টেলিযোগাযোগ সেবা
বাজেট ২০২৪-২৫: ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে টেলিকম পরিষেবা
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে মোবাইল ফোনের সিমনির্ভর সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করায় টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যয়বহুল হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকালে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
অর্থমন্ত্রী তার প্রথম বাজেট বক্তৃতায় বলেন, 'আমি শুধু সিম/রুইম কার্ড সমর্থিত মোবাইল টেলিকম সার্ভিসের (সার্ভিস কোড এস০১২.১০) ওপর বিদ্যমান ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।’
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা
এছাড়া প্রতিটি সিম বা ই-সিম কার্ড সরবরাহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাটের পরিমাণ ২০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) নির্ধারণের প্রস্তাব করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে ওয়েবভিত্তিক কর্মসংস্থান ও ব্যবসার সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। ২০০৮ সালে ১ এমবিপিএস ফিক্সড ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ২৭ হাজার টাকা, এখন যেখানে তা মাত্র ৬০ টাকা। এসব সুবিধা গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিতে স্বল্প খরচে ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরও বলেন, মোবাইলে ফিন্যান্সিয়াল ওয়ালেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। দেশজুড়ে ৯ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টার, প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পোস্ট ই-সেন্টার এবং ৫ হাজার ৩৪৪ জন নারীসহ ১৬ হাজারের বেশি উদ্যোক্তার মাধ্যমে নাগরিকরা প্রয়োজনীয় সব ডিজিটাল সেবা নিতে পারছে।
এছাড়াও নাগরিকদের সুবিধাজনকভাবে পরিষেবাগুলো পাওয়ার সুযোগ করে দিতে ২ হাজার ৪০০টিরও বেশি পরিষেবাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা ২০০৮ সালে ৪০ লাখ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষে প্রায় ১২.৯২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার ২০০৮ সালের মাত্র ২.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫.১২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করা যাবে অপ্রদর্শিত স্থাবর সম্পদ
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
৫ মাস আগে
নির্বাচনে টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির গৃহীত পদক্ষেপ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জরুরি সেবা হিসেবে মানসম্মত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিটিআরসি।
এ উপলক্ষে টেলিকম অপারেটরদের জরুরি নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়োজিত যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।
বিটিআরসির নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সব মোবাইল, টাওয়ার-কো, এনটিটিএন, আইএসপি, আইআইজি, আইসিএক্স, আইজিডব্লিউ প্রভৃতি অপারেটরগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সাইট, পপ, হাব-সাইটসহ অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণসহ স্ব-স্ব টেলিকম অপারেটরদের সার্বক্ষণিক নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে টেলিকম অপারেটর কর্তৃক ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি সার্বক্ষণিক নেটওয়ার্ক মনিটরিয়ের ব্যবস্থাকরণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে পোর্টেবল ও ডিজেল জেনারেটরের নেটওয়ার্ক সচল রাখার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির ব্যবস্থাকরণ প্রয়োজনীয় মোবাইল বিটিএসের ব্যবস্থাকরণসহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
সকল টেলিকম অপারেটরদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রণয়নসহ সার্বিকভাবে সব কার্যক্রম সুচারুরূপে পর্যবেক্ষণের জন্য বিটিআরসির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়।
বিটিআরসির মনিটরিং সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সার্বিক পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও দিক নির্দেশনা প্রণয়নের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতকরণ বাস্তবায়ন হয়েছে।
১০ মাস আগে