উদ্যোগ গ্রহণ
মুগদা মেডিকেলকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতালে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতালে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘এই হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করা হবে। যাতে কোনো রোগীকে অন্য হাসপাতালে রেফার করার প্রয়োজন না হয়।’
শনিবার (৩ আগস্ট) মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয় সভায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যথাসময়ে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড বিতরণ নিশ্চিতের উপায় বের করার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘রোগী বাড়ায় এ হাসপাতালকে পর্যায়ক্রমে এক হাজার শয্যার হাসপাতালে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই হাসপাতাল উন্নয়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যান করা হবে। এখানের সকল অবকাঠামো যাতে যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয় তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার ও আনুষঙ্গিক জনবল পদায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এসময় উপস্থিত চিকিৎসকরা থোরাসিক সার্জারি, নিউরো সার্জারি বিভাগ স্থাপন ও একজন অনকোলজিস্ট পদায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করলে মন্ত্রী এই হাসপাতালের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
সভায় বক্তব্য দেন- মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা।
মন্ত্রী এক মাসের মধ্যে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে পরিকল্পনা জমা দেওয়ার অনুরোধ জানান।
তিনি কর্তৃপক্ষকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজায়ন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ খাতে বাংলাদেশ-নরওয়ে সম্পর্ক জোরদার করবে: পরিবেশমন্ত্রী
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বৃক্ষ নিধন পরিহারের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
৩ মাস আগে
লালকুঠির সামনে নদীর অববাহিকা দখলমুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ
ঐতিহাসিক লালকুঠি তথা নর্থব্রুক হলের সামনের নদীর অববাহিকা দখলমুক্ত করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে লালকুঠিতে চলমান সংস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে উপস্থিত বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফাকে এই নির্দেশনা দেন মেয়র।
তিনি বলেন, আমি নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। উনাদের কিছু খরচ আছে। কিন্তু আমরা বলেছি, উনাদের খরচটা আমরা বহন করব। আসলে উদ্যোগের বিষয়ে উনারা যদি উদ্যমী হন, তাহলে আমরা কাল থেকেই কাজ শুরু করতে পারব।
আরও পড়ুন: আন্তঃজেলা বাস ঢাকার বাইরের আর নগর পরিবহন ঢাকার অভ্যন্তরের টার্মিনাল ব্যবহার করবে: শেখ তাপস
মেয়র আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন, নদীর অববাহিকা দখল অবস্থায় আছে। আমরা আগে থেকেই বলেছি, তাদের এখানে যে সকল অবকাঠামো, পন্টুন ও লঞ্চঘাট আছে সেগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য। এছাড়াও আমাদের সামনের এই রাস্তাটা দখল করে সেখানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই আপনাদের মাধ্যমে আমি আবারও বলব, অবিলম্বে এই জায়গাটা খালি করে দিতে।
তিনি বলেন, এ স্থাপনার দুই সীমানার কোণা থেকে ৪৫ ডিগ্রিতে নদীর সীমানা আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি। সেটা হলে নদী থেকে সুন্দরভাবে স্থাপনাটা দেখা যাবে। রাতে প্রজ্জ্বলিত থাকবে। সবাই ঢাকাকে উপভোগ করবে।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পুরোনো আদলেই এটি সংস্কার করা হচ্ছে জানিয়ে তাপস বলেন, লালকুঠি আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। যেটা লর্ড ব্রুকের সময় ১৮৭৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি মূলত টাউন হল ছিল।
মেয়র বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তখন উনাকে বাংলাদেশে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেটা এই ভবনেই দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং আমরা সেভাবেই গুরুত্ব দিয়ে লালকুঠিকে পূর্ণভাবেই আমরা সংস্কার করছি। এটি অত্যন্ত দুরুহ। আমরা এই স্থাপনার পুরোনো ছবি দেখে সেই নকশা অনুযায়ী এটাকে সংস্কার করছি।
আরও পড়ুন: আগামী বর্ষায় বুড়িগঙ্গায় নৌকাবাইচ আয়োজন করা হবে: মেয়র তাপস
সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
৯ মাস আগে