নৌকার সমর্থক
রাজশাহী-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ নারী কর্মীর হামলার অভিযোগ
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ নারী কর্মীসহ ৫ জনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের সখোপাড়া গ্রামে হামলায় কাঁচি প্রতীকের প্রচারণার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম।
গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও হামিরকুৎসা ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সাফিনুর নাহার, যোগীপাড়া ইউনিয়নের নারী সদস্য ও মহিলা লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইশরাত জাহান বিউটি, কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক এমপির ভাতিজি পাপিয়া জাহান, শারমিন আক্তার এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক শাহজাহান আলী।
এদের মধ্যে সাফিনুর নাহার, বিউটি ও শাহজাহানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-৪ আসনে সালাউদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল, জরিমানা
পুলিশ ও আহতরা জানান, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের কাঁচি প্রতীকের প্রচার চালাতে দুইটি সিএনজি নিয়ে সখোপাড়া গ্রামে যান ৬ জন নারী। তাদের সঙ্গে সেখানে যোগ দেন আরও কয়েকজন নারী। এ সময় তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থক খোরশেদ আলমের সামনে নারীদের মধ্যে কাঁচি প্রতীকের প্রচারপত্র বিলি করছিলেন।
তারা আরও জানান, এ সময় তাদের বাধা দেওয়া হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা সাফিনুরের উপর হামলা করে। এ সময় বিউটি ঘটনা ভিডিও করতে গেলে তার ওপরও হামলা চালিয়েছে। নারী ও পুরুষ মিলে তাদের পিটিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে সিএনজি চালক তাদের উদ্ধার করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
সাফিনুর নাহার অভিযোগ করেন, ‘খোরশেদ আলম গিয়ে আমাদের বলে- তোরা নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করছিস কেন? এ এলাকায় নৌকা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকের ভোট চাওয়া যাবে না। আমি তার কথার প্রতিবাদ করলে প্রথমে খোরশেদ আলমসহ তার পরিবারের সদস্যরা অতর্কিত হামলা করে।’
এ বিষয়ে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি ও কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক অভিযোগ করেন, ‘নৌকার প্রার্থীর ক্যাডার বাহিনী প্রতিনিয়ত কাঁচির সমর্থকদের ওপর হামলা, মারধর করে যাচ্ছে।’
এ ঘটনার জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার চান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আহতদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
১০ মাস আগে
রাজশাহী-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৩ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ‘কাঁচি’ প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নৌকা মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও স্বতন্ত্র কাঁচি মার্কার প্রার্থী এনামুল হক বাগমারায় সহিংসতা বন্ধের অঙ্গীকারের একদিন পরেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে, খবর পেয়ে রাতে আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান এনামুল হক। এ সময় তিনি আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ
আহতের মধ্যে পাহাড়পুর গ্রামের রজনী ও অজিত কুমারসহ কাঁচি প্রতীকের পোস্টার লাগানোর কারণে বালানগর গ্রামের লুৎফর রহমানকে পিটিয়ে জখম করেছে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা।
এছাড়াও রবিবার সকাল ১০টার দিকে বালানগর গ্রামের লুৎফর রহমানের উপর হামলা চালিয়ে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় নৌকার সমর্থকরা।
পিটিয়ে আহতের পৃথক ঘটনায় রাতেই মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
আহতরা জানান, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার পাহাড়পুর ঋষিপাড়া মহল্লায় কাঁচি প্রতীকের প্রচারণা শেষে পৌর মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডলকে বিদায় দিয়ে পাহাড়পুর মোড়ে চায়ের দোকানে অবস্থান করছিলেন। এ সময় নৌকার সমর্থক মশিউর রহমান এবং মিন্টুর নেতৃত্বে কয়েকজন দোকানে ঢুকে অজিত কুমার ও রজনীকে মারধর করতে থাকে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, এ ঘটনা তিনি শুনেছেন, তবে আহতদের পক্ষ থেকে এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরাধী যেই হোক না কেন, ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রাজশাহী-৫ আসনের আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
১০ মাস আগে