শ্রীমঙ্গল
শ্রীমঙ্গলে গারোদের ওয়ানগালা উৎসব উদযাপিত
মৌলভীবাজারের শ্রীমেঙ্গলে চা বাগানের ভেতর প্রতি বছরের মতো এ বছর উদযাপিত হয়েছে গারো সম্প্রদায়দের ওয়ানগালা নবান্ন উৎসব।
গারো জাতিগোষ্ঠীর বিশ্বাস, ‘মিশি সালজং’ বা শস্যদেবতার ওপর ভরসা রাখলে ফসলের ভালো ফলন হয়। দেবতাকে নতুন ফসলের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে তারা এই উৎসব উদযাপন করেন। এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য আগামী বছরে যেন ফসল ভালো হয়। তাদের সন্তান ও পরিবার-পরিজনরা যেন ভালো থাকে।
পাহাড়ে বসবাসকারী উপজাতি নৃ-গোষ্ঠি গারোদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ও কৃষ্টির অন্যতম উৎসব হলো নবান্ন বা ওয়ানগালা উৎসব।
আরও পড়ুন: শেরপুরে গারোদের ‘ওয়ানগালা’ শুরু
১ ডিসেম্বর দুপুরে গারো যুব সংগঠনের আয়োজনে শ্রীমঙ্গলের ফুলছড়া চা বাগান মাঠে থক্কা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওয়ানগালা অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। গারো সমপ্রদায়ের নারীরা নেচে-গেয়ে অতিথিদের বরণ করে নিয়ে আসেন উৎসবস্থলে।
উৎসবের প্রথম পর্বে ক্রুশ চত্বরে বাণী পাঠ, থক্কা প্রদান, জনগণকে থক্কা দেওয়া, পবিত্র খ্রিষ্টযাগ, দান সংগ্রহ, আলোচনা সভা ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
গারোদের মূল ধর্ম ছিল সাংসারেক। তবে এখন অনেকেই খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছেন। সাধারণত বর্ষার শেষে ও শীতের আগে, নতুন ফসল তোলার পর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এর আগে নতুন খাদ্যশস্য খাওয়া নিষেধ থাকে এ সম্প্রদায়ের জন্য। তাই অনেকেই একে নবান্ন বা ধন্যবাদের উৎসবও বলা হয়।
ওয়ানগালা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক পার্থ হাজং, শিক্ষার্থী সালছিনা, থাং সুয়া, কিলি আশকরা, বেবিনা রং দির সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। তারা জানান, দেবতার সন্তুষ্টির পাশাপাশি এই আয়োজনের উদ্দেশ্য তাদের ভাষা-সংস্কৃতিকে জাগ্রত রাখা। নতুন প্রজন্মকে এ সম্পর্কে জানানো আর এই সঙ্গে সবার একই স্থানে একই উদ্দেশ্যে মিলিত হয়ে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানা ছাড়াও আয়োজন করা হয় তাদের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা।
আলোচনা পর্বে শ্রীমঙ্গল ক্যাথলিক মিশনের প্রধান পুরোহিত ফাদার ড. জেমস শ্যামল গোমেজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ, ফিনলের উপমহা ব্যবস্থাপক (ডিনস্টন ডিভিশন) হুমায়ুন কবির মজুমদার, মাজদিহি চাবাগানের ব্যবস্থাপক মো. শাহরিয়ার পারভেজ, হরিণছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক বিকাশ সিনহা প্রমুখ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গারো কিশোরীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী গান ‘ওয়ানগালা ওয়ানগালা’ গানের সঙ্গে নৃত্য করেন। এছাড়াও বিভিন্ন গারো লাইন থেকে আসা কিশোরীরা একেরপর এক নৃত্য পরিবেশন করেন।
এ সময় ফুলছড়া চা বাগান মাঠে ওয়ানগালাটি মিলন মেলায় পরিণত হয়। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও ভাল ফসল লাভের আশায় পালন করা হয় এই ওয়ানগালা। তিন দিনব্যাপী উৎসবকে নিয়ে ছিল নানা বর্ণিল আয়োজন। এ বছর তাদের আয়োজন ছিল সপ্তমবারের মতো। শেষে গারো সম্প্রদায়দের বিভিন্ন সফল কর্মে জড়িত ও অতিথিদের দেওয়া হয় সম্মাননা।
আরও পড়ুন: বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
শ্রীমঙ্গলের রিসোর্ট থেকে সাবেক অতিরিক্ত সচিবের লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্ট থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সালাহ উদ্দিন মাহমুদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব। তিনি সর্বশেষ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার এসএমই ফাউন্ডেশনের কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ শেষে রাত ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্টে যান। সেখানে বৃহস্পতিবার সাড়ে ৮টার দিকে তার রুমে গেলে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। পুলিশ এসে জানালা দিয়ে ওই কক্ষে প্রবেশ করে। সেখানে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে আমরা তথ্য পেয়ে রিসোর্টে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি।
যানজটের কারণে ঢাকা থেকে তার পরিবার আসতে দেরি হওয়ায় সচিবের সহকর্মী এসএমই ফাউন্ডেশনের এজিএম মাসুদুর রহমানের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ নিয়ে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ মাস আগে
শ্রীমঙ্গলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির র্যালি ও মানববন্ধন
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বৈষম্যহীন,অহিংস ও শান্তি সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে শ্রীমঙ্গলে র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় রুপান্তর আস্থা প্রকল্পের যুব ফোরামের সদস্যরা র্যালি ও মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন
র্যালিতে অংশগ্রহণ করে যুব ফোরামের সদস্য চা শ্রমিক, কলেজের শিক্ষার্থী, উন্নয়নকর্মী, ধর্মীয়নেতাসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। র্যালিটি শ্রীমঙ্গল চৌমোহনা থেকে শুরু করে কলেজ রোডে শেষ হয়।
জেলা নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সদস্য পরিমল সিং বাড়াইক বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে নানা জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের মানুষের বসবাস। এরা সবাই এক হয়ে মিলেমিশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।’
ইমাম মো. ফুরকান মিয়া বলেন, ‘শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে সব ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
কলেজ শিক্ষার্থী মো. আরিফ বকস বলেন, ‘সব জাতি গোষ্ঠী, ধর্ম বর্ণের মানুষেরা একই রক্তে মাংসে গড়া। সকলে একটি বৈষম্যহীন, অহিংস বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেন।’
জেলার নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সদস্য পরিমল সিং বাড়াইক, যুব ফোরামের আহ্বায়ক মো. আফজাল হোসেন, কলেজ শিক্ষার্থী মো. আরিফ বকস, মসজিদের ইমাম মো. ফুরকান মিয়া ও সদর উপজেলার যুব ফোরামের আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মৌলভী বাজার জেলার নেতা শিপন দেবসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় নরসিংদীতে মানববন্ধন
৪ মাস আগে
শ্রীমঙ্গলে ট্রাকচাপায় খালা-ভাগনির মৃত্যু
মৌলভীবাজারে বালু উত্তোলনকারী ট্রাকের চাপায় পেয়ারা খাতুন ও সাবিয়া বেগম (৮) নামে খালা ও ভাগনির মৃত্যু হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে ভুনবীর ইউনিয়নের আলীশারকুল এলাকায় সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
সাবিয়া শ্রীমঙ্গল ব্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং দুদু মিয়ার মেয়ে।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে ট্রাকচাপায় অটোরিকশাযাত্রী মা-ছেলে নিহত
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, পেয়ারা খাতুন তার সঙ্গে থাকা সাবিয়া বেগমকে নিয়ে রাস্তা পারাপাড়ের সময় দুটি ট্রাক পর তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, নিহত খালা ও ভাগনির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাক দুটি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ঘাতক চালককে আটকের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে মাকে খুঁজতে বের হয়ে ট্রাকচাপায় শিশু নিহত
৫ মাস আগে
শ্রীমঙ্গলে শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগে বাবা-মা গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার রাজপাড়া গ্রামে ২ বছরের প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগে বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২মে) গভীর রাতে হবিগঞ্জের সদর থানার দক্ষিণ চাতুল গ্রামে অভিযান চালিয়ে শিশুর বাবা রাশেদ মিয়া এবং মা শাপলা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ জানায়, শ্রীমঙ্গলের ভূনবীর ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামের দুই বছরের শিশু ফারিয়া জান্নাত মিলি জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে চলাফেরা করতে পারত না। তার বাবা রাশেদ মিয়া ও মা শাপলা বেগম তাকে দেখাশোনা করতে গিয়ে এক সময় অধৈর্য হয়ে পড়ে। শুক্রবার বিকালে শিশু ফারিয়ার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়। ঘটনার পর শিশুর বাবা-মা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে শিশুর নানা ওয়াসির মিয়া বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ মৃত শিশুর মা-বাবাকে গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে। গোপন সোর্স এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার রাতে হবিগঞ্জ সদর থানার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবা-মা তাদের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ১
৬ মাস আগে
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে।
এছাড়া, আবহাওয়া অফিস আজ সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে এবং সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।
তাছাড়া, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাসে বলেছে।
চলমান ঘন কুয়াশা ও শীতে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাসমূহের সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশ বিপাকে পড়েছেন। শিশু ও বয়স্করা কষ্ট পাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালগুলোতে বেড়ে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি
দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দৈনন্দিন জীবন
১১ মাস আগে
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
সত্যিকার অর্থেই যদি বনভোজনের স্বাদ পেতে হয়, তাহলে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর বন-জঙ্গলের কোনো বিকল্প নেই। অরণ্যের আনাচে-কানাচে কিছু পাহাড়ি টিলা উঁকি দিলে মন্দ হয় না। এমন প্রাকৃতিক নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া যায় সিলেটের পথে বাংলাদেশের চা বাগানগুলোতে। আর তা যদি হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বৃষ্টিবন এলাকা তাহলে তো কথাই নেই! বলছি দেশের ১০টি জাতীয় উদ্যান এবং ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মধ্যে অন্যতম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের কথা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক- এই বুনো বাস্তুতন্ত্রে পদচিহ্ন এঁকে দেওয়ার উপায়।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের নামকরণ
ভানুগাছ অঞ্চলে জুম চাষকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল ত্রিপুরা গ্রাম। ত্রিপুরা ভাষায় লাউয়াছড়া বনকে মৈলপতুইসা বলা হয়। মৈলপ মানে লাউ, আর তুইসা শব্দের অর্থ পাহাড়ি ছড়া। যে বনের ছড়ার ধারের জুমে লাউয়ের ফলন ভালো হয়, সেই এলাকাকে বলা হতো মৈলপতুইসা।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলার নায়াগ্রাতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
১৯২৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার পুরো অঞ্চলটি অধিকার করে এখানে বৃক্ষায়ন শুরু করে। ইতোমধ্যে অরণ্যে রূপ নেওয়া মৈলপতুইসা ঘোষিত হয় সংরক্ষিত বন হিসেবে। ভানুগাছের পশ্চিমে থাকার কারণে এর নাম ছিল পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত বন। ১৯২৭ সালে উপনিবেশিক বন আইন জারির পর এখানকার বিভিন্ন স্থানের নামে পরিবর্তন আনা হয়। আর এ সময়েই মৈলপতুইসা বদলে হয়ে যায় লাউয়াছড়া।
১৯৯৬ সালে ১৯৭৪-এর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংশোধন আইন অনুসারে বনের নামের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয় জাতীয় উদ্যান শব্দ দুটি।
১ বছর আগে
শ্রীমঙ্গল ও তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সামান্য উন্নতি হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়া ও শ্রীমঙ্গলে।
এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান প্রথম
রংপুর বিভাগ এবং নওগাঁ ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কিছু কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, নদী অববাহিকার কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর
১ বছর আগে
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা: ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কাঁপছে শ্রীমঙ্গল
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শুক্রবার সকাল থেকে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা হালকা শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়।
হিম-শীতল বাতাস ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শ্রীমঙ্গলে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ যারা প্রতিদিন কাজ করে উপার্জন করেন তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
অনেককে রাস্তার ধারে আগুন জ্বালিয়ে নিজেদের গরম রাখতে দেখা গেছে। জরুরি অবস্থা না থাকলে বেশিরভাগ মানুষ ঘরেই অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
জেলা সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, মৌলভীবাজারের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা, যাদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর বিভাগ; ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়াও, মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা নদী অববাহিকায় ঢেকে যেতে পারে এবং মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
অধিদপ্তর আরও জানায়, ‘অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
১ বছর আগে
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে কয়েকদিন থেকে বইছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। এছাড়া মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
এ বছর শ্রীমঙ্গলে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
কয়েক দিনের কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
তবে তাপমাত্রা কম হলেও সকাল থেকে কুয়াশার দাপট তেমন ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলেছে দ্রুত।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, শ্রীমঙ্গলে মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সূর্য তাড়াতাড়ি ওঠার কারণে ঠান্ডা একটু কম অনুভূত হচ্ছে। এর আগে সোমবার এখানে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। দিনে ও রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন শীতার্ত মানুষ।
তিনি আরও বলেন, বিকাল হলে শীতের তীব্রতা বেড়ে তা সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ছিন্নমূল ও দিনমজুররা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর,এম,ও) ডা. ফয়সল জামান জানান, শিশু ওয়ার্ডে সিট রয়েছে ৫১টি। শীত আসার পর থেকে প্রতিদিন ভর্তি থাকছে ৮০ থেকে ৯০ জন শিশু। তবে মঙ্গলবার শিশু ভর্তি কমেছে।
শীতজনিত রোগে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি করা হচ্ছে।
গরম কাপড়ের দোকানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভীড় প্রতিদিন বাড়ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে টানা ৩দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ব্যাহত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা
১ বছর আগে