প্রশিক্ষণ
নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: সিমিন হোসেন
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, নারীদের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে গতানুগতিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
‘সাপোর্টিভ ইকোসিস্টেম ফর উইমেন এন্ট্রারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড প্রফেশনালস’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীদের পেছনে ফেলে একটি দেশে সমউন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নারীদের প্রযুক্তিগত ও কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায়, অপ্রচলিত খাত সমূহে নারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস ও উদ্যোক্তা তৈরিতে নারীদের কারিগরি, প্রযুক্তিগত এবং প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন সেমিনারে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে রাজধানীর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একজন নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পরিবারের উৎসাহ ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষদের অনুরোধ করি আপনার কন্যা, স্ত্রী কিংবা বোনকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে সহযোগিতা করুন। কারণ, নারীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের দিক থেকে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম বলেও জানানো হয় সেমিনারে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে ১২২, ১২৬ ও ১৩৯ তম।
এমন পরিস্থিতিতে, রাজনীতির পাশাপাশি অন্যান্য সূচকে নারীর অংশগ্রহণ ও উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে এফবিসিসিআই তার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বস্ত করেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সেমিনারে অংশ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) -এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আয়ের দিক থেকে নারী পুরুষের মধ্যে এখনও একটা বড় বৈষম্য রয়ে গেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে বিবেচনায় রেখে নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেবে পিপলএনটেক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ও অর্থায়নে, পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অব আইটির সহযোগিতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেবে পিপলএনটেক।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর আইসিটি অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ফ্রিল্যান্সিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের কর্মচারীদের স্বচ্ছলতার জন্য কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন কোর্সে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেবে বলে জানায় পিপলএনটেক।
পিপলএনটেকের এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন সামসুল আরেফিন।
আরও পড়ুন: পাঁচ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিসিক ঝিনাইদহ
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপসচিব মো মনির হোসেন, উপপরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার দিদারুল কাদির ও প্রোগামার হারুন অর রশিদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অব আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, চিফ অপারেটিং অফিসার আব্দুল হামিদ, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক ফাতেমা তুজ জোহরা, পিপলএনটেকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা প্রমুখ
এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর বিকাল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সঙ্গে আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অব আইটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ৬০০ ভেটেরিনারিয়ানকে প্রশিক্ষণ দেবে এলডিডিপি
পাঁচ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিসিক ঝিনাইদহ
উদ্যোক্তা উন্নয়নে পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), জেলা কার্যালয় ঝিনাইদহ।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন মো. মাহবুবুর রহমান, আঞ্চলিক পরিচালক, বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয়, খুলনা।
বিসিক জেলা কার্যালয়, ঝিনাইদহের উপব্যবস্থাপক সেলিনা রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পনগরী কর্মকর্তা অর্ণব কুমার পোদ্দার এবং সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারিক।
পাঁচ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে ঝিনাইদহ জেলার ২৫ জন সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করছেন।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে বিসিক এস্টেটে ৩ হাজারের বেশি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে: শিল্পমন্ত্রী
উদ্ভাবন প্রদর্শনীতে বিসিক ওয়ানস্টপ সার্ভিসের প্রথম স্থান অর্জন
সেন্টমার্টিনে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) একটি প্রকল্পের আয়োজনে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত, প্রক্রিয়াকরণ, পরিবেশন ও সংরক্ষণবিষয়ক একটি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ‘স্ট্রেন্দেনিং দ্য ইনস্পেকশন, রেগুলেটরি অ্যান্ড কোঅরডিনেটিং ফাংশন অব বিএফএসএ প্রোজেক্ট’- শীর্ষক প্রশিক্ষণটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) আব্দুল কাইউম সরকার।
কর্মশালায় উপস্থিত খাদ্য ব্যবসায়ীদের তিনি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইন ও বিধি-বিধান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেন।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো পর্যটন নগরীর মূল আকর্ষণ হলো খাবার-দাবার। তাই খাদ্য প্রস্তুতকালে পোড়া তেলের ব্যবহার পরিহার করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার প্রস্তুতের উপর জোর দিতে হবে। এতে করে সেন্টমার্টিনে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।’
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব এবং এসটিআইআরসি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুন নাসের খান।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দিবে কমিউনিটি ক্লিনিক: সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা
তিনি পর্যটকদের নিরাপদ খাবার পরিবেশনের জন্য খাদ্য ব্যবসায়ীদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং উন্নত বিশ্বের মতো পর্যটকবান্ধব নিরাপদ খাবার পরিবেশনের নির্দেশনা দেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ'র অতিরিক্ত পরিচালক (উপসচিব) মো. কাওছারুল ইসলাম সিকদার।
তিনি উপস্থিত খাদ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যসম্পর্কিত বিষয়ে মুক্ত আলোচনা পরিচালনা এবং ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে করণীয় শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন কক্সবাজারের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম, মনিটরিং অফিসার মো. আবদুল হান্নান এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গবেষণা কর্মকর্তা মো. তাইফ আলী।
কর্মসূচিতে উপস্থিত খাদ্য ব্যবসায়ীদের সচেতনতামূলক লিফলেট, নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক পারিবারিক খাদ্য নির্দেশিকা, অ্যাপ্রোন, ক্যাপ ও হ্যান্ড গ্লাভস দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধ-শতাধিক খাদ্য ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সমস্যা, নিরসনের পদক্ষেপ নিয়ে জাতিসংঘের কর্মশালায় সাংবাদিকরা
শেষ হলো ওয়াইল্ডটিমের বাঘ সংরক্ষণ কর্মশালা
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ প্রসঙ্গে চীনের বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশল সম্পর্কিত গবেষণা
সারসংক্ষেপ
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ চীনের শিক্ষার ক্ষেত্রে ‘নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ’র প্রতিভা প্রশিক্ষণের জন্য নতুন প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এই নিবন্ধে চীনের বাংলাভাষী প্রতিভার (চীনের বাংলা ভাষার শিক্ষার্থী) বর্তমান পরিস্থিতি আলোচনা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশলগত তাৎপর্য তুলে ধরে চীনে বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশল সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোন দেশে বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার, বেশি মানসিক রোগ?
মূল শব্দ: ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’, বাংলাভাষী প্রতিভা
ভূমিকা
প্রাচীনকাল থেকেই চীন ও বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ছিল। নিউ তাং রাজবংশের দ্বিতীয় খণ্ডের ২২১(পর্ব) প্রাচীন ভারতীয় মগধ রেকর্ড করেছে। মিং ইতিহাসের ৩২৬ খণ্ডেও ‘বাংলা’র কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালে চীন ও বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর উভয়পক্ষ রাজনীতি, অর্থনীতি, সামরিক ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতা করেছে। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা দুই দেশ সফর করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় বাড়ছে এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে।
(১) নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ নির্মাণের কৌশলগত তাৎপর্য
নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, "আপনি যদি কোনো লোকের সঙ্গে এমন ভাষায় কথা বলেন যা তিনি বোঝেন, এটি তার মনে থাকবে। আপনি যদি তার নিজের ভাষায় তার সঙ্গে কথা বলেন, তিনি স্মরণ করবেন।” ভাষা ও চিন্তার সম্পর্ক নিয়ে অনুমানকে সামনে রেখেছিলেন আমেরিকান সাপির ও তার শিষ্য ওল্ফ। তারা বিশ্বাস করেন, সমস্ত উচ্চ পর্যায়ের চিন্তাভাবনা ভাষার উপর নির্ভর করে। (সাপির, ১৯২১), ভাষার কাঠামো একটি নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সদস্যদের আচরণ ও চিন্তাভাবনা নির্ধারণ করে অনুমানটি স্পষ্ট করেন সাপির-ওল্ফ। সুতরাং, অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি ও চিন্তাভাবনা বোঝার জন্য, আরও ভালো আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও মিডিয়া বিষয়ক যোগাযোগ বাড়াতে নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজের নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ।
বৈশ্বিক কৌশলগত বিন্যাস ও সম্প্রসারণে, অনেক দেশ নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ নির্মাণকে জাতীয় কৌশলের উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে। চীনের নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ কৌশল নির্মাণকাজ একবিংশ শতাব্দীতে একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ আন্ডারগ্রাজুয়েট ট্যালেন্ট ট্রেনিং বেস’ ও ‘স্পেশালিটি কনস্ট্রাকশন সাইটস’ সহায়তা পরিকল্পনা তৈরি করেছে। চীন তার নিজ দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কযুক্ত দেশগুলোর সরকারি ভাষা (৮৮টি নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ) পড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়কে সহায়তা দেবে।
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ নির্মাণের মূল চাবিকাঠি হলো আন্তঃসংযোগ। আর ভাষার আন্তঃযোগিতা হলো আন্তঃসংযোগ অর্জনের ভিত্তি। ভাষা পরিকল্পনার কৌশলগুলো প্রচারের ফলে নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজের প্রতিভা প্রশিক্ষণের পরিমাণ, গুণমান ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির উচ্চতর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
(২) চীনের বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশলগত তাৎপর্য
বাংলা ভাষা বাঙালি জাতির মাতৃভাষা, জাতিগত সংস্কৃতি, ধারণার বাহক ও জাতীয় আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সাহিত্য সৃষ্টির জন্য বাংলা ভাষা ব্যবহার করেন। ১৯৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার জন্য ‘ভাষা আন্দোলন’ হয়। এই আন্দোলন বাংলাদেশের জনগণের জাতিগত ভাবনা জাগিয়ে তোলে এবং শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতা যুদ্ধে রূপান্তরিত হয়। বাংলাদেশিদের কাছে বাংলা ভাষা হয়ে উঠেছে সাংস্কৃতিক প্রতীক, জাতীয় গর্ব ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক। ‘বাংলাদেশি সংস্কৃতি একটি সম্মিলিত সংস্থান; যা শ্রেণি, অঞ্চল ও ধর্মীয় সীমানা জুড়ে বাংলাদেশিদের ঘনিষ্ঠ ইউনিটে আলোকিত করতে পারে।’ (উইলিয়াম ভন শ্যান্ডেল, ২০১১)
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’র অন্তর্ভুক্ত একটি দেশ হিসাবে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং মূলত কয়েকটি বড় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে চীনের সঙ্গে একমত হয়। আন্তর্জাতিক বিষয়ে চীন ও বাংলাদেশের নেতারা নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরালোভাবে বিকাশ লাভ করেছে। চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠেছে। চীনের দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ এবং তৃতীয় বৃহত্তম ইঞ্জিনিয়ারিং চুক্তি বাজার। বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণ চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি ভালো প্রতিবেশী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে এবং আন্তঃসংযোগ বাড়ানোর নিশ্চয়তা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ার জ্বালানি বিকাশে নবদিগন্তের হাতছানি
২. ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রসঙ্গে চীনের বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের বর্তমান পরিস্থিতি
(১) পেশাদার প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তির পরিমাণ কম
চীনের মূল ভূখণ্ডে বর্তমানে শুধু পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক পর্যায়ের কোর্স চালু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো চীন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনান ন্যাশনালিটিস বিশ্ববিদ্যালয়, গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ, বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ও ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়াও, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইনর কোর্স হিসেবে বাংলা ভাষা চালু রয়েছে।
নিবন্ধনের বছর অনুযায়ী, চীন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এখানে বাংলা বিভাগ ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এ পর্যন্ত মাত্র সাতটি ব্যাচ এখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মেজর ২০১৬ সালের পরে নামভুক্ত হয়। ইউনান ন্যাশনালিটিস ইউনিভার্সিটি ২০১৬ সালে, গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ ২০১৭ সালে, বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ২০১৮ সালে এবং ইউনান বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ সালে।
তালিকাভুক্তির পরিমাণের ক্ষেত্রে, চীন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০ জন, গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজে প্রায় ১২ জন, ইউনান ন্যাশনালিটিস ইউনিভার্সিটিতে প্রায় ১৫ জন, বেইজিং ফরেন স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১০ জন এবং ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। সামগ্রিক অর্থে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিসর ছোট এবং প্রতি বছর শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনাও নেই। ২-৪ বছরের মধ্যে শুধু একবার শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
তবে গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ প্রতি বছর বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ভর্তি করে। চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এত ঘন ঘন শিক্ষার্থী ভর্তির স্কুল আর নেই। বর্তমানে গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের প্রথম বাংলা ভাষা স্নাতক কোর্সের দুটি ব্যাচ রয়েছে।
(২) শিক্ষকদের দক্ষতা অপর্যাপ্ত
শিক্ষকদের দৃষ্টিকোণ থেকে, চীনের বাংলা ভাষা বিষয়ে চীনা শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বল্প, পেশাগত ডিগ্রি কম এবং শিক্ষণ অভিজ্ঞতাও অপর্যাপ্ত। যে কয়েকজন অভিজ্ঞ প্রবীণ শিক্ষক ছিলেন তারা অবসর নিয়েছেন, কেবলমাত্র একজন শিক্ষক আছেন যিনি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলা ভাষা পড়াচ্ছেন। এ ছাড়া বর্তমানে যেসব শিক্ষক আছেন তাদের বেশিরভাগই সবেমাত্র স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
চীন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দুজন চীনা শিক্ষক আছেন। ইউনান ন্যাশনালিটিস ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগে তিনজন চীনা শিক্ষক আছেন। বেইজিং ফরেন স্টাডিজের বাংলা বিভাগে শুধু একজন চীনা শিক্ষক আছেন এবং ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে তিনজন চীনা শিক্ষক আছেন। গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের বাংলা ভাষা বিভাগে মোট ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জন চীনা শিক্ষক ও ২ জন বাংলাদেশি শিক্ষক। মোট শিক্ষকের সংখ্যায় এখানে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা ভাষা বিষয়ে সর্বাধিক। তবে শিক্ষকদের একাডেমিক স্তর ও পাঠদানের অভিজ্ঞতাও উন্নত করা দরকার।
(৩) উচ্চ পর্যায়ের বাংলাভাষী প্রতিভার ঘাটতি
চীনে বাংলাভাষী প্রতিভার কাঠামোগত ঘাটতি রয়েছে। প্রশিক্ষণ এখনও স্নাতক ডিগ্রি পর্যায়ে রয়েছে। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা ভাষা বিষয়ে এখনও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কোনো কোর্স চালু হয়নি। অনেক শিক্ষার্থী অন্যান্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়েন বা সরাসরি চাকরি করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের চাকরির সঙ্গে বাংলা ভাষার কোনো সম্পর্ক নেই।
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে, বাজারে এমন উচ্চ-পেশাদার প্রতিভার প্রয়োজন আছে; যারা দেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতীয় পরিস্থিতি জানে এবং অর্থায়নে পেশাদার জ্ঞান অর্জন করে, যেমন- আইন, অর্থনীতি, বাণিজ্য ইত্যাদি। যে দেশে বিনিয়োগ করছেন, সে দেশের জাতীয় পরিস্থিতি ও সংস্কৃতি না বোঝার কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের ব্যর্থতা ও বিনিয়োগের ক্ষতির অনেক ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বেদনায় ভরা দিন: শেখ হাসিনা
গণপরিবহনের ১৪০ চালককে প্রশিক্ষণ দিল আহছানিয়া মিশন
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির(বিআরটিএ) উদ্যোগে গণপরিবহনের ১৪০ জন চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন (সংশোধিত-২০১৩) বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জোয়ার সাহারা বিআরটিসি বাস ডিপোতে আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
‘পেশাজীবী গাড়ি চালকদের পেশাগত দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ’ শিরোনামে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যের ক্ষতিবিষয়ক তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার অদুত রহমান ইমন।
আরও পড়ুন: বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
এসময় ধুমপানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কুফল, স্বাস্থ্যঝুঁকি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে গণপরিবহন চালকদের (বাস, সিএনজি, লেগুনা, টেম্পু) জানানো হয়। চালক ও চালকের সহকারীদের ধূমপানের ফলে গণপরিবহনে পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হন যাত্রীরা, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা।
এ ছাড়া জনবহুল জায়গা- যেমন বাস টার্মিনাল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, নৌবন্দর, সরকারি বিভিন্ন অফিসসহ উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেসব স্থানে ধূমপানকারীদের কারণে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন অনেক শিশু-নারীসহ সব অধূমপায়ীরা।
গণপরিবহন শতভাগ তামাকমুক্ত রাখা ও আইনের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ও বিআরটিএ’র যৌথ উদ্যোগে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিআরটিএ কার্যালয় থেকে ৩০ দালাল আটক
সরকারি কর্মকর্তাদের প্রথম ধাপের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে আজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের প্রথম পর্ব আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে।
ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা, সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো হালনাগাদ নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা, অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল প্রক্রিয়া, নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহ ও প্রেরণের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম, সংশোধিত নির্বাচনী বিধিমালা এবং সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া।
নয়টি ব্যাচের প্রতিটি ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) দুদিনের প্রশিক্ষণ সেশনে সম্পন্ন করা হবে।
১৪ ও ১৫ অক্টোবর প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপে মোট ১১৬ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নেবেন। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর আরও ১১৪ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন এই প্রথম এ ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করছে।
এই প্রশিক্ষণ উদ্যোগের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো আগামী বছরের জানুয়ারিতে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচন কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য বর্তমান প্রশাসনকে প্রস্তুত করা।
গত ৭ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন তার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করে। এতে আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে-পরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: সিইসি
বিকেএসপিতে প্রতিবন্ধী ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শেষ হলো
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) প্রতিবন্ধী ৩০ জন ফুটবলারের আট দিনব্যাপী (২-৯ অক্টোবর) প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শেষ হয়েছে।
সমাপনী দিনে সোমবার (৯ অক্টোবর) তারা একে অপরের বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন। যেখানে সুবর্ণ নাগরিক ফাউন্ডেশন (এসএনএফ) টাইব্রেকারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বা সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডকে (সিআরপি) পরাজিত করে।
আরও পড়ুন: বিকেএসপিতে অনুশীলনে ফিরেছেন সাকিব
সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি) এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসকে (আইসিআরসি) তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।
খেলাধুলার মাধ্যমে সামাজিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারের জন্য আইসিআরসি'র প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় খেলোয়াড়দের ফিটনেস বাড়াতে এবং তাদের অ্যাম্পুটি ফুটবলের ধারণার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে সহায়তা করার জন্য ২ থেকে ৯ অক্টোবর বিকেএসপি প্রশিক্ষণ গ্রাউন্ডে প্রতিবন্ধী ফুটবলারদের সমন্বয়ে গঠিত তিনটি দলের জন্য এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল।
এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে আইসিআরসি প্রতি বছর ১৪ জন খেলোয়াড়কে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য অ্যাম্পুটি ফুটবলের জন্য প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজনে সিআরপিকে সহায়তা করেছিল।
আরও পড়ুন: সব বিভাগে বিকেএসপির মতো ইনস্টিটিউট হবে: শেখ হাসিনা
লিটন বিশ্রামে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন শান্ত
বিএসআরএফ'র সদস্যদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলো জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) ৬০ জন সদস্যকে ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে ‘ফ্যাক্টচেকিং অ্যান্ড ভেরিফিকেশন টেকনিকস’-বিষয়ক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফায়জুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আবুরুশদ মো. রুহুল আমিন।
কর্মশালায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফ্যাক্টচেকিং অ্যান্ড ভেরিফিকেশন টেকনিকস সম্পর্কে আলোচনা করেন।
তিনি আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে অপতথ্য ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য রোধে মানুষ ও সমাজকে রক্ষা করার জন্য গণমাধ্যকর্মীদের প্রতি যথাযথ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ’র জন্য রক্তদাতার ব্যবস্থা করবে ‘ব্লাডম্যান’
ফ্যাক্ট চেকিং নিয়ে মিডিয়া প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (ডব্লিউজেএনবি) উদ্যোগে গত ২০-২১ জুলাই সাভারের সিসিডিবি হোপ ফাউন্ডেশনে ‘চেক ফ্যাক্ট: স্প্রেড ট্রুথ, মিনিমাইজ হার্ম’ শীর্ষক দু’দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যতম ফুলব্রাইট কার্যক্রম হামফ্রে ফেলোশিপ কর্মসূচি’র অ্যালামনাই ইম্প্যাক্ট অ্যাওয়ার্ডের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণে ২৫ জন সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. মফিজুর রহমান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থ্যা ব্র্যাকের মিডিয়া রিলেশন্স বিভাগে লিড গোলাম কিবরিয়া, এএফপি’র ফ্যাক্ট চেক সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী মাজেদ, ডব্লিউজেএনবি’র সমন্বয়কারী ও দৈনিক কালবেলা’র বিশেষ প্রতিবেদক আঙ্গুর নাহার মন্টি।
প্রশিক্ষণে মিডিয়া লিটারেসি ও ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে বৈশ্বিক ও বাংলাদেশ পরিস্থিতি, গুজব প্রতিরোধে তথ্য যাচাই, অনলাইনে দ্রুত তথ্য, ছবি ও ভিডিও ফুটেজ যাচাইয়ের প্রক্রিয়া ও টুলস, সাংবাদিক ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের দায়িত্বশীলতা এবং সাইবার নিরাপত্তা ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: স্কাউটদের আইসিটিসহ আধুনিক প্রশিক্ষণ দিতে নেতৃবৃন্দের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
শুক্রবার এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার।
ব্রায়ান বলেন, ‘ভুল তথ্য বিস্তার প্রতিরোধে আমাদের অবশ্যই সত্য যাচাইয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। কল্পকাহিনী থেকে সত্যকে আলাদা করতে এবং নাগরিকদের সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে ফ্যাক্ট চেকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। তথ্যের গেটকিপার হিসেবে সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ বা শেয়ার করার আগে অবশ্যই উৎসের যথার্থতা যাচাই করার দায়িত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে, সাংবাদিকরা শুধু পেশাদারিত্বই রক্ষা করে না, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেও সুসংহত করে।’
অনুষ্ঠানে ব্রায়ান শিলার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন।
আরও পড়ুন: দক্ষতা উন্নয়ন, বিশেষ করে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ কর: এইচএসসির ফল প্রকাশকালে শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী
‘রাইডার গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের’ আওতায় ডেলিভারিম্যানদের প্রশিক্ষণ দিল দারাজ কেয়ারস