গাইবান্ধায় তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধার জুডিশিয়াল চতুর্থ আদালতের বিচারক হাসিবুজ্জামান মামলাটি খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন।
অব্যাহতি পাওয়া তিন সাংবাদিক হলেন— ইউএনবি ও দৈনিক যুগান্তরের গাইবান্ধা প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম দয়াল, আনন্দ টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি মিলন খন্দকার ও সাংবাদিক রবিন সেন।
আরও পড়ুন: আপিল খারিজ, সবার জন্য সমান বিচার চাইলেন ফ্লিক
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল আনন্দ টেলিভিশন ও দৈনিক মানবজমিনে গাইবান্ধা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান আতাউর রহমান আতার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ হয়। পরে তা ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তার জামাই এ এস এম আশরাফুল ইসলামকে বাদী করে সিদ্দিক আলম দয়াল, মিলন খন্দকার ও রবিন সেনের বিরুদ্ধে গাইবান্ধার আমলি আদালতে মামলা করেন। মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পর সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে প্রমাণিত হয়েছে আদালতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার আদালতের বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন।
সাংবাদিকদের আইনি সহযোগিতা করেন জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আইনজীবী আহসানুল করিম লাছু, সাবেক পিপি মহিবুল হক সরকার মোহন, সালাহ উদ্দিন সেলিম, আনিস মোস্তফা তোতন, রুহুল আমিন রুবেল, জাহাঙ্গীর আলম ও শাহ নেওয়াজ।