হুমকি
গণমাধ্যমকে হুমকি দিলে ব্যবস্থা নেবে সরকার
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু গণমাধ্যমকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিত অবরোধ ও হুমকির খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে হুমকি এবং সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানোর যেকোনো প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, 'এ ধরনের ঘটনা ঘটলে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
১ সপ্তাহ আগে
নাশকতা-সহিংসতা বা হুমকির বিষয়ে জানাতে সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগ করুন: আইএসপিআর
কেউ কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, সহিংসতা ও হত্যার হুমকির সম্মুখীন হলে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগ করতে জনগণকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বুধবার (৭ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় জনসাধারণের জানমাল ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
পাশাপাশি মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে সেনাবাহিনীকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকার জন্য জনগণকে অনুরোধ জানানো হয় বিবৃতিতে।
অভিযোগ জানাতে যোগাযোগের জন্য কয়েকটি মোবাইল ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল বিভাগ
বরিশাল- ০১৭৬৯০৭২৫৫৬, ০১৭৬৯০৭২৪৫৬,
পটুয়াখালী- ০১৭৬৯০৭৩১২০, ০১৭৬৯০৭৩১২২
ঝালকাঠি- ০১৭৬৯০৭২১০৮, ০১৭৬৯০৭২১২২,
পিরোজপুর-০১৭৬৯০৭৮২৯৮, ০১৭৬৯০৭৮৪০৮
চট্টগ্রাম বিভাগ
নোয়াখালী-০১৬৪৪-৪৬৬০৫১, ০১৭২৫-০৩৮৬৭৭
চাঁদপুর- ০১৮১৫-৪৪০৫৪৩, ০১৫৬৮-৭৩৪৯৭৬
ফেনী- ০১৭৬৯-৩৩৫৪৬১, ০১৭৬৯-৩৩৫৪৩৪
লক্ষীপুর- ০১৭২১-৮২১০৯৬,০১৭০৮৭৬২১১০
কুমিল্লা- ০১৩৩৪-৬১৬১৫৯, ০১৩৩৪-৬১৬১৬০
ব্রাক্ষণবাড়িয়া- ০১৭৬৯-৩২২৪৯১, ০১৭৬৯-৩৩২৬০৯
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও সাতকানিয়া উপজেলা
০১৭৬৯১০৭২৩১, ০১৭৬৯১০৭২৩২
চট্টগ্রাম (লোহাগড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী এবং সাতকানিয়া উপজেলা ছাড়া)
০১৭৬৯২৪২০১২, ০১৭৬৯২৪২০১৪
ঢাকা বিভাগ
মাদারীপুর- ০১৭৬৯০৭২১০২, ০১৭৬৯০৭২১০৩
কিশোরগঞ্জ- ০১৭৬৯১৯২৩৮২, ০১৭৬৯২০২৩৬৬
টাঙ্গাইল- ০১৭৬৯২১২৬৫১, ০১৭৬৯২১০৮৭০
গোপালগঞ্জ- ০১৭৬৯-৫৫২৪৩৬,০১৭৬৯-৫৫২৪৪৮
রাজবাড়ী- ০১৭৬৯-৫৫২৫১৪, ০১৭৬৯-৫৫২৫২৮
গাজীপুর- ০১৭৮৫৩৪৯৮৪২,০১৭৬৯০৯২১০৬
মুন্সিগঞ্জ- ০১৭৬৯০৮২৭৯৮,০১৭৬৯০৮২৭৮৪
মানিকগঞ্জ- ০১৭৬৯০৯২৫৪০, ০১৭৬৯০৯২৫৪২
নারায়ণগঞ্জ- ০১৭৩২০৫১৮৫৮
নরসিংদী- ০১৭৬৯০৮২৭৬৬, ০১৭৬৯০৮২৭৭৮
শরীয়তপুর- ০১৭৬৯০৯৭৬৬০, ০১৭৬৯০৯৭৬৫৫
ফরিদপুর- ০১৭৬৯০৯২১০২, ০১৭৪২৯৬৬১৬২
ঢাকা মহানগরী
লালবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আগারগাঁও, মহাখালী, তেজগাঁও, এলিফ্যান্ট রোড এবং কাঁটাবন এলকা
০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯
গুলশান, বারিধারা, বনানী, বসুন্ধরা, বাড্ডা, রামপুরা, শাহজাহানপুর, উত্তরখান, দক্ষিণখান এবং বনশ্রী এলাকা
০১৭৬৯০১৩১০২, ০১৭৬৯০৫৩১৫৪
মিরপুর-১ হতে মিরপুর-১৪, খিলক্ষেত, উত্তরা এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
০১৭৬৯০২৪২১০, ০১৭৬৯০২৪২১১
মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, শান্তিনগর, ইস্কাটন, রাজারবাগ, পল্টন, গুলিস্তান এবং পুরান ঢাকা
০১৭৬৯০৯২৪২৮,০১৭৬৯০৯৫৪১৯
ময়মনসিংহ বিভাগ
শেরপুর- ০১৭৬৯২০২৫১৬, ০১৭৬৯২০২৫২৪
নেত্রকোণা- ০১৭৬৯২০২৪৭৮, ০১৭৬৯২০২৪৪৮
জামালপুর- ০১৭৬৯১৯২৫৪৫, ০১৭৬৯১৯২৫৫০
ময়মনসিংহ- ০১৭৬৯২০৮১৫১, ০১৭৬৯২০৮১৬৫
খুলনা বিভাগ
বাগেরহাট- ০১৭৬৯০৭২৫১৪,০১৭৬৯০৭২৫৩৬
কুষ্টিয়া- ০১৭৬৯-৫৫২৩৬২, ০১৭৬৯-৫৫২৩৬৬
চুয়াডাঙ্গা- ০১৭৬৯-৫৫২৩৮০, ০১৭৬৯-৫৫২৩৮২
মেহেরপুর- ০১৭৬৯-৫৫২৩৯৮, ০২৪৭৯৯২১১৫৩
নড়াইল- ০১৭৬৯-৫৫২৪৫৬, ০১৭৬৯-৫৫২৪৫৭
মাগুরা- ০১৭৬৯-৫৫৪৫০৫,০১৭৬৯-৫৫৪৫০৬
ঝিনাইদহ- ০১৭৬৯-৫৫২১৫৮, ০১৭৬৯-৫৫২১৭২
যশোর- ০১৭৬৯-৫৫২৬১০, ০১৭৬৯-০০৯২৪৫
খুলনা- ০১৭৬৯-৫৫২৬১৬, ০১৭৬৯-৫৫২৬১৮
সাতক্ষীরা- ০১৭৬৯-৫৫২৫৩৬, ০১৭৬৯-৫৫২৫৪৮
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী- ০১৭৬৯১১২৩৮৬, ০১৭৬৯১১২৩৮৮
চাঁপাইনবাবগঞ্জ- ০১৭৬৯১১২০৭০,০১৭৬৯১১২৩৭২
পাবনা- ০১৭৬৯১২২৪৭৮, ০১৭৬৯১১২৪৮০
সিরাজগঞ্জ- ০১৭৬৯১২২৪৬২, ০১৭৬৯১২২২৬৪
নাটোর- ০১৭৬৯১১২৪৪৬, ০১৭৬৯১১২৪৪৮
নওগাঁ- ০১৭৬৯১২২১১৫, ০১৭৬৯১২২১০৮
জয়পুরহাট- ০১৭৬৯১১২৬৩৪
বগুড়া- ০১৭৬৯১১২৫৯৪, ০১৭৬৯১১২১৭০
রংপুর বিভাগ
রংপুর- ০১৭৬৯৬৬২৫৫৪, ০১৭৬৯৬৬২৫১৬
দিনাজপুর- ০২৫৮৯৯২১৪০০, ০২৫৮৯৬৮২৪১৪
নীলফামারী- ০১৭৬৯৬৮২৫০২, ০১৭৬৯৬৮২৫১২
লালমনিরহাট- ০১৭৬৯৬৮২৩৬৬, ০১৭৬৯৬৮২৩৬২
কুড়িগ্রাম- ০১৭৬৯৬৬২৫৩৪, ০১৭৬৯৬৬২৫৩৬
ঠাকুরগাঁও- ০১৭৬৯৬৬৬০৬২, ০১৭৬৯৬৭২৬১৬
পঞ্চগড়- ০১৯৭৩০০০৬৬২, ০১৭৬৯৬৬২৬৬১
গাইবান্ধা- ০১৬১০৬৫২৫২৫, ০১৭৫৪৫৮৫৪৮৬
সিলেট বিভাগ
সিলেট- ০১৭৬৯১৭৭২৬৮, ০১৯৮৭৮৩৩৩০১
হবিগঞ্জ- ০১৭৬৯১৭২৫৯৬, ০১৭৬৯১৭২৬১৬
সুনামগঞ্জ- ০১৭৬৯১৭২৪২০, ০১৭৬৯১৭২৪৩০
মৌলভীবাজার- ০১৭৬৯১৭৫৬৮০, ০১৭৬৯১৭২৪০০
২ মাস আগে
হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেছেন, ভোটারদের ম্যান্ডেট ছাড়াই ক্ষমতায় থাকা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের জনগণ রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে সমুচিত জবাব দেবে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। আপনারা ৭ জানুয়ারি ভোটবিহীন ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছেন। নির্বাচনের আগেও আপনারা অনেক হুমকি দিয়েছেন, এখনও আমাদের হুমকি দিচ্ছেন।’
এক মানববন্ধনে ফারুক বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরে না আসা পর্যন্ত সমমনা বিরোধী দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে তাদের দল রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) বিএনপিকে দমন করতে পারবেন না, আমাদের নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রেখে নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ড ও মামলায় জড়িয়েও দমাতে পারবেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোট বিহীন গঠিত সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে আন্দোলন জোরদার করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ গ্রেপ্তারকৃত বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দল এ মানববন্ধনের আয়োজন করে
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে (টিআইবি) বিএনপির এজেন্ট বলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সমালোচনা করেন ফারুক।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনের দিন বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমার আশঙ্কা, আপনারা কিছুদিন পর সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককেও (আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য) বিএনপির এজেন্ট হিসেবে অভিহিত করবেন।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেকে গণতন্ত্রপন্থী ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করলেও এই দলটি গণতন্ত্রের চর্চা করে না, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে সাময়িক সময়ের জন্য দমন করতে পারে। ‘পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, স্বৈরাচারী সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন গণতান্ত্রিক শক্তিকে দমন করতে পারেনি।’
যেসব সমালোচক বিএনপির সাংগঠনিক সক্ষমতা নিয়ে কথা বলেছেন তাদের কঠোর সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের শক্তি পরীক্ষা করতে পুলিশ ছাড়াই বিরোধী দলের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, দেশের ৪১ হাজার বন্দির ধারণ ক্ষমতার কারাগারগুলোতে এখন এক লাখের বেশি মানুষকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুলিশি বাধায় পণ্ড বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারবিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলের যোগ্য নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে নির্যাতন চালাচ্ছে।
গণ অধিকার পরিষদের নেতারা কারাগারে কীভাবে নিষ্ঠুর নির্যাতন ও বৈদ্যুতিক শকের শিকার হয়েছেন তার বর্ণনা দেন নুর।
তিনি বলেন, 'তারা (কারা কর্তৃপক্ষ) বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নখ উপড়ে দিয়েছে এবং হাড়গোড় ভেঙে দিয়েছে। কোনো সভ্য দেশে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, এটা ভাবতেও খুব কষ্ট হয়।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতো বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের আদালত জামিন না দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন নুর।
তিনি বলেন, অবিলম্বে সকল রাজবন্দির মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
জনগণের প্রতি অবিচার না করতে পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানান নুর।
আরও পড়ুন: প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
৯ মাস আগে
বিদেশিদের হুমকি-ধমকির পরোয়া করেন না শেখ হাসিনা: কাদের
শেখ হাসিনা ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞার কোনো পরোয়া করেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিদেশি কোনো শক্তির হুমকি-ধমকির পরোয়া করেন না। তিনি ভয় পান একমাত্র স্রষ্টাকে। তিনি ভালোবাসেন বাংলাদেশের জনগণকে।’
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘ভালো লোকেরা নির্বাচিত হলে দেশ ভালো চলবে, নতুবা দুঃশাসন অনিবার্য।’
কাদের বলেন, ‘তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছে বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করার। এই বিএনপিকে চিরতরে লাল কার্ড দেখাতে হবে।’
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। পরে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
আরও পড়ুন: অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের
আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
৯ মাস আগে
জীবন নাশের হুমকি, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাপার প্রার্থী
জাতীয় পাটির (জাপা) কেন্দ্রীয় নেতা ও দলীয় প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকালে গাইবান্ধার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
আতাউর জানান, সমর্থকদের মারধর, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও চিহ্নিত মহলের হুমকি এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জাতীয় পাটি থেকে আতাউর রহমান সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
নিয়মানুযায়ী তিনি নির্বাচনী প্রচার চালাতে থাকেন। আর মাত্র তিন দিন পর নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে তিনি পাড়া মহল্লায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার দুই আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপার দুই প্রার্থীর
কিন্ত ইদানিং তার নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে তাকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ জীবন নাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এসব কারণে তিনি তার জীবনে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন। তার জীবন রক্ষার তাগিদে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন।
এক প্রশ্রে জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো মামলা দায়ের করেননি। সময় হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাশরাফিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল
৯ মাস আগে
খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেনের গুলি করার হুমকি!
খুলনা - ৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলি করার হুমকি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ডুমুরিয়ার মিকশিমিল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তিনি পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এ হুমকি দেন। তার এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি নৌকা প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ’র কর্মী-সর্মথকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমাকে চিনিস না। তোদেরকে এমন কাজ করব নারান বাবু কেন, তোদের বাপও ঠেকাতে পারবে না। দুটি গুলি করলেই যথেষ্ট।’
আরও পড়ুন: খুলনা-৪ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আ. লীগের প্রার্থীকে আদালতে তলব
খুলনার রির্টানিং অফিসার ও খুলনা জেলা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ওই ভিডিও ফুটেজটি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গঠিত ইলেক্ট্ররাল কমিটিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেন ফুলতলা উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ হতে পদত্যাগ করে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে খুলনা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
ঋণখেলাপির দায়ে রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছিলেন। নির্বাচন কমিশন ও উচ্চ আদালতও তার মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। পরে চেম্বার জজ তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ: পুলিশ
১০ মাস আগে
পিটার হাসকে হুমকি: আ.লীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বাঁশখালী ও কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু।
আরও পড়ুন: পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপের উপায় বের করার আহ্বান পিটার হাসের
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে আদালত কোনো মতামত দেয়নি।
মামলার আসামিরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী, মহেশখালীর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদুল আলম, বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইফতেখার উদ্দিন বাবু, সাজ্জাদ, এহছান, ফরহাদ, নাছির ও সাইফুল।
এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবী ইরফান উদ্দিন বলেন, একজন সম্মানিত ব্যক্তি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এ মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলা গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয় — গত ৬ নভেম্বর বাঁশখালীর এক জনসভায় মুজিবুল হক চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেন।
ওই সময় তিনি বলেছিলেন — ‘পিটার হাস বলছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। পিটার হাস আমরা আপনাকে ভয় পাই না। আমরা মোটা চালের ভাত খাই। আপনি বিএনপির ভগবান। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ ইমান বেচি না। আপনাকে এমন মারা মারব, বাঙালি কত দুষ্টু তখন বুঝতে পারবেন।’
এছাড়াও একইদিন কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ৬ নভেম্বর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন— ফরিদুল আলম।
সেই বক্তব্যের ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ফিরেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
পিটার হাসকে হুমকির বিষয়ে সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে: মার্কিন দূতাবাস
১১ মাস আগে
পিটার হাসকে হুমকির বিষয়ে সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে: মার্কিন দূতাবাস
কূটনৈতিক কর্মীদের ওপর সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি অগ্রহণযোগ্য এবং গভীর উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানায়।
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন আইবেলি বলেন, 'রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে উদ্দেশ্য করে হুমকিমূলক বক্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমরা বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।’
আরও পড়ুন: ৩ প্রধান দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একসঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ পিটার হাসের
দূতাবাসের মুখপাত্র আরও বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় মার্কিন কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পিটার হাসকে হত্যার হুমকি: ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ
১১ মাস আগে
ইসরায়েলের স্থল হামলার হুমকিতে অনেক ফিলিস্তিনি গাজার উত্তরাঞ্চল ছেড়েছে
ক্ষমতাসীন হামাস সশস্ত্র গোষ্ঠীর আকস্মিক হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সম্ভাব্য স্থল আক্রমণের আগে অবরুদ্ধ গাজার ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এরপর অনেক ফিলিস্তিনি শুক্রবার গাজার উত্তরাঞ্চল ছেড়ে গেছেন।
জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গাজার জনবহুল জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেককে সরিয়ে নেওয়া কঠিন হবে এবং ইসরায়েলকে এই নজিরবিহীন নির্দেশনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। সারাদিন ধরে ওই এলাকায় বিমান হামলা চালানো হলে গাড়ি, ট্রাক ও গাধার গাড়িতে করে পরিবারগুলো গাজা শহরের বাইরে একটি প্রধান সড়কে নেমে আসে।
আরও পড়ুন: হামাসকে 'ধ্বংস' করার অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর : গাজা আক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে
হামাসের গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানগুলো দক্ষিণাঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা গাড়িগুলোতে হামলা চালিয়ে ৭০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের সৈন্যরা হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গাজায় অস্থায়ী অভিযান চালিয়েছে এবং প্রায় এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় অপহৃত প্রায় ১৫০ জনের সন্ধান পেয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা সিটির আশেপাশে হামাসের আন্ডারগ্রাউন্ড আস্তানালক্ষ্য করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি ও কিছু মিশরীয় কর্মকর্তা আশঙ্কা করছেন যে, ইসরায়েল শেষ পর্যন্ত মিশরের সঙ্গে দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে গাজার জনগণকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
হামাস জনগণকে সরে যাওয়ার আদেশ উপেক্ষা করতে বলেছে এবং গাজার পরিবারগুলো কোথাও কোনও নিরাপদ জায়গা না থাকায় চলে যাওয়া বা থাকার সিদ্ধান্ত হিসাবে দেখেছিল। হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা রোগীদের ছেড়ে যেতে পারবেন না।
গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলি অবিরাম হামলায় গাজার আশেপাশের বিশাল এলাকা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। এতে গাজায় দুর্ভোগ বেড়ে গেছে, যা খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং কার্যত বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
গাজা সিটিতে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র নেবাল ফারসাখ বলেন,‘খাবারের কথা ভুলে যান, বিদ্যুতের কথা ভুলে যান, জ্বালানির কথা ভুলে যান- আপনি এটি করতে পারবেন কিনা, এখন একমাত্র উদ্বেগ হচ্ছে আপনি বেঁচে থাকবেন কিনা।’ এসময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে, গাজার এক সপ্তাহের যুদ্ধে প্রায় এক হাজার ৯০০ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকেরও বেশির বয়স ১৮ বছরের কম অথবা নারী।
ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, গত শনিবার হামাসের হামলায় এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় দেড় হাজার হামাস সদস্য মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: হামাসের আকস্মিক হামলা-ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়ায় নিহত ১০০০ ছাড়িয়েছে
১ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তন কী গণতন্ত্রের জন্য হুমকি?
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অস্থিতিশীলতা ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হতে পারে, যদিও প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারগুলো সমাধান প্রদানের জন্য সর্বোত্তম সজ্জিত - বার্ষিক সম্মেলনে একত্রিত বিশেষজ্ঞরা এমনটাই যুক্তি দিয়েছেন।
জাতিসংঘ সমর্থিত অ্যাথেন্স ডেমোক্রেসি ফোরাম শুক্রবার গ্রিসের রাজধানীতে শেষ হয়েছে। এই ফোরামে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা ও চরম আবহাওয়া গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার ওপর কী প্রভাব ফেলতে পারে সে দিকে মনোনিবেশ করা হয়।
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির জলবায়ু বিজ্ঞানী মাইকেল ওপেনহাইমার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষ আবহাওয়াজনিত বারংবার দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি রক্ষণাবেক্ষণে খুব ধীর গতিতে কাজ করছে।
ভূবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক অধ্যাপক এবং প্রিন্সটনের সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্টের পরিচালক ওপেনহাইমার বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুনরুদ্ধারের ব্যবধান সংকুচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ ফিকে: বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে আছি যেখানে সরকারগুলো যে পরিষেবা সরবরাহ করে এবং অন্যতম প্রধান পরিষেবাগুলোর মধ্যে একটি হলো জীবন ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুরক্ষা যেভাবে হওয়া উচিৎ সেভাবে ঘটছে না। এবং আমার মতে, এটি গণতন্ত্রের ওপর ঘটতে যাওয়া আরেকটি চাপ।’
৩ দিনব্যাপী অ্যাথেন্স ইভেন্টটিতে শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদদের পাশাপাশি রাজনীতিবিদ ও কমিউনিটি প্রকল্প পরিচালকরা একত্রিত হয়েছিলেন এবং এটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হয় যখন দেশটি সবচেয়ে খারাপ দাবানলের শিকার হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে নধ্য গ্রিসে ব্যাপক বন্যা মোকাবিলায় জাতীয় কর্তৃপক্ষ লড়াই করেছে।
ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক তাপমাত্রা ও বিশ্বের কিছু অংশে অভিবাসনের ত্বরান্বিত হওয়ার কারণে উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে, আগামী দশকগুলোতে সরকারগুলো ক্রমবর্ধমান দুর্লভ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে ও নাগরিক অস্থিরতা মোকাবিলায় আরও স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্কের অংশ নিউ আমেরিকা পলিটিক্যাল রিফর্ম প্রোগ্রামের ফেলো অ্যান ফ্লোরিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদে এটি একটি খারাপ ধারণা হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের আহ্বান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের
তিনি বলেন, ‘স্বৈরতন্ত্র জলবায়ু জরুরি অবস্থার সবচেয়ে খারাপ সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া, কারণ আপনার যা প্রয়োজন তা হলো প্রচুর স্থানীয় ক্ষমতায়ন।’
ফ্লোরিনি বলেন, ‘তারা একটি বড় সৌর বিদ্যুৎ শিল্প গড়ে তুলতে খুব ভালো হতে পারে… কিন্তু একটি স্বৈরতন্ত্রের আগামী কয়েক প্রজন্মের জন্য জলবায়ু জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তথ্য ব্যবস্থা ও নমনীয়তা এবং স্থিতিস্থাপকতা থাকতে চলেছে এই ধারণাটি আমার কাছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাস্যকর।’
তিনি জোর দেব, কেবলমাত্র উন্মুক্ত সমাজগুলো তাদের সুদূরপ্রসারী পরিবেশগত প্রভাবের কারণে প্রয়োজনীয় শক্তি, কৃষি ও পানি ব্যবস্থায় পদ্ধতিগত রূপান্তরকে উৎসাহিত করতে পারে।
সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটির আর্থ সায়েন্সেস বিভাগের জ্যেষ্ঠ গবেষক ড্যানিয়েল লিন্ডভাল বলেন, গণতান্ত্রিক সরকারগুলোকে স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের সঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সুবিধাগুলো ভাগ করে নেওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি একটি বায়ু ফার্ম তৈরি করেন এবং সুবিধা ও মুনাফার কিছু অংশ স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে দেব, তবে আপনার কাছে তারা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পরিবর্তে এটিকে সমর্থন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জ্বালানির স্বাধীনতার সমস্ত সুবিধা তখন পুতিন (রাশিয়া) ও সৌদি আরবের মতো স্বৈরাচারী শাসকদের কাছ থেকে ক্ষমতার পালাবদল হবে।’
আরও পড়ুন: পর্যটনশিল্পকে অবশ্যই নিরাপদ করতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব
১ বছর আগে