বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু
আবাসন খাতে পণ্যের দাম-মান নির্ধারণে ‘মনিটরিং সেল’ গঠনের দাবি রিহ্যাব নেতাদের
আবাসন খাতসংশ্লিষ্ট নির্মাণসামগ্রীর দাম ও পণ্যের মান নির্ধারণে ‘মনিটরিং সেল’ গঠনের দাবি জানিয়েছে রিহ্যাব।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এ দাবি জানান রিহ্যাব নেতারা।
নেতারা জানান, আগের শুরু হওয়া প্রকল্প নিয়ে গভীর সংকটে পড়েছেন অনেকে। কারণ চুক্তির বাধ্যবাধকতার কারণে বর্তমানে নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়লেও ক্রেতার কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায় করতে পারছেন না। এখন নির্মাণসামগ্রীর দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের কাছে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: গ্রামাঞ্চলের আবাসন ব্যবস্থায়ও শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করা হবে: গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী
আবাসন খাত আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে রিহ্যাব নেতারা বলেন, ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি থাকায় এখন নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়লেও ফ্ল্যাটের দাম বাড়ানো যায় না। আবার যেসব ফ্ল্যাট অবিক্রিত থাকে, সেগুলোর দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাও পাওয়া যায় না।
দেশে নির্মাণসামগ্রীর মান যাচাইয়ের কার্যকরী তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে মান যাচাই করা খুবই জরুরি বলে দাবি জানান নেতারা।
এ সময় নির্মাণসামগ্রীর দাম ও পণ্যের মান বজায় রাখার জন্য মন্ত্রণালয়, রিহ্যাব, এফবিসিসিআই এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারের সমন্বয়ে একটি ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করার দাবি জানান রিহ্যাব নেতারা।
রিহ্যাবের দাবির বিষয়ে পর্যালোচনা করে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন বাণিজ্য মন্ত্রী।
মত বিনিময় সভায় রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট (১ম) সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন এম. এ. আউয়াল, ভাইস প্রেসিডেন্ট (২) মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য নেতারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকার সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতে কাজ করছে: প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
বৃহস্পতিবার থেকে ভর্তুকি মূল্যে ৫টি পণ্য বিক্রি শুরু করবে টিসিবি
রমজান মাসকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পাঁচটি পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
ফ্যামিলি কার্ডসহ একজন সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি এবং ১ কেজি খেজুর কিনতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা, চিনির দাম ১০০ টাকা, মসুর ডালের কেজি ৬০ টাকা, খেজুরের দাম ১৫০ টাকা এবং চালের দাম ৩০ টাকা কেজি।
টিসিবি এবার প্রতি কেজি চিনির দাম ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করেছে, যা গত বছর ছিল ৬০ টাকা।
এ প্রসঙ্গে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির ইউএনবিকে বলেন, বাজারে দাম সমন্বয় করতে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে তুলনামূলক কম দামে চিনি বিক্রি করত টিসিবি। শেষবার তিন মাস আগে ডিলারদের কাছে চিনি সরবরাহ করা হলেও দাম কম ছিল। এখন বাজারে চিনির দাম অনেক বেড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
টিসিবি জানায়, সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন পরিবেশকরা।
ক্যাম্পেইন চলাকালে পরিবেশকদের দোকান বা নিজ নিজ এলাকায় নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন কার্ডধারীরা।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে রমজান বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
৯ মাস আগে
রমজানকে সামনে রেখে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণা
ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সরকার আগামী ১ মার্চ থেকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২০) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে 'দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স'-এর সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ কথা জানান।
এখন পর্যন্ত বোতলজাত সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ১৭৩ টাকা। আসন্ন সমন্বয়ের ফলে দাম কমে দাঁড়াবে ১৬৩ টাকায়। এছাড়া খোলা (ঢিলেঢালা) সয়াবিন তেলের দাম কমে ১৪৯ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতল ৮০০ টাকায় পাওয়া যাবে।
তবে আপাতত পাম তেলের দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
ব্যবসা খাত থেকে সরকারের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে টিটু বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, বড় আকারের শিল্প ও ব্যবসায়ীরা তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষা করবেন। সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তারা ভোজ্যতেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা কমাতে সম্মত হয়েছে।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি কর কমানোর জন্য পরিপত্র জারি করে সরকার। এই পরিপত্র অনুসরণ করেই সয়াবিন তেলের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি প্রক্রিয়া ও প্রাপ্যতা সহজতর করতেই দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
টিটু বলেন, 'সাধারণত একটি আমদানি চালান আসতে প্রায় এক মাস এবং গ্রাহক পর্যায়ে ছাড়পত্র ও বিতরণের জন্য আরও দুই মাস সময় লাগে।’
লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ এবং রমজান পর্যন্ত কঠোর সময়সীমা থাকা সত্ত্বেও, ব্যবসায়ীরা সরকারের বিশেষ অনুরোধে সাড়া দিয়ে ১ মার্চ থেকে নতুন দাম বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সরকারের গৃহীত সক্রিয় পদক্ষেপ এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সহযোগিতামূলক অবস্থান ভোক্তাদের উপর আর্থিক চাপ হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে, বিশেষত পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমলো
১০ মাস আগে
‘ভোক্তা যেন প্রতারিত না হয় তা সর্বোচ্চ নজরদারিতে থাকবে’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আসা দর্শনার্থী বা ভোক্তারা যেন প্রতারিত না হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ নজরদারি করা হবে। সেজন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে মেলায় অভিযোগ বক্স ও হেল্প ডেস্ক খোলা রাখা হবে। অভিযোগ পেলেই যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) পূর্বাচল নতুন শহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৪ উপলক্ষে সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মজুতদারি রোধে কঠোর হবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এ বছর মেলা প্রাঙ্গণকে দৃষ্টিনন্দন এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে সামনে আনার জন্য মেলার প্রবেশদ্বার করা হয়েছে কর্ণফুলি ট্যানেলের আদলে। এক পাশে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অপর পাশে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের প্রতিচ্ছবি রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য রপ্তানিকে বহুমুখী করার মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানো। গার্মেন্টেস খাতের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা।
এখন পাট ও চামড়া শিল্পের উপরে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এই দুই খাতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান।
আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, এবার মেলায়, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, ইরান, ভারত, পাকিস্তানসহ ১৬ থেকে ১৮টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন থাকবে। মেলায় ই-কমার্স সেবাকে আরও বেগবান করা হবে। যাতে সারা দেশের মানুষ এই সুবিধা পেতে পারে।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা এবং মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র্যাব নিয়োজিত থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রাঙ্গণের বাইরে নিয়মিত টহল দেবে।
মেলায় বিদেশিদের আনতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটা দেশের মিশনে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রয়েছে। তাদের এবার আমরা মেলায় নিয়ে আসব এবং পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা হবে।
আশেপাশে মানহীন পণ্যের বিক্রি বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইপিবি ও ভোক্তা অধিকারকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হবে মেলাতে কোনো মানহীন পণ্য বিক্রয় বা প্রদর্শন করা যাবে না। কেউ করলে বিক্রয় বা প্রদর্শন বন্ধের ব্যবস্থা ভোক্তা অধিকার নেবে। ভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ রাখব না।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
১১ মাস আগে