নামঞ্জুর
ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুর
গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের তিন দিনের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বুধবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক হাসিবুল হক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-সুইডেন: পলক
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে আইনজীবী চৈতন্য চন্দ্র হালদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে তিন দিনের মধ্যে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন বিচারক।
মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক হেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত: প্রধানমন্ত্রী
এদিন সকালে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলাটির দায়ের করেন গৃহকর্মী প্রীতির বাবা লুকেশ ওড়ান। মামলায় ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে এক কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়।
প্রীতি ওড়ান নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ওই ভবনের বাসিন্দা ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
৬ মামলায় জামিন পেলেন মির্জা আব্বাস, ৩টিতে নামঞ্জুর
রাজধানীর পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক ৯ মামলার মধ্যে ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিন মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনও জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
পল্টন থানার পাঁচটি মামলার মধ্যে চারটিতে এবং রমনা থানার চারটি মামলার মধ্যে দুইটিতে জামিনের আদেশ দেন আদালত।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে জামিন শুনানি করেন- জয়নুল আবেদীন, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন জানান, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখা হয়। পরে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাসকে ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ও এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির নির্দেশ
মির্জা আব্বাস, আলতাফ ও আলালের জামিন আবেদন খারিজ
নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
গত ২৮ অক্টোবর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী জামিনের আবেদন নাকচ করে জেল গেটে পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেন।
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের রিমান্ডের আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমিত কুমার তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শুধু সরকারপন্থী দলগুলোই 'পাতানো' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে: বিএনপি
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
এদিকে, ৩ নভেম্বর সহিংসতার সময় এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবারের বদলে মঙ্গলবার হরতাল পালন করবে বিএনপি
৭ সপ্তাহ পর বিজয় দিবসে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার(২২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে আবারও বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
গত ২০ নভেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর সময় চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তা ২২ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।
এর আগে গত ২ নভেম্বর বিএনপি নেতার জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। জামিন আবেদনের পর ২০ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামায়াত ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে: বিএনপি
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৯ অক্টোবর গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুর থেকে বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানো হয়েছে
গত শনিবার সমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার(২৯ অক্টোবর) রাতে আদালত এই আদেশ দেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করলে মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন এ আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার সকালে গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধ বিএনপির
আটকের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) ফারুক হোসেন বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরে রাত ৮টা ১০ মিনিটে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে বিএনপি নেতা চাঁদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় জামালপুরে দায়ের করা মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক তানভীর আহমেদ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদ কিশোরগঞ্জ কারাগারে
একই মামলায় জামিনে থাকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম ও সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন আদালতে হাজিরা দিলে আদালত তাদের জামিন বহাল রাখেন।
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. ফজলুল হক জানান, বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে আদালতে আনা হলে জামিনের জন্য আবেদন করেন তারা। এসময় বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপি নেতা চাঁদের ৩ বছরের কারাদণ্ড
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ফখরুল-আব্বাসের জামিন চতুর্থ দফায় নামঞ্জুর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন চতুর্থবারের মতো না মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মামলায় তাদের জামিন দেননি বিচারক।
বুধবার তাদের আইনজীবীরা জামিন চাইলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামান আবেদন নাকচ করে দেন।
বিএনপি নেতাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, এই মামলায় চতুর্থবারের মতো বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জামিন নামঞ্জুর করা হলো।
আরও পড়ুন: ফখরুল-আব্বাসকে আগেই ডিভিশন দেয়া উচিত ছিল: হাইকোর্ট
গত ৯ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল অভিযান রাজধানীর তাদের বাসায় চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে নিয়ে যায়।
পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ফখরুল ও আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
এরপর ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় বিএনপির দুই নেতার জামিন আবেদন আবারও খারিজ করে দেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার একটি আদালত ৯ ডিসেম্বর তাদের ডিভিশন সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেন এবং এরপর ১৩ ডিসেম্বর থেকে ডিভিশন সুবিধা দেয়া হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে ৭ ডিসেম্বর দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও পল্টন থানায় ৭২০ বিএনপি নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় দুই হাজার ৪০০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে পুলিশ।
নয়াপল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ৪৫০ জন, মতিঝিল থানার মামলায় ২০ জন এবং শাহজাহানপুর থানার মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর
ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
ঝুমন দাশের জামিন নামঞ্জুর
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জের শাল্লার ঝুমন দাশ ওরফে আপনের (২৬) জামিন নামঞ্জুর বলেছেন আদালত। রবিবার তার আইনজীবী পঙ্কজ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঝুমন দাশ নিজের ফেসবুক আইডিতে উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়। এর ছয়দিনের মাথায় সুনামগঞ্জের বিচারিক হাকিম ইশরাত জাহানের আদালতে জামিন চাওয়া হয়। তবে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।’
আরও পড়ুন: মুক্তি পেলেন ঝুমন দাশ
তিনি আরও বলেন, ‘ঝুমন দাশের বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে। শাল্লা থানার পুলিশ তাকে গত ৩০ আগস্ট দুপুরে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তার বিরুদ্ধে শাল্লা থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমনুর রহমান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরের দিন তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।’
ওই আইনজীবী বলেন, ‘ঝুমন দাশ এ দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে এর আগে একই থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত বছরের ২২ মার্চ আরেকটি মামলা করেছিল পুলিশ। ওই মামলায় তিনি প্রায় ছয় মাস কারাগারে ছিলেন। মামলাটি এখন সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক সবুর কারাগারে
ঝুমন দাশকে গ্রেপ্তারের পর সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৮ আগস্ট বেলা তিনটায় ঝুমন দাশ নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি উস্কানিমূলক পোস্ট দেন। ওই পোস্ট ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত করে এবং এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
শাল্লা থানায় বুধবার সকালে ঝুমন দাশ তার জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘২৮ আগস্ট তার ফেসবুক আইডিতে অন্য একজনের আইডি থেকে একটি পোস্ট আসে। তাতে সিরাজগঞ্জের একটি মন্দিরের গেটে একটি মসজিদের দানবাক্স লাগানো ছিল। এই পোস্ট পড়ে তিনি সেটি তার আইডি থেকে শেয়ার করেন। এরপর শুনতে পান, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’
আরও পড়ুন: ঝুমন দাশের জামিন আদেশ বৃহস্পতিবার
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে গত বছরের ১৭ মার্চ সকালে ঝুমন দাশের গ্রাম নোয়াগাঁওয়ে হামলা হয়। হামলার ঘটনার আগে ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা শহরে আয়োজিত এক সমাবেশে মামুনুল বক্তব্য দেন। পরে মামুনুলকে নিয়ে নিজের ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেন বলে অভিযোগ ওঠে ঝুমনের বিরুদ্ধে।
১৬ মার্চ রাতে পুলিশ ঝুমনকে আটক করে। পরের দিন ১৭ মার্চ সকালে উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাসনি, সন্তোষপুর ও চন্ডিপুর গ্রামের মানুষ লাটিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর শাল্লা থানায় তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায়।
অন্য মামলাটি হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। এই মামলায় তিনি প্রায় ছয় মাস জেল খাটার পর হাইকোর্ট থেকে এক বছরের জন্য ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জামিন পান।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল হোসেন
খুলনায় দুর্নীতির মামলায় সাবেক ওসির জামিন নামঞ্জুর
দুর্নীতি মামলায় খুলনার বটিয়াঘাটা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু বকর সিদ্দিকের জামিন আবেদন পুনরায় নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার খুলনা মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন শুনানী শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র দিতে দেরি হওয়ার দাবি করে আবু বকর সিদ্দিক জামিন আবেদন করেন।
দুদকের আইনজীবী খন্দকার মুজিবর রহমান জানান, মামলায় সাবেক ওসি আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুল উচ্চ আদালতের জামিনে আছেন। তবে বিভিন্ন ব্যাংকে এ দম্পতির পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদক মামলায় সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর, মুক্তি মিলছে না
একইসঙ্গে প্রায় ৫১ কোটি টাকার অপ্রদর্শিত সম্পত্তির হস্তান্তর বন্ধ রাখতে আইনগত নোটিশ দেওয়া হয়। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ স্ত্রীর নামে হস্তান্তরের অভিযোগে মামলায় জামিন নামঞ্জুর হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ৫মে শেখ আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠান আদালত। সেই থেকে আবু বকর সিদ্দিক কারাগারে রয়েছেন।
জানা গেছে, দুদক ২০২১ সালে ৯ নবেম্বর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩৩ লাখ ৮৯৫ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শেখ আবু বকর সিদ্দিকর নামে মামলা ও ওই সম্পদ স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলকে হস্তান্তরের অভিযোগে সুলতানা রাজিয়া পারুল এবং আবু বকর সিদ্দিকের নামে মামলা দায়ের করে।
তদন্তে শেখ আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও প্রায় ৫১ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: গুলির ঘটনায় এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ানের জামিন নামঞ্জুর
ফরিদপুরের সেই পুলিশ পরিদর্শকের জামিন নামঞ্জুর
সম্রাটের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলার মধ্যে এরই মধ্যে তিন মামলার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া ছয় মাসের সাজা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় জামিন মেলেনি এখনও।
গত ৩১ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান দুদকের মামলায় সম্রাটের উপস্থিতিতে জামিন শুনানির জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: দুদক মামলায় সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর, মুক্তি মিলছে না
এদিকে ১১ এপ্রিল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।
১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ জামিন মঞ্জুর করেন।
দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।
পরে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিন রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট
সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১০ জানুয়ারি