা স্থলবন্দরের গেইট ভেঙে অনুপ্রবেশকারী ২ ভারতীয় নাগরিক আটক
আটকরা হলেন- যশোরের অভয়নগর থানার সিদ্ধিপাশা গ্রামের জেবা বেগম (৩৫), খুলনা জেলার পাইকগাছ থানার পাটখেলপাতা গ্রামের নূর নাহার (৩৫), একই জেলার খালিশপুর থানার শিবপুর গ্রামের রিমি ঢালি (১৮) ও নড়াইল জেলার কালিয়া থানার পেরুলী গ্রামের লিপি বেগম (৪০)।
বিজিবি জানায়, পাচারকারী মো. জুয়েল রানার মাধমে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় চার নারীকে আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে স্থানীয় জনতা। এ সময় জুয়েল পালিয়ে যায়।
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) জানায়, নারীদের পাচার কাজে সহায়তা করায় জুয়েলকে পলাতক আসামি হিসেবে ও আটক চার নারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলা দায়ের পূর্বক গোয়াইনঘাট থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর সীমান্তে ৩৬ কেজি গাঁজা জব্দ, আটক ১
২ মাস আগে
মিয়ানমার থেকে গুলিবিদ্ধ নারীসহ ৫ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘাতের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট দিয়ে গুলিবিদ্ধ নারীসহ ৫ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪ টার দিকে মিয়ানমারের একটি ছোট মাছ ধরার ডিঙি নৌকা দিয়ে নাফ নদী পাড় হয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে এসে অবস্থান করে।
টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ৯ নম্বর ওর্য়াডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুস সালাম জানান, নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বিকালে একটি ডিঙি নৌকায় মিয়ানমার থেকে ৫ রোহিঙ্গা এসে আমাদের জেটিঘাটে পৌঁছায়। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) খবর দিলে ঘটনাস্থলে তারা পৌঁছান।
তবে, এ বিষয়ে টেকনাফ বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে ৪ রোহিঙ্গা আটক
অস্ত্র নিয়ে অনুপ্রবেশকারী ২৩ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে বিজিবির মামলা, নেওয়া হয়েছে আদালতে
৯ মাস আগে
সম্ভাব্য ব্যাপক অনুপ্রবেশের আগে গাজায় স্থল অভিযান ইসরায়েলি সেনাদের
গাজায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিধ্বংসী বিমান হামলার পর স্থলভাগে প্রত্যাশিত ব্যাপক আক্রমণের আগে ‘যুদ্ধক্ষেত্র প্রস্তুত করতে’ ইসরায়েলি সৈন্য ও ট্যাংকগুলো বৃহস্পতিবার রাতে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের বিরুদ্ধে একটি স্বল্পমাত্রার অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজা উপত্যকায় জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করার পর এই অভিযান চালানো হয়। এতে তারা গাজা উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাপক হারে কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
চলতি মাসের শুরুতে (৭ অক্টোবর) দক্ষিণ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হামাসের হামলার পর গাজাকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল।
গাজার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম কমে যাওয়ার কারণে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসাকর্মীরা। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শ্রমিকরা শহরের ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে বের করে আনছে শিশুসহ নিহত ও আহত অনেক বেসামরিক নাগরিকদের।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যা আগের দিন নিহত ৭০৪ জনের চেয়ে বেশি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) স্বাধীনভাবে মৃতের সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি এবং বেসামরিক ও যোদ্ধাদের আলাদা করে হিসাব করে না মন্ত্রণালয়।
হামাসের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের হামলায় হামাসের সদস্য নিহত হয়েছে এবং হামাসের সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে অবিরত রকেট হামলা চালিয়ে আসছে।
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাতভর অভিযানের সময় সৈন্যরা হামাসের যোদ্ধা, সামরিক অবকাঠামো এবং ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েক দশক ধরে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মধ্যে গাজায় মৃতের সংখ্যা নজিরবিহীন হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে আগের চারটি যুদ্ধে টিকে থাকা হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে ইসরায়েল যদি প্রত্যাশিত স্থল আক্রমণ শুরু করে, তাহলে আরও বড় সংখ্যায় প্রাণহানি ঘটতে পারে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে গত সপ্তাহে একটি হাসপাতালে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলি সরকারের মতে, এই লড়াইয়ে ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হামাসের প্রথম হামলায় নিহত বেসামরিক নাগরিক। হামাস গাজায় প্রায় ২২২ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জ্বালানি সরবরাহ হ্রাসের বিষয়ে সতর্ক করেছে যে মানবিক সংকট দ্রুত আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
গাজার জনগণ খাদ্য, পানি ও ওষুধও সংকটে ভুগছে। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে, যাদের প্রায় অর্ধেকই জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েল মিশর থেকে অল্প সংখ্যক ট্রাকে সাহায্য নিয়ে প্রবেশ করতে দিয়েছে, কিন্তু জেনারেটরের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়া-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় পৌঁছেছে ত্রাণের দ্বিতীয় বহর
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ৬ বছর: প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ, একীভূতকরণে চাপ দিচ্ছে কিছু দেশ
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আগমনের ছয় বছর পরও সরকার তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যদিও কিছু দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে তাদের একীভূত করার জন্য জোর দিচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের তাদের নিজভূমিতে ফিরে যাওয়ার পর তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে মিয়ানমারকে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন,‘আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে তারা (রোহিঙ্গারা) নিজ দেশে ফিরে যাবে। মিয়ানমারও তাদের ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছুক।’
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনী উত্তর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক অভিযান শুরু করে পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়, লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। যা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সরকার দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আলোচনা চলছে। আমরা সবসময় আশাবাদী।’ কিছু দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নে এবং তাদের এখানে রাখার সুপারিশ করেছে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই বিপুল জনসংখ্যা রয়েছে এবং অন্যান্য দেশের বিপুল সংখ্যক লোকের প্রয়োজন নেই।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা ১৯৭০, ৮০ এবং ৯০-এর দশকে বাংলাদেশে এসেছিল কিন্তু তারা সব সময়ই এসেছে, এমনকি অতীতে সামরিক শাসনের আমলেও।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের জন্য সমাধান খুঁজতে মানবিক প্রতিক্রিয়া এবং রাজনৈতিক সমর্থন বজায় রাখতে আর্থিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে নতুন করে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এই সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশু বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ছয় বছর পূর্ণ হচ্ছে।
তারা দেশে আগে আশ্রয় নেওয়া আরও কয়েক হাজার রোহিঙ্গার সঙ্গে যোগ দেয়।
বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী বন্দোবস্তের মানবিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এই দীর্ঘায়িত সংকটকে ঘিরে চ্যালেঞ্জগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, তহবিলের তীব্র হ্রাস মানবিক সহায়তায় ভূমিকা পালনকারীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনের দিকে মনোনিবেশ করতে বাধ্য করছে।
এটি প্রথমবারের মতো উদ্বাস্তুদের খাদ্য সহায়তা হ্রাসের দিকে পরিচালিত করেছে এবং নাটকীয় পরিণতির বিষয়ে উদ্বেগ জাগিয়েছে। এরমধ্যে ক্রমবর্ধমান অপুষ্টি, স্কুল ড্রপআউট, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতাও রয়েছে।
তাদের শক্তি এবং স্থিতিশীলতার সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা গত ছয় বছরে মানবিক প্রতিক্রিয়ার মেরুদণ্ড তৈরি করেছে এবং তাদের আতিথেয়তাকারী সম্প্রদায়গুলোকে সমর্থন করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উপকৃত করতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে।
এটি শুধুমাত্র শরণার্থীদের তাদের শেষ প্রত্যাবর্তনের জন্য সজ্জিত করবে না বরং বাংলাদেশে তাদের মর্যাদা, নিরাপত্তা এবং উৎপাদনশীলতাও নিশ্চিত করবে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা মঙ্গলবার বলেছে, শরণার্থীরা মানবিক সহায়তা হ্রাসের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হতে চায় না বলে এটি তাদের নিজস্ব কিছু প্রয়োজন মোকাবিলা করার ক্ষমতা দিতে পারে।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, মিয়ানমারে একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তন এই সংকটের প্রাথমিক সমাধান হিসাবে রয়ে গেছে। ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আমাদের নিয়মিত বলে আসছে যে তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় যখন তাদের পক্ষে স্বেচ্ছায় তা করা নিরাপদ।’
জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটি সম্ভব করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা নবায়ন করতে হবে। ‘যেহেতু জাতিসংঘ টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযোগী পরিস্থিতি তৈরি করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে প্রস্তুত রয়েছে। তাই এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে ইউএনএইচসিআর এবং এর অংশীদারদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন নিরবচ্ছিন্ন, অর্থবহ এবং অনুমানযোগ্য প্রবেশাধিকার প্রদান করা হয়, যার মধ্যে সহায়তা ও নিরীক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
ইউএনএইচসিআর বলেছে, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা সম্মিলিত লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাদের আদি বা পছন্দের জায়গায়, অবাধে চলাফেরা করতে এবং তাদের জীবন পুনর্গঠনের জন্য নথিপত্র, নাগরিকত্বের পথ, পরিষেবা এবং আয়-উন্নতির সুযোগগুলো অ্যাক্সেস করতে সক্ষম করতে হবে।
যতক্ষণ না তারা ফিরে আসতে পারে, তারা বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরে থাকছে। যেগুলো ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিধস, আগুনের প্রাদুর্ভাব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এই ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরের উপর একটি বিধ্বংসী প্রভাব রয়েছে। তাদের ফ্রিকোয়েন্সি পরবর্তী দুর্যোগের আগে বাঁশ এবং টারপলিন দিয়ে তৈরি আশ্রয়কেন্দ্র পুনর্নির্মাণে সময় দেয় না।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য ওআইসি-ইউএনএইচসিআরের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
১ বছর আগে
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সাজাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
ভারতে দুই বছর সাজা কাটানোর পর দেশে ফিরেছেন ১০ বাংলাদেশি যুবক।
বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফিরেছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ফেরত যুবকরা হলেন-আরিফ মোল্লা (২৩), কোরবান আলী (২৫), পান্নু মোল্লা (২৮), সোলাইমান (২০), শরিফ (২৪), সাইফুল ইসলাম (১৯), ইয়াছিন শেখ (২৫), নজিবুল ইসলাম (২০), সুমন্ত মন্ডল (১৮) ও সোহেল হাওলাদার (২১)।
আরও পড়ুন: সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৭ বাংলাদেশি যুবক
এরা রাজবাড়ি, বগুড়া, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা ১০ বাংলাদেশিকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তারা নিজ উদ্যোগে বাড়ি ফিরে যাবেন।
জাস্টিস এন্ড কেয়ারের ফিল্ড অফিসার রোকেয়া পারভিন বলেন, ফেরত যারা এসেছে তারা ভালো কাজের আশায় ভারতের চেন্নাই গিয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন পেশায় কাজ করার সময় তারা পুলিশের হাতে আটক হয়।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ তাদের জেলহাজতে পাঠায়। আদালত তাদের দুই বছরের সাজা দেয়। সাজার মেয়াদ শেষে ত্রিজি নামে একটি এনজিও সংস্থা ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফিরেছে।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬২ বাংলাদেশি
সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ৩ বাংলাদেশি নারী
১ বছর আগে
৫ ভারতীয় নাগরিক ফের কুড়িগ্রাম কারাগারে
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় ৫ নাগরিককে দেশে পাঠানোর উদ্যোগ বাতিল হয়ে গেছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ রাষ্ট্রীয় কাগজপত্র না পাওয়ার কথা জানিয়ে তাদেরকে নিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার সময় পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পুনরায় কুড়িগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের জেল সুপার মো. ইসমাইল হোসেন।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন জানান, মাদক বহন ও পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাত ভারতীয় নাগরিককে আটক করে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। দীর্ঘ কারাভোগের পর সাজার মেয়াদ শেষ হলেও আসামি হস্তান্তরের জটিলতায় এদের কেউ কেউ ছয়মাস থেকে একবছর ধরে বিনা বিচারে কারাগারে ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম: অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৫ ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ
মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর চেকপোস্ট দিয়ে বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয়। তবে কাগজপত্রের জটিলতার কারণে তাদেরকে চেকপোস্ট থেকে আবারও কুড়িগ্রাম কারাগারে নেয়া হয়েছে।
এর ফলে এই ৫ নাগরিক ছাড়াও আরও ২ ভারতীয় নাগরিককে এখন সাজাভোগের পর বিনা অপরাধে কারাগারে সাজাভোগ করতে হবে।
বুড়িমারী চেকপোস্ট থেকে ফেরত প্রদানকারী ৫ ভারতীয় নাগরিক হলেন, কুচবিহার জেলার আলম মিয়া, আসামের ধুবরী জেলার মো. নুরুজ্জামান, দক্ষিণ মাইনকারচর জেলার সেলিম মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম ও মাহা আলম শেখ।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে অনুপ্রবেশকালে ঝিনাইদহে আটক ১০
২ বছর আগে
ভারত থেকে অনুপ্রবেশকালে ঝিনাইদহে আটক ১০
ভারত থেকে বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এক দালালসহ ১০ জনকে আটক করেছে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি। সোমবার (৯ মে) ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বড়বাড়ি গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, বরিশালের ইলুহার গ্রামের আবজাল আকন (৪১), পাবনা জেলার ফৈলজানা গ্রামের মো. আল মামুন (৩৯), যশোরের বাকী গ্রামের মোছা. জোসনা খাতুন (২৮), বরিশালের খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামের খাদিজা বেগম (২৮), বাগেরহাটের বড়সন্নাসী গ্রামের প্রবির সমাদ্দার (৪২), গীতা রানী সমাদ্দার (৩৫), সাতক্ষিরার খড়িয়াটি গ্রামের মোছা. রোজীনা বেগম (৩০), রুমায়া খাতুন (০৬), আয়শা (০৫) ও পারাপারে সহায়তাকারী দালাল মহেশপুরের গোপালপুর গ্রামের মো. হারুনুর রশিদ (৩০)।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, মহেশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনস্ত যাদবপুর বিওপির টহল দল মহেশপুর উপজেলার বড়বাড়ী গ্রামের একটি কবরস্থান সংলগ্ন রাস্তা থেকে এই ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিনা পার্সপোর্টে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার অপরাধে মহেশপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মহেশপুরে অনুপ্রবেশের সময় আটক ১০
হাতীবান্ধা সীমান্তে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় নাগরিক আটক
২ বছর আগে
মহেশপুরে অনুপ্রবেশের সময় আটক ১০
ঝিনাইদহের মহেশপুরে অনুপ্রবেশের সময় ১০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার পারগোপালপুর গ্রামের মেহগনি বাগান থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ২২
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক তসলিম মো. তারেক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।আটক ব্যক্তিরা হলেন, যশোরের কেশবপুর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের মো. ইদ্রিস সরদার (৫৫), নুরজাহান বেগম (৫০), একই উপজেলার চিংড়ি বাজার গ্রামের রফিক মোড়ল (৫০), বেনাপোলের গাতীপাড়া গ্রামের মো. রেজাউল ইসলাম (৬০), শার্শা উপজেলার রামপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম (৩৪), দাউদখালী গ্রামের মো. আবুল কালাম (৩৫), পাবনার চাটমোহর উপজেলার কচুগাড়ি গ্রামের মো.শাহরিয়ার ইসলাম (২০), নড়াইলের পেড়লি গ্রামের মুরছালিনা বেগম (২৯) ও বাগেরহাটের স্মরণখোলা উপজেলার খেন্তাকাটা গ্রামের মো. শাহীন মিয়া (২৮)।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে দালালসহ আটক ৯
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক ব্যক্তিরা অবৈধ পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিলেন।
অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় মামলা হয়েছে।
২ বছর আগে
হাতীবান্ধা সীমান্তে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় নাগরিক আটক
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অনুপ্রবেশের দায়ে এক ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক রহিম মিয়া (২৮) ভারতের কোচবিহার জেলায় শীতলকুচির থানার গিজালদা গ্রামের সুখ লাল মিয়ার ছেলে।
হাতীবান্ধা উপজেলার জাওরানী ১৫ বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবাদার জহুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্তের ৯০৯ নং মেইন পিলারের ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় প্রবেশ করলে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি গরু ব্যবসার বিষয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার কথা স্বাকীর করেছেন। পরে তাকে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল ইসলাম জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্তে দিয়ে দেশে অনুপ্রবেশ, নারী-শিশুসহ আটক ২১
ভারতে অনুপ্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ২২
২ বছর আগে