নামঞ্জুর
রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর, সাবেক এমপি দবিরুল কারাগারে
চাঁদাবাজি, ভুমিদখল, হত্যা চেস্টায় ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি দবিরুল ইসলামের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে এ রায় দেন বিচারক রাজীব কুমার রায়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাসের হেলপার হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বেশ কয়েকজনের কাছে প্রায় ৭১ একর জমি ক্রয় করে হাবিবুল ইসলাম বাবলু নামে এক ব্যবসায়ী। পরে ওই জমিতে প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে গেলে সাবেক এমপির নেতৃত্বে তার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ৫০ একরের বেশি জমি দখল করে নেয় আসামিরা। পরে জমি উদ্ধারে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয় ব্যবসায়ীর কাছে। টাকা না দিলে প্রাণ নাশের হুমকিও দেয় সাবেক এমপি দবিরুলসহ তার লোকজন।
এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে সাবেক এমপি দবিরুল ইসলাম ও তার ছেলে সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন হাবিবুল ইসলাম। আদালতের নির্দেশে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ১১ সেপ্টেম্বর মামলাটি রুজু করা হয়।
বুধবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে রিমান্ড ও জামিন বাতিল করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন বিচারক।
গত ২ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক রহিমা খাতুনের মুখোমুখি করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলার ১৩ বছর পর ১৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৪ সপ্তাহ আগে
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর ও সাবেক সচিব আমিনুলের জামিন নামঞ্জুর
যুবদলের নেতা শামীম হত্যা মামলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এবং সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন মাহমুদুর রহমান
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক তন্ময় কুমার বিশ্বাস রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মো. নজিবুর রহমান ও মো. আমিনুল ইসলাম খানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
তাদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।
শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৬ অক্টোবর রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সেদিন বিকালে বনানী থেকে আমিনুল ইসলাম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। ওই মহাসমাবেশ পণ্ড করার জন্য একই দিনে পাল্টা সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ। বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়।
এতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হন এবং যুবদল নেতা শামীম মারা যান। এ ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের নেতা সম্রাট ৪ দিনের রিমান্ডে
১ মাস আগে
সাবেক শিল্পমন্ত্রীর রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ
সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যনূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাকিবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ গ্রেপ্তার
আদালত সূত্রে জানা য়ায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাবেক শিল্পমন্ত্রী হুমায়ূন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিযুক্ত করে মাধবদী থানায় হত্যাসহ অন্যান্য অভিযোগে মামলা করা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
আরও পড়ুন: ইনু-মেনন, পলকসহ সাবেক আইজিপি মামুন রিমান্ড শেষে কারাগারে
আসামি পক্ষের আইনজীবী খন্দকার হালিম বলেন, বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা ছাড়াও ঘটনাস্থলে অনুপস্থিতি বিবেচনায় আদালত তাকে রিমান্ডে না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদির টিটু এ আদেশের বিরোধিতা করে আপিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পলক, টুকুসহ ৬ জন আবারও রিমান্ডে
১ মাস আগে
ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুর
গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের তিন দিনের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বুধবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক হাসিবুল হক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-সুইডেন: পলক
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে আইনজীবী চৈতন্য চন্দ্র হালদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে তিন দিনের মধ্যে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন বিচারক।
মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক হেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত: প্রধানমন্ত্রী
এদিন সকালে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলাটির দায়ের করেন গৃহকর্মী প্রীতির বাবা লুকেশ ওড়ান। মামলায় ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে এক কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়।
প্রীতি ওড়ান নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ওই ভবনের বাসিন্দা ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
৯ মাস আগে
৬ মামলায় জামিন পেলেন মির্জা আব্বাস, ৩টিতে নামঞ্জুর
রাজধানীর পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক ৯ মামলার মধ্যে ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিন মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনও জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
পল্টন থানার পাঁচটি মামলার মধ্যে চারটিতে এবং রমনা থানার চারটি মামলার মধ্যে দুইটিতে জামিনের আদেশ দেন আদালত।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে জামিন শুনানি করেন- জয়নুল আবেদীন, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন জানান, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখা হয়। পরে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাসকে ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ও এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির নির্দেশ
মির্জা আব্বাস, আলতাফ ও আলালের জামিন আবেদন খারিজ
৯ মাস আগে
নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
গত ২৮ অক্টোবর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী জামিনের আবেদন নাকচ করে জেল গেটে পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেন।
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের রিমান্ডের আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমিত কুমার তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শুধু সরকারপন্থী দলগুলোই 'পাতানো' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে: বিএনপি
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
এদিকে, ৩ নভেম্বর সহিংসতার সময় এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবারের বদলে মঙ্গলবার হরতাল পালন করবে বিএনপি
৭ সপ্তাহ পর বিজয় দিবসে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
১১ মাস আগে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার(২২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে আবারও বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
গত ২০ নভেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর সময় চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তা ২২ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।
এর আগে গত ২ নভেম্বর বিএনপি নেতার জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। জামিন আবেদনের পর ২০ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামায়াত ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে: বিএনপি
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৯ অক্টোবর গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুর থেকে বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
১১ মাস আগে
ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানো হয়েছে
গত শনিবার সমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার(২৯ অক্টোবর) রাতে আদালত এই আদেশ দেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করলে মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন এ আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার সকালে গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধ বিএনপির
আটকের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) ফারুক হোসেন বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরে রাত ৮টা ১০ মিনিটে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
১ বছর আগে
জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে বিএনপি নেতা চাঁদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় জামালপুরে দায়ের করা মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক তানভীর আহমেদ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদ কিশোরগঞ্জ কারাগারে
একই মামলায় জামিনে থাকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম ও সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন আদালতে হাজিরা দিলে আদালত তাদের জামিন বহাল রাখেন।
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. ফজলুল হক জানান, বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে আদালতে আনা হলে জামিনের জন্য আবেদন করেন তারা। এসময় বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপি নেতা চাঁদের ৩ বছরের কারাদণ্ড
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
১ বছর আগে
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ফখরুল-আব্বাসের জামিন চতুর্থ দফায় নামঞ্জুর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন চতুর্থবারের মতো না মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মামলায় তাদের জামিন দেননি বিচারক।
বুধবার তাদের আইনজীবীরা জামিন চাইলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামান আবেদন নাকচ করে দেন।
বিএনপি নেতাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, এই মামলায় চতুর্থবারের মতো বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জামিন নামঞ্জুর করা হলো।
আরও পড়ুন: ফখরুল-আব্বাসকে আগেই ডিভিশন দেয়া উচিত ছিল: হাইকোর্ট
গত ৯ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল অভিযান রাজধানীর তাদের বাসায় চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে নিয়ে যায়।
পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ফখরুল ও আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
এরপর ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় বিএনপির দুই নেতার জামিন আবেদন আবারও খারিজ করে দেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার একটি আদালত ৯ ডিসেম্বর তাদের ডিভিশন সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেন এবং এরপর ১৩ ডিসেম্বর থেকে ডিভিশন সুবিধা দেয়া হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে ৭ ডিসেম্বর দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও পল্টন থানায় ৭২০ বিএনপি নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় দুই হাজার ৪০০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে পুলিশ।
নয়াপল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ৪৫০ জন, মতিঝিল থানার মামলায় ২০ জন এবং শাহজাহানপুর থানার মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর
ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
১ বছর আগে