এসএসসি পরীক্ষা
এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় কিশোরীর আত্মহত্যা
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার রাতে উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটে।
আত্মহননকারী শারমিন সুলতানা (১৬) একই এলাকার ইউপি সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।
মৃতের স্বজনরা জানান, শারমিন সুলতানা দক্ষিণ শ্রীপুর কুশলিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। সোমবার ফল প্রকাশের পর সে পাশ না করায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সবার অজান্তে রাত ৯টার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শারমিন। পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে দ্রুত দরজা ভেঙে তাকে মূমুর্ষু অবস্থায় কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হালিমুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেননি এবং তাদের অনুরোধে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসিতে ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা
ছেলের সঙ্গে আমিও কলেজে ভর্তি হবো
বাবা-ছেলে একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাছাড়াও এমন সাফল্যে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এখলাস উদ্দিন নয়ন(৪৫) চলতি বছরে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এখলাস উদ্দিন নয়নের এমন সাফল্যের সঙ্গে বাড়তি আরও আনন্দ যোগ দিয়েছে ছেলের মোহাম্মদ রায়হানের (১৭) সাফল্য। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পেয়েছে ৪.৮৬ পয়েন্ট।
বাবা-ছেলের এমন সাফল্যে খুশি তাদের পরিবার স্বজন ও এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: এসএসসি ফলাফল ২০২২: জিপিএ-৫ পেয়েছে ২,৬৯,৬০২ জন শিক্ষার্থী
জানা যায়, সাবেক ইউপি সদস্য এখলাস উদ্দিন নয়ন কেন্দুয়া উপজেলার মগরাই আদর্শ কারিগরি ইন্সটিটিউট থেকে কম্পিউটার এন্ড ইনফরমেশান টেকনোলজি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করেন।
অন্যদিকে ছেলে মোহাম্মদ রায়হান গৌরীপুর টেনকিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিল্ডিং মেইনটেনেন্স বিভাগের নিয়মিত ছাত্র হিসেবে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪.৮৬ অর্জন করেছে।
মোহাম্মদ রায়হান জানান, রাতে বাবা আর আমি একসঙ্গে পড়তে বসেছি। প্রথমে বাবা কিছুটা লজ্জা পেলেও আস্তে আস্তে সবার অভ্যাস হয়ে গেছে। বাবা আমার থেকে কম পড়ালেখা করেও আমার চেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে। আমার রেজাল্ট আরও ভালো হলে আরও খুশি হতাম।
এ বিষয়ে এখলাস উদ্দিন নয়ন জানান, ছেলে-মেয়ে নিয়ে চার সদস্যের সংসার। আমার মেয়ে আঁখি আক্তার বিএ পাস করেছেন। বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে আমার লেখাপড়া করার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু স্ত্রী সালমা বেগমের কারণেই ছেলের সঙ্গে আমাকেও পরীক্ষা দিতে হয়েছে। পরীক্ষা দেয়ার সময় কিছুটা লজ্জা লাগলেও ফলাফল পেয়ে এখন ভালো লাগছে। ছেলের সঙ্গে আমিও কলেজে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাবার ইচ্ছা আছে।
কেন্দুয়ার মগরাইল আদর্শ কারিগরি ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, এখলাছ উদ্দীন নয়ন আমার প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। এ বয়সে এসে তার এমন ফলাফলে আমরা গর্বিত।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, শিক্ষার কোন বয়স নাই, শিক্ষা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। অদম্য এই বাবাকে দেখে সাধারণ মানুষ লেখাপড়ায় আরও অনুপ্রাণিত হবে বলেও মনে করছি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
এসএসসি ফলাফল ২০২২: গড় পাসের হার ৮৭.৪৪%
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার কমেছে
এসএসসিতে বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে দশ হাজার ৬৮ জন শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় ফলাফলের পরিসংখ্যান ঘোষণা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন।
তিনি জানান, এ বছর পরীক্ষায় বরিশাল বোর্ড থেকে অংশ নেয় ৯৪ হাজার ৮৭১ জন।
এরমধ্যে ছাত্র ৪৫ হাজার ৯৭১ জন এবং ছাত্রী ৪৮ হাজার ৯০০ জন। পাস করেছে ৮৫ হাজার ১৪ জন, যারমধ্যে ছাত্র ৪০ হাজার ৪৩৫ জন এবং ছাত্রী ৪৪ হাজার ৫৭৯ জন।
বিভাগে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে ভোলা জেলা।
প্রতিবারের মতো এবারও এ শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পাস ও জিপিএ’র হারে এগিয়ে।
গত বছর বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে দশমিক ৫৮ শতাংশ।
এছাড়া জিপিএ-৫ কমেছে ১৫১ টি।
আরও পড়ুন: এসএসসি ফলাফল ২০২২: গড় পাসের হার ৮৭.৪৪%
এসএসসি ফলাফল ২০২২: জিপিএ-৫ পেয়েছে ২,৬৯,৬০২ জন শিক্ষার্থী
প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
এসএসসি পরীক্ষা : দিনাজপুর বোর্ডে স্থগিত চার পরীক্ষা ১০-১৩ অক্টোবর
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় স্থগিত চারটি পরীক্ষা গ্রহণে সংশোধিত নতুন রুটিন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত টানা চারদিন গণিত, কৃষি শিক্ষা, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই নতুন রুটিন ঘোষণা করেছেন শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম জানান, আগের সূচি অনুযায়ী সঠিক সময়ে ফলাফল ঘোষণার সুবিধার্থে সংশোধিত রুটিন প্রণয়ন করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭১.৭৮ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪,০৪৯ জন
সূচি অনুযায়ী- ২২ সেপ্টেম্বরে গণিত ( আবশ্যিক ব্ষিয়ের পরীক্ষা ১০ অক্টোবর, ২৫ সেপ্টেম্বরের কৃষি শিক্ষা (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা ১১ অক্টোবর, ২৪ সেপ্টেম্বরের পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা ১২ অক্টোবর এবং ২৬ সেপ্টেম্বরের রসায়ন (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা ১৩ অক্টোবর গ্রহণ করা হবে।
পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১টায়েএবং শেষ হবে দুপুর ১টায়। পাশাপাশি ব্যবহারিক পরীক্ষ ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে পরিবর্তীত সময়সূচি অনুযায়ী ১৫ -২০ অক্টোবরের মধ্যে গ্রহণ করবেন তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ফারাজ উদ্দিন তালুকদারকে আহ্বায়ক, শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর হারুন উর রশিদ এবং রংপরের অঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের উপপরিচালক আশরাফুজ্জামানকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল কুড়িগ্রাম পরিদর্শন করছেন। জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রয়েজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবেন তারা। এতে জড়িত প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন তারা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫
এসএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমেছে
এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁস: কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার আরও ৩
কুড়িগ্রামে চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন, ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল চৌধুরী ও পিয়ন সুজন মিয়া।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পশু চোরদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন!
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় হামিদুল ও সোহেলকে বুধবার সকালে এবং সবুজকে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এসপি বলেন, ‘যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ তিন স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শিক্ষকরা হলেন-ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সচিব লুৎফুর রহমান এবং বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক জুবায়ের হোসেন ও আমিনুর রহমান।
চলমান এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম এবং ২য় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্নভাবে অভিভাবকদের হাতে চলে যায়।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, সচিব অধ্যাপক জহির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলমসহ অন্যরা অভিযোগটি তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: তিস্তার ভাঙন: গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে শতাধিক পরিবার গৃহহীন
কুড়িগ্রামে নিখোঁজের চারদিন পর কৃষকের লাশ উদ্ধার
এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁস: প্রধান শিক্ষকসহ আটক ৩
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মঙ্গলবার চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান শিক্ষকসহ তিন স্কুল শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির বিভাগীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
আটক ব্যক্তিরা হলেন-ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সচিব লুৎফুর রহমান এবং বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক জুবায়ের হোসেন ও আমিনুর রহমান।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ঢাবির শিক্ষার্থীসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুলিশের একটি দল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
চলমান এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম এবং ২য় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্নভাবে অভিভাবকদের হাতে চলে যায়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের দায়ে আটক ২৯
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, সচিব অধ্যাপক জহির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলমসহ অন্যরা অভিযোগটি তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছেন।
বরিশাল বোর্ডে অনুপস্থিত ৯০৭ পরীক্ষার্থী,বহিষ্কার ৬
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজী (আবশ্যিক) ১ম পত্রে অনুপস্থিত ছিলেন ৯০৭ জন পরীক্ষার্থী। এছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ছয়জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার বিকালে বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ কুমার গাইনবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন সিলেবাসে ২০২৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাতিনি জানান, বিভাগের ছয় জেলায় ১৮৭ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে সোমবার মোট ৮৭ হাজার৬৯২ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। তবে এরমধ্যেঅংশগ্রহণ করেছে ৮৬ হাজার ৭৮৫ জন পরীক্ষার্থী, ফলে অনুপস্থিতির সংখ্যা ৯০৭জন। অর্থাৎ শতকরা ১ দশমিক ৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী এদিন অনুপস্থিত ছিলেন।বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, অনুপস্থিতদের মধ্যে বরিশাল জেলায় ২৭০ জন, পটুয়াখালীতে ১৮৫ জন, ভোলায় ১৭০ জন, পিরোজপুরে ১১৬, বরগুনায় ৯৪ জন ও ঝালকাঠিতে ৭২ জন রয়েছে।অপরদিকে বহিষ্কৃতদের মধ্যে- বরিশালে তিনজন, ভোলায় দুইজন এবং পটুয়াখালীতে একজন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসির বাংলা ১মপত্র খারাপ হওয়ায় খুলনায় পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
বাড়িতে মায়ের লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিলো সুমাইয়া!
বাড়িতে মায়ের লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিলো সুমাইয়া!
মরণঘাতী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যুর সংবাদে অজ্ঞান হয়ে পড়ে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার।
পরিবারের লোকজন উপায় না পেয়ে তাকে পানছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেবা শুশ্রূষা ও জ্ঞান ফেরাতে চলে চিকিৎসা।
আরও পড়ুন: বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
কারণ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার সকাল ১১ টায় তার এসএসসি’র বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষা।
অসুস্থ ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনচারুল করিম জানতে পারেন মেয়েটির বাবা রফিকুল ইসলাম মৃত। স্ত্রী ফাতেমা বেগমের দাফন কাফনের আয়োজন করছেন।
তাই সুমাইয়া আক্তারকে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় নিজের গাড়িতে করে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট পর কেন্দ্রে নিয়ে পরীক্ষার দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এর এমন মহানুভতায় পানছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিজ বেলী চাকমা জানান, সুমাইয়া আক্তার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী হলেও আমার বিদ্যালয়ে তার পরীক্ষা কেন্দ্র। এছাড়া মো. আনচারুল যা করেছেন তা প্রশংসনীয়। এমন উদ্যোগ সকলেই নিয়ে কাজ করতে পারে না।
তাঁর এই মহতি কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনচারুল করিম বলেন, একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীর মা মারা যাওয়ায় পরীক্ষা দিচ্ছে না এমন খবরে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে তাকে সান্ত্বনা দিই। অশ্রæসিক্ত চোখে কেন্দ্রে ঢুকে বারবার কেঁদেছে সুমাইয়া।
প্রশ্নপত্র হাতে নিয়ে একহাতে চোখ মুছে ও অন্য হাতে খাতায় লিখেছে। মাঝে মাঝে ফুঁপিয়ে কেঁদেও উঠেছে।
তবু তার পাশে থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন করিয়েছি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড: আরও ২ লাশ শনাক্ত
এসএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে ভুল, ১৯ পরীক্ষক ২ বছর নিষিদ্ধ
এসএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নকালে ভুল করায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের ১৯ পরীক্ষককে দুই বছর নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত শিক্ষকরা দুই বছর পরীক্ষক হতে পারবেন না। এসব পরীক্ষকের ভুলের কারণে ৬০ শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন করতে হয়েছে। এমনকি ফেল করা শিক্ষার্থীরাও পুনঃমূল্যায়নের পর জিপিএ-৫ পেয়েছে।
তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে গত ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষা বোর্ড এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: যশোর বোর্ডে পাসের হার কমেছে, বেড়েছে জিপিএ ৫
প্রকাশিত ফলাফলে উল্লেখ করা হয়, এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া এক লাখ ৭৮ হাজার ৭৯৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৪৩৯ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কাঙ্খিত ফলাফল না পাওয়ায় ১২টি বিষয় পুনঃনিরীক্ষার জন্য ছয় হাজার ৮৬৩ পরীক্ষার্থী আবেদন করে। আবেদনকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে খাতা পুনঃনিরীক্ষা করে শিক্ষা বোর্ড থেকে ৬০ জনের ফলাফল পরিবর্তন করে। এই পরিবর্তনের ফলে অকৃতকার্য হওয়া ৪০ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে। এর মধ্যে ফেল করা থেকে ১১ জন শিক্ষার্থী পেয়েছে জিপিএ-৫। এছাড়া ৪৯ পরীক্ষার্থী বিভিন্ন গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে। এর আগে যেসব পরীক্ষক খাতা দেখায় ভুল করেছিলেন তাদেরকে দুই বছর পরীক্ষার খাতা দেখা থেকে বিরত রাখা হয়েছে বলে বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রিন্টিংয়ে ভুল: যশোর বোর্ডের এসএসসি আইসিটি পরীক্ষা স্থগিত
এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, অভিজ্ঞ পরীক্ষক দিয়ে খাতা পুনঃনিরীক্ষা করা হয়েছে। যে সব পরীক্ষক খাতা দেখতে ভুল করেছেন তাদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। পরীক্ষা কমিটির সভায় নিয়ম অনুযায়ী তাদের দুই বছর খাতা দেখা থেকে বিরত রাখা হবে।
এসএসসি ফলাফল: যশোরে বেড়েছে পাসের হার
যশোর বোর্ডে এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে। গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ০৯ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ বেশি।
জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৪৬১ জন। এ বছর জিপিএ ৫ এর সংখ্যাও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৭৬৭ জন।
যশোর বোর্ডের প্রকাশিত ফল থেকে জানা গেছে, এবার এই বোর্ড থেকে এক লাখ ৮১ হাজার ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে এক লাখ ৬৬ হাজার ৪৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৮৪ হাজার ৬৫৯ ও ছাত্রী ৮১ হাজার ৭৮০ জন। গত বছর এক লাখ ৬০ হাজার ৬৩৫ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে উত্তীর্ণ ১ লাখ ৪০ হাজার ২৫৮ জন। পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৯৬.২৭ শতাংশ
শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, এ বছর যশোর বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩৭ হাজার ৮২৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৬ হাজার ৪২৯ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২২৪ জন।
মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৪০৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে এক লাখ চার হাজার ৩৯৬ জন। পাসের হার ৬০ দশমিক ৬ শতাংশ। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৩৬৯ জন।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ২৬ হাজার ৩২৮ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ২৫ হাজার ৬১৩ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৬৮ ছাত্রছাত্রী।
এদিকে, বৃস্পতিবার সকালে যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এবারের ফলের চিত্র তুলে ধরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার শুধু তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের মতো আবশ্যিক বিষয়ে জেএসসির ফলের ভিত্তিতে নম্বর বণ্টনের সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার কমেছে
তিনি জানান, সাধারণত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া হয়। কিন্তু করোনার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় আট মাস পর নভেম্বরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফল শিক্ষার্থীরা স্কুল ও মাদরাসা থেকে জানতে পারবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএস ও অনলাইনে সার্চ করেও ফল জানাতে পারবে বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র।