শ্রীমঙ্গল
শ্রীমঙ্গলে সেপটিক ট্যাংকের বিষক্রিয়ায় ৪ তরুণের মৃত্যু
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া চা বাগানে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় ৪ তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও একজনকে আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফিনলে কোম্পানির আওতাধীন ওই চা বাগানে গতকাল (৯ জুলাই) রাতে এই ঘটনা ঘটে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি জানান শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
তিনি জানান, গতকাল রাতেই আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হামলা, সিলেটে যুবক নিহত
নিহতরা হলেন— হরিণছড়া চা বাগানের রানা নায়েক (১৭), শ্রাবণ নায়েক (১৯), কৃষ্ণ রবিদাস (২০) ও নিপেন ফুলমালি (২৭)।
এ ঘটনায় রবি বুনার্জী (২০) নামে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি আমিনুল ইসলাম।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপপরিচালক) ডা. প্রণয় কান্তি দাশ বলেন, ‘সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরেকজন আহতকে আমরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছি। সাধারণত সেপটিক ট্যাংকে এ রকম বিষক্রিয়া হয়।’
১৪৮ দিন আগে
গাছে বাঁধা অবস্থায় মিলল শ্রীমঙ্গলের নিখোঁজ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কাকিয়াছড়া চা বাগান থেকে এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ জুলাই) সকালে চা বাগানের একটি গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় লাশটি দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয় বাগান শ্রমিকরা। খবর পেয়ে ফিনলে কোম্পানির কাকিয়াছড়া চা বাগানের ১ নম্বর সেকশন থেকে গাছের সঙ্গে বেল্ট দিয়ে বাঁধা অবস্থায় হৃদয় আহমেদ ইয়াছিন (১৯) নামের ওই কলেজপড়ুয়া ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
নিহত হৃদয় উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাহীবাগ এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে। কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয়ে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যা থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না হৃদয়ের। সোমবার সকালের দিকে বাগান শ্রমিকরা কাজে গেলে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় লাশ দেখতে পান। পরে আতঙ্কিত হয়ে পুলিশে খবর দেন তারা।
বাগানের শ্রমিকরা জানান, বেশ কয়েক বছর থেকেই মাঝে মাঝে চা বাগানে লাশ পাওয়া যাচ্ছে। বাগানে বড় সীমানা প্রাচীর না থাকায় যে কেউ বাগানে ঢুকতে পারে। আর এ সুযোগেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন তারা।
হৃদয়ের মা হাসিনা বেগম জানান, পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিল হৃদয়। দেশের মানুষ ও প্রশাসনের কাছে তিনি ছেলের জন্য ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘চা বাগানে লাশের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করি। এ ঘটনার আলামত সংগ্রহের জন্য কাজ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
১৪৯ দিন আগে
চা শ্রমিকদের সংগ্রাম: শতাব্দীর বঞ্চনার মাঝে ক্ষীণ আশার আলো
ভোর হতেই লবণ দিয়ে এক মগ লাল চা আর সঙ্গে দুই মুঠো চাল ভাজা খেয়ে ছুটে যান তারা চা বাগানে। অথচ যাদের শ্রমে দেশজুড়ে এই চায়ের খ্যাতি, তারা নিজেরাই দুধ-চিনি মেশানো এক কাপ চা পান করার সামর্থ্য রাখেন না। কাঠফাটা রোদে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হাঁটতে তারা সংগ্রহ করেন চা পাতা। দুপুরে ক্ষণিকের বিরতিতে যদি কপালে থাকে, কাঁচা মরিচ আর পাতার চাটনি দিয়ে খান ভাত। আবার অনেক সময় মুড়ি কিংবা একটু চানাচুর দিয়েই মধ্যাহ্নভোজ সারতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই নিভৃতে কঠিন এক জীবন সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে চলেছেন তারা।
চায়ের শেকড়ে ঔপনিবেশিক শেকল
প্রায় দেড়শ বছর আগে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের প্রলোভনে ভারতে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা থেকে এসব চা শ্রমিকদের সিলেটে আনা হয়। তাদের অধিকাংশই ছিলেন নারী।
‘গাছ নাড়লেই টাকা পড়ে’ কিংবা ‘মাটি খুঁড়লেই সোনা মেলে’র মতো অবাস্তব ও অলীক কথায় ‘আরকাট্টি’ নামে পরিচিত নিয়োগ এজেন্টরা তাদের মন ভুলিয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই শুরু হয় শোষণের ইতিহাস; যার ফলে আজও দুঃখ, সংগ্রামের ভারী শৃঙ্খল বয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাদের।
১৮৬৩ সালের শ্রম অভিবাসন আইন এই নিয়োগকে আনুষ্ঠানিক করে, তবে বাস্তবতা ছিল অনেক কঠিন। শ্রমিকরা কঠোর পরিস্থিতি, বিষাক্ত সাপ, বন্যপ্রাণী ও বাগান মালিকদের নিদারুণ শোষণের মুখোমুখি হয়।
এই শোষণের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯২১ সালের ‘মুলুকে চলো’ আন্দোলনে হাজার হাজার শ্রমিক ঘরে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্রিটিশ বাহিনীর তোপের মুখ থেকে রেহাই পাননি তারা। চাঁদপুরে ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে ঘটে এমনই এক ভয়াবহ গণহত্যা, যেখানে শত শত মানুষ নিহত হন। ফলে ঘরে আর ফেরা হয় না তাদের, আর নিয়তি মেনে নিয়ে চায়ের শেকড়ের সঙ্গেই নিজেদের শেকড় রচনা করতে হয় শ্রমিকদের। তার ধারাবাহিকতায় সিলেটের চা শ্রমিকরা কম মজুরি, দুর্বিষহ জীবনযাত্রা, পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ, সীমিত ডিজিটাল সংযোগ ও সন্তানদের জন্য সীমিত শিক্ষার সুযোগের মতো সমস্যার মধ্যে জীবনধারণ করে চলেছেন।
মজুরির নামে অবজ্ঞা
চা শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় বঞ্চনার জায়গা তাদের মজুরি। ২০২২ সালে আন্দোলনের মুখে তাদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় উন্নীত হয়। কিন্তু ২০২৫ সালেও তাদের ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবি পূরণ হয়নি। তার ওপর মজুরি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি যেমন অপূর্ণ, তেমনি অর্থপ্রদানে বিলম্বও নৈমিত্তিক ঘটনা। কখনো কখনো ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত বেতন না পেয়ে তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন: বকেয়া মজুরির দাবিতে রবিবার সড়ক অবরোধের ঘোষণা চা শ্রমিকদের
চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, ‘১২০ টাকা দৈনিক মজুরি দিয়ে পরিবার চালানো প্রায় অসম্ভব।’
১৮৯ দিন আগে
শ্রীমঙ্গলে গারোদের ওয়ানগালা উৎসব উদযাপিত
মৌলভীবাজারের শ্রীমেঙ্গলে চা বাগানের ভেতর প্রতি বছরের মতো এ বছর উদযাপিত হয়েছে গারো সম্প্রদায়দের ওয়ানগালা নবান্ন উৎসব।
গারো জাতিগোষ্ঠীর বিশ্বাস, ‘মিশি সালজং’ বা শস্যদেবতার ওপর ভরসা রাখলে ফসলের ভালো ফলন হয়। দেবতাকে নতুন ফসলের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে তারা এই উৎসব উদযাপন করেন। এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য আগামী বছরে যেন ফসল ভালো হয়। তাদের সন্তান ও পরিবার-পরিজনরা যেন ভালো থাকে।
পাহাড়ে বসবাসকারী উপজাতি নৃ-গোষ্ঠি গারোদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ও কৃষ্টির অন্যতম উৎসব হলো নবান্ন বা ওয়ানগালা উৎসব।
আরও পড়ুন: শেরপুরে গারোদের ‘ওয়ানগালা’ শুরু
১ ডিসেম্বর দুপুরে গারো যুব সংগঠনের আয়োজনে শ্রীমঙ্গলের ফুলছড়া চা বাগান মাঠে থক্কা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওয়ানগালা অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। গারো সমপ্রদায়ের নারীরা নেচে-গেয়ে অতিথিদের বরণ করে নিয়ে আসেন উৎসবস্থলে।
উৎসবের প্রথম পর্বে ক্রুশ চত্বরে বাণী পাঠ, থক্কা প্রদান, জনগণকে থক্কা দেওয়া, পবিত্র খ্রিষ্টযাগ, দান সংগ্রহ, আলোচনা সভা ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
গারোদের মূল ধর্ম ছিল সাংসারেক। তবে এখন অনেকেই খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছেন। সাধারণত বর্ষার শেষে ও শীতের আগে, নতুন ফসল তোলার পর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এর আগে নতুন খাদ্যশস্য খাওয়া নিষেধ থাকে এ সম্প্রদায়ের জন্য। তাই অনেকেই একে নবান্ন বা ধন্যবাদের উৎসবও বলা হয়।
ওয়ানগালা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক পার্থ হাজং, শিক্ষার্থী সালছিনা, থাং সুয়া, কিলি আশকরা, বেবিনা রং দির সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। তারা জানান, দেবতার সন্তুষ্টির পাশাপাশি এই আয়োজনের উদ্দেশ্য তাদের ভাষা-সংস্কৃতিকে জাগ্রত রাখা। নতুন প্রজন্মকে এ সম্পর্কে জানানো আর এই সঙ্গে সবার একই স্থানে একই উদ্দেশ্যে মিলিত হয়ে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানা ছাড়াও আয়োজন করা হয় তাদের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা।
আলোচনা পর্বে শ্রীমঙ্গল ক্যাথলিক মিশনের প্রধান পুরোহিত ফাদার ড. জেমস শ্যামল গোমেজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ, ফিনলের উপমহা ব্যবস্থাপক (ডিনস্টন ডিভিশন) হুমায়ুন কবির মজুমদার, মাজদিহি চাবাগানের ব্যবস্থাপক মো. শাহরিয়ার পারভেজ, হরিণছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক বিকাশ সিনহা প্রমুখ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গারো কিশোরীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী গান ‘ওয়ানগালা ওয়ানগালা’ গানের সঙ্গে নৃত্য করেন। এছাড়াও বিভিন্ন গারো লাইন থেকে আসা কিশোরীরা একেরপর এক নৃত্য পরিবেশন করেন।
এ সময় ফুলছড়া চা বাগান মাঠে ওয়ানগালাটি মিলন মেলায় পরিণত হয়। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও ভাল ফসল লাভের আশায় পালন করা হয় এই ওয়ানগালা। তিন দিনব্যাপী উৎসবকে নিয়ে ছিল নানা বর্ণিল আয়োজন। এ বছর তাদের আয়োজন ছিল সপ্তমবারের মতো। শেষে গারো সম্প্রদায়দের বিভিন্ন সফল কর্মে জড়িত ও অতিথিদের দেওয়া হয় সম্মাননা।
আরও পড়ুন: বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা
৩৬৮ দিন আগে
শ্রীমঙ্গলের রিসোর্ট থেকে সাবেক অতিরিক্ত সচিবের লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্ট থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সালাহ উদ্দিন মাহমুদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব। তিনি সর্বশেষ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার এসএমই ফাউন্ডেশনের কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ শেষে রাত ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্টে যান। সেখানে বৃহস্পতিবার সাড়ে ৮টার দিকে তার রুমে গেলে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। পুলিশ এসে জানালা দিয়ে ওই কক্ষে প্রবেশ করে। সেখানে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে আমরা তথ্য পেয়ে রিসোর্টে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি।
যানজটের কারণে ঢাকা থেকে তার পরিবার আসতে দেরি হওয়ায় সচিবের সহকর্মী এসএমই ফাউন্ডেশনের এজিএম মাসুদুর রহমানের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ নিয়ে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৪২০ দিন আগে
শ্রীমঙ্গলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির র্যালি ও মানববন্ধন
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বৈষম্যহীন,অহিংস ও শান্তি সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে শ্রীমঙ্গলে র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় রুপান্তর আস্থা প্রকল্পের যুব ফোরামের সদস্যরা র্যালি ও মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন
র্যালিতে অংশগ্রহণ করে যুব ফোরামের সদস্য চা শ্রমিক, কলেজের শিক্ষার্থী, উন্নয়নকর্মী, ধর্মীয়নেতাসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। র্যালিটি শ্রীমঙ্গল চৌমোহনা থেকে শুরু করে কলেজ রোডে শেষ হয়।
জেলা নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সদস্য পরিমল সিং বাড়াইক বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে নানা জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের মানুষের বসবাস। এরা সবাই এক হয়ে মিলেমিশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।’
ইমাম মো. ফুরকান মিয়া বলেন, ‘শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে সব ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
কলেজ শিক্ষার্থী মো. আরিফ বকস বলেন, ‘সব জাতি গোষ্ঠী, ধর্ম বর্ণের মানুষেরা একই রক্তে মাংসে গড়া। সকলে একটি বৈষম্যহীন, অহিংস বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেন।’
জেলার নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সদস্য পরিমল সিং বাড়াইক, যুব ফোরামের আহ্বায়ক মো. আফজাল হোসেন, কলেজ শিক্ষার্থী মো. আরিফ বকস, মসজিদের ইমাম মো. ফুরকান মিয়া ও সদর উপজেলার যুব ফোরামের আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মৌলভী বাজার জেলার নেতা শিপন দেবসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় নরসিংদীতে মানববন্ধন
৪৭১ দিন আগে
শ্রীমঙ্গলে ট্রাকচাপায় খালা-ভাগনির মৃত্যু
মৌলভীবাজারে বালু উত্তোলনকারী ট্রাকের চাপায় পেয়ারা খাতুন ও সাবিয়া বেগম (৮) নামে খালা ও ভাগনির মৃত্যু হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে ভুনবীর ইউনিয়নের আলীশারকুল এলাকায় সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
সাবিয়া শ্রীমঙ্গল ব্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং দুদু মিয়ার মেয়ে।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে ট্রাকচাপায় অটোরিকশাযাত্রী মা-ছেলে নিহত
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, পেয়ারা খাতুন তার সঙ্গে থাকা সাবিয়া বেগমকে নিয়ে রাস্তা পারাপাড়ের সময় দুটি ট্রাক পর তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, নিহত খালা ও ভাগনির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাক দুটি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ঘাতক চালককে আটকের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে মাকে খুঁজতে বের হয়ে ট্রাকচাপায় শিশু নিহত
৫২০ দিন আগে
শ্রীমঙ্গলে শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগে বাবা-মা গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার রাজপাড়া গ্রামে ২ বছরের প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগে বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২মে) গভীর রাতে হবিগঞ্জের সদর থানার দক্ষিণ চাতুল গ্রামে অভিযান চালিয়ে শিশুর বাবা রাশেদ মিয়া এবং মা শাপলা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ জানায়, শ্রীমঙ্গলের ভূনবীর ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামের দুই বছরের শিশু ফারিয়া জান্নাত মিলি জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে চলাফেরা করতে পারত না। তার বাবা রাশেদ মিয়া ও মা শাপলা বেগম তাকে দেখাশোনা করতে গিয়ে এক সময় অধৈর্য হয়ে পড়ে। শুক্রবার বিকালে শিশু ফারিয়ার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়। ঘটনার পর শিশুর বাবা-মা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে শিশুর নানা ওয়াসির মিয়া বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ মৃত শিশুর মা-বাবাকে গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে। গোপন সোর্স এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার রাতে হবিগঞ্জ সদর থানার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবা-মা তাদের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ১
৫৬০ দিন আগে
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে।
এছাড়া, আবহাওয়া অফিস আজ সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে এবং সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।
তাছাড়া, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাসে বলেছে।
চলমান ঘন কুয়াশা ও শীতে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাসমূহের সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশ বিপাকে পড়েছেন। শিশু ও বয়স্করা কষ্ট পাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালগুলোতে বেড়ে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি
দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দৈনন্দিন জীবন
৬৮৯ দিন আগে
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
সত্যিকার অর্থেই যদি বনভোজনের স্বাদ পেতে হয়, তাহলে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর বন-জঙ্গলের কোনো বিকল্প নেই। অরণ্যের আনাচে-কানাচে কিছু পাহাড়ি টিলা উঁকি দিলে মন্দ হয় না। এমন প্রাকৃতিক নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া যায় সিলেটের পথে বাংলাদেশের চা বাগানগুলোতে। আর তা যদি হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বৃষ্টিবন এলাকা তাহলে তো কথাই নেই! বলছি দেশের ১০টি জাতীয় উদ্যান এবং ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মধ্যে অন্যতম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের কথা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক- এই বুনো বাস্তুতন্ত্রে পদচিহ্ন এঁকে দেওয়ার উপায়।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের নামকরণ
ভানুগাছ অঞ্চলে জুম চাষকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল ত্রিপুরা গ্রাম। ত্রিপুরা ভাষায় লাউয়াছড়া বনকে মৈলপতুইসা বলা হয়। মৈলপ মানে লাউ, আর তুইসা শব্দের অর্থ পাহাড়ি ছড়া। যে বনের ছড়ার ধারের জুমে লাউয়ের ফলন ভালো হয়, সেই এলাকাকে বলা হতো মৈলপতুইসা।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলার নায়াগ্রাতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
১৯২৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার পুরো অঞ্চলটি অধিকার করে এখানে বৃক্ষায়ন শুরু করে। ইতোমধ্যে অরণ্যে রূপ নেওয়া মৈলপতুইসা ঘোষিত হয় সংরক্ষিত বন হিসেবে। ভানুগাছের পশ্চিমে থাকার কারণে এর নাম ছিল পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত বন। ১৯২৭ সালে উপনিবেশিক বন আইন জারির পর এখানকার বিভিন্ন স্থানের নামে পরিবর্তন আনা হয়। আর এ সময়েই মৈলপতুইসা বদলে হয়ে যায় লাউয়াছড়া।
১৯৯৬ সালে ১৯৭৪-এর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংশোধন আইন অনুসারে বনের নামের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয় জাতীয় উদ্যান শব্দ দুটি।
৭৭৮ দিন আগে