কোভিড-১৯ মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এ বছর ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠান আয়োজন করছে এবং অনুষ্ঠানগুলো তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ১০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ৮টায় সম্প্রচারিত হচ্ছে।
মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ উৎসব শুরু হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন নাসিমা বেগম। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. সারওয়ার আলী এবং ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন: মানবাধিকার ও শান্তি’ বিষয়ক বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিল বাউল শাহাবুল (কুষ্টিয়া), মাকসুদ ও ঢাকা, সভ্যতা এন্ড দ্য ব্যান্ড এবং বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক দল।
আরও পড়ুন: কসমস ফাউন্ডেশন ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
এ উৎসবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রযোজিত বেশ কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ৮টায় ফেসবুক পেইজে প্রচারিত হবে।
শুক্রবার, ‘রাখবো বহমান’ শিরোনামের প্রথম প্রামাণ্যচিত্রটি সম্প্রচারিত হবে। এটি পরিচালনা করেছেন ফৌজিয়া খান।
শনিবার সম্প্রচারিত হবে প্রকাশ রায় পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র ‘বাংলাদেশ: একটি পতাকার জন্ম’।
রবিবার দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফেসবুক পেইজে। প্রথমটি ফরিদ আহমেদ পরিচালিত ‘একাত্তরের পদযাত্রী’ এবং দ্বিতীয়টি মফিদুফুদ হক পরিচালিত ‘কান পেতে রই’।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফেসবুক পেইজে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচনায় অংশ নেবেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. সারওয়ার আলী, শহীদ ডা. আজহারুল হকের স্ত্রী সৈয়দা সালমা হক এবং শহীদ শেখ আবদুস সালামের মেয়ে শেখ সালমা নার্গিস। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক রশীদ হায়দারের প্রতিও শ্রদ্ধা জানানো হবে।
রোকাইয়া হাসিনা নিলি’র পাশাপাশি এ অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করবে ঢাকার সানিডেল স্কুল এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের এমএম হক আইডিয়াল স্কুলের সাংস্কৃতিক দল।
১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পেইজে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য-সচিব সারা যাকের অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখবেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন প্রখ্যাত শিল্পী শাহীন সামাদ, বিজন কুমার মিস্ত্রি, ডালিয়া নওশীন, প্রিয়াংকা গোপ এবং ঢাকার কল্যাণপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সংগীত দল। এছাড়া অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করবে রাঙামাটির রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়।
বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে উৎসবের সমাপনী দিনের কর্মসূচি। এদিন সকাল ১০টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বধ্যভূমির সন্তান দলের জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে।
অনুষ্ঠানটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে তাদের ফেসবুক পেইজে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।
রাত ৮টায় মাকসুদ ও ঢাকা, সভ্যতা এন্ড ব্যান্ড, স্পন্দন, পরাহ, আঁচল ও পার্থিবের মতো বিশিষ্ট ব্যান্ডগুলোর সমন্বয়ে ‘সংস অব ফ্রিডম’ শিরোনামে একটি ভার্চুয়াল কনসার্ট প্রচারিত হবে।
আরও পড়ুন: ২০ ব্যান্ড দল নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ‘স্বাধীনতা সঙ্গীত উৎসব’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি এবং সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।