বিমানমন্ত্রী
বিমানবন্দরে জমে থাকা কার্গো খালি করার নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
ইমপোর্ট কার্গো ভিলেজ ও বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন জমে থাকা কার্গো দ্রুত খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত কার্গো আমদানির পর দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে পড়ে আছে তা আইন ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিলামের মাধ্যমে দ্রুত ডিসপোজ অফ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করলে সমবায় সমিতিকে সহযোগিতা করা হবে: বিমানমন্ত্রী
শনিবার (২৭ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
এছাড়াও, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমদানি করা কার্গো খালাস নিশ্চিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয়ে প্রতি মাসে বৈঠকের মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনের নির্দেশনা দেন মুহাম্মদ ফারুক খান।
ফারুক খান আরও বলেন, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, ঢাকা কাস্টমস হাউস, বিমান, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে আমদানি করা পণ্যের দ্রুততার সঙ্গে খালাস নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা যোগ করবে: বিমানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে কারো অবহেলা সহ্য করা হবে না। কোনো আমদানিকারক আমদানি করা পণ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালাস না করালে দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ভূঞা, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়, বেবিচক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সরাসরি বিমান যোগাযোগ বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখবে: বিমানমন্ত্রী
৩ মাস আগে
ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা যোগ করবে: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এই ফ্লাইট বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা, উন্নয়ন ও ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটির নিদর্শন।’
তিনি বলেন, ‘এই ফ্লাইট চালুর ফলে আমাদের দেশের জনগণ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা সরাসরি বেইজিংয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়া পর্যটনসহ অন্যান্য ব্যবসার ক্ষেত্রেও এর সুফল পাওয়া যাবে।’
বুধবার (১০ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার চায়নার ঢাকা-বেইজিং-ঢাকা রুটে সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করলে সমবায় সমিতিকে সহযোগিতা করা হবে: বিমানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘যারা উন্নয়ন চায় না তারা কানেক্টিভিটি নিয়ে অসত্য বলে। তারা দেশকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চায়। তারা ভুলে যায় কানেক্টিভিটি মানেই উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি মানেই বাণিজ্য। যত বেশি কানেক্টিভিটি বাড়বে, এ দেশের জনগণ ও ব্যবসায়ীরা তত বেশি সুবিধা পাবেন।’
ফারুক খান বলেন, ‘বর্তমানে চীনের কুনমিং ও গুয়াংজুতে সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে। বুধবার এয়ার চায়নার ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট চালু হলো। আগামী ১৫ জুলাই একই রুটে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু হবে। ভবিষ্যতে চীনের আরও নতুন নতুন গন্তব্যে ঢাকা হতে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে। সংযোগ আরও বাড়বে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স লিউ ইউয়ান, আরভিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এইচ ভি এম লুৎফর রহমান, এয়ার চায়নার কান্ট্রি ম্যানেজার আন মিং প্রমূখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায়: বিমানমন্ত্রী
সরাসরি বিমান যোগাযোগ বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখবে: বিমানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
সরাসরি বিমান যোগাযোগ বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখবে: বিমানমন্ত্রী
সরাসরি বিমান যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যসহ সহযোগিতার আরও নতুন ক্ষেত্র তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
রবিবার (৯ জুন) সচিবালয়ে বাংলাদেশের নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিকের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া
বিমানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, জনশক্তি রপ্তানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করতে এভিয়েশন খাতে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে চার্টার্ড ফ্লাইট চলাচল করলেও এক্ষেত্রে বিদ্যমান ‘এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট’ সংশোধন করে নিয়মিত ফ্লাইট চালুর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। নিয়মিত সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে এ দেশের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন।
সাক্ষাৎকালে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া সংশোধিত এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্টের কপি বাংলাদেশকে পাঠিয়েছে। শিগগিরই দুই পক্ষ বিদ্যমান বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাবে এবং চুক্তি সই করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। সরাসরি বিমান যোগাযোগ দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
৫ মাস আগে
পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করলে সমবায় সমিতিকে সহযোগিতা করা হবে: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, কোনো সমবায় সমিতি পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করলে তাদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
তিনি বলেন, সমবায় সমিতিগুলো বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতের বিভিন্ন বিষয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। এতে যেমন সমিতিগুলোর আয় বাড়বে অপরদিকে তারা দেশের পর্যটন শিল্পের প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবে।
শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্যা মেট্রোপলিটন খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিমানে কিছু সমস্যা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি: বিমানমন্ত্রী
বিমানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের প্রচলিত সব আইনকে যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সমবায় সম্পর্কিত আইন ও বিধি রিভিউ করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা একটি ভালো উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, আশা করি এ আইন রিভিউ হওয়ার পর তা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সমবায় সমিতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ আরও বাড়বে।
ফারুক খান বলেন, সমবায় সমিতি ভালোভাবে চলার জন্য এর প্রত্যেক সদস্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সমিতিগুলোকে সফল করতে হলে এর সদস্য ও তাদের সন্তানদের মধ্যে থেকে উচ্চ শিক্ষিত এবং প্রশিক্ষিত নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, মেট্রোপলিটন খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সফলতা দেখে অন্যরাও সমবায় সম্পর্কে আগ্রহী হবেন। এই সমিতি শুধু এর সদস্যদের আবাসনের ব্যবস্থাই করছে না, পাশাপাশি এর সদস্যদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ প্রদান, শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবার জন্য হাসপাতাল স্থাপন ও আয় বৃদ্ধিকারী বিভিন্ন প্রকল্পে তারা বিনিয়োগ করেছেন। পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন খাতেও তাদের বিনিয়োগ রয়েছে।
দ্যা মেট্রোপলিটন খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি অগাস্টিন পিউরিফিকেশনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ ও এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান ও অনিমা মুক্তি গোমেজ।
আরও পড়ুন: উন্নত যাত্রীসেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া হবে: বিমানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায়: বিমানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
উন্নত যাত্রীসেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া হবে: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ব্যবসাবান্ধব নীতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, উন্নত যাত্রীসেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লোহর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিমানমন্ত্রী আরও জানান, সরকার বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে ব্যাপক অবকাঠামোগত ও কারিগরি উন্নয়ন করা হয়েছে। এভিয়েশন শিল্পের কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্সের ফ্লিট সম্প্রসারণকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায়: বিমানমন্ত্রী
ফারুক খান আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর সময়ে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশি কর্মীদের যে যত্ন নিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ। একই সঙ্গে প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের সচেতনতা প্রশংসার দাবিদার। আরও বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী সিঙ্গাপুরে কাজ করার সুযোগ পেলে দক্ষতা এবং নিষ্ঠা দিয়ে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করবে।’
সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার ডেরেক লোহ বলেন, ‘বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের খুব ভালো বন্ধু। ১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন খাতে কাজে নিয়োজিত আছে। বাংলাদেশি কর্মীরা খুব দক্ষ ও পরিশ্রমী। ভবিষ্যতে আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়টি সিঙ্গাপুর বিবেচনা করবে।’
হাইকমিশনার আরও বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন খাত ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরে সিঙ্গাপুর ভূমিকা রাখতে আগ্রহী। বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দিতেও সিঙ্গাপুর আগ্রহী বলে জানান ডেরেক।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিতে হবে: বিমানমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বিমানে কিছু সমস্যা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কিছু সমস্যা আছে, সমস্যাগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বিমানের দুর্নীতিসহ নানা ধরনের অভিযোগ আছে। সিট খালি থাকলেও বলা হয় টিকিট নেই। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বিমানের অব্যবস্থাপনা কতটা আছে, সেটা আরও খতিয়ে দেখতে হবে। তবে আমি মনে করি, বিমান বেশ ভালোই চলছে, লাভজনকভাবে চলছে এবং যাত্রী সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সংবিধানের বাইরে কোনো সংলাপ নয়: বিমানমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আপনারা যদি বিমানকে নিয়ে খুব বেশি আশা পোষণ করেন, এমিরেটসের মতো তুলনা করেন, তাহলে কিন্তু সঠিক হবে না। আমাদের স্বল্প উড়োজাহাজ নিয়ে চলতে হয়।
তিনি আরও বলেন, উড়োজাহাজের কারিগরি ত্রুটি মাঝেমাঝে হয়ে যায়। তাছাড়া শীতকালে কুয়াশার কারণে সমস্যা হয়। এগুলো আপনাদের মনে রাখতে হবে। এগুলোর জন্য অনেক সময় দেরি হয়, যাত্রায় অন্যান্য সমস্যাগুলো তৈরি হয়।
তিনি বলেন, এই সমস্যার মাঝেও বিমান চেষ্টা করে যাচ্ছে আরও উন্নতি কীভাবে করা যায়, নতুন বিমান কেনার ব্যাপার নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।
ফারুক খান বলেন, তবে হ্যাঁ বিমানের মধ্যে কিছু সমস্যাও তো আছে। সেই সমস্যাগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি। বেশ কিছু লোককে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
আপনারা দেখেছেন, কিছুদিন আগে দুইজন পালিয়ে গেছে, তাদের ব্যাপারে আমরা কঠোর অ্যাকশনে গিয়েছি। যে বাংলাদেশে আছে, তাকে অ্যারেস্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যে কানাডায় পালিয়ে গেছে, ইতোমধ্যে তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে এবং যেখানে দুর্নীতি আছে, সেগুলোকে আমরা খতিয়ে দেখছি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
থার্ড টার্মিনালের নতুন করে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। আপনি নতুন করে বাজেট বাড়ানোকে যৌক্তিক মনে করেন কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নতুন করে বাজেট বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি না সেটা তো প্রত্যেকেই দেখছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে এটা নিয়ে যখন আলোচনা হবে, তখন আমরা দেখব যে বাজেট বাড়ানো লাগবে কি না। নতুন নতুন উপাদান যুক্ত হচ্ছে, তো সেখানে হয়তো বাজেট বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিতে হবে: বিমানমন্ত্রী
প্রবাসী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিমানবন্দরে আলাদা কাউন্টারের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বিমানমন্ত্রী।
হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে ভারতীয় হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। সৌজন্য সাক্ষাতে যা যা হয়, তা আমরা আলোচনা করেছি।
মন্ত্রী বলেন, বিমান এবং পর্যটনের যে কো-অপারেশন আরও বাড়ানো যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, আমরাও সেগুলো বিবেচনা করব।
তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রায় দুই শতাধিক ফ্লাইট বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে চলাচল করে। এটা আরও বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তারা আলোচনা করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি আমরাও এটা দেখব। এছাড়া ট্যুরিজম সেক্টরে আমরা আলোচনা করেছি। কিভাবে উভয় দেশের মধ্যে বিশেষ করে ভারত থেকে বাংলাদেশে আরও বেশি করে পর্যটক আসতে পারে তার জন্য পর্যটন মেলার ব্যবস্থা আমরা দুই দেশই করব। সেখানে ভিসাকে সহজ করার জন্য কি করা যায়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা বুঝতেই পারছেন, ভিসার বিষয়টি শুধুমাত্র একটি মন্ত্রণালয়ের নয়, এটাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জড়িত আছে, সেখানে আমরা আলোচনা করব। ভিসা জটিলতা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান বিমানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
৯ মাস আগে
বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিতে হবে: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, দেশে-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও পর্যটন কর্পোরেশন পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
বিমানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের কারণে দেশে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। এটি আনন্দের কথা। এখন আমাদের বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। বিদেশি পর্যটকেরা যেন বাংলাদেশের পর্যটন সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্য উদ্ভাবনী প্রচার কৌশল কাজে লাগাতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা সহজীকরণ, দ্রুততম সময়ে ভিসা প্রদান, অন এরাইভাল ভিসার আওতা বৃদ্ধি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া তাদের জন্য এয়ারপোর্টে বিশেষ সার্ভিস চালুকরণ ও দক্ষ ট্যুর গাইড তৈরির বিষয়েও মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পর্যটন খাতে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আমাদের পর্যটনে বেসরকারি খাত ও ট্যুর অপারেটররা গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন।
মন্ত্রী বলেন, পর্যটনের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তাদের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি সাপেক্ষে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। সবাই মিলে আন্তরিকভাবে কাজ করলে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন হবেই। এ শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবেই।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সংস্কৃতিকে ঠিক রেখেই বিদেশি পর্যটকদের কাছে দেশের পর্যটনের আকর্ষণীয় দিক সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। আমাদের পর্যটন গন্তব্যগুলো জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। পাশাপাশি ইকো ট্যুরিজম, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম ও কালিনারি ট্যুরিজমের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। পর্যটন কর্পোরেশনের সব স্থাপনা আরও বেশি লাভজনক করার জন্য সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন সেবা চালু করতে হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে নিকারাগুয়ার নেতাদের অভিনন্দন
বিএনপি দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত: কাদের
৯ মাস আগে
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে বিমানবন্দরে সেবার মান আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে নিকারাগুয়ার নেতাদের অভিনন্দন
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এভিয়েশন শিল্পের বাজার ক্রমাগত বাড়ছে। এই বর্ধিত বাজারের সুবিধা গ্রহণ করতে হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় আরও বাড়াতে চেষ্টা করতে হবে এবং তা নিশ্চিতে সবাইকে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তাদের রাজস্ব আয় থেকেই তাদের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও সম্পন্ন করতে পারে সেই সক্ষমতা অর্জনে মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরভিত্তিক সব ধরনের সেবা ডিজিটাইজড করতে হবে যাতে মানুষ সহজে সেবা পায় এবং তাদের দুর্ভোগ কমে আসে। বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তার আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিমানবন্দরের সব কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ধারাবাহিক ও সময়োচিত মানব সম্পদের উন্নয়নেও এসময় জোর দেন তিনি।
পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদর দপ্তর বলাকা ভবনে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি সঠিক সময়ে বিমান ছাড়া, দ্রুততম সময়ে লাগেজ ডেলিভারি দেওয়া এবং ইনফ্লাইট যাত্রী সেবা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, বিমানকে যাত্রীদের আস্থার পরিবহণে পরিণত করতে সেবা বৃদ্ধির পাশাপাশি যাত্রীদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়াতে হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লাভের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত: কাদের
নাহার চৌধুরীকে প্রথম বাংলাদেশি এমডি নিয়োগ দিল কোকা-কোলা
৯ মাস আগে