আন্তর্জাতিক মর্যাদা
বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা লন্ডন মিশনের
বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও বায়ান্নোর অমর ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে লন্ডনের বাংলাদেশ হাই কমিশন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ উপলক্ষে লন্ডনের রয়্যাল বারা অব কেন্জিংটনে এক কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত ‘মাল্টিলিঙ্গুয়াল এডওকেশন, দ্যা পিলার অবদ লার্নিং’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে ইউকে ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কো, কমনওয়েলথ,আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতিনিধিবর্গ এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত আর্জেন্টিনা, বাহামা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিস্তিন, গ্রীস, গুয়েতেমালা, কেনিয়া, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মরক্কো, মিশর, রোমানিয়া, সাইপ্রাস, সার্বিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার, রাষ্ট্রদূত ও উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন ও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইউক্রেন, সার্বিয়া, মালয়েশিয়া, মরোক্কো, সাইপ্রাস ও শ্রীলঙ্কা দূতাবাসের প্রতিনিধিত্বকারী শিল্পীরা মহান ভাষা শহিদদের উৎসর্গ করে নিজ নিজ ভাষায় মনোজ্ঞ সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোর শিল্পীদের সমবেত কন্ঠে জাতিসংঘের ৬টি ভাষায় ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ অমর সঙ্গীতটির পরিবেশনা।
লন্ডনে বসবাসকারী ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন ভাষাভাষীর প্রায় পাঁচশ নারী, পুরুষ ও শিশু-কিশোর অংশ নেন অনুষ্ঠানে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
এতে আরও বক্তব্য দেন ইউকে ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কোর প্রধান নির্বাহী জেমস ব্রিজ, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন-এর কাউন্সিল চেয়ার ভিক্টর জিমেনেজ, যুক্তরাজ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ইউন ইওচিয়ল, বাহামার হাইকমিশনার প’ল এ গোমেজ, ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সুজিত ঘোষ, ব্রিটিশ কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া রিজিওন্যাল ম্যানেজার মিজ সাম হারভি এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক প্রমুখ।
ইউকে ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কোর প্রধান নির্বাহী জেমস ব্রিজ বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোগেই ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপর ২০০০ সাল থেকে সারা বিশ্বে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
এর আগে মহান একুশের প্রথম প্রহরে হাইকমিশনার ও টাওয়ার হ্যামলেটস -এর মেয়র লুৎফুর রহমান একসঙ্গে এবং পরে মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে পূর্ব লন্ডনের শহীদ আলতাব আলি পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বায়ান্নোর ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
৮ মাস আগে