২০০৯ সাল
বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
২০০৯ সালে বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ আগস্ট) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে আব্দুর রহিমের ছেলে আইনজীবী আব্দুল আজিজ এই মামলা করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আবেদনটি নথিভুক্ত করেন। একই সঙ্গে আব্দুর রহিমের অপমৃত্যুর মামলার নথি তলব করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে থানায় হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলা, আসামি ৪০ হাজার
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদকে। শেখ হাসিনাকে করা হয়েছে চার নম্বর আসামি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পিলখানা বিদ্রোহ মামলার আইনজীবী মোশারফ হোসেন, সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ সেলিম, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম ও হাসানুল হক ইনু।
এছাড়াও ২০১০ সালের জুলাইয়ে দায়িত্বরত কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ও কারাগারের চিকিৎসকদেরসহ আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী আইনজীবী আব্দুল আজিজ উল্লেখ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
বাদী অভিযোগ করেন, তার বাবা আব্দুর রহিম ডিএডি হিসেবে পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। তাকেও বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় আসামি করে আটক করা হয়।
২০১০ সালের ২৯ জুলাই ডিএডি আব্দুর রহিমকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে বাদী উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী, মেয়রসহ ১১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় লিটনসহ ৪২ জনের নামে মামলা
৩ মাস আগে
১৪ বছরে ১৭৬ দেশে ৯৭ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী গেছেন
২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ১০ লাখ ৮৫ হাজার ১১৭ জন নারী শ্রমিকসহ মোট ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ২৫০ জন বাংলাদেশি কর্মে যুক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত। প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশের অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে
তিনি বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিগুণ হয়ে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বজায় রাখতে এবং বৈশ্বিক শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে বিদেশি ভাষা শেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৭০ জনকে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ৪৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের (টিটিসি) মাধ্যমে জাপানি, ইংরেজি, কোরিয়ান ও চাইনিজসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাণিজ্যভিত্তিক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান ১০৪টি টিটিসি ছাড়াও আরও ৫০টি টিটিসি স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া 'দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান' শীর্ষক প্রকল্পটি বিগত ৫ বছরে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৪০০ জনকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মাহমুদ আলী বলেন, দেশে ফিরে আসা কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার জন্য সরকার প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এ তহবিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে ফিরে আসা ১২ হাজার ৮৯০ জন প্রবাসী ২৯৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধভাবে বিদেশে যাওয়া নিহত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৪৩৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বাজেট ২৪-২৫: আরও সাশ্রয়ী হবে কিডনি ডায়ালাইসিস
বাজেট ২৪-২৫: দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের
৬ মাস আগে
২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার বর্তমানে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশে এবং মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) ত্রৈমাসিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর মতিঝিলে এমসিসিআই কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুুন: বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহী মঙ্গোলিয়া: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বর্তমানে ৪৩টি পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও ভিশন ২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে দেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ছিল। যা ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সেই রপ্তানি আয় ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ট্র্যাডিশনাল আইটেমের পাশাপাশি নন-ট্র্যাডিশনাল আইটেমের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার বহুমুখীকরণেও সরকার খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। সরকারের বিশেষ উদ্যোগে পৃথিবীর সেরা ফ্যাক্টরিগুলো (গ্রিন ফ্যাক্টরি) অধিক সংখ্যায় এখন বাংলাদেশে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পাশাপাশি ঔষুধ, আবাসন, জাহাজ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য শিল্পের প্রসার ঘটেছে। রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যোগ হয়েছে জাহাজ, ঔষুধ এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী।
এছাড়াও বাংলাদেশের আইটি শিল্প বহির্বিশ্বে সুনাম কুড়িয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডাসহ তিন দেশের প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে গ্যাস ও বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে শিল্পখাতের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রমে ব্যবসায়ীরা কিছুটা সমস্যার মধ্যে পড়ছেন, বিষয়টি সমাধানে সরকার কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই এর থেকে উত্তরণ ঘটবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ১০০টি সরকারি ও বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইকোনমিক জোন) স্থাপনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এবং সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগকারীদের জন্য কর, ভ্যাট এবং শুল্ক ছাড়ের মতো বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
এর মাধ্যমে নতুন এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে অতিরিক্ত চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় বাড়বে।
আরও পড়ুুন: বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর জোরালো আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
১০ মাস আগে