টুঙ্গিপাড়া
প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে রাষ্ট্রপতি
প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়া গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বঙ্গভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
বঙ্গভবন থেকে গাড়ি যোগে রওনা হয়ে তিনি মাওয়া দিয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠেন। সেতুর মাঝামাঝি গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে প্রায় ১০ মিনিট সেতুতে অবস্থান করেন তিনি।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত এবং মিঠামইনের আ.লীগ নেতার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
পরে ২ টা ২৭ মিনিটে সেতু থেকে নেমে রাষ্ট্রপতি জাজিরায় পদ্মা সেতুর ২ নম্বর সার্ভিস এরিয়ায় যাত্রা বিরতি করে। পরে ২টা ৫৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতির পদ্মা সেতুতে আগমনের খবরে খুশি পদ্মা পারের মানুষ।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন জানান, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে পদ্মা সেতু এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান।
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
নতুন সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ মহিলা দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
২ বছর আগে
শ্রদ্ধাভরে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে
আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সঙ্গে শ্রদ্ধাভরে দিবসটি পালন করছে দেশবাসী।
১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা-বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তার তিন ছেলে-ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল এবং দশ বছর বয়সী শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল, ভাই শেখ নাসের, কৃষক নেতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত, যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মনি এবং তার স্ত্রী আরজু মনি, শিশু সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আরিফ ও আবদুল নাঈম খান রিন্টুসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের আঠারজন সদস্য সেদিন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল উদ্দিন আহমেদ (বীর উত্তম) নিহত হন। একই দিনে খুনিদের কামানের গোলায় মারা যান রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একই পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও।
সরকার, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন দিবসটি পালনে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম জানায়। তখন বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এ সময় মোনাজাত করা হয়।
ধানমন্ডি থেকে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে যান। এখানে শায়িত আছেন তার মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার অন্য শহীদরা।
প্রধানমন্ত্রী তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফুলের পাপড়ি ছিড়িয়ে দেন। সেই সাথে তিনি শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করেন।
পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দিবসটি উপলক্ষে জোহরের নামাজের পর সারাদেশের মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, ‘মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপসহীন। ফাঁসির মঞ্চেও তিনি বাংলা ও বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু অসীম সাহসিকতার সাথে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন।’
তিনি বলেন, `বঙ্গবন্ধু আজীবন সাম্য, মৈত্রী, গণতন্ত্রসহ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন বিশ্বে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তির দূত।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালিরই শুধু নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবেন।
এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র তাঁকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বাঙালি জাতির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অগ্রগতি নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে।
জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর আত্মত্যাগের মহিমা এবং দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ আমাদের কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলিত করে সকলে মিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি-জাতীয় শোক দিবসে এই হোক আমাদের সুদৃঢ় অঙ্গীকার।
পড়ুন: ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও আমার সরকার উৎখাতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
গোলালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।
সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভা অনুষ্ঠিত
বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও হাত তুলে দোয়া করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৮টায় গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ায় তার পৈতৃক বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন। উদ্বোধনের পর তিনি দ্বিতীয়বার পদ্মা সেতু পার হন এবং মাওয়া টোল প্লাজায় মোট ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা পরিশোধ করেন।
টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর কিছুক্ষণের জন্য থামে।
২ বছর আগে
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আইন সচিবের শ্রদ্ধা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। বৃহস্পতিবার তিনি আইন ও বিচার বিভাগের সচিব পদে যোগদান করেন।এর আগে তিনি একই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ছিলেন।
শুক্রবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এদিন বেলা ১২টা ২০ মিনিটে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান আইন সচিব। এরপর তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান। এসময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন আইন সচিব।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্সে রক্ষিত পরিদর্শন বইতেও স্বাক্ষর করেন তিনি।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আইন সচিবের সঙ্গে গোপালগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ অমিত কুমার দে, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব ড. শেখ গোলাম মাহবুব,শেখ হুমায়ুন কবীর, ড. একেএম এমদাদুল হক, এস. মোহাম্মদ আলী ও আবু সালেহ মো.সালাউদ্দিন খাঁ,উপসলিসিটর কাজী শহিদুল ইসলাম ও নুসরাত জাহান। এছাড়া সচিবের একান্ত সচিব এসএম মাসুদ পারভেজসহ বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
২ বছর আগে
টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে পদ্মা সেতু পরিদর্শন কূটনীতিকদের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকরা। আর এ সময় তারা বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখার সুযোগ পেয়েছেন।
পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প কীভাবে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে এ সফরে কূটনীতিকদের সঙ্গে থাকা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তাদের ব্যাখ্যা করেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে পদ্মা সেতুর প্রভাব সম্পর্কে মিশন-প্রধানকে ব্যাখ্যা করেছেন।
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। একই সঙ্গে দিনটি জাতীয় শিশু দিবসও।
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন।
কারাগার ও কারাগারের বাইরে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয় তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন পালন করছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
বঙ্গবন্ধু যখন সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন পরাজিত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া দেশের সব মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছেলেবেলা কেমন ছিল?
জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সকালে দলটির সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।
বিকাল ৩টায় দলের পক্ষ থেকে আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন শেখ হাসিনা।
টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এবারের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সব শিশুর সমান অধিকার’।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আ.লীগের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছেলেবেলা কেমন ছিল?
ঘটনাবহুল মার্চ মাসটিতে বাঙালি জাতির জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিবস ১৭ মার্চ। কারণ এই দিনটিতে জন্ম নিয়েছিলেন বাংলাদেশের বাঙালিত্বের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের অভ্যূদ্বয়ের জন্য মানুষটি তাঁর পুরো জীবনটিকেই করে তুলেছেন সংগ্রাম মুখর। সে সংগ্রামে কখনো তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে, কখনো বজ্র কন্ঠে লাখো মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন অধিকারের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার জন্য। শৈশব-কৈশোর জুড়ে নিপীড়িত মানুষের বঞ্চনায় রুখে দাড়ানোর নিরন্তর অনুশীলনের এক স্বতঃস্ফূর্ত উপহার এই শেখ মুজিব। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক, কেমন ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছেলেবেলা।
শেখ মুজিবুর রহমান: টুঙ্গিপাড়ার খোকা
দিনটি ছিল ব্রিটিশ শাসন আমল; ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ। পূর্ব বাংলার গোপালগঞ্জ ছিলো ফরিদপুর জেলার একটি মহকুমা। এরই অন্তর্গত পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
গোপালগঞ্জের দেওয়ানি আদালতের কোর্ট ক্লার্ক ছিলেন বাবা শেখ লুৎফুর রহমান। আর মা শেখ সায়েরা খাতুন গৃহিণী। তাদের চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে শেখ মুজিব ছিলেন তৃতীয় সন্তান। বাবা-মা আদরের মুজিবুর রহমানকে খোকা বলে ডাকতেন। তবে আকিকা দেয়ার সময় শেখ মুজিবুর রহমান নামটি দিয়েছিলেন পিতা লুৎফর রহমানের নানা শেখ আবদুল মজিদ। কারো কাছে মুজিব, কারো কাছে মিয়া ভাই অথবা মুজিব ভাই; কখনো বা তাকে ডাকা হয়েছে শেখ সাহেব নামে।
পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবনের পট’ পেইন্টিং পরিদর্শন নৌপ্রতিমন্ত্রীর
শিক্ষা জীবনে শেখ মুজিব
গৃহশিক্ষক মৌলভী সাখাওয়াৎ উল্লাহ ছিলেন শিশু মুজিবের প্রথম শিক্ষক। তাঁর একাডেমিক পড়াশোনার হাতেখড়ি হয় ১৯২৭ সালে সাত বছর বয়সে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ছিলো গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়। তার স্কুলে পড়াশুনা শুরু করেন। ১৯২৯ সালে নয় বছর বয়সে মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন। তার দুই বছর বাদে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন মাদারীপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে।
১৯৩৪ সালে বেরিবেরি রোগ বা গ্লুকোমার কারণে চোখে জটিলতা দেখা দিলে তাঁর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এ রোগ থেকেই তার চোখে জটিল অসুখ দেখা দেয়। বাবা চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে কলকাতায় পাড়ি জমান। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিশেজ্ঞ ডা. টি আহমেদ সার্জারিতে সুস্থ হয়ে ওঠেন বাবা-মার আদরের খোকা।
তবে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তাঁর শিক্ষাজীবন থেকে চারটি মূল্যবান বছর কেড়ে নেয়। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জে মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে আবার পড়াশোনা শুরু করেন। এখান থেকেই তিনি ১৯৪২ সালে ম্যাট্রিকুলেশন (বর্তমান মাধ্যমিক পরিক্ষা) পাশ করেন। ইন্টারমিডিয়েট বা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ১৯৪৪ সালে ইসলামিয়া কলেজ থেকে এখন যেটি মাওলানা আজাদ কলেজ নামে পরিচিত। ১৯৪৭ সালে এখান থেকেই বিএ পাশ করেন মিয়া ভাই।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আ.লীগের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
একজন রাষ্ট্রনায়কের আবির্ভাব
শৈশব থেকেই ধীরে ধীরে পরিশীলিত হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা। স্কুলে থাকাকালীন তিনি একবার এক অযোগ্য শিক্ষককে অপসারণের দাবীতে সকল ছাত্রদের নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন।
গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে পড়ার সময় তাঁর জন্য বাড়িতে গৃহশিক্ষক দেয়া হয়েছিলো। গৃহশিক্ষক ছিলেন আবদুল হামিদ, মুজিবুর রহমানের শিক্ষাজীবনে যার অবদান অপরিসীম। গোপালগঞ্জে আবদুল হামিদের একটি সংগঠন ছিলো যার নাম ‘মুসলিম সেবা সমিতি’। এর কাজ ছিলো দরিদ্র ছাত্রদের খাওয়া ও পড়াশোনায় সহায়তা করা। প্রতি রবিবার মহকুমার মুসলমান বাড়িগুলো থেকে মুষ্টি চাল যোগাড় করা হতো। তারপর সেই চাল বিক্রি করে গরিব ছাত্রদের বই কেনা, পরীক্ষা ও অন্যান্য খরচ চালানো হতো। এমনকি জায়গির ঠিক করার কাজও করা হতো। মিয়া ভাই ছিলেন এই সংগঠনের একনিষ্ঠ কর্মী।
আবদুল হামিদের মৃত্যুর সেবা সমিতিটির দায়িত্ব গ্রহণ করেন মুজিবুর রহমান।
পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বায়োপিক’
তাঁর মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশনারী হাই স্কুলে পড়ার সময়কার একটি ঘটনা আছে। মুজিব তখন নবম শ্রেণির ছাত্র; পড়াশোনার বাইরেও তিনি বিভিন্ন সংস্কারমুলক কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। ছাত্রদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দেয়ার সময় হঠাৎ একদিন গ্রেফতার হয়ে যান মুজিব। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি ছিলো মিথ্যা। তাই ছাত্রদের প্রচন্ড চাপের মুখে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় স্থানীয় পুলিশ।
শেখ মুজিবুর রহমানের ঘটনাবহুল ছেলেবেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে তাঁর পরিচয় হওয়া।
১৯৩৮ সালে শ্রমমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মিশনারি স্কুল পরিদর্শনে আসেন। দেখতে একটু বড় হওয়ায় হাজার ছাত্রদের মধ্যে স্কুল স্বেচ্ছাসেবক দল গঠনের দায়িত্ব পড়ল শেখ মুজিবের ওপর। শহীদ সাহেবকে দলীয়ভাবে সংবর্ধনা দেয়ার সময় ছাত্রদের পক্ষ থেকে কথা বললেন শেখ মুজিব। এমনকি স্কুলের ছাদ দিয়ে পানি পড়ার কথা জানিয়ে তা সংস্কার করে দেবার প্রতিশ্রুতিও নিয়ে নিলেন। পরবর্তীতে ওই দাবি পুরণ করা হয়।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
কিন্তু যাবার সময় সোহরাওয়ার্দী এই ছোট্ট ছেলেটির সৎ সাহসে মুগ্ধ হয়ে মুজিবুর রহমানের নাম ও বংশ পরিচয় জেনে নিলেন। তাকে কাছে ডেকে নিয়ে আদর করলেন। সেদিনের পর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শেখ মুজিবুর রহমানকে চিঠি লিখেছিলেন, যেখানে তিনি মুজিবকে কলকাতায় তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন। এভাবেই শুরু হয়েছিলো রাজনৈতিক মঞ্চে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মিলিত প্রচেষ্টার যাত্রা।
২ বছর আগে
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সমাধিসৌধ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
পরে প্রধান বিচারপতি পরে সমাধিসৌধের ভেতরে যান এবং বঙ্গবন্ধু ও তার বাবা-মায়ের কবর পরিদর্শন ও জিয়ারত করেন। এরপর তিনি ‘ বঙ্গবন্ধ’ ভবনে গিয়ে সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে সেখানে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে নব-নিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
এই সময় তার সঙ্গে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবার, গোপালগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ অমিত কুমার দে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ আলমাছ হোসেন মৃধা, গোপালগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম মোহম্মাদ সাহদাৎ হোসেন ভূঁইয়া, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্বাস উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইলিয়াছুর রহমান, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দীকা, টুঙ্গিপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র তোজ্জাম্মেল হক টুটুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেনসহ জজশিপ ও মেজিস্ট্রেসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিষয়ে ‘নো কম্প্রোমাইজ’: প্রধান বিচারপতি
২ বছর আগে
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে প্রতি বছরই গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ বছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে টুঙ্গিপাড়ায় আসতে পারেননি বঙ্গবন্ধু কন্যা।
৪ বছর আগে
গোপালগঞ্জে চিকিৎসককে মারধর, প্রতিবাদে কর্মবিরতি
গোপালগঞ্জে কর্তব্যরত চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা রবিবার সকাল থেকে সেবা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
৪ বছর আগে