এসএসসি পরীক্ষা
গাজীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র দায়িত্বরত শিক্ষককে কারাদণ্ড
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষক সৈকত হোসেনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্কুল অ্যান্ড কলেজ এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন ফোন দিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় এ কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালে সৈকত হোসেন ডিউটি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি তার মোবাইল ফোন দিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি তার ফোনটি জব্দ করেন।
পরে তার ফোনের ভেতরে প্রশ্নপত্রের উত্তর দেখতে পান। ঘটনাস্থলে ওই শিক্ষককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্লা জানান, তার ফোনে ছবি ও উত্তরপত্র পাওয়া যায়। এর দায়ে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৯ মাস আগে
২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী বছর ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত দুই থেকে তিন বছর আমাদের একাডেমিক ক্যালেন্ডার একটু এলোমেলো হয়েছে। আগামী বছর থেকে এটা ঠিক হবে বলে আশা করি। আগামী বছর চেষ্টা থাকবে এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলে নেওয়ার আর এসএসসি চেষ্টা করবো আগের মতো ফেব্রুয়ারিতে নিতে।
তিনি বলেন, দেশের কোনো পাবলিক পরীক্ষায় গত পাঁচ বছরে প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। যা ছড়িয়েছে সেগুলো সবই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এগুলোর সবই গুজব। ২০১৫ সালের পর থেকে আমরা প্রশ্নফাঁস রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক ছিলাম। এজন্য কোনো প্রশ্নফাঁসের ঘটনাও ঘটেনি। আশা করি এবারের এইচএসসি পরীক্ষাতেও এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। যদি কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ
এইচএসসি পরীক্ষায় বসছে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার শিক্ষার্থী
১ বছর আগে
এসএসসি পরীক্ষায় অভিনব কায়দায় নকল: ৫ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের জেবি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে মোবাইলের মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে নকল সরবরাহ ও অসদুপায় অবলম্বন করায় পাঁচ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দুপুর ১২টায় এই ঘটনা ঘটে এবং পাঁচ ডিজিটাল নকলবাজ ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জেলি পুশ করা ১৫০০ কেজি চিংড়ি উদ্ধার
বহিষ্কার হওয়া পাঁচ পরীক্ষার্থী হলো- ওমর ফারুক, মশিউর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, ফারদিন ইসলাম ও মাহবী হাসান মুহিন।
এদের মধ্যে মশিউর রহমান বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের, আর বাকি চারজন মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মোবাইল মেসেঞ্জারে নকল সরবরাহের মাধ্যমে পুরো পরীক্ষা পার করেছেন তারা। শেষ রক্ষা আর হয়নি তাদের।
ধরা পড়লো সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তারের হাতে।
সন্ধ্যায় বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনিম আক্তার।
তাসনিম আক্তার ইউএনবিকে জানান, পরীক্ষার শুরু থেকে এই পাঁচজন পরীক্ষার্থী ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরো পরীক্ষা নকল করে দিয়ে আসছিল। তাদের পাঁচজনের কাছে স্মার্টফোন থাকতো। আর এই পাঁচজনের মধ্যে একটা গ্রুপ মেসেঞ্জার ছিল। বাইরে থেকে তাদের ওই মোবাইলের মেসেঞ্জারে নকল সরবরাহ করা হতো। চারজনের একটা গ্রুপ বাইরে থেকে তাদের নকল সরবরাহ করতো।
এছাড়া তাদেরও আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তাসনিম আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হলে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্ন দেওয়ার পর পরই এই প্রশ্নের ছবি তুলে তারা বাহিরে পাঠিয়ে দিতো। পরে তাদের মেসেঞ্জার গ্রুপে একটা একটা করে উত্তর সরবরাহ করতো।
এভাবেই তারা পুরো পরীক্ষা পার করেছে।
এদিন ছিল পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনিম আক্তার গোপন সূত্রে এমন একটি চাঞ্চল্যকর নকলের খবর পান।
তিনি দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এক নম্বর কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থী মাহবী হাসান মুহিনকে চ্যালেঞ্জ করেন। আর তখনই তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয় এবং পুরো নকলের বিষয়টি বের হয়ে আসে।
তিনি যখন তল্লাশি শুরু করলেন তখন এই পাঁচজনের একজন তার সঙ্গে থাকা মোবাইলটি ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেয়। সেটি একজন কক্ষ পরিদর্শক উদ্ধার করেন।
আর বাকি তিনজনের কাছে তল্লাশি করে মোবাইল সেট পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে তল্লাশির সময় তারা কৌশলে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনার পর পর তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এ ব্যাপারে পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, আমরা সকল পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের চেকআপ করে রুমে প্রবেশ করিয়েছি। কোন অবস্থায় যেন কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, তারপরেও তারা অতীব গোপনে অন্যায়ের আশ্রয় নিয়ে মোবাইল নিয়ে রুমে প্রবেশ করেছে।
এছাড়া তারা অন্যায়ের শাস্তি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘শতকোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরে আধুনিক নৌ বন্দর নির্মাণ হবে’
চাঁদপুরে ‘ভারতীয় সিরিয়াল দেখে’ শিশু হত্যার অভিযোগ, কিশোর গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
এসএসসি পরীক্ষার হলের ২০০ গজের মধ্যে প্রার্থী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি
রবিবার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্য কাউকে পরীক্ষার হলের ২০০ গজের মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের এসএসসি, এসএসসি (ভোকেশনাল), দাখিল ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে শুরু হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষার্থী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনগুলোতে ৩০ এপ্রিল থেকে এই আদেশ বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে।প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও কোভিড-১৯ এর কারণে গত বছরের মতো সময়মতো পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় কিশোরীর আত্মহত্যা
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার রাতে উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটে।
আত্মহননকারী শারমিন সুলতানা (১৬) একই এলাকার ইউপি সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।
মৃতের স্বজনরা জানান, শারমিন সুলতানা দক্ষিণ শ্রীপুর কুশলিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। সোমবার ফল প্রকাশের পর সে পাশ না করায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সবার অজান্তে রাত ৯টার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শারমিন। পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে দ্রুত দরজা ভেঙে তাকে মূমুর্ষু অবস্থায় কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হালিমুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেননি এবং তাদের অনুরোধে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসিতে ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা
১ বছর আগে
ছেলের সঙ্গে আমিও কলেজে ভর্তি হবো
বাবা-ছেলে একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাছাড়াও এমন সাফল্যে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এখলাস উদ্দিন নয়ন(৪৫) চলতি বছরে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এখলাস উদ্দিন নয়নের এমন সাফল্যের সঙ্গে বাড়তি আরও আনন্দ যোগ দিয়েছে ছেলের মোহাম্মদ রায়হানের (১৭) সাফল্য। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পেয়েছে ৪.৮৬ পয়েন্ট।
বাবা-ছেলের এমন সাফল্যে খুশি তাদের পরিবার স্বজন ও এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: এসএসসি ফলাফল ২০২২: জিপিএ-৫ পেয়েছে ২,৬৯,৬০২ জন শিক্ষার্থী
জানা যায়, সাবেক ইউপি সদস্য এখলাস উদ্দিন নয়ন কেন্দুয়া উপজেলার মগরাই আদর্শ কারিগরি ইন্সটিটিউট থেকে কম্পিউটার এন্ড ইনফরমেশান টেকনোলজি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করেন।
অন্যদিকে ছেলে মোহাম্মদ রায়হান গৌরীপুর টেনকিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিল্ডিং মেইনটেনেন্স বিভাগের নিয়মিত ছাত্র হিসেবে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪.৮৬ অর্জন করেছে।
মোহাম্মদ রায়হান জানান, রাতে বাবা আর আমি একসঙ্গে পড়তে বসেছি। প্রথমে বাবা কিছুটা লজ্জা পেলেও আস্তে আস্তে সবার অভ্যাস হয়ে গেছে। বাবা আমার থেকে কম পড়ালেখা করেও আমার চেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে। আমার রেজাল্ট আরও ভালো হলে আরও খুশি হতাম।
এ বিষয়ে এখলাস উদ্দিন নয়ন জানান, ছেলে-মেয়ে নিয়ে চার সদস্যের সংসার। আমার মেয়ে আঁখি আক্তার বিএ পাস করেছেন। বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে আমার লেখাপড়া করার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু স্ত্রী সালমা বেগমের কারণেই ছেলের সঙ্গে আমাকেও পরীক্ষা দিতে হয়েছে। পরীক্ষা দেয়ার সময় কিছুটা লজ্জা লাগলেও ফলাফল পেয়ে এখন ভালো লাগছে। ছেলের সঙ্গে আমিও কলেজে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাবার ইচ্ছা আছে।
কেন্দুয়ার মগরাইল আদর্শ কারিগরি ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, এখলাছ উদ্দীন নয়ন আমার প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। এ বয়সে এসে তার এমন ফলাফলে আমরা গর্বিত।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, শিক্ষার কোন বয়স নাই, শিক্ষা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। অদম্য এই বাবাকে দেখে সাধারণ মানুষ লেখাপড়ায় আরও অনুপ্রাণিত হবে বলেও মনে করছি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
এসএসসি ফলাফল ২০২২: গড় পাসের হার ৮৭.৪৪%
১ বছর আগে
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার কমেছে
এসএসসিতে বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে দশ হাজার ৬৮ জন শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় ফলাফলের পরিসংখ্যান ঘোষণা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন।
তিনি জানান, এ বছর পরীক্ষায় বরিশাল বোর্ড থেকে অংশ নেয় ৯৪ হাজার ৮৭১ জন।
এরমধ্যে ছাত্র ৪৫ হাজার ৯৭১ জন এবং ছাত্রী ৪৮ হাজার ৯০০ জন। পাস করেছে ৮৫ হাজার ১৪ জন, যারমধ্যে ছাত্র ৪০ হাজার ৪৩৫ জন এবং ছাত্রী ৪৪ হাজার ৫৭৯ জন।
বিভাগে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে ভোলা জেলা।
প্রতিবারের মতো এবারও এ শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পাস ও জিপিএ’র হারে এগিয়ে।
গত বছর বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে দশমিক ৫৮ শতাংশ।
এছাড়া জিপিএ-৫ কমেছে ১৫১ টি।
আরও পড়ুন: এসএসসি ফলাফল ২০২২: গড় পাসের হার ৮৭.৪৪%
এসএসসি ফলাফল ২০২২: জিপিএ-৫ পেয়েছে ২,৬৯,৬০২ জন শিক্ষার্থী
প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
১ বছর আগে
এসএসসি পরীক্ষা : দিনাজপুর বোর্ডে স্থগিত চার পরীক্ষা ১০-১৩ অক্টোবর
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় স্থগিত চারটি পরীক্ষা গ্রহণে সংশোধিত নতুন রুটিন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত টানা চারদিন গণিত, কৃষি শিক্ষা, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই নতুন রুটিন ঘোষণা করেছেন শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম জানান, আগের সূচি অনুযায়ী সঠিক সময়ে ফলাফল ঘোষণার সুবিধার্থে সংশোধিত রুটিন প্রণয়ন করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭১.৭৮ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪,০৪৯ জন
সূচি অনুযায়ী- ২২ সেপ্টেম্বরে গণিত ( আবশ্যিক ব্ষিয়ের পরীক্ষা ১০ অক্টোবর, ২৫ সেপ্টেম্বরের কৃষি শিক্ষা (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা ১১ অক্টোবর, ২৪ সেপ্টেম্বরের পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা ১২ অক্টোবর এবং ২৬ সেপ্টেম্বরের রসায়ন (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা ১৩ অক্টোবর গ্রহণ করা হবে।
পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১টায়েএবং শেষ হবে দুপুর ১টায়। পাশাপাশি ব্যবহারিক পরীক্ষ ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে পরিবর্তীত সময়সূচি অনুযায়ী ১৫ -২০ অক্টোবরের মধ্যে গ্রহণ করবেন তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ফারাজ উদ্দিন তালুকদারকে আহ্বায়ক, শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর হারুন উর রশিদ এবং রংপরের অঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের উপপরিচালক আশরাফুজ্জামানকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল কুড়িগ্রাম পরিদর্শন করছেন। জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রয়েজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবেন তারা। এতে জড়িত প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন তারা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫
এসএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমেছে
২ বছর আগে
এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁস: কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার আরও ৩
কুড়িগ্রামে চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন, ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল চৌধুরী ও পিয়ন সুজন মিয়া।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পশু চোরদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন!
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় হামিদুল ও সোহেলকে বুধবার সকালে এবং সবুজকে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এসপি বলেন, ‘যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ তিন স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শিক্ষকরা হলেন-ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সচিব লুৎফুর রহমান এবং বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক জুবায়ের হোসেন ও আমিনুর রহমান।
চলমান এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম এবং ২য় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্নভাবে অভিভাবকদের হাতে চলে যায়।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, সচিব অধ্যাপক জহির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলমসহ অন্যরা অভিযোগটি তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: তিস্তার ভাঙন: গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে শতাধিক পরিবার গৃহহীন
কুড়িগ্রামে নিখোঁজের চারদিন পর কৃষকের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁস: প্রধান শিক্ষকসহ আটক ৩
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মঙ্গলবার চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান শিক্ষকসহ তিন স্কুল শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির বিভাগীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
আটক ব্যক্তিরা হলেন-ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সচিব লুৎফুর রহমান এবং বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক জুবায়ের হোসেন ও আমিনুর রহমান।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ঢাবির শিক্ষার্থীসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুলিশের একটি দল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
চলমান এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম এবং ২য় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্নভাবে অভিভাবকদের হাতে চলে যায়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের দায়ে আটক ২৯
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, সচিব অধ্যাপক জহির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলমসহ অন্যরা অভিযোগটি তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছেন।
২ বছর আগে