অর্থ পাচার
অর্থ পাচার ও চুরি যাওয়া সম্পদ উদ্ধারের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা
দুর্নীতি দমন, অর্থপাচার রোধ এবং চুরি যাওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন ও ওয়াশিংটনে বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক শেলবি স্মিথ-উইলসনের মধ্যে বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনায় সংস্কারের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা, মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (এমএলএ) চুক্তি এবং ক্রয় ব্যবস্থা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যমের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময়ের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে 'অংশীদার', রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তাদের নেতৃস্থানীয় অংশীদার এবং প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) শীর্ষ উৎস হিসেবে মূল্য দেয়।
আরও পড়ুন: অনলাইনে জুয়া-বেটিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারের মহোৎসবে টিআইবির উদ্বেগ
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা শেয়ার করেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ মানবিক সহযোগিতা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং শ্রম অধিকারের প্রতি সমর্থন নিয়ে জসিম উদ্দিনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।’
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পররাষ্ট্র সচিব ও আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতা, মানবিক সাড়া এবং রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান ও শ্রম অধিকার বিষয়ে 'ফলপ্রসূ আলোচনা' করেছেন।
তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী রিচার্ড ভার্মার সঙ্গে একটি ‘ফলপ্রসূ বৈঠক’ করেছেন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর ও সম্প্রসারণ, পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি নবায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
পররাষ্ট্র সচিব ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জন বাসের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গভীর করার উপায় এবং অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলোতে কার্যকর সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেন।
হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সহকারী ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিন্ডসে ডব্লিউ ফোর্ডের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারা সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কর্মসূচি, গণতান্ত্রিক উত্তরণ, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যু, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, রোহিঙ্গা সংকট এবং শ্রম আইন নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ইউএসটিআর ব্রেন্ডন লিঞ্চের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণে পারস্পরিক সহযোগিতা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা থেকে উৎপাদিত আরএমজির ডিএফকিউএফ প্রবেশাধিকার, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের নিবন্ধন সহজীকরণ ও নিবন্ধন ফি কমানো, শ্রম আইন সংস্কার এবং ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কোঅপারেশনে (ডিএফসি) প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধান কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থের বিস্তৃত বিষয়গুলোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল।
মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যাম্বাসাডর ডোনাল্ড লু, ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মার্তা সি ইয়ুথ, অ্যাসিসট্যান্ট ডেপুটি সেক্রেটারি নিকোল চুলিক, অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মনিকা অ্যাগার জ্যাকবসেন এবং পরিচালক আল্লা পি কামিনস।
ওয়াশিংটন সফরের আগে পররাষ্ট্র সচিব নিউইয়র্ক সফর করেন এবং ১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটন ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তের আদেশ আপিল বিভাগে বাতিল
১ মাস আগে
ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও অর্থ পাচার রোধে আইএমএফের কারিগরি সহায়তা চায় বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ব্যাংকিং খাত সংস্কার, মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ ও কর সংস্কারসহ উদ্বেগের মূল ক্ষেত্রগুলোতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কারিগরি সহায়তা চেয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, 'আমরা ব্যাংকিং খাত সংস্কার, অর্থপাচার মোকাবিলা ও কর সংস্কার বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা চেয়েছি।’
দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং অতিরিক্ত তহবিলের বিধানসহ সম্ভাব্য সংস্কার অনুসন্ধানের জন্য এক সপ্তাহব্যাপী সফরে এসেছে আইএমএফ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি।
এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলোতে সমর্থন করার জন্য বাহ্যিক সংস্থানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের স্থানীয় সম্পদ যতটা সম্ভব ব্যবহার করব, তবে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের জন্য আমাদের বিদেশি সহায়তার প্রয়োজন হবে।’
আইএমএফ প্রতিনিধি দলের এই সফরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জোরদার এবং সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।
ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সাপোর্টের পাশাপাশি ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতের সংস্কার নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, 'যেসব ক্ষেত্রগুলোতে আইএমএফের সহায়তা সবচেয়ে বেশি লাভজনক হতে পারে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
অর্থ উপদেষ্টা আইএমএফ প্রতিনিধিদলকে জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, তবে তা পুরোপুরি বাস্তবায়নে সময়ের প্রয়োজন হবে।
অক্টোবরে বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে আরও আলোচনায় জড়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেসব আলোচনায় সহায়তা ও নীতি নির্দেশনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঋণদাতা সংস্থার নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া হবে।
এছাড়াও আইএমএফের প্রতিনিধি দল উচ্চ ভর্তুকি ব্যয়, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ ও সরকারি ব্যয়ে সম্ভাব্য কর্তনের খাতগুলোসহ দেশের আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলো পর্যালোচনা করবে।
চলমান ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের পাশাপাশি বাজেট সহায়তার জন্য সরকার এরইমধ্যে আইএমএফের কাছে আরও ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে।
১ মাস আগে
অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে পিকে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড
গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ২ ধারায় ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া, মামলার অপর ১৩ আসামিকে অবৈধ সম্পদের অর্জনের দায়ে ৩ বছর এবং মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে ৪ বছর করে মোট ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু
রবিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন।
গত ৪ অক্টোবর দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালতে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।
মামলার ১৪ আসামির মধ্যে সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও শংখ বেপারী কারাগারে আছেন। পি কে হালদারসহ ১০ জন পলাতক রয়েছেন।
পলাতক অপর আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।
মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগপত্রে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে ভারত?
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
১ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে জুয়া চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অনলাইন জুয়া চক্রের এজেন্টসহ ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলোর গোদাগাড়ী গাড়াবেড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত আশাদুল ইসলামের ছেলে মো. রবিউল হাসান (২১), মো. সোলায়মান হোসেনের দুই ছেলে মো. ফেরদৌস আলী (২৭) ও মো. রাসেল রানা (২৩), বিলচতল গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে মো. রায়হান কবির (২৮), মাইজবাড়ী গ্রামের মো. হাছেন আলীর ছেলে মো. সুইট রেজা (২৬) এবং মৃত ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে মো. ইলিয়াস উদ্দিন (৩৬)।
র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আবুল হাশেম সবুজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: র্যসাগর-রুনি হত্যা মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে: র্যাব
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, র্যাব-১২ এর অধিনায়ক মো. মারূফ হোসেনের নির্দেশনায় বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায় গোদাগাড়ী গাড়াবেড় গ্রামে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অনলাইন জুয়া চক্রের এজেন্টসহ ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে অনলাইনে অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রকার জুয়ার সাইট পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন করছিল। তারা অনলাইনে ডলারের মাধ্যমে জুয়া খেলতে বিভিন্নভাবে মানুষকে উৎসাহিত করছিল। প্রতি মাসে তারা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছিল।
এতে আরও বলা হয়েছে, এ ঘটনায় কাজিপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলাকারী ১৬ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বাগেরহাটে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
বাফুফে’র দুর্নীতি, অর্থ পাচারের বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো মতামত প্রকাশ নয়: হাইকোর্ট
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দুর্নীতি-অর্থ পাচার, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ব্যারিস্টার সুমনসহ যেকোন গণমাধ্যমকে কোন ধরণের মতামত প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৪ জুন) সালাউদ্দিনের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই হাত হারানো শিশুকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
আদালতে কাজী সালাউদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি, অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির। অপর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ব্যারিস্টার অনিক আর হক জানিয়েছেন, দুদকের অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ কোন মতামত প্রকাশ করতে পারবে না মর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ১৫ মে হাইকোর্ট বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির পক্ষে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। চার মাসের মধ্যে এ অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতের অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা বা নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদকের চেয়ারম্যান, বিএফআইইউ প্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বাফুফের কর্তা-ব্যক্তিদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে টিপু-প্রীতি খুন: ২ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
এই রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাফুফে’র দুর্নীতি ও অর্থ পাচার বিষয়ে কোন ধরণের মতামত প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিষয়ে প্রচারিত পাবলিক ডোমেইনে থাকা ভুয়া ও মানহানিকর তথ্য অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়।
আবেদনে কাজী সালাউদ্দিনের মৌলিক অধিকার হিসেবে মর্যাদা ও গোপনীয়তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনকে (বিটিআরসি) কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না ও তার বিরুদ্ধে মানহানি ও যে কোনো ভুয়া তথ্য তৈরি এবং প্রচার থেকে বিরত রাখতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
একইসঙ্গে ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং পলিসি ২০১৪ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিতে আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় পাবলিক ডোমেইনে থাকা কাজী সালাউদ্দিনেকে নিয়ে করা মানহানিকর ও ভুয়া তথ্য অপসারণ করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কাজী সালাউদ্দিনের বিষয়ে মানহানিকর ও ভুয়া তথ্য প্রচারে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন, একাত্তর টিভি, একাত্তর টিভির স্পোর্টস ইনচার্জ এহসান মাহমুদ, যুগান্তরের সিনিয়র স্পোর্টস জার্নালিস্ট মোজাম্মেল হক চঞ্চল, গ্লোবাল স্পোর্টসের সমন্বয়ক শাকিল মাহমুদ চৌধুরী, নীলফামারী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি আরিফ হোসেন মুন, একাত্তর টিভির স্পোর্টস জার্নালিস্ট মেহেদী নাইম, পার্থ বণিক, মাহমুদুল হাসান সজিব, অর্ণব বাপ্পী, এহতেশাম সবুজ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হাসান, রিয়াসাদ আজিম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, কহিনুর কনাকে বিবাদী করা হয়। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ বিষয়ে মতামত প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম ও ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
মোমেন বলেন, ‘ভিসা (যুক্তরাষ্ট্রের) কারা নেয়? কিছু ধনী ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তারা। যারা আমার পলিটিক্যাল এজেন্ট, যারা নির্বাচনে কাজ করবে, তারা ভিসা চাইতে আসে না। তাহলে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ কী?’
তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনীতিবিদ, বড় ব্যবসায়ী বা সুশীল সমাজের নেতা যাদের ছেলে-মেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করে, তারা সেখানকার ভিসা নেয়।
যারা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তাদের কথা উল্লেখ করে মোমেন আশা প্রকাশ করেন, নতুন ভিসা নীতির কারণে মানি লন্ডারিং কমে আসবে।
মোমেন বলেন, যারা সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞের আশ্রয় নেয়, তাদের নেতাদের সতর্ক হওয়া দরকার। আপনারা জানেন এই কাজগুলো কারা করে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই; আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা চাই না: মোমেন
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাইব, এই ভিসা নীতির আওতায় জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হোক। যারা একবার জ্বলেছে এবং জীবিত আছে তাদের চেহারা দেখলে বড় দুঃখ পাবেন। আমরা আর জ্বালাও পোড়াও চাই না।’
ড. মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় পূজারি।
বাংলাদেশ আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি যথেচ্ছভাবে প্রয়োগ করা হবে না।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাক্টের অধীনে তথাকথিত থ্রিসি বিধান অনুযায়ী ভিসা সীমাবদ্ধতা নীতিসম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার আমলে নিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে সকল পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকারের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এই ঘোষণাকে দেখতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ধারাবাহিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পরিচালনার জন্য কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সত্তার কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ড বা হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিবৃতি অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারিতে থাকবে।
সরকার আশা করে যে স্থানীয় অগণতান্ত্রিক শক্তি যারা সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা সতর্ক থাকবে এবং সংবিধানের নির্দেশিত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করার তাদের বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘কঠিন ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশের উন্নয়ন অর্জনকে সমুন্নত রাখা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে।’
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর অব্যাহত অঙ্গীকারের পাশে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় সমর্থনকে বাংলাদেশ সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করে।
আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় কাতার সফর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের দৃশ্যমান উপস্থিতির চিহ্ন বহন করে: মোমেন
১ বছর আগে
অর্থ পাচার নিয়ে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিব্রতকর: হাইকোর্ট
সুইস ব্যাংকের কাছে অর্থ জমা নিয়ে বাংলাদেশ কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য চায়নি, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ডের এমন বক্তব্য রাষ্ট্রকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার বিষয়ে সরকার নির্দিষ্ট তথ্য চায়নি বলে সুইস রাষ্ট্রদূতের দেয়া বক্তব্য সঠিক নয় দাবি করে সুইস ব্যাংকের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে এবং চেয়েও তা পাওয়া যায়নি বলে জানানোর পর আদালত এই মন্তব্য করেন।
রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মন্তব্য করে বলেছেন, সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য রাষ্ট্রকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। তাই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে থাকা তথ্য হলফনামা আকারে আদালতে উপস্থাপনের জন্য পরবর্তী দিন রাখলাম। একপর্যায়ে আদালত দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে তাদের আজকের উপস্থাপিত বক্তব্য এফিডেভিট আকারে দাখিলের নির্দেশ দিয়ে এই বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
আরও পড়ুন: সুইস ব্যাংকের কাছে ৬৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ
এর আগে দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সুইস রাষ্ট্রদূতের কাছে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেয়ার আবেদন করে রবিবার হাইকোর্টকে বলেন, ‘বিদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে দুদক ‘মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২’এবং‘মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা-২০১৯ ’এর বিধানাবলীর আলোকে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে নির্দিষ্ট ছক মোতাবেক অধিযাচনপত্র পাঠায়। এর আলোকে বিএফআইইউ সংশিষ্ট দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করে।’
আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, দুদক ২০১৪ সালের পর থেকে এই পর্যন্ত তিনটি অনুসন্ধান/তদন্ত সংক্রান্তে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির তথ্য সুইজারল্যান্ড থেকে সংগ্রহের জন্য বিএফআইইউ’কে অনুরোধ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএফআইইউ দুদককে জানায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট একজন ব্যক্তির বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে যে ওই ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। এছাড়া অন্য দুটি পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বিএফআইইউ থেকে এই সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান দুদক আইনজীবী।
হাইকোর্টকে তিনি আরও বলেন, ‘বিএফআইইউ বিদেশি ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট থেকে যে তথ্য পাঠায়, তা Egmont Charter এর শর্তানুযায়ী গোপনীয় এবং কেবল ইন্টেলিজেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যায়। উক্ত তথ্য আলামত হিসেবে কোনো বিচারিক কার্যক্রমে ব্যবহার করা যায় না।’
রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক হাইকোর্টকে বলেন, ‘উনি (সুইস রাষ্ট্রদূত) যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয়। ওনার বক্তব্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। সুইস ব্যাংক চলতি বছরের ১৬ জুন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরদিন এগমন্ড সিকিউর ওয়েবের (ইএসডব্লিউ) মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যাংক ও ব্যক্তির জমানো অর্থের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের জন্য সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে (ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট) অনুরোধ করা হয়। তবে এবিষয়ে এখনও কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ।’
এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে বলেন, ‘২০১৩ সালের জুলাইতে ইএসডব্লিউর সদস্য হওয়ার পর চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৬৭ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তথ্য চায় বাংলাদেশ। ইএসডব্লিউর মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে এ তথ্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু একজন ছাড়া অন্যদের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে জানায় সুইজারল্যান্ড। আর ওই একজনের তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দিয়েছে বিএফআইইউ।’
‘সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা সম্পর্কে সরকার নির্দিষ্ট তথ্য চায়নি’ সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পড়েছেন জানিয়ে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে বাংলাদেশ সরকার সুইস ব্যাংকের কাছে কোনো তথ্য না চাওয়ার বক্তব্যের বিষয়ে রবিবারের মধ্যে দুদক এবং রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলেন। সে অনুযায়ী দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ রবিবার আদালতে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: সুইস ব্যাংকের কাছে তথ্য না চাওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
গত বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আয়োজিত ডিকাব টকে সুইস রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবির ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছরে বাংলাদেশিরা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘তথ্য পেতে হলে কী করতে হবে, সে সম্পর্কে আমরা সরকারকে জানিয়েছি, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো তথ্যের জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করা হয়নি। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুপক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে এ ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব এবং সেটি তৈরি করতে হবে। এটি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছি।’
২ বছর আগে
সুইস ব্যাংকের কাছে ৬৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ
সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ৬৭ জনের অর্থ জমা সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ।
সবশেষ দেশটির আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এফআইইউয়ের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ।
রবিবার হাইকোর্টে আসা বিএফআইউ’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ এই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসীকাজে অর্থায়ন প্রতিরোধ, অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য বিএফআইইউ আন্তর্জাতিক আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এফআইইউ'র সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে। তবে বিশ্বব্যাপী এসব তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম হলো এগমন্ড সিকিউর ওয়েব (ইএসডব্লিউ)। ২০১৩ সালের জুলাইতে ইএসডব্লিউ’র সদস্য হওয়ার পর চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৬৭ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তথ্য চায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সুইস ব্যাংকের কাছে তথ্য না চাওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
ইএসডব্লিউ’র মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে এ তথ্য দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু একজন ছাড়া অন্যদের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে জানায় সুইজারল্যান্ড। আর এই একজনের তথ্য দুদককে দিয়েছে বিএফআইইউ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইস ব্যাংক চলতি বছরের ১৬ জুন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরদিন এগমন্ড সিকিউর ওয়েবের (ইএসডব্লিউ) মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যাংক ও ব্যক্তির জমানো অর্থের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের জন্য সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে অনুরোধ করা হয়। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তিদের অর্থ রাখার বিষয়ে তথ্য জানাতে সর্বশেষ গত ১৭ জুনও চিঠি দিয়েছিল বিএফআইইউ।
এর আগে গত ১১ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে অর্থ জমা নিয়ে নির্দিষ্ট করে দেশটির সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার কোনো তথ্য কেন চায়নি, তা জানতে চান হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট বলেন, আমরা সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পড়েছি। বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে প্রকাশিত সংবাদ কপি জমা দিতে বলা হয়েছে। এই সময় দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শোনেন আদালত।
ওইদিন আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ১০ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
আরও পড়ুন: সুইস ব্যাংক থেকে টাকা ফেরত বিষয়ে রিটের আদেশ বৃহস্পতিবার
সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবির) ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরে বাংলাদেশিরা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি ফ্রাঁ বাংলাদেশি ৯৫.৭০ টাকা হিসাবে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশিরা কত টাকা জমা রেখেছে, ওই তথ্য প্রতি বছর সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক দিয়ে থাকে। ওই অর্থ অবৈধ পথে আয় করা হয়েছে কিনা, এটি আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
২ বছর আগে
সুইস ব্যাংকের কাছে একাধিকবার অর্থ পাচারের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) একাধিকবার সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের কাছে বাংলাদেশিদের অর্থ পাচারের তথ্য চেয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
সুইস রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে শনিবার এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। তবে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অর্থ লেনদেনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএফআইইউ একাধিকবার বিভিন্ন দেশের কাছে তথ্য চেয়েছে ।’
দেশ থেকে অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহের জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ সুইস ব্যাংকগুলোতে বেশ কিছু চিঠি পাঠিয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যখনই আমাদের তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন হয়, বিএফআইইউ সব জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ সুইস ব্যাংকে জমা রাখা বাংলাদেশি টাকার বিষয়ে তথ্য চাইলেও সুইস পক্ষ এই প্রশ্নের জবাব দেয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ও অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের সঙ্গে এই বিষয়ে আলাপের পর এ কথা বলেন মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ন্যাথালি শুয়ার্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে কিছু গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিভ্রান্তির সৃষ্টি হওয়ায় তিনি গভর্নর ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে বিবৃতি দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ডের কাছে তথ্য চায়নি- এটা ঠিক নয়।
বুধবার ‘ডিকাব টক’ এ বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড বলেছেন, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থের পরিমাণ ‘সম্পূর্ণরূপে অনুমাননির্ভর’ এবং গণমাধ্যম ও অন্যান্য প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কোনো উপসংহারে আসা যাবে না।
পড়ুন: বাংলাদেশি টাকা জমার বিষয়ে সুইস ব্যাংকে তথ্য চেয়েছে ঢাকা: মোমেন
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের অর্থের পরিমাণ ‘পুরোপুরি অনুমাননির্ভর’: সুইস রাষ্ট্রদূত
২ বছর আগে
পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে ব্যাংকগুলোকে প্রচারণা চালানোর নির্দেশ
বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ মাত্র সাত শতাংশ কর দিয়ে দেশে পাঠাতে তাদের উৎসাহিত করতে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশি নাগরিকদের অপ্রদর্শিত আয় ও পাচার করা অর্থ ফেরত আনার লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রণীত ‘আয়কর অধ্যাদেশ’ অনুযায়ী এই প্রচারণা চালানো হবে।
সাত শতাংশ কর পরিশোধ করে বিদেশে যে কোনো উপায়ে অর্জিত আয় আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে পারবেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। এই ধরনের আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ করা হবে এবং কেউ (ব্যাংক বা অন্য কোনো সংস্থা) এই আয়ের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তির সমালোচনা সংসদ সদস্যদের
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে আয়কর অধ্যাদেশের আওতায় অফশোর ট্যাক্স অ্যামনেস্টির বাস্তবায়ন ও প্রচারের কথা বলা হয়েছে।
‘অর্থ আইন, ২০২২ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ১৯এফ অনুসারে ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে সাত শতাংশ কর প্রদান করে বাংলাদেশের বাহিরে যে কোনো রূপে গচ্ছিত অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধভাবে দেশে এনে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করা যাবে’, সার্কুলারে যোগ করা হয়েছে।
তবে এই সাধারণ ক্ষমার সমালোচনা করে অর্থনীতিবিদ ও এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে বাংলাদেশ থেকে অর্থ ও মূলধন পাচার বাড়বে।
২ বছর আগে