মৃদু বাতাস
যশোরে জেঁকে বসেছে শীত, গরম কাপড়ের দোকানে ভিড়
যশোরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের সঙ্গে বইছে মৃদু বাতাস। গত শনিবার থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে।
রাতে ও সকালে প্রচণ।ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডা থেকে পরিত্রাণ পেতে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
যশোর শহরের মুজিব সড়কের ফুটপাতের দোকান, জেলা পরিষদের পুরোনো কাপড়ের মার্কেট, কালেক্টরেট মার্কেটে শীতের পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে। সম্প্রতি শহরের মুজিব সড়কের ফুটপাতের দোকান, জেলা পরিষদের পুরাতন কাপড়ের মার্কেটের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।শহরের ফুটপাত, জেলা পরিষদ পুরাতন কাপড়েরর মার্কেটে সকাল থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। তারা বিভিন্ন দোকান ঘুরে নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য পছন্দ মতো শীতের পোশাক কিনছেন।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে সোয়েটার, হুডি, জ্যাকেট, পায়জামা, ফুলহাতা গেঞ্জিসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক।
আরও পড়ুন: শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
সোয়েটার ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, হুডি ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, টুপিয়ালাগেঞ্জি ১৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, জ্যাকেট ৩০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, জগাজ পায়জামা ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, ফুলহাতা গেঞ্জি ৬০ টাকা ১০০ টাকা দারে বিক্রি হচ্ছে।মুজিব সড়কের ফুটপাতের দোকানদার আরিফ হোসেন বলেন, বাচ্চাদের হুডি, পায়জামা ও ফুলহাতা গেঞ্জি বেশি বিক্রি হচ্ছে। বেশি শীত অনুভূত হওয়ার কারণে শীতের পোশাক বেচাকেনা শুরু হয়েছে। বিক্রিও খারাপ হচ্ছে না।
একই কথা জানান সিয়াম নামে আরেক দোকানদার। তিনি বলেন, গত শনিবার থেকে বেচাবিক্রি বেড়েছে।
ক্রেতাদের নজর কাড়তে বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন দোকানদাররা।জেলা পরিষদ মার্কেটে গিয়েও দেখা গেছে ক্রেতাদের বেশ ভিড় ছিল। এ মার্কেটের ব্যবসায়ী হারুন গাজী বলেন, এখন বেশি শীত অনুভূত হওয়ার কারণে বাচ্চাদের সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডি বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড়দের পোশাক তেমন বিক্রি হচ্ছে না।
অপর দোকানদার আরমান হোসেন বলেন, শীত একটু বেশি পড়ায় শীতের পোশাক বেচাকেনা শুরু হয়েছে। সামনের পৌষ মাসে বেশি শীত পড়তে পারে,ওই সময় বেচাকেনা আরও বাড়তে পারে। গত বছরের তুলনায় এবারে বেচাকেনা ভালো।বাজারে শীতের কাপড় কিনতে আসেন সায়েরা খাতুন নামে এক নারী। তিনি বলেন, ‘শীত বেশি পড়ছে। আমার মেয়ের জন্য শীতের পোশাক কিনতে এসেছি। মেয়ের জন্য একটি সোয়েটার ও টুপি কিনেছি।’শমসের আলী নামে এক ক্রেতা জানান, বাড়িতে ছোট্ট ছেলে মেয়ে ও নাতিপুতি আছে। তাদের জন্য শীতের পোশাক কিনেছেন।
পপি খাতুন ও আসমা বেগম নামে আরও দুই ক্রেতা জানান, তারা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য শীতের পোশাক কিনেছেন। তবে পুরোনো কাপড়ের দাম খুব বেশি না হলেও নতুন পোশাকের দাম গত বছরের তুলানায় বেশি।
আরও পড়ুন: শীতে বিপর্যস্ত মেহেরপুরবাসী, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৫০ রোগী
৪ দিন আগে
নওগাঁর তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তাপমাত্রা এক অংকের ঘরে এখনও নামেনি। তাতেই কুয়াশা, বইছে মৃদু বাতাস। আর এতেই ঠান্ডায় জবুথবু শীতের গরম পোশাকবিহীন অসহায় হতদরিদ্ররা।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রিতে
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান বদলগাছী আবহাওয়া অধিদপ্তরের টেলিপ্রিন্টার অপারেটর আরমান হোসেন।
এর আগে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
আরমান হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
শুক্রবার নওগাঁর বদলগাছীতে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগের দিন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
তবে আগামী দিন তাপমাত্রা পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি তেমন কিছু বলতে পারেননি।
দেখা গেছে, সারাদেশে বইতে শুরু করেছে শীতের অনুভূতি। জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারদিক। বইছে হিমেল বাতাস। আবার ঘন কুয়াশার কারণে সকালে ও সন্ধ্যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস।
আরও পড়ুন: শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
১ বছর আগে