খারিজ
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি উত্থাপিত হয়নি (নট প্রেস রিজেক্ট) মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার আবু হানিফ হৃদয় নামের যাত্রাবাড়ীর এক বাসিন্দার করা রিটটি বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ নট প্রেস রিজেক্ট আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম। আদেশের বিষয়টি এই আইনজীবী নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: পরীক্ষামূলক ভাবে পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল শুরু
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ জুন সেতু উদ্বোধন করার পরদিন ২৬ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। তবে ২৭ জুন ভোর ৬টা থেকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।
গত ১২ জানুয়ারি ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। রিটে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। রিটে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয় বলেও জানা গেছে।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে রাষ্ট্রপতি
নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
ওসির বিরুদ্ধে করা তাবিথের মামলা খারিজ
মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা না করায় হেফাজত আইনে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়ার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
ওই মামলায় মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
এর আগে সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকালে তাবিথ আউয়াল মামলাটি করেন ।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ অপেক্ষমান রাখেন। এরপর সন্ধ্যায় আদালত থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার আদালত এ বিষয়ে আদেশ দিবেন।
মঙ্গলবার সকালে আদালত মামলাটি খারিজের আদেশ দেন বলে জানান আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
আরও পড়ুন: বনানীতে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা, তাবিথসহ আহত ১০
তাবিথ আউয়ালের পক্ষে আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি করেন।
মামলার আবেদনে আরও যাদের আসামি করা হয়- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোশাররফ হোসেন, বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি ও ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাছির, শ্রমিক লীগ কর্মী বাবু, শফিক, বনানী থানার যুবলীগ কর্মী শ্যামল, দোলন, রনি, ববি, সাগর, মামুন ও ফারুক। এছাড়াও আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত করে আসামি করা হয়। এছাড়া, বনানী থানার আরও ২০ থেকে ৩০ জন পুলিশ সদস্যকেও অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির আমান, তাবিথসহ ৭০ নেতাকর্মীর আগাম জামিন
মামলারসূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ গ্যাস, ডিজেল, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ দলীয় তিন নেতার নিহত হওয়ার প্রতিবাদে গত ১৭ সেপ্টেম্বর গুলশান ২ এর গোলচত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এসময় কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করে। এসময় বাদী বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য তাবিথ আউয়াল মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি নিশ্চিতের জন্য বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর হামলায় তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপির অনেকে গুরুতর আহত হন। তাই এ অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচন বাতিল চেয়ে তাবিথের মামলা
পিবিআই প্রধানসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলা খারিজ
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করে ২০০ ধারায় জবানবন্দি নেয়া এবং ফেনী কারাগারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগে নিরাপত্তা চেয়ে করা পৃথক দু’টি আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা মামলা খারিজের এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ফেনীর ওসির বিরুদ্ধে
বাবুল আক্তারের পক্ষের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালত তার আদেশে বলেছেন, পরিদর্শক দিয়ে পুলিশ সুপারের (এসপি) মতো পদের লোককে মারধর ও নির্যাতন করা অস্বাভাবিক। বাবুল আক্তার অনেকবার আদালত এসেছেন, জামিন চেয়েছেন কিন্তু এই এক বছর চার মাসে তিনি কোথাও আদালতে নির্যাতনের কথা বলেননি। আদালত মনে করেছেন, মিতু হত্যার মামলার আসামি হিসেবে মামলাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তিনি নতুনভাবে এই আবেদন দিয়েছেন। তাই আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।
এর আগে বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেছিলেন, মামলায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় আসামিরা হলেন-পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ও এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম এবং সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবিরকে।
আরও পড়ুন: পিবিআই প্রধানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন
মিতু হত্যা: আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ
পুলিশের বিরুদ্ধে রিজভীর মামলার আবেদন খারিজ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে যুবদল কর্মী শাওন নিহতের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। রবিবার বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইমরান মোল্লার আদালত ওই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে নতুন বিধিনিষেধ: রিজভী
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বাদী হয়ে এই মামলার আবেদন করেছিলেন। আদালত ২০৩ ধারায় মামলাটি খারিজ করেছেন।
বিবাদীরা হলেন- ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনক, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) নাজমুল হাসান, সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আমীর খসরু, পুলিশের কনস্টেবল শাহরুল আলম, সোহাগ, আরিফ দেওয়ান, ফেরদৌস দেওয়ান, সেলিম, রিপন, যুগল, মামুন, রিয়াজ, হাফিজ, সহকারী উপ পরিদর্শক ইকবাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, পুলিশের কনস্টেবল জাকির হোসেন, নাঈম, রাকিব, আনিস, সাইদুল, এএসআই সোহরাব, পুলিশ সদস্য ইনজামামুল, রাসেল, খলিলুর রহমান, মোহসিন, মোস্তাকিম, শাহাদাৎ, ফখরুল, আরিফ দেওয়ান, দীপক সাহা, শাহীন, ফরিদ উদ্দিন, মুরাদুজ্জামান, শাহীন, কবির হোসেন, মান্নান, রুবেল, সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০জন।
রবিবার সকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইমরান মোল্লার আদালতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বাদী হয়ে ওই মামলার আবেদন করেন।
মামলার বাদী রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সভা সমাবেশ করা আমাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। নারায়ণগঞ্জে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে গুলি করে শাওনকে হত্যা করেছে। সে আমাদের যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী। গণমাধ্যমে ছবি বেরিয়েছে ডিবির এস আই মাহফুজুর রহমান কনক চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করেছে। সেই গুলিতেই শাওন নিহত হয়েছে। আমাদের উপর যে হামলা হলো গুলি হলো সে ঘটনায় আমরা আদালতে মামলার আবেদন করে বিচার চেয়েছি বিজ্ঞ আদালতের কাছে।’
আরও পড়ুন: ঈদ আসলেই আওয়ামী পরিবহন সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠে: রিজভী
বিএনপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ উদ্দিন তালুকদার জানান, নারায়ণগঞ্জের পুলিশের হামলায় পুলিশের গুলিতে শাওন সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় আমরা আদালতকে জানিয়ে গুলির ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনকসহ ৪২ জনের নামে মামলা করেছি। আদালতকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, মামলার আর্জি গ্রহণ করা হয়েছে। আদালত তাৎক্ষণিক কোন আদেশ দেননি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় র্যালি বের করার সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় শাওন নামের এক যুবক লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শেখ ফরহাদ জানান, শাওনের বুকের বা পাশে এবং পিঠের নিচের অংশে দুটি গভীর ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে শরীরে কোনো গুলি পাওয়া যায়নি। বুকের বা পাশে একটি এবং পিঠের নিচের অংশে আরেকটি ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ঘটনার পর ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জানান, নিহত শাওন তার ভাতিজা এবং সে আওয়ামী লীগের কর্মী।
আরও পড়ুন: আ’লীগের সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস বিএনপিকে ধোঁকা দেয়ার ফাঁদ: রিজভী
তবে পরদিন গত শুক্রবার ফতুল্লা থানার নবীনগর বাজারে শাওনের বাড়িতে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তখন তিনি জানান, শাওন যুবদলের রাজনীতি করতেন এবং যুবদলের কর্মী ছিল সেটাও প্রমাণিত হয়েছে। যদি সে রাজনীতি নাও করে তাও একজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে মেরে ফেলার কোনো অধিকার পুলিশের নেই। পুলিশ মিথ্যাচার করছে। পুলিশের গুলিতেই যে শাওনের মৃত্যু হয়েছে, এটা প্রমাণিত। শাওনকে হত্যার দায় তারা কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারে না।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের মামলায় ৭১ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে: রিজভী
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: সহিদুর রহমানের জামিন আবেদন খারিজ
আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। সহিদুর রহমান খান মুক্তির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় রানার জামিন আপিলে বহাল
এর আগে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ গত ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তিকে জামিন দেন। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি তার অন্তবর্তী জামিন বাতিল করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ২৭ এপ্রিল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মুক্তিকে জামিন দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। পরে হাইকোর্ট চূড়ান্ত শুনানি করে আজ রুল খাজির করে রায় দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে এ দুজনের দেয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা: আলমগীরের জামিন স্থগিত
এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিন পেয়ে মুক্ত আছেন। তাদের অপর দুই ভাই এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: এমপি রানার জামিন ফের নামঞ্জুর
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: এমপি রানার জামিন নামঞ্জুর
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ: পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি শেষ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখান করা নিয়ে ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির রায় প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট টানা চারদিনের শুনানি শেষ করেছে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ মুলতবি করার আগে ইমরান খানের আইনজীবী, তার বিরোধী দল এবং দেশটির রাষ্ট্রপতির যুক্তি শুনেছেন। এদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আদালতের রায় ঘোষণা করা হবে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্বকারী সাংবিধানিক আইনজীবী আলি জাফর বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে যে ডেপুটি স্পিকার, কাসিম সুরি অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করার অধিকার রাখেন কিনা।
সোমবার পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত ডেপুটি স্পিকার সুরির অনাস্থা ভোট বাতিল করার সাংবিধানিক ক্ষমতা ছিল কিনা এনিয়ে শুনানি শুরু করেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতে আগাম নির্বাচন নিয়ে শুনানি
এর অর্থ প্রকারান্তরে তারা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার মিত্রদের সংসদ ভেঙে দেয়ার এবং আগাম নির্বাচন আয়োজনের আইনি অধিকার আছে কিনা তা নিয়ে শুনানি করছেন। কারণ ইমরান খানের বিরোধীরা দাবি করেছেন যে ক্ষমতায় থাকার জন্য এটি ইমরান খানের একটি চক্রান্ত। এর আগে রবিবার ইমরান খানের মিত্র এবং পাকিস্তানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি ইমরানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটের দাবি খারিজ করে আইনসভা ভেঙে দিয়েছেন।
বিরোধীদের দাবি, অনাস্থা ভোট বাতিলের সাংবিধানিক ক্ষমতা ডেপুটি স্পিকারের নেই।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আদালতের রায়ে জানা যায় ডেপুটি স্পিকার তার ক্ষমতার ঊর্ধ্বে উঠে রায় দিয়েছেন, তাহলে পুনরায় সংসদ আহ্বান করা হবে এবং ইমরান খানের ওপর অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি আদালত ডেপুটি স্পিকারের সর্বশেষ রায় বহাল রাখে,তাহলে পাকিস্তানে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বিরোধী দল দাবি করে যে তাদের কাছে সংসদে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য পর্যাপ্ত ভোট ছিল। তারা জানায়, ৩৪২ আসনের বিধানসভায় তাদের ১৭২ ভোট রয়েছে। কারণ ইমরান খানের নিজের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ বা জাস্টিস পার্টির কিছু সদস্য এবং তার সরকারের জোটের অংশীদার মুত্তাহিদা কওমী মুভমেন্ট ইতোমধ্যে বিরোধী দলে যোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচন ঘোষণা
পাকিস্তানের স্বাধীনতার ৭৫ বছরের ইতিহাসের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে সরাসরি সামরিক বাহিনী পাকিস্তানকে শাসন করেছে এবং ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করেছে। বাকি সময়েও পরোক্ষভাবে নির্বাচিত সরকারগুলোকে চালিত করেছে সেনাবাহিনী।
বর্তমানের সংকটের বিষয়ে সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া রবিবার মার্কিন সমর্থিত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে সেনাবাহিনীকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান- চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক চায়। কারণ তারা পাকিস্তানের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।
রবিবার সুরি অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করার পরে অধিবেশনে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রতি আনুগত্য প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক কর্তব্য। তিনি বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘শাসক পরিবর্তন করার জন্য ‘বিদেশি শক্তির’ সঙ্গে যোগসাজশ করার অভিযোগ করেন।
ইমরান খানও তাকে অপসারণ করার জন্য বিরোধীদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় তিনি তার বৈদেশিক নীতি তাদের পছন্দ মতো নির্ধারণ করেন। কারণ তার নীতি প্রায়ই চীন ও রাশিয়ার পক্ষে চলে যায়। ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সেই যুদ্ধে পাকিস্তানের অংশীদারিত্বেরও কঠোর বিরোধী।
ইমরান খান জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা থেকে তাকে অপসারণের জন্য করা ষড়যন্ত্রে ওয়াশিংটন তার বিরোধী পক্ষকে সাহায্য করছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস পাকিস্তান এবং ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার মার্কিন প্রচেষ্টার অভিযোগ সম্পর্কে বলেছেন, আমরা সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক নীতির শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরকে সমর্থন করি। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও তাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলকে অন্য রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে সমর্থন করি না; আমরা বৃহত্তর নীতি, আইনের শাসনের নীতি, ন্যায়বিচারকে সমর্থন করি।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ
সংসদ সদস্য পদ ফিরে পেতে পাপুলের রিট আপিলেও খারিজ
মানব ও অর্থপাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদ বাতিল ও আসন শূন্য ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: এমপি পাপুলের সাজা: রায়ের কপি পেয়েছে সরকার
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
এর আগে গত ৭ জুন পাপুলের এমপি পদ বাতিল ও আসন শূন্য ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন :এমপি পাপুলের স্ত্রী-মেয়ের জামিন বাতিল বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি মানব ও অর্থপাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতের রায়ে দণ্ডিত পাপুলের সদস্য পদ বাতিল করা হয়। সংসদ সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আরও পড়ুন: পাপুলের স্ত্রী-মেয়ের জামিন আবেদনে নথি জালিয়াতি তদন্তের নির্দেশ
এদিকে লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করে আগামী ২১ জুন ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপর পাপুলের এমপি পদ বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তার বোন নুরুন্নাহার বেগম। রিটে লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণার বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়।
গত ২৮ জানুয়ারি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন কুয়েতের আদালত। পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল বা ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় তাকে। আটকের সাড়ে ৭ মাস আর বিচার প্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে ৩ মাসের মাথায় দণ্ডিত হন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।
বগুড়ার সেই তুফান সরকারের জামিন আপিল বিভাগেও খারিজ
দুদকের মামলায় বগুড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ এবং কিশোরী ও তার মাকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের জামিন আবেদন হাইকোর্টের পর আপিল বিভাগও খারিজ করে দিয়েছেন।
বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে তুফান সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শরীফ উদ্দিন চাকলাদার। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
গত ১ মার্চ হাইকোর্ট তুফান সরকার ৬ মাস কোনও আদালতে জামিন আবেদন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে এই মামলায় তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় জামিন প্রশ্নে রুল জারি থাকা অবস্থায় ফের জামিন আবেদন করায় এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে তুফান সরকারের জামিন আবেদন বুধবার খারিজ হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনে অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আসামি তুফান সরকারের আয়ের কোনো উৎস ছিল না। তিনি আয়কর রিটার্নে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৫ টাকা দেখান। দুদকের নোটিশে সম্পদের সঠিক হিসাব দেননি তিনি।
এই কারণে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। এ আসামি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২০১৭ সাল থেকে জেল হাজতে আছেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এ রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ফের ৯ মার্চ জামিন আবেদন করে তুফান। তখন বিষয়টি দুদকের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন আদালতের নজরে আনেন। এরপর ১ মার্চ আবেদন খারিজ করে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরপর আপিল বিভাগের কাছে আবেদন জানায় যা বুধবার খারিজ হয়।
তুফান সরকারের জামিন আবেদনের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হওয়া মামলায় বগুড়ার বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার আগামী ৬ মাস দেশের কোনো আদালতে তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে এ মামলায় তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার একই মামলায় জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের তথ্য গোপন করে নতুন করে জামিন আবেদন করায় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোসত্মাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
তুফান সরকারের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ আলম সরকার। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. সাজ্জাদ হোসেন।
আরও পড়ুন:জোবায়দা রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত মামলার আদেশ ৮ এপ্রিল
আদালত তুফান সরকারের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আপনার ক্লায়েন্ট অনেক স্মার্ট। আগের আবেদনের রুল বিচারাধীন। এরপর আবার নতুন করে আবেদন করেছেন। তাই আগের রুল খারিজ করা হলো। আর এ মামলায় আগামী ছয় মাস দেশের কোনো আদালতে জামিন আবেদন করতে পারবেন না।'
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় বগুড়ার বহুল আলোচিত বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের জামিন আবেদন কেন মঞ্জুর করা হবে না-তা জানতে চেয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। ওই রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় একই আদালতে পৃথক একটি জামিন আবেদন করেন তুফান সরকার। এ আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপিত হলে দুদকের আইনজীবী আগের আদেশের তথ্য আদালতকে অবহিত করেন। এরপর আদালত আগের আদেশের নথি তলব করেন। এই নথি বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরপর শুনানি শেষে তুফান সরকারের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন:হেফাজতের হরতাল: নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-র্যাবের ৬ মামলা
তুফান সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় বলা হয়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে এক কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৫ টাকা অর্জন করেছেন তুফান সরকার। যা তার আয়কর রিটার্নে দেখিয়েছেন। বাস্তবে আসামি তুফান সরকারের আয়ের কোনো বৈধ উৎস ছিল না।
২০১৭ সালে বগুড়ায় মা ও মেয়েকে নির্যাতনের পর মায়ের মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগ ওঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে করা পৃথক দুটি মামলা বগুড়ার আদালতে চলমান। ওই মামলায় ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই থেকে তিনি কারাবন্দী।
আরও পড়ুন:গাইবান্ধায় শিশু হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
এরই মধ্যে এ মামলায় হাইকোর্ট তুফান সরকারের জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন। এর বাইরে তার বিরুদ্ধে দুদক জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। এ মামলায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়।
ঐশীর সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ
বাবা-মাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ঐশী রহমানকে হাইকোর্টের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।