বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে বিমানবন্দরে সেবার মান আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে নিকারাগুয়ার নেতাদের অভিনন্দন
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এভিয়েশন শিল্পের বাজার ক্রমাগত বাড়ছে। এই বর্ধিত বাজারের সুবিধা গ্রহণ করতে হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় আরও বাড়াতে চেষ্টা করতে হবে এবং তা নিশ্চিতে সবাইকে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তাদের রাজস্ব আয় থেকেই তাদের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও সম্পন্ন করতে পারে সেই সক্ষমতা অর্জনে মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরভিত্তিক সব ধরনের সেবা ডিজিটাইজড করতে হবে যাতে মানুষ সহজে সেবা পায় এবং তাদের দুর্ভোগ কমে আসে। বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তার আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিমানবন্দরের সব কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ধারাবাহিক ও সময়োচিত মানব সম্পদের উন্নয়নেও এসময় জোর দেন তিনি।
পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদর দপ্তর বলাকা ভবনে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি সঠিক সময়ে বিমান ছাড়া, দ্রুততম সময়ে লাগেজ ডেলিভারি দেওয়া এবং ইনফ্লাইট যাত্রী সেবা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, বিমানকে যাত্রীদের আস্থার পরিবহণে পরিণত করতে সেবা বৃদ্ধির পাশাপাশি যাত্রীদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়াতে হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লাভের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত: কাদের