মুহাম্মদ ফারুক খান
‘সেবার মান আরও উন্নত করার মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি ধরে রাখতে হবে’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘সেবার মান আরও উন্নত করার মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি ধরে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে সেবার মান বৃদ্ধি এবং অতিথিদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন সেবা চালুর কোনো বিকল্প নেই।’
আরও পড়ুন: এসআরএফবির সভাপতি ফারুক খান, সম্পাদক আফরিন জাহান
বুধবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে বোর্ড মিটিং শেষে হোটেলটির কর্মচারী ইউনিয়নের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অন্যসব সেক্টরের মতো পর্যটন ও হসপিটালিটি সেক্টরেও ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
ফারুক খান আরও বলেন, ‘উন্নয়নের এই ধারাকে বজায় রাখতে আমাদের সবার আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’
মত বিনিময়কালে মন্ত্রী হোটেলের কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে জানেন এবং তাদের যৌক্তিক দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম বেঞ্জামিন নিয়াজী, সোনারগাঁও হোটেল কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল চন্দ্র মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম।
আরও পড়ুন: দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ নিষ্পন্ন করতে হবে: ফারুক খান
দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন ও এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি: ফারুক খান
৩ মাস আগে
থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজের ৯৭ ভাগ সম্পন্ন: মন্ত্রী
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজের ৯৭ ভাগ সমাপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
ফারুক খান বলেন, ‘এ পর্যন্ত পরিদর্শনে যা দেখলাম সব মিলিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। এখন পর্যন্ত টার্মিনাল ভবনের ৯৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ৩ ভাগ বাকি আছে। এই তিন ভাগের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন ও টেস্টিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়ে গেছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘টার্মিনাল ভবনটির কাজ খুব সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন এই টার্মিনালকে ভালোভাবে পরিচালনার জন্য কর্মীদের প্রস্তুত করছে বলে আমি আশাবাদী।
এই বিমানবন্দর কবে চালু হতে পারে জানতে চাইলে বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা হাইলি টেকনিক্যাল একটা কাজ। এটা কোনোভাবেই পরিকল্পনা করে একদম টাইম মতো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। তবে আমি আশা করি কর্তৃপক্ষ যথাসময়েই এটি চালু করতে পারবে।’
নতুন টার্মিনালের সুযোগ সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য বিমানবন্দর থেকে এখানে চেক-ইন কাউন্টার, ইমিগ্রেশন কাউন্টার অনেক বড় করা হয়েছে। এখানে ৫৪টা ইমিগ্রেশন করা হয়েছে। আশা করছি সব বয়সি ও শ্রেণি পেশার লোকজন ভালো সার্ভিস পাবেন।
টার্মিনালের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী দ্বিতীয় রানওয়ে তৈরি হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্তমান রানওয়েতে আইএলএস (ইন্সট্রুমেন্ট অব ল্যান্ডিং সিস্টেম) সিস্টেম উন্নত করা হচ্ছে। রাডারগুলো উন্নত করা হচ্ছে। তবে, দ্বিতীয় রানওয়ে নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। যেহেতু আশেপাশে অনেক বিল্ডিং হয়ে গেছে, আমরা দেখছি, কীভাবে দ্বিতীয় রানওয়ে চালু করা যায়।’
থার্ড টার্মিনালে লাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ের বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ‘পৃথিবীর যেকোনো দেশে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা উন্নতি করার চেষ্টা করছি। আমাদের এখানে বর্তমানে প্রথম লাগেজ পেতে এখন ১৫ মিনিট লাগে, শেষেরটি পেতে প্রায় ৪০ মিনিট লাগে। এর উন্নতির জন্য আমরা ইক্যুইপমেন্ট কিনেছি। চেষ্টা করছি আরও দ্রুত দেওয়া যায় কি না।’
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘জাপানের সঙ্গে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য জয়েন্ট ভেঞ্চারের কথা বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা নির্দিষ্টভাবে জানায়নি তাদের কোন প্রতিষ্ঠান যুক্ত হবে। আশা করছি তারা দ্রুতই এটি জানাবে।’
মালয়েশিয়া যাত্রীদের বিমান ভাড়া প্রসঙ্গে ফারুক খান বলেন, ‘যারা মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর সঙ্গে জড়িত, তারা এক মাস আগেই জানত যে ৩১ মে শ্রমিক পাঠানোর শেষ তারিখ। এখন বিমান প্রতিদিন মালয়েশিয়ায় তিন থেকে ৪টা করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আর, গতকাল মালয়েশিয়ার কিছু লোক ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ায় এয়ার কম্বোডিয়ার একটা এয়ারক্রাফট দিয়ে একটি চার্টাড ফ্লাইট পরিচালনার পারমিশন চেয়েছে, গতকালকেই আমরা তাদের পারমিশন দিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে বিমানের হজ ফ্লাইট চলছে, তবুও আমরা চেষ্টা করেছি সুযোগ দিতে।’
ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট কবে চালু হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইটের ব্যাপারে এফএএর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারা কী চায়, সেটি এখনো আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।
এ বিষয়ে বিমানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আগেও মন্ত্রী থাকাকালীন যখন বোয়িংয়ের বিমান কিনেছি, তখনও আমরা বলেছিলাম নিউইয়র্কে আমাদের স্লট দিতে হবে। কিন্তু এটি বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা চেষ্টা অব্যাহত রাখছি।’
বিমানবন্দরে পার্কিং চার্জের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশন নিজেদের টাকা দিয়েই তাদের পরিচালন ব্যয় ও উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করে থাকে। বাংলাদেশের মতো দেশে ৭টি বিমানবন্দর চালু আছে। এর মধ্যে ৩টি আন্তর্জাতিক। এমন না যে অন্যান্য দেশের তুলনায় পার্কিং চার্জ অনেক বেশি। তবুও, আমরা চেষ্টা করব যদি এটি কমানো যায়।
এর আগে মন্ত্রী নতুন এই টার্মিনালের ভবন ঘুরে দেখেন।
এ সময় তার সঙ্গে আরও ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৫ মাস আগে
বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায়: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, এই মুহূর্তে ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায় বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, তবে এ বিমান কিনতে কত টাকা লাগতে পারে, তা নির্ভর করবে কীভাবে প্রস্তাব আসে, তার উপর।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, বেসামরিক বিমান খাতে কী করা যায়, সেটাই ছিল আমাদের আলোচনার মূলকেন্দ্র। তারা আমাদের নতুন বিমানবন্দর দেখেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন, এখানে অনেক কাজ হবে। ইউরোপে তারা এয়ারবাস বানায়। এছাড়া এয়ারবার বিষয়ে আমরা ভালো প্রস্তাব পেয়েছি।
বিমান কেনার ক্ষেত্রে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এয়ারবাস বলতে কেবল ফ্রান্সই না। যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স এই তিন দেশ মিলে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, বেশ ভালো প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এরইমধ্যে বোয়িংও আমাদের ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। বাংলাদেশের জন্য যেগুলো ভালো হবে, সেগুলো আমরা বিবেচনা করব।
ভালো প্রস্তাব বলতে তারা কী দিতে চেয়েছে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংক থেকে যে ঋণ দেওয়া হবে তার সুদ, সেইসঙ্গে টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে বেশ ভালো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এয়ারবাস কেনার কথাও ভাবছি। বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে একটি মূল্যায়ন কমিটি করা হয়েছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে মূল্যায়ন টিম এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত দেবে। কারণ বাজেটের আগে এই মূল্যায়ন দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, এয়ারবাস এরই মধ্যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এবারই তারা একটি সমঝোতা স্মারকে সই করার কথা বলেছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, এবার আমরা এটা করব না।
বিমানমন্ত্রী বলেন, আগে মূল্যায়ন শেষ হোক, তারপর সমঝোতা হবে। এছাড়া সিকিউরিটি, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়েও কথা হয়েছে। এসব খাতে তাদের বিনিয়োগ আছে।
তারা জানেন, ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও কক্সবাজারে আমাদের দুটো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। তারা জানতে পেরেছেন, সৈয়দপুরে একটা বিমান হাব তৈরির চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, এসব কারণে তারা বেসামরিক বিমান খাত নিয়ে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের এভিয়েশনের অনেক কর্মকাণ্ড আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাতে ব্রিটিশ সরকার বিনিয়োগে আগ্রহী। আমাদের পর্যটন খাতে ব্রিটিশরা বিনিয়োগের কথা বলেছেন। এভিয়েশন খাতে কীভাবে বিনিয়োগ করবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে কথা হয়েছে আমাদের সিকিউরিটিদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে। এই প্রশিক্ষণের সঙ্গে বিনিয়োগও হতে পারে আধুনিক যন্ত্রপাতির। সেগুলো আমরা আগামীতে দেখব।
মন্ত্রী বলেন, বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনের বিষয়ে পত্রিকায় বিভিন্ন কথা এসেছে। আমরা এই মুহূর্তে বিষয়টিকে এতো বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলে কারিগরি বিষয়গুলো জানতে বলেছি। এই মুহূর্তে আমরা কোনো সমস্যা পাইনি। দুনিয়াতে প্রায় ৫০০ এর মতো ড্রিমলাইনার চলে।
থার্ড টার্মিনাল কবে চালু হবে জানতে চাইলে বিমানমন্ত্রী বলেন, আরও মাস ৬ মাস লাগবে।
আরও পড়ুন: বিমানে কিছু সমস্যা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি: বিমানমন্ত্রী
বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিতে হবে: বিমানমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: পর্যটনমন্ত্রী
বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা হিসেবে কাজ করবে তাদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
তিনি বলেন, বিমানের বহরে নতুন নতুন এয়ারক্রাফট যোগ করাসহ এর অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুট বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সেবার মান আরও উন্নত করা হচ্ছে। এছাড়া বিমানকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের আস্থার প্রতীকে পরিণত করার জন্য কাজ করছি।
আরও পড়ুন: ৭ম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স: বাংলাদেশের নেতৃত্বে পর্যটনমন্ত্রী
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর একটি হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত সংক্রমণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম। এ সময় মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, বিমানের সিট খালি থাকা ও টিকিট নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন বিষয় এবং যাত্রীদের যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। টিকিট কাউন্টার, চেকিং কাউন্টার ও কল সেন্টারসহ যেকোনো সেবার পয়েন্টে দায়িত্ব পালনরত কোনো কর্মী দায়িত্বে অবহেলা করলে, যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করলে বা কোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকেই বিমানের টিকিট নিয়ে উত্থাপিত অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্ত্রীকে মঙ্গলবার উদ্বোধন হতে যাওয়া ঢাকা-রোম-ঢাকা ফ্লাইটের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান।
এ সময় মন্ত্রী এই ফ্লাইটকে টেকসই ও লাভজনক করার জন্য বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৩ মার্চ) ঠান্ডাজনিত সংক্রমণের কারণে ডাক্তারের পরামর্শে মন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি হন।
বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকেই নথি নিষ্পন্ন করাসহ সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: সৈয়দপুর বিমানবন্দর হচ্ছে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব: পর্যটনমন্ত্রী
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতা থেকে আসা সাইক্লিস্টদের সঙ্গে পর্যটনমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
৭ মাস আগে
বিমানে কিছু সমস্যা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কিছু সমস্যা আছে, সমস্যাগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বিমানের দুর্নীতিসহ নানা ধরনের অভিযোগ আছে। সিট খালি থাকলেও বলা হয় টিকিট নেই। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বিমানের অব্যবস্থাপনা কতটা আছে, সেটা আরও খতিয়ে দেখতে হবে। তবে আমি মনে করি, বিমান বেশ ভালোই চলছে, লাভজনকভাবে চলছে এবং যাত্রী সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সংবিধানের বাইরে কোনো সংলাপ নয়: বিমানমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আপনারা যদি বিমানকে নিয়ে খুব বেশি আশা পোষণ করেন, এমিরেটসের মতো তুলনা করেন, তাহলে কিন্তু সঠিক হবে না। আমাদের স্বল্প উড়োজাহাজ নিয়ে চলতে হয়।
তিনি আরও বলেন, উড়োজাহাজের কারিগরি ত্রুটি মাঝেমাঝে হয়ে যায়। তাছাড়া শীতকালে কুয়াশার কারণে সমস্যা হয়। এগুলো আপনাদের মনে রাখতে হবে। এগুলোর জন্য অনেক সময় দেরি হয়, যাত্রায় অন্যান্য সমস্যাগুলো তৈরি হয়।
তিনি বলেন, এই সমস্যার মাঝেও বিমান চেষ্টা করে যাচ্ছে আরও উন্নতি কীভাবে করা যায়, নতুন বিমান কেনার ব্যাপার নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।
ফারুক খান বলেন, তবে হ্যাঁ বিমানের মধ্যে কিছু সমস্যাও তো আছে। সেই সমস্যাগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি। বেশ কিছু লোককে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
আপনারা দেখেছেন, কিছুদিন আগে দুইজন পালিয়ে গেছে, তাদের ব্যাপারে আমরা কঠোর অ্যাকশনে গিয়েছি। যে বাংলাদেশে আছে, তাকে অ্যারেস্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যে কানাডায় পালিয়ে গেছে, ইতোমধ্যে তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে এবং যেখানে দুর্নীতি আছে, সেগুলোকে আমরা খতিয়ে দেখছি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
থার্ড টার্মিনালের নতুন করে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। আপনি নতুন করে বাজেট বাড়ানোকে যৌক্তিক মনে করেন কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নতুন করে বাজেট বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি না সেটা তো প্রত্যেকেই দেখছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে এটা নিয়ে যখন আলোচনা হবে, তখন আমরা দেখব যে বাজেট বাড়ানো লাগবে কি না। নতুন নতুন উপাদান যুক্ত হচ্ছে, তো সেখানে হয়তো বাজেট বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিতে হবে: বিমানমন্ত্রী
প্রবাসী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিমানবন্দরে আলাদা কাউন্টারের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বিমানমন্ত্রী।
হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে ভারতীয় হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। সৌজন্য সাক্ষাতে যা যা হয়, তা আমরা আলোচনা করেছি।
মন্ত্রী বলেন, বিমান এবং পর্যটনের যে কো-অপারেশন আরও বাড়ানো যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, আমরাও সেগুলো বিবেচনা করব।
তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রায় দুই শতাধিক ফ্লাইট বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে চলাচল করে। এটা আরও বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তারা আলোচনা করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি আমরাও এটা দেখব। এছাড়া ট্যুরিজম সেক্টরে আমরা আলোচনা করেছি। কিভাবে উভয় দেশের মধ্যে বিশেষ করে ভারত থেকে বাংলাদেশে আরও বেশি করে পর্যটক আসতে পারে তার জন্য পর্যটন মেলার ব্যবস্থা আমরা দুই দেশই করব। সেখানে ভিসাকে সহজ করার জন্য কি করা যায়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা বুঝতেই পারছেন, ভিসার বিষয়টি শুধুমাত্র একটি মন্ত্রণালয়ের নয়, এটাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জড়িত আছে, সেখানে আমরা আলোচনা করব। ভিসা জটিলতা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান বিমানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
৯ মাস আগে
বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিতে হবে: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, দেশে-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও পর্যটন কর্পোরেশন পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
বিমানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের কারণে দেশে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। এটি আনন্দের কথা। এখন আমাদের বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। বিদেশি পর্যটকেরা যেন বাংলাদেশের পর্যটন সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্য উদ্ভাবনী প্রচার কৌশল কাজে লাগাতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা সহজীকরণ, দ্রুততম সময়ে ভিসা প্রদান, অন এরাইভাল ভিসার আওতা বৃদ্ধি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া তাদের জন্য এয়ারপোর্টে বিশেষ সার্ভিস চালুকরণ ও দক্ষ ট্যুর গাইড তৈরির বিষয়েও মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পর্যটন খাতে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আমাদের পর্যটনে বেসরকারি খাত ও ট্যুর অপারেটররা গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন।
মন্ত্রী বলেন, পর্যটনের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তাদের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি সাপেক্ষে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। সবাই মিলে আন্তরিকভাবে কাজ করলে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন হবেই। এ শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবেই।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সংস্কৃতিকে ঠিক রেখেই বিদেশি পর্যটকদের কাছে দেশের পর্যটনের আকর্ষণীয় দিক সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। আমাদের পর্যটন গন্তব্যগুলো জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। পাশাপাশি ইকো ট্যুরিজম, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম ও কালিনারি ট্যুরিজমের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। পর্যটন কর্পোরেশনের সব স্থাপনা আরও বেশি লাভজনক করার জন্য সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন সেবা চালু করতে হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে নিকারাগুয়ার নেতাদের অভিনন্দন
বিএনপি দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত: কাদের
৯ মাস আগে
ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চান মন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাজ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সময় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে জনগণের কাছে আমাদের অঙ্গীকারের কথা বলা আছে। আমার প্রথম কাজ হবে এই মন্ত্রণালয়ের কাজের মাধ্যমে তা পূরণ করা।
মন্ত্রী বলেন, এভিয়েশন খাতে অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান। আমার কাজ হবে আমার অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এই উন্নয়ন কাজগুলোকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে্র যাত্রীসেবা ও লাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ের মান আরও উন্নত করা এবং নতুন নতুন লাভজনক গন্তব্যে বিমানের রুট চালু করা।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ। পর্যটনের এই অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দেশে নতুন নতুন পরিবেশবান্ধ ও আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করব। পর্যটনশিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে বেসরকারি খাতে অনেক কাজ হচ্ছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি স্মার্ট মিনিস্ট্রি হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
১০ মাস আগে