মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আমরা রোহিঙ্গা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজনে ‘আমরা রোহিঙ্গা’ শীর্ষক একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী সোমবার উদ্বোধন করা হবে।
ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অস্থায়ী প্রদর্শনী হলে সকাল ১১টায় প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করা হবে।
বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে, এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে ১০ জন রোহিঙ্গার কাজ উপস্থাপন করা হয়েছে যারা কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী মানুষদের জীবন চিত্র তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: ১৯ দফা দাবিতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে ডেভিড পালাজন ও আমেনা খাতুনের করা কিউরেটে ডিসপ্লেটিতে ৫০টি ফটোগ্রাফ রয়েছে যা মিয়ানমারের সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের সংস্কৃতি, পরিচয়, আশা ও স্বপ্নকে তুলে ধরে।
প্রদর্শনীতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সংরক্ষণাগার থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ১১টি আলোকচিত্রও রয়েছে যা বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন ও গল্প তুলে ধরে।
ইউএনএইচসিআর বলছে,এই প্রদর্শনীটি দেখায় কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় উৎখাত হওয়া লাখ লাখ বাংলাদেশি তাদের অবস্থান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতি সাহায্য প্রসারিত করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
১০০৭ দিন আগে
কক্সবাজারে শুরু হয়েছে মানবিক নীতি প্রদর্শনী
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের দূতাবাস, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি),বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং সুইজারল্যান্ডের লুসানের ফটো এলিসি মিউজিয়ামের সহযোগিতায় যৌথভাবে ‘মানবিক নীতি: এখানে এবং এখন’ শীর্ষক প্রদর্শনীটি (আর্ট ক্লাব) আয়োজিত হয়।
বৃহস্পতিবার প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স মিস সুজান মুলার, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জনাব মো. শামসুদ দৌজা এবং কক্সবাজারে আইসিআরসির অফিস প্রধান জনাব মানিশ দাস।
মানবিক সংকটে মানুষ কীভাবে দুর্দশাগ্রস্তদের ব্যক্তিগত বা সামষ্টিকভাবে সহায়তা করতে পারে? ‘মানবিক নীতি: এখানে এবং এখন’ শীর্ষক সমকালীন এই শিল্প উপস্থাপনা ও প্রদর্শনীটি সেইসকল মানবিক ও ব্যক্তিগত আবেগ এবং অনুসন্ধানের উত্তর খুঁজতে সাহায্য করে।
সযত্নে নির্বাচিত ভিডিও ও আলোকচিত্রের সমন্বয়ে এই প্রদর্শনীটি দৈনন্দিন জীবনে মানবিক নীতির গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও তাৎপর্য এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপটে এর প্রভাব সম্পর্কে দর্শকদের অনুপ্রাণিত করবে। তাছাড়া প্রদর্শনীটি মানবতা, পক্ষপাতহীনতা, নিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতা- এই চারটি মানবিক নীতিবিষয়ক আলোচনা এবং মতামত প্রকাশের একটি স্থান ও সুযোগ তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বইমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রদর্শনী শুরু
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স মিস সুজান মুলার বলেন, ‘মানবিক নীতিগুলো সুইজারল্যান্ডের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের পাঁচ দশকব্যাপী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। সুইজারল্যান্ড ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও (কক্সবাজারের) স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা প্রদান করেছে। মানবিক সহায়তা প্রদান, উন্নয়ন সহযোগিতা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং এই সংকটের টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন,‘দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিকালীন সময়ে এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের শক্তিশালী এবং বহুমাত্রিক সম্পর্কের একটি প্রধান ক্ষেত্রকে তুলে ধরেছে।’
কক্সবাজারে আইসিআরসির অফিস প্রধান জনাব মানিশ দাস বলেন, ‘আইসিআরসির কার্যক্রমের মূলে রয়েছে মানবিক নীতি। এগুলোই হলো ভিত্তি স্তম্ভ যা আইসিআরসিকে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর আস্থাভাজন হয়ে, তাদের মানবিক চাহিদাগুলিকে সর্বোত্তম উপায়ে বোঝার এবং সমাধান করার চেষ্টা করার জন্য পরিচালিত করে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি এই প্রদর্শনী মানবিক নীতির গুরুত্ব তুলে ধরে সেগুলোর সঙ্গে মানুষের একাত্মতা তৈরি করতে সহায়তা করবে’।
‘মানবিক নীতি: এখানে এবং এখন’- প্রদর্শনীতে আলোকচিত্র এবং প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে শিল্পীরা তাদের নূতন, স্থানিক এবং সমসাময়িক দৃষ্টিকোণ থেকে মানবিক নীতিগুলোর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন। প্রদর্শিত ছবিগুলোতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশে আইসিআরসি এবং সুইজারল্যান্ডের ভূমিকা ও কার্যক্রমের প্রতিফলন ঘটেছে। অধিকন্তু, ১০ জন সুইস আলোকচিত্রির লেন্সের মধ্য দিয়ে দেখা দৈনন্দিন জীবনে মানবিক নীতিগুলোর প্রতিফলন ঘটেছে তাদের নির্মিত ১০টি মৌলিক শর্ট ফিল্মের মাধ্যমে। এছাড়াও পুরস্কারপ্রাপ্ত ৬টি আলোকচিত্রও রয়েছে প্রদর্শনীতে।
মানবিক নীতি ও এর তাৎপর্য বোধে উদ্দীপ্ত হতে এই প্রদর্শনীটি দর্শকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (আর্ট ক্লাব) প্রদর্শনীটি ইংরেজি এবং বাংলা দুই ভাষাতে উপস্থাপন করা হবে। যা উপভোগ করার জন্য সকল দর্শনার্থীদের স্বাগত জানানো হচ্ছে। প্রদর্শনীটি ৯ জুন থেকে ১৮ জুন ২০২২, প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
বাগেরহাটে খানজাহানের বসতবাড়ির ধ্বংসাবশেষের পাঁচ দিনব্যাপী প্রদর্শনী
১০১৭ দিন আগে
শেষ হলো দশম লিবারেশন ডকফেস্ট
পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে দশম লিবারেশন ডকফেস্ট আয়োজন শেষ হলো। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র নির্মাতারা অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যম উপস্থিত ছিলেন।
এবারের উৎসবে ১৯৬টি দেশ থেকে প্রায় ২২০০টি প্রামাণ্যচিত্র সংগ্রহ করা হয়, যার মধ্য থেকে ৪০টি দেশের ১৪০টি প্রামাণ্যচিত্র এই উৎসবে প্রদর্শিত হয়। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রপ্রেমিরা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মিলনায়তনে সশরীরে চলচ্চিত্র উপভোগ করতে পেরেছেন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা ছাড়াও উৎসবে ঢাকার স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানোর মূল উদ্দেশ্যই ছিল তরুণ প্রজন্মের কাছে এই মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্রগুলো তুলে ধরা।
এবারের প্রামাণ্যচিত্র উৎসবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনূর্ধ্ব একঘন্টার প্রামাণ্যচিত্রের প্রতিযোগিতা হয় যা তিনটি বিভাগে নির্মাতাদের পুরস্কৃত করা হয়। আন্তর্জাতিক বিভাগে সেরা প্রামাণ্যচিত্র হচ্ছে 'রুম উইদাউট ভিউ' পরিচালক রোজার কোরেলা। এ বিভাগে বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতাকে ১০০০ ডলার পুরস্কার দেয়া হয়।
এরপর জাতীয় পর্যায়ের দুটি বিভাগে পুরস্কার দেয়া হয়। এ পুরস্কার বিজয়ী নির্মাতাদের হাতে তুলে দেন লিবারেশন ডকফেস্টের এবছরের বিচারক অভিনয় শিল্পী বন্যা মির্জা এবং শিল্প সমালোচক মোস্তফা জামান। জাতীয় পর্যায়ের সেরা প্রামণ্যচিত্র 'বিচ্ছেদ'। এটির পরিচালক জগন্ময় পাল।
গত দুবছর অনলাইনে এই উৎসব পালনের পর এবারই অফলাইনে ডকফেস্টের আয়োজন করা হয়।
পড়ুন: ৪০ দেশের অংশগ্রহণে পাঁচ দিনব্যাপী ‘লিবারেশন ডকফেস্ট’ শুরু
১১০২ দিন আগে
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্যোগে চলছে সপ্তাহব্যাপী বিজয় উৎসব
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে এক সপ্তাহব্যাপী বিজয় উৎসব-২০২০ আয়োজন শুরু করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
১৫৬২ দিন আগে
তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জাতীয়তাবাদ, আন্তর্জাতিকতাবাদ থেকে শিখতে হবে: অধ্যাপক হায়দার
অধ্যাপক ড. হায়দার এ খান বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর নজিরবিহীন এ সময়ে অগ্রগতির জন্য তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতীয়তাবাদ, প্রজ্ঞা এবং আন্তর্জাতিকতাবাদ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
১৬৯৫ দিন আগে
২০ ব্যান্ড দল নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ‘স্বাধীনতা সঙ্গীত উৎসব’
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্থায়ী তহবিল গঠনের উদ্দেশে ২০টি ব্যান্ড-সঙ্গীত দলকে নিয়ে ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত হবে ‘স্বাধীনতা সঙ্গীত উৎসব’। ‘মাকসুদ ও ঢাকা’র উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় থাকবে বিকাশ।
১৮৭৪ দিন আগে